March 2023

মূর্খ ব্রাহ্মণপুরের গল্প

তোমরা অনেকেই আসকে পিঠে খেয়েছ (বাঙলায় কোথাও কোথাও সরাপিঠে বা চিতুই পিঠেও বলা হয়৷ তবে কলকাতায় আমরা আসকে পিঠেই বলি)৷ আসকে পিঠেতে থাকে অনেক ছিদ্র৷ তোমরা সেই ছড়াটা নিশ্চয়ই জানো–

‘‘ঘুঘু তো দেখেছ জাদু ফাঁদ তো দেখনি৷

আসকে খেয়েছ জাদু ফোঁড় তো গোণনি৷’’

বাঁকুড়া জেলা ক্রিকেট লিগের ম্যাচে পুরুষদের দলের মুখোমুখি মহিলাদের দল

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহিলারা পরিচিতি পেয়েছে, এবার পুরুষ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও ক্রিকেটে নেমেছে তারা৷ বিদেশে অনেক মহিলা ক্রিকেটার পুরুষ ক্রিকেটারদের মুখোমুখি ক্রিকেট খেলেছে এবার আমাদের রাজ্যেও এমন ঘটনা ঘটেছে৷ পুরুষ ও মহিলা নেমে পড়েছে ২২ গজে৷ এই অভিনব ক্রিকেট ম্যাচটি আয়োজিত হয়েছে বাঁকুড়ায়৷

বাঁকুড়ার পল্লবী দাস, নবনীতা চন্দ, মুক্তা রায়, বর্ষা দাস, খুশি খাণ্ডেওয়ালারা এখন তেমন পরিচিত নাম হয়নি৷ কিন্তু মাঠে নামলে তাঁরা কম যান না কোন পুরুষ ক্রিকেটারের থেকে৷ শুধুমাত্র তা নয় একেবারে দলবেঁধে নেমে পড়ে ২২ গজে পুরুস দলের বিরুদ্ধে খেলতে৷

বাঙালী মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে রবীন্দ্রসরোবরে ফুটবল প্রতিযোগিতা

গত ৮ই মার্চ নারী দিবসে রবীন্দ্র সরোবরে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷  বাঙলার ২২জন মহিলা ফুটবলারকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ হিউম্যান রাইটস্‌ এ্যাণ্ড এ্যান্টি ক্রাইম অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয় আর এর সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় ফুটবল সংস্থা৷

নারী দিবসের দিন রবীন্দ্রসরোবর স্টেডিয়ামে এই প্রতিযোগিতা প্রথমবার শুরু হল৷ এর নাম দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণা কাপ৷ হিউম্যান রাইটস্‌ এ্যাণ্ড এ্যান্টি ক্রাইম অর্গানাইজেশনের উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে এই সমস্ত মহিলা ফুটবলারদের  বার্র্ত দিয়েছেন যে তারা মহিলা ফুটবলারদের পাশে আছে৷

আপ্তবাক্য

‘‘...শিক্ষক-নির্বাচনে সতর্কতা৷ উপযুক্ত শিক্ষাগত অভিজ্ঞান-পত্র থাকলেই যে তাঁকে শিক্ষকতা করার অধিকার দেওয়া হবে এমন কোন কথা নেই৷ তাঁদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, ধর্মনিষ্ঠা, সমাজসেবা, নিঃস্বার্থতা, ব্যষ্টিত্ব ও নেতৃত্বের গুণ থাকতেই হৰে৷ শিক্ষক সমাজগুরু৷ তাই যে-সে লোককে শিক্ষক রূপে মেনে নেওয়া কিছুতেই যেতে পারে না৷ শিক্ষকের পদের গুরুত্ব যেমন অধিক তেমনই তার যোগ্যতার মাপকাঠিও ৰেশ উঁচু ধরণের হওয়া দরকার৷’’    (কঃ প্রাঃ - প্রথম খণ্ড)

                ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

স্মরণিকা

* গৃহীই হও, আর সন্ন্যাসীই হও, আসল কথা মন৷ মন সাচ্চা তো সব সাচ্চা৷ মনটি খাঁটি হলে তবে ভগবানের কৃপালাভ হয়৷ ---তাঁকে না ডাকলে, তাঁর কৃপা না হলে মানুষের জীবন দুঃখের বোঝা হয়ে  দাঁড়ায়৷ সকল কাজের মধ্যেই তাঁকে স্মরণ করবে৷ ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকবে, যেন তাঁর পাদপদ্মে শুদ্ধাভক্তি হয়৷

* তাঁকে পেতে হলে সাধন-ভজন চাই৷ (অহংভিমানী) মানুষ চায় ফাঁকি দিয়ে পার হতে৷ তা কি কখনো হয়? সবটা মন দিয়ে তাঁকে ভালোবাসলে, একেবারে মানুষের মতোই তাঁকে প্রত্যক্ষ করা যায়৷

নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে সাড়ম্বরে উদ্‌যাপন হল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস

