August 2020

জাতীয় শিক্ষা নীতি  প্রতিবাদ সর্বস্তরে -- বিপন্ন হবে ভারতের অখণ্ডতা

জাতীয় শিক্ষানীতির নামে পিছনের দরজা দিয়ে হিন্দী চাপনোর কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তাছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে বিদেশী অনুপ্রবেশও শিক্ষাকে ব্যয়বহুল করবে উচ্চশিক্ষা মধ্যবিত্তের আওতার বাইরে চলে যাবে এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদরা বুদ্ধিজীবি, শিক্ষামহল, বিরোধী দল প্রতিবাদ সর্বস্তরে শুরু হয়েছে বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতি ও পিছনের দরজা দিয়ে হিন্দি চাপানোর বিরুদ্ধে।

শিক্ষা সংস্কারের নামে শিক্ষা সংকোচন

আচার্য সাত্যাশিবানন্দ অবধূত

গত ২৯শে জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় বৈঠকে পাশ করল এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম পরিবর্তন করে করা হল শিক্ষামন্ত্রক যদিও এই নাম পরিবর্তনের কোনও আবশ্যকতাই  ছিল না।

দলতন্ত্রের চাপে গণতন্ত্রের নাভিশ্বাস উঠছে

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের চরম দুর্দ্দশা দেখে সেই বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিকের কথা মনে পড়ে তিনিMischife of Party Spirit প্রবন্ধে বলে গেছেনIt is pernicious to the last degree অর্র্থৎ দলীয় প্রবণতা হলো শেষ পর্য্যন্ত অত্যন্ত ক্ষতিকারক কারণ দলীয় মতামতটা অন্য দলকে সহ্য করতে পারে না তাই ইংল্যাণ্ডে ন্যাড়া মাথার দলের সমর্থকগণ (পোপের দলের সমর্থকদের ঘৃণার চোখে দেখতো আর তাদের পোপের কুকুর অর্থাৎ পপীশ্ক্যার আর পোপের সমর্থকগণ ন্যাড়া মাথার দলের লোকদের বলতো দেশীয় কুকুর অর্থাৎ সংগ্রেল ডগ্ দলতন্ত্রের ফলে গণতন্ত্রটাই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দলবাজীটাই আজ গণতন্ত্রের যে সংজ্ঞা সেটাকে  গলা টিপে মারছে প্রায় সবদেশেই

শোষণমুক্ত নতুন বিশ্ব কোন পথে

মনোজ দেব

যে প্রশান্ত সরলতা জ্ঞানে সমুজ্জল,

 স্নেহে যাহা রসসিক্ত, সন্তোষে শীতল

 ছিল তাহা ভারতের তপবন তলে

 বস্তু ভারহীন মন সর্ব জলে-স্থলে

 পরিব্যাপ্ত করে দিত উদার কল্যাণ,

 জড়ে জীবে সর্বভূতে অবারিত ধ্যান

 পশিত আত্মীয় রূপে

কেন্দ্রীয় নব্য শিক্ষাব্যবস্থা-শিক্ষার দলীয়করণ ছাড়া আর কিছুই নয়

এইচ এন মাহাত

আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি শিক্ষা নাকি জাতির  মেরুদণ্ড সারাদেশে আক্ষরিক শিক্ষার হার দেখে আমাদের গর্বে বুক ভরে যায় সমাজে শিক্ষিতের সংখ্যা তত্ত্ব বিচার করলে আমরা কেন যে মনে হয় সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপে ও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অমানবিকতার সংখ্যা এত বেশী কেন এর কারণগুলি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই শিক্ষা বা জ্ঞান শব্দের অর্থে দুইপ্রকারের উপলদ্ধি তৈরী হয় একটি পরা জ্ঞান অপরটি অপরা জ্ঞান।

আগামী পৃথিবীর ভরসা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায

বর্তমানে একটি খুবই আলোচিত হচ্ছে, তা হলো সামাজিক  দূরত্ব সমাজবদ্ধ জীব হয়েও আজ আমাদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসকগণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে বলেছেন সাথে সাথে  একথাও তাঁরা বলছেন মানসিক দূরত্ব যেন তৈরি না হয় আমাদের মধ্যে কিন্তু বাস্তবে যে ছবি  দেখছি তা একদিকে যেমন ভয়ঙ্কর, অন্যদিকে তেমনি মর্মান্তিক বাজার, দোকান বাসস্ট্যাণ্ড ইত্যাদি যেসব স্থানে সামাজিক দূবত্ব বজায় রাখার দরকার সেখানে আমরা চিকিৎসক গণের নির্দেশ কে থোড়াই  কেয়ার করে নিজেদের মতো চলছি উল্টে ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, কর্মী বা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার বাড়ির লোকের সাথে  অমানবিক আচরণ করছি যারা সামনে থেকে করো

