July 2024

নিউব্যারাকপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৯ই জুন নিউব্যারাকপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমোহনলাল অধিকারীর বাসগৃহে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ উঃ ২৪ পরগণা জেলা ও পাশ্ববর্তী জেলার মার্গী ভাই বোনেরা এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন পরিচালনায় ছিলেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, হরলাল হাজারী, শুভাশীষ হাজারী, তনুশ্রী সরকার প্রমুখ৷ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বরপ্রণিধানের পর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর রচনা থেকে পাঠ করে শোণান আচার্য প্রমোথেশানন্দ অবধূত৷ এরপর উত্তর ২৪ পরগণার জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস কীর্ত্তন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ এরপর একটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবে

পরলোকে আচার্য প্রদীপ দেব

কলিকাতার পাটুলি নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী আচার্য প্রদীপ দেব গত ১লা মে অপরাহ্ণে ৫-১৫ মিনিটে পার্থিব শরীর ত্যাগ করে পরমপিতার কোলে আশ্রয় গ্রহণ করেন৷ আচার্য প্রদীপ দেব একজন একনিষ্ঠ ও আদর্শবান কঠোর নীতিবাদী মার্গী ছিলেন৷ মিশনের যে কোন কাজের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হতো৷ তিনি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতেন৷ সংঘের সমস্ত অনুষ্ঠানেই সব সময় আচার্য প্রদীব দেব উপস্থিত থাকতেন৷ তবে বেশ কিছুদিন তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ঘর থেকে বাহির হতেন না৷

পৃথিবীর অন্য দেশগুলির মতো ভারতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দু’বার করে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করা হবে- জানাল ইউজিসি কমিশন

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এ বার থেকে বছরে দু’বার করে পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে পারবে৷ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)৷ বিষয়টি জানিয়েছেন ইউজিসি প্রধান অবধেশ কুমার৷ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে জুলাই-অগস্ট এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই দু’বার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে৷

রিব স্নাতক ছাত্র-ছাত্রাদের বিনামূল্যে তিন মাস শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে আই.আই.টি

স্নাতকদের চাকরির জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজ৷ এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, আইআইটি মাদ্রাজ প্রবর্তক টেকনোলজিস ফাউন্ডেশনের তরফে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে৷ প্রশিক্ষণের জন্য অংশগ্রহণকারীদের কোনও ফি জমা দিতে হবে না৷

আগ্রহীদের ২০২৩ কিংবা ২০২৪-এ কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত কিংবা বায়োটেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক হতে হবে৷ স্নাতক স্তরে তাঁদের অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন৷ ইনফরমেশন টেকনোলজি ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরি করতে চান, তাঁরা এই প্রশিক্ষণে যোগদান করার সুযোগ পাবেন৷

কৃত্রিম জলপ্রপাত চীনের ইয়ূনতাই

চিনের উচ্চতম জলপ্রপাত হিসাবে দাবি করা হয় ইয়ুনতাইকে৷ কিন্তু সেই জলপ্রপাত নাকি পুরোপুরি ভুয়ো! কোনও প্রাকৃতিক জলপ্রপাত নয়, এই জলপ্রপাত নাকি কৃত্রিম ভাবে বানানো হয়েছে৷ শুধু চিন-ই নয়, গোটা বিশ্বে জলপ্রপাত বেশ আকর্ষণীয় বলেই মনে করা হয়৷ প্রতি বছর তা-ই শয়ে শয়ে পর্যটক এই জলপ্রপাতের নয়নাভিরাম দৃশ্যের টানে ছুটে আসেন৷ কিন্তু যে জলপ্রপাতের উচ্চতা, দৃশ্য নিয়ে এত আকর্ষণ, সেই জলপ্রপাত পুরোটাই কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে৷

‘আমাদের সেনা যুদ্ধ করেছে সজ্জিত চতুরঙ্গে দশাননজয়ী রামচন্দ্রের প্রপিতামহের সঙ্গে৷’