গত ১১ই মার্চ শনিবার নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে সাড়ম্বরে পালিত হল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস৷ কলকাতা ও সংলগ্ণ জেলাগুলি থেকে আনন্দমার্গের অনুগামী ভক্তবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ এই উপলক্ষ্যে নোতুন পৃথিবী ভবন ও অনুষ্ঠানস্থলকে পুষ্পাদির দ্বারা সুন্দরভাবে সাজানো হয়৷ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান৷ সকাল ৯টাকা থেকে শুরু হয় সিদ্ধ অষ্টাক্ষর মহামন্ত্র ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ অখণ্ড কীর্ত্তন৷ বেলা বারোটায় কীর্ত্তন শেষে শুরু হয় সমবেত ধ্যান, বর্ণাঘ্যদান ও ধর্মশাস্ত্র পাঠ৷ এরপর শুরু হয় আলোচনা৷ ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জীবন ও বানী নিয়ে জ্ঞানগ

আমরা বাঙালীর তীব্র বিরোধিতা ‘‘তিপ্রামথার দাবীর’’

ত্রিপুুরায় নোতুন করে গজিয়ে ওঠা ‘‘তিপ্রামথা’’ নামক পাহাড়বাসীদের রাজনৈতিক দল, যে দল সমস্ত অযৌক্তিক, অসাংবিধানিক, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রসূত বিভেদকামী দাবী উত্থাপন করেছে, ‘‘আমরা বাঙালী’’ অসম রাজ্য কমিটি তার তীব্র বিরোধিতা করছে বলে জানান দলের অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ৷ তিনি বলেন---ত্রিপুরায় স্মরণাতীতকাল থেকে বাঙালী জনগোষ্ঠীর বসবাস৷ ত্রিপুরার এক বৃহৎ অংশ আজ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত৷ সেই চাকলা রওশনাবাদ এলাকা ত্রিপুরা রাজ্যের মানচিত্রের মধ্যে ছিল৷ ভাঙ্গাগড়ার খেলায় আজ বাঙালীরা বিভিন্নভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে৷ ত্রিপুরার ভৌগলিক সীমানার ৭৫শতাংশ ভূমি আজ স্বশাসিত জেলা পরিষদের  অন্তর্ভুক্ত৷ ২৫ ভা

আদর্শ নেতৃত্বের প্রয়োজন

রত্নেন্দু দাশ

উনবিংশ শতাব্দীতে মহাসদবিপ্র শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী আবির্ভূত হয়েছেন জগৎ থেকে শোষণ, অত্যাচারকে সরিয়ে দিয়ে এক নোতুন পৃথিবী তৈরি করতে, কিছু ভালো মানুষের ওপর কাজের দায়িত্ব দিতে হবে৷ যারা সমাজকে পরিচালিত করবে, যারা দেবে আদর্শ নেতৃত্ব তাদের প্রাউটে বলা হয়েছে সদবিপ্র, এরা কেমন হবে তার বিশদ ব্যাখ্যা তিনি করেছেন তার প্রাউট দর্শনে, সেটা অবশ্যই আমাদের সবাইকে জেনে নেওয়া উচিত, সাথে আমাদেরও তা হওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে৷

ঈশ্বর সম্প্রাপ্তি একমাত্র লক্ষ্য

মানুষ সাধনা করে ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্যে৷ এখন ঈশ্বর সম্প্রাপ্তিটা কেমন জিনিস? –না, নিজের সত্তাটা, নিজের অস্তিত্বৰোধটা পরমপুরুষে মিলিয়ে দেওয়া৷ এই মিলিয়ে দেওয়ার উপায়টা কী? সাধনার দ্বারা নিজেকে, নিজের সমগ্র সত্তাৰোধকে পরমপুরুষের কাছে নিয়ে যাওয়া ও এর সঙ্গে সঙ্গে আর কী করা? –না, কীর্তনের দ্বারা পরমপুরুষকে আকৃষ্ট করে তাঁকে নিজের নিকটে নিয়ে আসা৷

সম্পদের সর্বাধিক উপযোগ

বিশ্বের যাবতীয় জাগতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের সর্বাধিক উপযোগ গ্রহণ করতে হবে, ও যুক্তিসঙ্গত বণ্টন করতে হবে৷

স্থূল জগতে, সূক্ষ্ম জগতে ও কারণ জগতে যা কিছু সম্পদ নিহিত আছে তার উৎকর্ষ সাধন করতে হবে জীব কল্যাণে৷ ক্ষিতি–প–তেজ–মরুৎ্– পঞ্চতত্ত্বের যেখানে যা কিছু লুকানো সম্পদ রয়েছে তা ষোল আনা সদ্ব্যবহারের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এর উৎকর্ষ সাধিত হবে৷ জল–স্থল–ন্তরীক্ষ তোলপাড় করে’ মানুষকে প্রয়োজনের উপাদান খুঁজে বের করে’ নিতে হবে–তৈরী করে’ নিতে হবে৷