March 2023

আনন্দমার্গ স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী,২৩ নব রায়নগর নদীয়া৷ স্থানীয় ক্লাবের ক্রীড়াঙ্গনে আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ পতাকা উত্তোলন, মার্চ পাষ্ট, শপথ গ্রহণের পর  কেন্দ্রীয় দুই প্রতিনিধি আনন্দমার্গের প্রবীনা সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা ও অবধূতিকা আনন্দ শতদীপা আচার্যা ও নদীয়া ভুক্তির শিক্ষা সচিব শ্রীনিলরঞ্জন বিশ্বাস মহাশয় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথির আসন অলংকৃত করেন৷ বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্যা৷ পুরস্কার বিতরনের পরে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষিত হয়৷

আপ্তবাক্য

‘‘ইতিহাসে দেখা গেছে, যখনই মানুষ ধার্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে স্পষ্ট কথা বলেছে, সন্দেহের নিরসন করেছে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে তখনি তার বিরুদ্ধে পাপশক্তি ষড়যন্ত্র করছে, বিষ প্রয়োগ করেছ, ক্ষেপে মরীয়া হয়ে উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে৷ নিষ্ঠুরভাবে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে, কিন্তু সেই আঘাতই আবার প্রত্যাহত হয়ে তার কাছে ফিরে গেছে৷ নিজের আঘাতের প্রত্যাঘাতেই পাপশক্তি বিনষ্ট হয়েছে৷ তোমরা জেনে রেখো, ইতিহাসের অমোঘ বিধানে পাপশক্তি বিধবস্ত হতেই হবে৷’’     

                                        ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

স্মরণিকা

* মনই মনুষ্যগণের বন্ধন ও মুক্তির কারণ, মন যখন বিষয়ে আসক্ত হয়, তখন বন্ধের ও যখন বিষয় পরিত্যাগ করে, তখন মুক্তির কারণ হইয়া থাকে৷

* মনুষ্যদেহের উপভোগের জন্যই সমস্ত কর্ম্ম করিয়া থাকে, সেই দেহ যখন আত্মা হইতে ভিন্ন, তখন তাহাতে জীবের আত্মবুদ্ধি কেবল সংসারে আবদ্ধ হইবার জন্য৷

* যেমন মৃত্তিকা ও জললেপন দ্বার মৃন্ময় গৃহকে রক্ষা করিতে হয়, তদ্রূপ এই পার্থিবদেহ অন্ন ও জলের দ্বারা রক্ষিত হইয়া থাকে৷

* যে জ্ঞানে সমস্ত ভেদ বিলয় প্রাপ্ত হয়, যাহা সত্তামাত্রা ও বাক্যের অগোচর ও যাহাকে কেবল আত্মাই জানিতে পারে, সেই জ্ঞানের নামই ব্রহ্ম জ্ঞান৷     --- পুরাণ

৫ই মার্চ দধীচি দিবসে নিপীড়িত মানবতার মুক্তির শপথ গ্রহণের আহ্বান

৫ই মার্চ দিনটিকে প্রতি বছর সারাবিশ্বে আনন্দমার্গীরা ‘দধীচি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকেন৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ (১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুর রেলওয়ে কোয়ার্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত) তখন সবেমাত্র বার বছর অতিক্রম করে তের বছরে পদার্পন করেছে৷ মিশনের সন্ন্যাসী প্রথার তখন শৈশবাবস্থায় অর্থাৎ পাঁচ বছর৷ সংস্থার জন্মলগ্ণ থেকে স্বার্থান্বেষী, বিপথগামী, সুবিধাবাদী ও মানুষের রক্ত শোষকেরা আনন্দমার্গকে ধ্বংস ও উৎখাত করতে লেগে পড়ে৷ ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দ নগরে কমিউনিষ্ট গুণ্ডারা পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে ও নির্মমভাবে পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে হত্যা করে৷ দীর্ঘ বিচার প্রক্রি

ব্যারাকপুরে সেকেণ্ড ডায়োসিস লেবেল সেমিনার

গত ৩,৪ ও ৫ই মার্চে ব্যারাকপুরে দ্বিতীয় ডায়োসিস লেবেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হল নিউ ব্যারাকপুর জাগৃতি গৃহে৷ উক্ত সেমিনারে৯০ জন মার্গী দাদা-দিদি অংশ গ্রহণ করেছেন৷ ক্লাস নিয়েছেন আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ এছাড়া আমাদের  ডি. এস দাদা আচার্য সৌম্যসুন্দরানন্দ অবধূত দাদাও একটি ক্লাস নিয়েছেন৷ ৰাৰার কথা বলেছেন ডিট.এস দাদা আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত৷ সেমিনারের দ্বিতীয় দিনে কীর্ত্তন পরিক্রমা হয়েছে৷ স্থানীয় মানুষেরা কীর্ত্তন খুবই আগ্রহ সহকারে উপভোগ করেছেন৷ সেমিনারে বিষয়বস্তু ছাড়াও সাধনা সম্পর্কে ক্লাস নিয়েছেন ও.এস দাদা৷

বীরভূমে পদার্পন দিবস পালন

গত ৭ই মার্চ মঙ্গলবার দোলযাত্রায় ভগবান পরমপুরুষ বীরভূম জেলার আমড়াতে গত ১৯৫৮ সালে পদার্পন করেছিলেন৷ সেই উপলক্ষ্যে মহাসমারোহে দিনটি পালন করা হল৷ সিউড়ির আচার্য বিজয়েশানন্দ অবধূত ও বর্ধমান এর অবধূতিকা আনন্দ কল্যাণী আচার্যা ও বীরভূম জেলার সমস্ত মার্গী ভাই-বোন, দাদা-দিদি উপস্থিত ছিলেন আমড়াতে ৰাৰার আসার গল্প শোণান নবতিপর মার্গী জিতেন মণ্ডল৷ প্রভাত সঙ্গীত ও তিন ঘন্টা অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন হয়, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা স্বাধ্যায় হয় পরে মিলিত আহার ও নারায়ণ সেবা করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভুক্তিপ্রধান মানবেন্দ্র ঘোষাল৷

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রত্যাশা

পত্রিকা প্রতিনিধি

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,   নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকঁত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

বসন্তোৎসব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড়, ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

রাজনৈতিক স্বার্থে ক্ষত বিক্ষত গণতন্ত্র

প্রভাত খাঁ

২৬শে নভেম্বর হলো পবিত্র  সংবিধান দিবস এই দিনে মহান্‌ দেশনেতা বি.আর. আম্বেদকর বিভিন্ন দেশের সংবিধানের সারমর্মগুলি গ্রহণ করে ভারতের মৌলিক আদর্শকে সামনে রেখে ভারতের সংবিধান রচনা করেছিলেন৷ এটি একটি অভিনব সংবিধান যা সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম সংবিধান বলে পরিচিত৷

এই পবিত্র দিবসে  কেন্দ্রের সেন্ট্রাল হলে বর্তমান সরকার উভয়কক্ষের  প্রতিনিধিদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে  মহান দিনটিকে স্মরণ করেন৷ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন৷

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদী সংবিধানকে পবিত্র বই’’ হিসাবে  ঘোষণা করেন৷

মাইক্রোবাইটামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম সম্পর্কে বহু তথ্য দিয়েছেন৷ এই তথ্যগুলির মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হ’ল৷

(১) অতীতে পজেটিব মাইক্রোবাইটার বিরাট প্রয়োজন হয়নি৷ এই প্রথম সাধারণ মানুষের আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্য মাইক্রোবাইটামকে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক ব্যবহার পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রয়োজন ও ব্যবহার করার জন্য শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন৷