প্রবন্ধ

অগ্ণিপথ–গ্ণিবীর নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘‘বাঙালী’’ রেজিমেন্ট পুনর্ঘটন চাই

তপোময় বিশ্বাস 

পাঠকবর নিশ্চয়ই অবগত আছেন গত কয়েকদিন পূর্বে কেন্দ্রীয় মোদী সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘অগ্ণিপথ’ নামক চুক্তি ভিত্তিক সেনা নিয়োগের এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা, মূলত যুবকবৃন্দ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন অবশ্যই সাংবিধানিক অধিকার স্বীকৃত৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা চরম হিংসাত্মক তথা ধংসাত্মক পথে  বিক্ষোভের নামে দেশের সম্পদকে ধ্বংস করেছে তা কখনোই কাম্য নয়৷ বিহার সহ দেশের  বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন/গণপরিবহন জ্বালিয়ে দেওয়া, অবরোধের নামে জনসাধারণ আটকে পড়েছেন, বাড়ী ফিরতে পারছেন না৷ এসব কিছু আপনারা টেলিভিশনে দেখেছেন বা কেউ কেউ পরিস্থিতির শিকারও হয়েছেন৷ ‘অগ্ণিপথ’ নামক বিজেপ

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে ।

একর্ষি

আজকের যুগে দারিদ্র্যই মানবব্জাতির  বৃহত্তম সমস্যা ----  এ কথা আগেই বলা হয়েছে । আর গরিবের অবস্থার পরিবর্তনের  এক উপায় হল নিজের ন্যূনতম প্রয়োজনপূর্ত্তির দায়ে ও সুখ-সুবিধা লাভার্থে নিজের যোগ্যতায় ও ক্ষমতায় উপার্জন করে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পালটানো   । মোটকথা উন্নয়নই হচ্ছে  দারিদ্র্য মোচনের  হাতিয়ার  । তবে উন্নয়নের  ঠিকুজি নিয়ে প্রথাগত অর্থনীতিতে মতান্তরের অন্ত নেই ।  এক সময় গড় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিকে  উন্নয়নের  সূচক ধরা হ'ত , বর্তমানে জিডিপি ( গ্রস্‌ ডোমেস্‌টিক্‌ প্রোডাক্ট্‌ ) বৃদ্ধি তার জায়গা নিয়েছে । রাষ্ট্রীয় স্তরে  এর নাম দেয়া হয়েছে  গ্রোথ্‌ বা প্রবৃদ্ধি , এবং নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটাকেই উন

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনা করুক শাসকগণ

প্রভাত খাঁ

গত শতাব্দীর পাঁচ দশকের মাঝামাঝি ভারতবর্ষ সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ হয়৷ পাকিস্তান আর ভারতযুক্তরাষ্ট্র, হিসাবে মুসলমানদের ইসলাম ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র হয় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান আর ডানাকাটা পাখির মতো ভারতযুক্ত রাষ্ট্রে সৃষ্টি হয়৷ এই ভারত যুক্তরাষ্ট্র হয় ধর্মমত নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে৷ যদিও সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ ষড়যন্ত্র করে এর নাম দেয় হিন্দুস্তান৷ যদিও হিন্দু ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র বলে ভারতকে অর্থাৎ ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সংবিধান মান্যতা দেয়নি৷ মনে রাখতে হবে৷ যদিও  সমগ্র মানব সমাজের ধর্ম হলো এক অবিভাজ্য৷ আর সেই এক ঈশ্বর যাকে ঈশ্বর, আল্লা ও গড় নামেই অভিহিত করা হয়৷ কারণ একই পৃথিবী, একই চন্দ্রসূর

আর কত দিন---এই আন্দোলন আন্দোলন খেলা!

