September 2021

কর্ষক শোষন বন্ধ করতে কৃষিকে শিল্পের সমান মর্যাদা দিতে হবে

গত ২৫শে আগষ্ট কলিকাতায় কৃষি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের  সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন--- প্রাউটের দৃষ্টিতে  অর্থনীতির মোদ্দা কথা সার্বিক বিকাশ  তথা বহুমুখী বিকাশ৷ অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মূল লক্ষ্যই হলো সামগ্রিক উন্নয়ন৷ আর কৃষিকে বাদ দিয়ে, কৃষিকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র শিল্পায়ণের শ্লোগান দিয়ে ভারতবর্ষের মত দেশে সামগ্রিক উন্নয়ন কিছুতেই সম্ভব নয়৷

বিশ্বের সর্বত্র শ্রাবণী পূর্ণিমা উৎসব পালন

১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন কলিকাতার গঙ্গার তীরে কাশীমিত্র ঘাটে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রথম দীক্ষাদান করেন কুক্ষাত এক ডাকাত কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী তখন বিদ্যাসাগর  কলেজের ছাত্র, বয়স মাত্র ১৮ বছর৷

১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারী ছোট রেল শহর জামালপুরে আনন্দমার্গ নামের যে দীপশিখা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী জ্বেলে ছিলেন তার শলতে পাকানো শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালের শ্রাবণী পূর্ণিমায় কলিকাতার সেই কাশীমিত্র ঘাট থেকে৷

উন্নয়ণের ফানুস চুপসে বাঙলা দেশের নীচে ভারত

বিশ্বব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেকারত্বের হারে বাঙলাদেশের পিছনে ভারত৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান তুলে ধরে  একথা জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু৷ এই পরিসংখ্যানে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, এমনকি সিরিয়ার স্থানও ভারতের উপরে৷ ভারতে মোট জনসংখ্যার ২৩.০১ শতাংশ বেকার সেখানে বাঙলাদেশে বেকারের হার ১২.১৩ শতাংশ৷

জনস্বার্থ বিরোধী বেচারামের সরকারকে দূর করাটাই গণতন্ত্র

প্রভাত খাঁ

আপেক্ষিক জগতে এমনও দেখা যায় আজ যা ভাল হয়তো কাল তা মন্দ হয়, আবার আজ মন্দ তা কাল ধর্মে শুভকে আহ্বান দেয়৷ তাই কিন্তু বর্ত্তমানে যেটিকে আমরা শুভ বলে গ্রহণ করতে চলেছি সেটি হয়তো বর্তমানে এমন প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে সেটি সর্বগ্রাসী শাসকদের  পক্ষে খুবই সুবিধা জনক৷ তাকে না ভাঙতে পারলে আখেরে সারা দেশটির  চরম ক্ষতি হয়ে যাবে৷ তাই ধণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যে ডিভাইড্‌ এ্যণ্ড রুল নীতি নিয়ে চলেছিল পরবর্তী দেশ ভাগ স্বাধীনতার পর সেই ডিভাইড এ্যণ্ড রুল নীতিকে হাতিয়ার করে চলছে কোন উপায় না দেখে৷ সেখানে অতীতে যাঁরা স্বাধীনতার আন্দোলনে নামেন তাঁরা হয়তো সেই নীতিকে উৎখাত করতে আন্দোলন করেন কিন

পরমপুরুষের কাছে কিছু না চাওয়াই ভাল

পরমপুরুষের কাছ থেকে কোন কিছু প্রার্থনা করা উচিত কি? লোকে বলে–

‘‘মাঙ্না মরণ সমান হ্যায়

মৎ কোই মাঙো ভিখ্৷

বিন মাঙে মোতি মিলে,

মাঙে মিলে না ভিখ৷৷’’

