প্রবন্ধ

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রত্যাশা

সত্যসন্ধ দেব

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,   নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকঁত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

ভারত-সরকার ও ভারতবাসী

হরিগোপাল দেবনাথ

২৬শে জানুয়ারী দিনটি আমাদের জাতীয় সরকার খুবই ঘটা  করে প্রতি বছর ‘রিপাবলিক ডে’ তথা ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ -রূপে পালন করে আসছেন৷ এবারেও যথারীতি পালিত হয়েছে৷ সারা বছরে পনের আগষ্টে ‘স্বাধীনতা দিবস’ আর ছাবিবশে জানুয়ারীতে ‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস’--- এ দু’টো দিনই তামাম ভারতবাসীর জনমানসে অতি স্মরণীয় দিবস--- তবে পরিস্থিতি নিরিখে বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে ভারতে গেলে মননশীলতা ও বিচার-বিবেচনায় খুবই হোঁচট খেতে হয় অতি স্বাভাবিক কতিপয় কারণে৷ এর কারণ খুঁজতে গিয়েই এই নিবন্ধটির অবতারণা৷ কারণসমূহ একে একে তুলে ধরাই নিবন্ধকারের মূল উদ্দেশ্য৷ আশা রাখছি,এ আলোচনা থেকে কিঞ্চিৎমাত্রায় হলেও আঁচ পাওয়া যাবে, আমাদের দেশ বৃহ

ডামরুঘুটু গ্রামোন্নয়ন প্রকল্ ঃ কিছু কথা

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

শতকোটি জন্মের পর মানুষ দুর্লভ মানবজন্ম লাভ করে আর এই  মানবজন্মের প্রকৃত লক্ষ্য হলো আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে পরমপুরুষের পানে এগিয়ে চলতে চলতে একদিন কোন এক শুভ মুহূর্তে সেই পরম ভূমাসত্তার সাথে মিলে মিশে এক হয়ে যাওয়া৷ বর্তমান পৃথিবীতে জড়বাদী পুঁজিবাদী অশুভ শক্তির বহুমুখী আগ্রাসনে শোষিত,বঞ্চিত,নিপীড়িত মানুষ শুধুমাত্র অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে থাকে যে ধর্ম সাধনার মানসিকতা ও সামর্থ্য দুইই হারিয়ে ফেলে৷ অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির করাল গ্রাসে ন্যায়-নীতি, ধর্ম সাধনা, সত্যনিষ্ঠা, আধ্যাত্মিকতা, মানবতা সবই ভুলুন্ঠিত হতে বাধ্য হয়৷ এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্যে মহান দার্শনিক ঋষি শ্র

দেশের জনগণ যদি স্বার্থান্ধ রাজনৈতিক নেতাদের পশ্চাতেই ছোটেন তা হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার

প্রভাত খাঁ

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় রাজ্যগুলির আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক সুসংহতি দৃঢ় ও কঠোর থাকাটা বিশেষভাবে প্রয়োজন৷ তবেই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা সার্থক হবে৷ কিন্তু ভারতের মতো বহুভাষাভাষীর দেশে এটারই দারুণ অভাব৷ কেন্দ্র সরকারের যেভাবে কেন্দ্রীয় শাসন পরিচালনা করা দরকার সংবিধান অনুসারে সেটা কিন্তু  প্রথম থেকেই দেখা যাচ্ছে অত্যন্ত নড়বড়ে ও পক্ষপাতিত্বমূলক যেখানে বিরোধী দলের শাসন রাজ্যগুলিতে সেখানেই বিমাতৃসুলভ আচরণ করে চলেছে কেন্দ্র ৷ কেন্দ্রে  যখন কংগ্রেস সরকার ইন্দিরার আমলে তখন পশ্চিম বাঙলায় জোট সরকার কে কতটা যে হেনস্থা করা হয়েছে সেটা দেখা গেছে দেশে জরুরী অবস্থা জারীর আগে পর্যন্ত৷ শেষে জরুরী অ

একুশেফেব্রুয়ারী দিনটি বাঙালীর কাছে গর্বের দিন

তপোময় বিশ্বাস

আশাকরি পাঠকবৃন্দ দিনটির তাৎপর্য সম্পর্কে অবগত আছেন, তথাপি নবীন প্রজন্মের যাদের বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নেই, তাদের জন্য ঘটনাটি সংক্ষেপে বলি-১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ঊর্দু সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান বাঙলাদেশের পাঁচ তরুণ ছাত্র (রফিক, বরকত, আব্দুল জববর, সালাউদ্দিন ও আতায়ূর রহমান) প্রাণ দিয়েছিলেন৷ তাঁরাই প্রথম জগৎবাসীকে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে জীবন বিসর্জন দিতে হলেও  পিছু না হাটার শিক্ষা দিয়েছিলেন৷  সেই বীর আত্মবলিদানকারী অমর ৫ ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করি৷

