August 2023

আপ্তবাক্য

শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

মানুষ যখন মানসাধ্যাত্মিক সাধনার দ্বারা তার মনকে ব্রহ্মমনের মত বিস্তৃত করতে পারে তখন সর্বজ্ঞ ব্রহ্মমনের সান্নিধ্য–নিৰন্ধন জীবমন সরাসরি ব্রহ্মমনের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে প্রত্যাদেশ, নির্দেশনা পেয়ে থাকে৷ এ ধরনের অর্জিত জ্ঞানকে আপ্তজ্ঞান বা আপ্তবাক্য ৰলা হয়৷ মানুষ যেহেতু সরাসরি পরমপুরুষের কাছ থেকে এই ধরনের জ্ঞান লাভ করে থাকে, তাই তা সকল দেশেই, সকল যুগেই, সকলের পক্ষেই সত্য ও কল্যাণকর৷ আপ্তবাক্যকে ঈশ্বরের নির্দেশ ৰলা হয়৷

 

স্মৃতির অন্তরালে কান্ত কবি রজনীকান্ত

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

১৯০৫ সাল৷ ভারতের বড় লাট তখন লর্ড কার্জন৷ তিনি বাঙলাকে দুইভাগে ভাগ করলেন৷ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও আসামকে একটি নতুন প্রদেশে পরিণত করলেন৷ উক্ত প্রদেশের নাম হ’ল পূর্ববঙ্গ ও আসাম৷ তারজন্য আলাদা শাসনকর্র্ত নিযুক্ত হ’ল৷ সেই সময় বিহার ও উড়িষ্যা বাঙলার শাসনকর্র্তর দ্বারা শাসিত হতো৷ সেই অজুহাতে শাসন কার্যে নাকি নানারকম অসুবিধা হতো৷ তাতে শাসন কার্যের সুবিধার্থে বাঙলাকে ভাগ করা হ’ল৷ তখন বাঙলার জাতীয়তাবাদী নেতারা এই বিচ্ছেদের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলেন৷ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করলেন প্রবল আন্দোলন৷ বড়লাট যখন বললেন 'Partition of Bengal is a settled fact'.

মনিপুর ভবনে গার্লস প্রাউটিষ্টের বিক্ষোভ - অপরাধের উৎস বন্ধের দাবি

মনিপুরে নারকীয় নারী নির্যাতনের  প্রতিবাদে গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে মনিপুর ভবনে ২৭শে জুলাই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় ও কয়েক দফা দাবি সম্মিলিত একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়৷ এইদিন অপরাহ্ণে গার্লস প্রাউটিস্টের কর্মীরা একটি ম্যাটাডোরে তিলজলা  কার্যালয়ে থেকে বার হয়ে গড়িয়া হাট মনিপুর ভবন মল্লিক বাজার মৌলালি হয়ে শ্যামবাজারে পৌঁছে সমাপ্ত হয়৷ কলকাতার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা অনিতাচন্দ প্রমুখ৷ আনন্দনিরুক্তা বলেন দীর্ঘ দুই মাস ধরে মনিপুরে জাতি দাঙ্গা চলছে, অথচ দিল্লি মনিপুর ডবল ইঞ্জিন সরকারের কোন হেলদোল নেই৷ এত বড় ন

অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে রাষ্ট্র-ধর্ম পালনের আহ্বান ‘আমরা বাঙালীর’

অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিভেদমূলক ও প্ররোচনামূলক উক্তির তীব্রনিন্দা করে আমরা বাঙালী দলের অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন ---সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে, যেভাবে সংবিধান বহির্ভূত উক্তি আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অনবরত করে চলেছেন, তাতে রাজ্যজুড়ে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ যে কোন সময় সারা অসম অশান্ত হয়ে উঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ কখনও খিলঞ্জীয়া, কখনও অসমীয়া, কখনও বাংলাদেশী, কখনও মিঞা ইত্যাদি উক্তি করে এক ন্যক্কারজনক বিভাজনের খেলা শুরু করেছেন৷ অসম একটি বহুভাষিক রাজ্য৷ এখানে বিভিন্ন জাতি, উপজাতির বাসভূমি৷  কে আদি বাসিন্দা আর কে খিলঞ্জীয়া তা সংবিধানে চিহ্ণিত করে দেয় নাই, কিন্তু

মহিলা সমাজের মণিপুর ভবনে স্মারকলিপি প্রদান

গত ২৪শে জুলাই ‘বাঙালী মহিলা সমাজ’এর পক্ষ থেকে মণিপুর রাজ্যে ক্রমাগত খুন-জখম ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মণিপুরের রাজ্যপালকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় কলকাতায় স্থিত মণিপুর ভবনে কর্মরত আধিকারিকের মাধ্যমে৷ সংরক্ষণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই মাসাধিক কাল ধরে মণিপুরে চলছে জাতিগত হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতি৷ এই হিংসার বলি হয়েছেন প্রায় দুইশতাধিক মানুষ৷ বাড়ি-ঘর সম্পত্তি ধবংস হয়েছে কোটি কোটি টাকার৷ এছাড়াও এই সময়ের মধ্যেই সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই মহিলাকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটানো হয়েছে৷ বিভিন্ন সুত্রে আরও জানা যাচ্ছে যে ওই মহিলাদের ওপর বর্বরোচিত ন