মনোজ দেব

গণতন্ত্রের জন্য প্রচলিত প্রবাদ---জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের সরকার৷ এটাকে ব্যাঙ্গাত্মক করে বলা হয় বোকাদের জন্য, বোকাদের দ্বারা,বোকাদের সরকার৷ ব্যাঙ্গাত্মক হলেও এটাই নির্মম সত্য৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরে  সরকার যখন দেশজুড়ে স্বাধীনতার অমৃত মহা-উৎসবে মেতে উঠেছে তখন দেশের সেই সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার অমৃতের কতটুকু আস্বাদন করতে পেরেছেন?

রাজ্যে অসমিয়া বাঙালী বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে

সাধন পুরকায়স্থ

সম্প্রতি রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্জিত বিতর্ক তৈরি করে রাজ্যে অসমিয়া বাঙালি বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ‘আমরা বাঙালী’ অসম, রাজ্যসচিব সাধনপুরকায়স্থ

বিশ্বকবির নামাঙ্কিত হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে অধ্যক্ষ কর্তৃক একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই একাংশ আপত্তি তুলেছেন ও এটিকে অসমিয়া ভাষার উপর আগ্রাসন প্রতিপন্ন করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন৷ এনিয়ে  এবার তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন সাধন পুরকায়স্থ৷

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন

তপোময় বিশ্বাস 

অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে পড়ুয়াদের বেশ কিছু আন্দোলন চোখে পড়ছে৷  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়  কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই অফলাইন বাতিল করে অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করা শুরু হয়েছে৷ গত ২০ মে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অফলাইন পরীক্ষার কথা সুপারিশ করার পরের দিনই শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস গেটের বাইরে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী৷

নুপূর শর্মাদের কুর্কীত্তিটা স্পর্দ্ধার সীমা অতিক্রম করেছে

নিরপেক্ষ

ভারতের সুপ্রাচীনকালে মহান ঋষিগণ মানুষকে ‘অমৃতের সন্তান’’ হিসাবে ঘোষনা করেন৷ সেই মহান ভারতে  তাই সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মমতের মানুষরা এসেছে ও স্থায়ীভাবে বসবাস করে ভারতের সন্তান হয়ে গেছে৷ এখানে তাই নানা সম্প্রদায়ের মানুষরা ভারতীয় হিসাবেই যুগ যুগ  ধরে বাস করেছেন ও বাহিরের বিদেশী শক্তি যেমন পাঠান, মোগল ও ইংরেজরা এদেশের মানুষদের রাজশক্তির অধিকারী হয়ে শাসন করেছে আর তারা মিলে মিশে এক হয়ে গেছে৷ সাম্প্রদায়িকতাটা কিন্তু এদেশের মাটিতে তেমন গুরুত্ব পায়নি৷ আর যারা বাহির থেকে এদেশে এসেছে তাদের অনেকেই এদেশের মেয়েদের  বিবাহ করে তারা এদেশেরই স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ভারতীয় হয়ে গেছে৷ বাহিরের শাসকদের

শিক্ষাব্যবস্থাটা শিক্ষাবিদদের হাতে থাকাটাই কাম্য আর্থিক দায় সরকারের

প্রভাত খাঁ

ভারতের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হবে দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা৷ কোথাও বলা হয়নি এ কথা যে শাসকগণ এর অধিকার আছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে হাতে নিয়ে যখন যেখানে রাজনৈতিক দলের সরকার আসবে তারা এসেই নিজেদের মতো করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে৷ শিক্ষা বিস্তারে তারা উৎসাহ দেবে৷ শিক্ষা থাকবে শিক্ষাবিদদের হাতে আর শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার৷ দেখা যাচ্ছে কি কেন্দ্র আর কি রাজ্য শাসনে এসেই অর্থ সাহায্য করে বলে তারা বা শাসকগণ শিক্ষা ব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে৷ ইংরেজ শাসনেও দেখা গেছে এই বৃহত্তর বাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চলতো বেসরকারীভাবে শিক্ষাবি

বিভেদের রাজনীতি ভুলে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

মনোজ দেব

‘‘মানুষ মানুষ হারায়ে হুঁশ কোথায় চলেছ তুমি

আকাশ সাগর বিষিয়ে দিয়ে নরক করে মর্তভূমি’’৷