June 2020

‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বি নিত্য-নিঠুর দ্বন্দ্ব’

আচার্য সাত্যশিবানন্দ অবধূত

কবিগুরুর এই উক্তি আজ যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে৷ সমাজের সর্বত্র---সারা বিশ্বেরই এখন এই ছবি৷ আমেরিকার মত তথাকথিত অধুনিক সভ্যতার ধবজাধারী দেশে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিষ্ঠুর ভাবে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের খুনের ঘটনায় গোটা দেশে বিক্ষোভের অগুন জ্বলছে৷ রাস্তায় পড়ে আছে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড৷ তার দুটো হাত পিছমোড়া করে বাঁধা৷ আর তার ঘাড়ের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে আছে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার৷ কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি চিৎকার করে বলবার চেষ্টা করছে, আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না!

এই বিপন্নতার মাঝে কিছু কথা

চণ্ডীচরণ মুড়া, অধ্যাপক, মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ

"পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে ।’
(‘সুচেতনা'–জীবনানন্দ দাশ)

মধুর মিলন

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

বকুল বেলার গেঁথেছিনু মালা
তোমায় পরাব বলে
হাসির ঝলক পলকেতে আসি যায় কোথা ফির চলে?

মনো মন্দিরে বসিয়া ভেবেছি
এই বুঝি তুমি এলে
জ্বালিয়েছি দীপ প্রীতি ভ'রে সবই
খুশিতে হেলে দুলে ।

স্বপন বিভোর কাটিলে ঘোর
দেখি চেয়ে আছো দাড়িয়ে
তোমারই ভাবনায় দিন চলে যায়
তোমাতেই যাবো হারিয়ে ।

আসিয়া নিজেই প'রে নিলে গলে
প্রীতি মালা খানি মোর
ভরিলে পরাণ মধু মুর্ছণায়
বাজিলো অলকার সুর ।

হেরিনু তোমায় অপলক নয়নে জুড়ালে তুমি প্রাণ
সরালে বেদন মধু রণনে
আমি যে তোমারই দান ।

শুভ ভাবনা

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত  

 করোনা হ'রে নেয় প্রাণ
দেশে দেশে মৃত্যুপরী
ডাক্তার নার্স অসহায়
লেগেছে শবের ভীড়
কালোদিন একি পৃথিবীর?

আম্ফান নেভালো আলো
নেবে এলো ঘনঘোর যত
তান্ডব চলে চারিধারে    

‘আমরা বাঙালী’র হাত ধরে, বাঙালীস্তানের পথ ধরে গড়ে উঠবে আত্মনির্ভর ভারত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পুঁজিবাদের পয়লা নম্বর দোসর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর  মুখ দিয়ে হঠাৎ করে আত্মনির্ভর ভারত কথাটি বেরিয়ে এসেছে৷ তিনি এরকম অনেক কথাই বলে থাকেন, যা শুধু কথার কথা, বাস্তবে কোনমূল্য নেই ৷ শূন্য একাউন্টে ১৫লাখ, সুইস ব্যাংকের  কালো টাকা, বছরে দু কোটি চাকরি, এরকম অনেক কথাই প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন যা অলীক স্বপ্ণ বইতো নয়! পুঁজিবাদের হাত ধরে আত্মনির্ভর ভারত--- হয়তো এও এক আকাশ কুসুম! নতুবা প্রধানমন্ত্রী অমানিশার অন্ধকারে  কালো পেঁচা খঁুজতে বেরিয়েছেন৷

প্রয়াত আচার্য বাণীব্রতানন্দ অবধূত

বাণীব্রতানন্দা অবধূত

নিজস্ব সংবাদদাতা: আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ কর্মী ও সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী আচার্য বাণীব্রতানন্দ অবধূত গত ১০ই জুন মধ্যাহ্ণে পরলোক গমন করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৮ বৎসর ।

তিনি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালী মাষ্টার ইউনিটে কর্মরত ছিলেন । ওই দিন দুপুর ১-৪৫ : নাগাদ তাঁকে ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় দেখা যায় । সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

ভারতের অর্থনীতিতে মন্দার - ইঙ্গিত দিল বিশ্বব্যাঙ্ক

ভারতের অর্থনীতি প্রসঙ্গে পূর্বের অবস্থান থেকে  সরে এলো বিশ্বব্যাঙ্ক । ৬ মাস আগে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়ে ছিল-২০২০-২১ আর্থিকবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে । এখন বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে বৃদ্ধি নয় সঙ্কুচিত হবে । যা প্রায় ৩.২ শতাংশ । বিশ্বব্যাঙ্কের যুক্তি করোনা ও লকডাউন ভারতের  অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে । তারই কারণে এই আর্থিক সংকোচন ।

তবে মুডিজ ফিচ এর মত কয়েকটি আর্থিক সংস্থা ভারতের অর্থনীতি যে মন্দার কবলে পড়তে চলেছে তার পূর্বাভাস করোনা আসার অনেক আগে থেকে দিয়ে আসছে । করোনা মোদি সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার সুযোগ করে দিয়েছে ।

 

করোনা রুখতে ব্যর্থ—বাঙলায় আক্রান্তের হার গুজরাটের চেয়ে অনেক কম

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর ভার্চুয়াল ভাষণে অভিযোগ করেন করোনা রুখতে বাঙলা ব্যর্থ । ঠিক কি কারণে ব্যর্থ তার ব্যাখ্যা তিনি দেননি । তবে পরিসংখ্যান বলছে বাঙলা অপেক্ষা গুজরাটের  অবস্থা অনেক খারাপ । গুজরাটের মোট জনসংখ্যা ৬ কোটী ২৭ লক্ষ । আক্রান্তের সংখ্যা ২১০১৪ জন মৃত ১৩১৩ জন । পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা প্রায় ১১কোটি । আক্রান্ত ৯৩২৮, মৃত ৪৩২ । ৯ই জুন পর্যন্ত পরিসংখ্যান । এই পরিসংখ্যা বলছে শাহের গুজরাটই ব্যর্থ করোনা রুখতে ।