প্রবন্ধ

পশু পক্ষীদের গণিতে দক্ষতা

সমর ভৌমিক

‘‘আমি আজ কানাই মাস্টার পোড়ো মোর বিড়াল ছানাটি৷’’ আমরা অনেকেই জানি,  এই কবিতাটি কোন্ কবির রচনা৷ কবিতাটি লিখেছেন - বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ কবি এখানে নিজেই কানাই মাস্টার হয়েছেন৷ কবির এখানে পড়ুয়া ছাত্র হ’ল বিড়ালছানা৷ কিন্তু সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে - পড়ুয়া হিসাবে না পড়িয়ে, পড়ুয়া ছাত্র হিসাবে বিড়াল ছানাকে কানাই মাস্টার সেজে শিক্ষা দান করার কথা কবি ভাবলেন কেন? তাহলে কি সত্য সত্যই পশুপক্ষীদের বাস্তবে শিক্ষা দান করা যেতে পারে? সম্ভবতঃ পশু পক্ষীদের শিক্ষাদানের ইঙ্গিত কবির মনে উদ্ভাসিত হয়েছে৷ কিন্তু কিভাবে এই পশুপাখিদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে? পশু পক্ষীদের কি প্রথম ভাগের অ, আ, .......

আদর্শ সমাজ ঘটনের একমাত্র পথ-আনন্দমার্গ

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমান বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, জীব জন্তু গাছপালা আজ অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও পরিবেশ এমন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যা কহতব্য নয়৷ এই ধ্বংসোন্মুখ পৃথিবী গ্রহের অধিকাংশ রাষ্ট্র পরস্পর বিদ্বেষ ঘৃণায় মারমুখী হয়ে মারাত্মক ধ্বংসকেই আহ্বান জানাচ্ছে৷ তারই কারণে এই গ্রহের উদ্ভিদ প্রাণী কুলের কল্যাণার্থে যতোটুকু করা দরকার তা না করে দৈত্যকুলের ন্যায় পৃথিবী ধ্বংসে অস্ত্র প্রতিযোগিতা মুক্তকচ্ছ হয়ে ছুটছে৷

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব৷ তারই উপর পরম পিতা দায়িত্ব দিয়েছেন সকলকে রক্ষার৷ তা না করে ধ্বংসে মেতেছে৷ তাই সভ্যতা আজ দিশাহীন অসভ্যতা রূপে সৃষ্টিকে বার বার পরিহাস করেই চলেছে৷

হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের শোষণ বজায় রাখতে বিধায়কের মুখে বাঙলা ভাগের বুলি

নিরপেক্ষ

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অখণ্ড বাঙলার যে দাবী ছিল সেই দাবীকে অগ্রাহ্য করে চতুর সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ অখণ্ড ভারতবর্ষকে তিন টুকরো করে ভারতবর্ষের দু’টো ডানা মুসলীমলীগের দাবী মেনে পাকিস্তান আর মধ্যভাগে রাখে ভারতযুক্তরাষ্ট্রকে৷ স্বাধীনতা লাভের পূর্বে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই বলে যে বাংলাকে তার সীমান্তবর্তী রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত অংশগুলি  বাংলাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে৷ কংগ্রেস শাসন ক্ষমতা পেয়ে সেটা করেনি কারণ একটাই তা হলো যদি বাংলা অসমে, বিহারে ও উড়িষ্যায় যে এলাকা বাংলার যুক্ত হয় তা ফেরত পেলে রাজ্য আকারে পশ্চিমবঙ্গ  অনেক বড়ো হবে৷  আর নির্বাচনে এমপি  ও এম.এল.এদের  সংখ্যা বেশী হবে তাতে হিন্দি সাম্রাজ্

সমাজ আন্দোলনই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পতন ঘটাবে

এইচ.এন. মাহাতো

বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে কেন বার বার প্রথমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরবর্তীতে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ আঘাতে ক্ষত -বিক্ষত করে চলেছে৷ এর কারণগুলো কখনো  ভেবে দেখেছেন কি? আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

প্রথমতঃ ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়৷ (১) অন্তর্মুখী, (২) বহির্মুখী৷