অর্থনতিক বৈষম্য দুর করতে সমাজ আন্দোলন জরুরী

প্রভাত খাঁ

প্রথমেই বলি সংবিধানের নির্দ্দেশ মতাবেক ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম আছে৷ কিন্তু এখানকার কেন্দ্রীয় শাসকগণ দেখা গেছে যে সেটাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে ছলবল কৌশলে৷ কেন্দ্রের শাসক রাজ্যের সরকারকে ভেঙ্গে দিয়ে নিজেদের অধীনে এনে শাসন ক্ষমতা কায়েম করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পদদলিত করে৷ পূর্বতন কংগ্রেস সরকার এর নজির রেখে গেছে৷ কংগ্রেসের দেখানো পথেই বর্তমান সরকার হাঁটছে৷ তাই এই শাসন ব্যবস্থায়ও দেশবাসী সন্তুষ্ট নয়৷ এদের আর্থিক সংস্কার নীতিও জনগণকে পথে বসিয়েছে৷ তাছাড়া বিদেশী তাড়ানোর নামে যা কান্ড করছে সেটা মানবতাকে ও গণতন্ত্রকে অবজ্ঞা করে সাম্প্রদায়িকতাকে সামনে রেখে৷ ধর্ম নিরপ

সমতাভাব

আমি নানান স্থানে, নানান অনুষ্ঠানে একটা কথা বলেছি–মানসিক সাম্য অথবা মানসিক সাম্যাবস্থা৷ ভগবান শিবের একটি উক্তি আছে, জীবনে সম্পূর্ণ সফল হওয়ার পিছনে চতুর্থ তত্ত্বটি হ’ল ‘সমতাভাব’, অর্থাৎ মানসিক সাম্য, মানসিক ভারসাম্য৷ মনে কোন রকম কম্প্লেক্স রাখলে চলবে না৷ না মহামান্যতা ৰোধ, না হীনমন্যতা ৰোধ৷

শোষণমুক্ত বিশ্বায়ন

দুটি অঞ্চল উন্নয়নের প্রায় সমস্তরে এসে পৌঁছলে তাদের পক্ষে এক–সঙ্গে মিলিত হয়ে বৃহত্তর সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে’ তোলা সম্ভব৷

দুই বা ততোধিক সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল একসঙ্গে মিলিত হতে পারে যদি কয়েকটি শর্ত পূরণ হয়৷ শর্তগুলি হ’ল–

প্ত  সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক

                  বৈষম্যের ক্রমাবসান৷

প্ত  বিজ্ঞান ও যোগাযোগের উন্নতি ৷

প্ত  প্রশাসনিক যোগ্যতা৷

প্ত  সামাজিক–সাংস্কৃতিক মেলামেশা৷

বিকৃত মানসিকতা বীভৎস অত্যাচার–প্রতিকারের পথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

নির্ভয়াকাণ্ড থেকে মনিপুর রাজনৈতিক দল থেকে কবি সাহিত্যিক শিল্পী প্রতিবাদে মুখর সমাজের সর্বস্তরের মানুষ৷ তবু এই ধরণের বর্বরতার অবসান হচ্ছে কই বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ শুধু সংখ্যায় নয়, বর্বরতা নৃশংসতার মাত্রাও৷

আসলে সমাজ থেকে এই কদর্যতা নির্মূল করার আন্তরিক প্রচেষ্টা কি প্রশাসন, কি রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবী সমাজ কারো মধ্যেই নেই৷ নেই, কারণ যুবসমাজকে এই কু–পথে নামানোর দায় এইসব কবি,সাহিত্যিক, শিল্পী ও রাজনৈতিক দাদা–দিদিরা অস্বীকার করতে পারে না৷

ভয়ঙ্কর ফ্যাসিষ্ট শোষনের শিকার বাঙালী জনগোষ্ঠী

মনোজ দে

মার্কস শোষণ বলতে ভেবেছিলেন - --শ্রমিক শ্রেণীকে ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুঁজিপতিরা যে মুনাফা লোটে সেটাই শোষণ৷ এটাও শোষণ কিন্তু এই শোষণের আগেও আরও শোষণ আছে৷ শোষণের সঠিক সংজ্ঞা একমাত্র প্রাউটের দৃষ্টিকোণ থেকেই পাওয়া যায়৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়---একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে অবস্থিত তথাকার জনগোষ্ঠীর দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশকে স্তম্ভিত করে, ওই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শ্রম ও মানসিক সম্পদের অবাধ লুণ্ঠনই হ’ল শোষণ৷