সংস্কৃতি ও সভ্যতা

সাধারণতঃ ‘সমাজ’ বলতে নারী ও পুরুষের সমাহারকে বোঝায়৷ কিন্তু শব্দটির মূলগত তাৎপর্য তা নয়৷ প্রকৃত অর্থে ‘সমাজ’ বলতে বোঝায়, যেখানে সকলে একই কর্মবন্ধনে, সম্মিলিতভাবে এগিয়ে চলেছে---‘সমনাম্‌ এজতে’৷ আমরা কখনো কখনো বাসে, ট্রামে, ট্রেনে বহু লোককেই তো একত্রে দেখে থাকি৷ কিন্তু তা সমাজ পদবাচ্য নয়৷ একটা সর্বজনগ্রাহ্য আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যখন অনেক মানুষ একই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় ও তাকে পাওয়ার জন্যে সক্রিয় হয়ে ওঠে তখনই তা সমাজ পদবাচ্য৷ ইংরেজী‘society’ শব্দটি ‘সমাজ’ শব্দের খাঁটি প্রতিশব্দ নয়৷ সামাজিক অগ্রগতি এক ধরণের সামাজিক কর্মেরই ফলশ্রুতি যেখানে পারষ্পরিক ঐক্যবন্ধন আরও বেশী সুদৃঢ় হয়ে সম্মিলিতভ

শ্রাবণী পূণির্র্মর ঐতিহাসিক আহ্বান

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগমী ৭ই আগষ্ট শ্রাবণী পূর্ণিমা, যাকে রাখীপূর্ণিমাও বলা হয়--- এর এক বিশেষ মহত্ত্ব আছে৷ কথিত আছে, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে মানব সভ্যতার আদিগুরু সদাশিব আজ থেকে  ৭ হাজার বৎসর পূর্বেপ্রথম ধর্মপ্রচার শুরু করেছিলেন৷ তাছাড়া প্রাচীন কাল থেকে ভারতবর্ষে এদিনটি রাখী বন্ধন রূপেও পালিত হয়ে আসছে৷ এদিন বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখী পরিয়ে দেয়৷ ভাইয়েরাও বোনেদের সুরক্ষার দায়িত্ব উপলদ্ধি করেন৷ সে কারণে এই উৎসব সারা ভারতে ‘রক্ষা-বন্ধন’ উৎসব হিসেবেও পরিচিত৷

সমবায়ের সাফল্যের তিনতত্ত্ব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার শেষ পরিণতি ফ্যাসিস্ট শোষণ৷ স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ভারতবর্ষের অর্থনীতি ও রাজনীতি পুঁজিবাদী শোষকদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়৷ আজ ভারত তথা বাঙলায় সেই পুঁজিবাদী শোষকরা ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করেছে৷ ফ্যাসিস্ট শোষণে বিপর্যস্ত বাঙলার অর্থনীতি, ধর্মনীতি, রাজনীতি, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি-জীবনের সর্বক্ষেত্র৷

ভারতীয় রাজনীতির কর্কট ব্যাধি

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর

আধ্যাত্মিকতা যদি কারণ হয় তবে তার ফলাফল হল বৃহৎ ভাবনায় অভিষিক্ত বা পুষ্ট হওয়া৷ এর প্রকাশ বা প্রতিক্রিয়াটা কেমন--- না মানুষের মনে বাসা বাঁধে, সমাজ দেহে ধবনি প্রতিধবনি হয়ে ফেরে---’’

‘‘জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে,

সে জাতির নাম মানুষ জাতি৷

অচ্ছা (ভাল) দেশের স্বচ্ছ প্রশাসনের  এত দুরবস্থা কেন?

হরিগোপাল দেবনাথ

প্রকৃতি মায়ের কোলে অবস্থান করে,সবুজ রঙের মখমলের গালিচা পাতা ধরিত্রীপৃষ্টে শুয়ে বা বসে, মাথার উপরে দিগন্ত বিস্তৃত হাওয়ায় উড়িয়ে দিতে কার না মন চায়? অনন্ত উদার সুনীল আকাশে দৃষ্টি নিবন্ধ রেখে মনটাকে ঘুড়ি বানিয়ে ঝিরঝিরে হাওয়ায় উড়িয়ে দিতে কার না মন চায়? আবার যদি সময়টা হয় শরতের শিউলি সুরভিত সকাল তাহলে আমাদের নীল সায়রের বুকে শাদা শাদা খণ্ড মেখে ভেসে বেড়ানোর দৃশ্যটা কার মনকে উদার না করে ছাড়ে?