তোমার ইচ্ছায় সব হয়ে যায়

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

মহাসম্ভূতি আনন্দমূর্ত্তি

নিয়ে মহান ব্রত,

ধরায় এলে সবই দিলে

সবার মন মত৷

যোগ সাধনা কারো মানা

 না রেখে আজ তুমি,

দিতেই সবার আনন্দে এবার

পায় তাঁর আত্মীক ভূমি৷

মুক্তি মোক্ষ পরিপক্ক

করতে মন্ত্রদিলে,

ভালবেসে মিষ্টি হেসে

ভক্তেরে কোলে নিলে৷

পাপী–তাপী বিশ্ব ব্যাপী

যে যেখানে ছিল,

তোমার চরণ করতে স্মরণ

তারাও উতরে গেল৷

দুষ্ট যারা তোমায় তারা

বুঝেও অবুজ হয়ে

তোমার সাথে মদ মত্তে

লড়ে যায় সব ক্ষণে৷

তোমার ইচ্ছায় নোতুন বর্তায়

মহান আদর্শে আজ

বৈশ্যযুগের অবসান চাই

মনোজ দেব

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ বেকারত্বের জ্বালায় দেশে  আত্মহত্যা বেড়েছে ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক কাঠাময় শুধু বেকারত্ব নয়, অর্থনৈতিক বৈষম্য, অভাব অনটন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ ভারতের মতো জনবহুল দেশে  কোন পরিসংখ্যানই সঠিক তথ্য দিতে পারে না৷ তাই পরিসংখ্যানের থেকেও ভয়াবহ অবস্থা কর্মহীন ও বেকারদের৷ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বেকারের সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ শিল্পপতিরা তাদের শিল্পের জন্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ তাদের মুনাফার অংক বৃদ্ধির জন্যে এটা তারা করবেই৷ যে কাজ ১০০ জনের দ্বারা হচ্ছিল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সে কাজ হয় তো ২০ জনক

উত্তরপূর্বাঞ্চলের বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের সময় আগত

তপোময় বিশ্বাস

ভারতবর্ষে বাঙালীদের নিজস্ব রাজ্য শুধু ‘পশ্চিমবঙ্গ’ এই ভুল ধারণা অনেকেই পোষণ করে থাকেন৷ ইতিহাস বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ব্রিটিশ পূর্ব ভারতের অখণ্ড বাঙলার একটি খণ্ডিত অংশমাত্র৷ ব্রিটিশ রাজশক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অখণ্ড বাঙলাকে টুকরো টুকরো করে প্রাকৃতিক সম্পদে  পরিপূর্ণ অংশগুলিকে অবাঙালী অধ্যুসিত অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্তি করে সেই অঞ্চলের ওপর প্রবলভাবে অর্থনৈতিক সম্পদের লুঠপাঠ করতে থাকে৷ সেই লুঠপাটকে দীর্ঘস্থায়ী ও তৎকালীন ভারতে বাঙালীদের শোষণবিরোধী বৈপ্লবিক কর্মধারা থেকে বিরত করতে অবাঙালী অঞ্চলের বহিরাগতদের সঙ্গে ভূমিপুত্র বাঙালীদের বিরোধ বাধিয়ে রাখে৷ বর্তমানেও ব্রিটিশদের উত্তরসূরি দেশীয় সাম্রাজ্যবাদের

নোতুন কেন্দ্রীয় সরকার আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটনে ব্রতী হন

প্রভাত খাঁ

সেই ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তারিখটি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো৷ আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী ও গৃহী ভক্তবৃন্দ সেই বিজন সেতু ও বন্ডেল গেটে যে তরতাজা লাল গোলাপের মত সুন্দর ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী নৃশংসভাবে দিবালোকে কলকাতার রাজপথে নিহত হলেন তাঁদের বিদেহী আত্মাকে স্মরণ করতে ও হূদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করতে সমবেত হবেন আগামী ৩০ শে এপ্রিল বিজন সেতুতে তাপ দগ্ধ দ্বিপ্রহরে৷ দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪০ বছর৷ অদ্যাবধি ভারতের মতো বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই নির্মম  হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা করলেন না৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে প্রথম থেকে