পৌরাণিক কথানুযায়ী আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর আগে বাংলায় সগর নামে এক রাজা ছিলেন৷ আজ যাকে বাংলার বদ্বীপ বলি অর্থাৎ ইংরেজ আমলের মুর্শিদাবাদের পূর্বাংশ (পশ্চিমাংশ রাঢ়), নদীয়া (বর্ত্তমান কুষ্ঠিয়া সহ), যশোর (বর্ত্তমান বনগ্রাম সমেত), ২৪ পরগণা, খুলনা, ফরিদপুর ও বাখরগঞ্জ জেলা নিয়ে হচ্ছে বাংলার বদ্বীপ বা ডেলটা (স্তুন্দ্বপ্তব্ধ্ত্র) বা বাগড়ি বা সমতট৷ এই সমতটের রাজা সগর ছিলেন বিরাট এক প্রভাবশালী রাজা৷ বঙ্গোপসাগরে ছিল তাঁর এক বিরাট নৌবাহিনী৷ বঙ্গোপসাগরে সর্বজনস্বীকৃত তাঁর প্রতিপত্তির দরুণ, সগর কর্ত্তৃক অধিকৃত এই অর্থে সগরূষ্ণ করে ‘সাগর’–যার মানে হচ্ছে সগর রাজার দ্বারা শাসিত জলাশয়৷ সগর রাজার পূর্বে বাংলায় পশ

মানুষের দায়

কৌশিক খাটুয়া

জঙ্গল কেটে সাফ করে শুরু

 নগরের পত্তন,

অজ্ঞাতসারে আহ্বান জানাই

 মরুভূমির জাগরণ৷

অনাবৃষ্টির করাল গাসে

মাটি ফেটে যায় ক্ষরায়,

তরুলতা বন শুকাইয়া যায়

 সবুজ ক্ষেত্র হারায়৷

বায়ু দূষণের প্রাদুর্ভাবে

 কমে যায় প্রাণবায়ু,

জীব নরকুল অকালে তাদের

 হারায় পরমায়ু৷

 একটি গাছ একটি প্রাণ,

সে গাছ লাগিয়ে হও সুমহান৷

যে গাছ মোদের দেয় ফুল, ফল,

 পক্ষী নীড় ও ছায়া সুশীতল,

সেই তরুতলে ভরে দিও জলে

 সেতো বাঁচিবার সম্বল৷

 

শেষ মেষ হয় শেষ

শিবরাম চক্রবর্তী

বঙ্গ সন্তান

          (রাজা) রামমোহন রায়

          নতুন ইতিহাস গড়তে,

সতীদাহ প্রথা রোধে

          আগেই গেলেন লড়তে৷

একসময় স্বামী মরলে

          সতীদাহ প্রথায়,

হিন্দু নারীর চিতায় তুলতো

          বলপ্রয়োগের দ্বারা৷

বীভৎস সেই দৃশ্য দেখে

          রামমোহনের মনে,

ভীষণভাবে পীড়া দিতেই

          ভাবতেন সর্বক্ষণে৷

হিন্দু শাস্ত্র ঘেঁটেঘুটে

          এমন প্রমাণ কিছু

যুক্তির তেমন না পেয়ে সার

           দেখেন অন্য কিছু৷

স্বামী মরলে তাঁর ভাগের

কামদেবের সংসার ত্যাগ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ইতিহাস প্রসিদ্ধ মহারাজ আদিশূর কান্যকুব্জ থেকে যে পাঁচজন বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ গৌড়ে নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে সাবর্ণ গোত্রের বেদগর্ভ নামে একজন ব্রাহ্মণ ছিলেন৷ এই পাঁচজন ব্রাহ্মণের মোট ৫৬টি পুত্র সন্তান হয়৷ আদিশূরের উত্তরাধিকারী ক্ষিতিশূর এই ৫৬জন ব্রাহ্মণকে ৫৬টি গ্রাম প্রদান করেন৷ এই গ্রাম দান থেকেই ‘গাঁ-ই’ শব্দের উৎপত্তি৷ গাই বলতে বোঝায় গ্রামাধিকারী৷ পূর্বোক্ত বেদগর্ভ বারটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন৷ তাঁর সেই দ্বাদশ পুত্রের মধ্যে একজনের নাম ছিল হল৷ তিনি যে গ্রামটি পান তার নাম গঙ্গ৷ ফলে হলের সন্তানরা সবাই গঙ্গোপাধ্যায় বলেই পরিচিত হতে লাগলেন৷ এইভাবেই গঙ্গোপাধ্যায় পদবীর উৎপত্তি৷