বাঙালীস্তানই বাঙালীর বাঁচার একমাত্র রাস্তা

এইচ এন মাহাত

বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (ক্যা) নামে বাঙালী জাতিকে নিয়ে নাগরিকত্ত্ব নির্ধারণের টেষ্টটিউবে ভরে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করছে৷ ভারত ভূমি থেকে বিতাড়িত করতে  ষড়যন্ত্র করে চলেছে৷

হায়রে, ধান্দাবাজদের ধান্দাবাজি!

নিরপেক্ষ

বিভিন্ন মতাদর্শ যেগুলিকে আশ্রয় করে বিভিন্ন দল তৈরী হয় সেগুলির যাঁরা প্রথম দিকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘটন করেন তাঁরা সেগুলিকে  তাঁদের জীবনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধরে থাকেন কিন্তু দেখা যায় তাঁদের গত হওয়ার পর যাঁরা তাতে যোগদান করেন পরবর্ত্তীকালে তাঁদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পার্থক্যের দরুণ সেই দলে ভাঙ্গন ঘটে৷ তার ফলে মূল দল ভেঙ্গে দলছুট দল ঘটন হয়৷ কিন্তু সেই দলছুট দলের যিনি প্রধান সেই ব্যষ্টির প্রাধান্যটাই সেই দলকে বাঁচিয়ে রাখে সেখানে মতাদর্শটা গৌণ হয়ে যায়৷ এটাই দলছুট দলগুলোর  একটি  প্রধান ত্রুটি৷ তাই দেখা যায় দলছুট দলগুলি বেশী দিন বিশেষ ব্যষ্টি কেন্দ্রীক দল হয়ে বাঁচতে পারে না৷  তাঁদের

ভারতের গণতন্ত্রের প্রহসন

কৃষ্ণমোহন দেব

১৯৪৭সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেতবে দেশ দু’ভাগ হয়ে’৷ স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই সংবিধান রচনা শুরু হয়৷ ১৯৪৬ সালে গণপরিষদ নামে সংস্থার ওপর ভারতের সংবিধান রচনার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়৷ গণপরিষদে ৩৮৯ জন সদস্য ছিল যার মধ্যে ২৯২ জন নির্বাচিত হয় বিভিন্ন প্রাদেশিক আইনসভাগুলির সদস্য দ্বারা আর বাকী ৯৭ জন সদস্য মনোনয়নের ভিত্তিতে দেশীয়  রাজ্যগুলি থেকে প্রেরিত হয়৷ ভারতীয় গণপরিষদ সার্বভৌম পরিষদে পরিণত হয়৷ গণপরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন পণ্ডিত জহরললাল নেহেরু, ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, মৌলানা আজাদ, ডাঃ রাধাকৃষ্ণন, আইয়ার, আয়েঙ্গার, কৃষ্ণমাচারী, ডাঃ আম্বেদর প্রভৃতি সমসাময়িক ভারতের স্বনামধন্য ব্যক্তিগণ প্রায় তিনবছর ধ

শ্রী পঞ্চমীতে ইলিশ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

হিন্দুশাস্ত্রে বিশেষ বিশেষ দিনে বিভিন্ন খাওয়ার বিধান আছে৷ ওপার বাংলার সরস্বতী পূজোয় জোড়া ইলিশ খাওয়ার রীতি আছে৷ পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পূজোয় নিরামিষ খাওয়াই বিধি৷ কিন্তু প্রায় সমগ্র  পূর্ববঙ্গে  বিশেষত বরিশাল, রহমৎপুর, গৈলা, জলাবাড়ি, সিরাজগঞ্জ বিক্রমপুর, ময়মনসিংহ প্রভৃতি অঞ্চলে সরস্বতী পূজোয় প্রথম ইলিশ খাওয়া হয়৷ বিজয়া দশমীর পর থেকে ইলিশ খাওয়া বন্ধ থাকে৷ কুমারখালি পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত হলেও সীমান্তবর্তী বলে সেখানেও দশমী থেকে ইলিশ খাওয়া বন্ধ থাকে ও সরস্বতী পূজোয় প্রথম ইলিশ  খাওয়া হয়৷

স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরামিষ

মানুষের শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে নিরামিষ খাদ্য অত্যন্ত সহায়ক৷ আমাদের পাচকযন্ত্র নিরামিষ খাদ্যের উপযোগী করেই তৈরী৷