করোনার কোপে নিভে গেল গরীবের আশার প্রদীপ

ডাক্তার রোগীর তিক্ততার সম্পর্ক প্রতিদিনের খবর কিন্তু নির্মল মন ও উদার হৃদয়ের ডাক্তার আজও সমাজে আছে ডাক্তার প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য ছিলেন তেমনি এক ব্যতিক্রমী মানুষ করোনার ভয় যখন বহু চেম্বার বন্ধ, তখন প্রদীপ বাবুর চেম্বার খোলা তার সাদামাটা চেম্বারে গরীব রোগীদেরই আশা যাওয়া বেশি ছিল গরীব মানুষদের আশা ভরসার স্থান ছিল প্রদীপ বাবুর চেম্বার বন্ধু-বান্ধবরা চেম্বার বন্ধ রাখার কথা বললে বলতেন আমার চেম্বার বন্ধ থাকলে গরীব মানুষগুলো যাবে কোথায়!

হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাঙালী ছাত্র যুব সমাজ

কেন্দ্রীয় সরকার নয়া জাতীয় শিক্ষনীতির মাধ্যমে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের পরিকল্পনা নিয়েছে তাই আরএসএস ও বিজেপির হিন্দি প্রসারের দলীয় কৌশলকে জাতীয় শিক্ষানীতি বলে চালাতে চাইছে কথাগুলি বলেন বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের সচিব শ্রী তপোময় বিশ্বাস তিনি আরও বলেন হিন্দি তো একটি পূর্ণাঙ্গ ভাষা নয়, ভারতবর্ষের অন্য কোনো ভাষাও বাঙলার ধারে কাছে নেই যে ভাষায় দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়, সেই বাংলা ভাষাই  দেশে ধ্রুপদি ভাষায় স্থান পায় না এরপরেও কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালী বিদ্বেষের মুখোশ খোলার প্রয়োজন পড়ে কি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন জোর করে ছলে-বলে-কৌশলে হিন্দি চাপানোর পরিণতি কখনোই ভালো হবে না কেন্দ্রীয় সরকার যেন তদ

মার্গীয় বিধিতে বিবাহ

গত ১১ই আগষ্ট আনন্দনগরে হাওড়া উলুবেড়িয়া নিবাসী সুনীল কপাটি ও লাবণ্য কপাটির কন্যা কল্যাণীয়া অনিন্দিতার সহিত আনন্দনগর নিবাসী শ্রী সুভাস সরকারের শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধি মতে।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দনগরে রেক্টর মাস্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত, আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত প্রমুখ।

 

চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে উন্নয়নেও নজর দিতে হবে

সুকুমার সরকাব

গালওয়ানে চীন-ভারত মল্লযুদ্ধে কুড়িজন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে । দাবী করা হচ্ছে চীনেরও অনেক সেনার মৃত্যু হয়েছে। কুড়িজন ভারতীয় সেনার মধ্যে দুজন পশ্চিমবঙ্গের । তারমধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার। উত্তরবঙ্গ হিমালয়ের পাদদেশে হিমালয়ে নেপাল বাদ দিলে তিববত থেকে এখন চীন আগে তিববতের  সাংসৃকতিক যোগ ভারতের সঙ্গেই বেশি ছিল। সেই বেশিরভাগটাই রক্ষিত হতো এই উত্তরবঙ্গ দি... এখনো চীনের অবৈধ বাণিজিক আগ্রাসনের বেশিরভাগটাই  হয়ে থাকে উত্তরবঙ্গ দিয়েই। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরে চীনা পণ্যের নির্দিষ্ট বাজার পর্যন্ত আছে। যার বেশিরভাগটাই ওই অবৈধ পথে আসা। সম্প্রতি গলওয়ান কাণ্ডের জের হিসেবে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি শ