প্রবন্ধ

বাঙলার সাল গণনা ঃ ১লা বৈশাখ

সুকুমার সরকার

১লা বৈশাখটাকে হয়তো বা চিনি! তারপর সারা বছর বাংলা মাসের কবে কোন তারিখ বোধ করি বলতে পারব না৷ না, এতে আমার কোন দীনতা নেই! কিংবা আমার দোষও নয়! আসলে ব্যবহারিক জীবনে বাঙলা সাল তারিখের ব্যবহার বর্তমানে নেই বললেই চলে৷ কেবল বাড়ীতে মেয়েরা ব্রত-আচার, পুজো-পাঠ করে তিথি বার দেখে৷ বাঙলায় বড় বড় যে পূজা-উৎসব পালিত হয়, তা সব করে থাকেন পুরোহিতরা পাঁজি পুঁথি দেখে৷ আমরা শুধু কপালে তর্জনী ঠেকিয়ে প্রণাম করি৷ আর একটি দিন শুধু মনে রাখি তা হ’ল ১লা বৈশাখ৷

বিষাক্ত রাজনীতি

মনোজ দেব

 অদ্ভুত এক রাজনৈতিক বৈপরিত্যে আক্রান্ত ভারতীয় রাজনীতি৷ রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি আদর্শ বলে কিছু নেই৷ স্বাধীনতার  শুরুতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন-সুভাষচন্দ্রের বাঙলা কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল৷ ক্রমে সেই বিষাক্ত রাজনীতি গ্রাস করেছে বাঙলাকেও৷ ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতি বাঙালীর  উন্নত সংস্কৃতি কৃষ্টি ও সভ্যতাকে অতি নিম্নস্তরে নিয়ে গেছে৷ সাঁইবাড়ী, বিজনসেতু বগটুই -রাজনীতির দানবিক বর্বরতার সাক্ষর বহন করছে৷ তবে এসবের পিছনে আছে এক সুগভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র৷ যারশুরু ৮৪ বছর আগে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ভারতে৷

পুঁজিবাদী শোষণের অক্টোপাশ থেকে সমাজকে মুক্তি পেতেই হে

মনোজ দেব

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দেশী

সংখ্যা জগতের রহস্য পরিক্রমা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

জন্মলগ্ণ হতে জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্যন্ত মানুষ গণিতের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত আছে৷ আমরা যে জগতে বাস করি সেই জগতে গণিত তথা সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম৷ এই অপরিসীম গুরুত্বের কথা ভেবেই বোধ হয় বলা হয়েছে–‘ত্ত্ত্রব্ধড়ন্দ্বপ্প্ত্রব্ ন্ব্দ ব্ধড়ন্দ্ব ত্বব্ভন্দ্বন্দ্বু প্সন্দ্র প্তপ্ত ব্দব্ভত্ব্ন্দন্দ্বন্তুব্ধ্’ গ্রীক দার্শনিক পীথাগোরাস বলেছিলেন–‘বিশ্বের আদি উপাদান হ’ল সংখ্যা’৷ দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন–ঈশ্বর একজন মহৎ জ্যামিতি বেত্তা৷’ এই জগৎটা মনে হয় যেন সংখ্যার একটি লীলাক্ষেত্র৷ গণিত হ’ল সভ্যতার মেরুদণ্ড৷ কিন্তু যে গণিত সভ্যতার মেরুদণ্ড স্বরূপ সেই গণিত শাস্ত্র যেন সাধারণ মানুষের কাছে সাহারা মরুভূমির বক্ষ

রবীন্দ্র–জয়ন্তীর উচ্ছ্বাস আছে আদর্শ নেই

পথিক বর

আমরা বাঙালীরা প্রতি বছর খুব ঘটা করে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করি৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র–সঙ্গীত, রবীন্দ্র রচনা নিয়ে গুরুগম্ভীর বত্তৃণতা কোনোটারই খামতি নেই৷ বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর্ যেগুলি সুস্পষ্টভাবে ঈশ্বরপ্রেম সম্বন্ধীয় সেগুলিকে বেমালুম স্ত্রী–পুরুষের প্রেমের সঙ্গীত হিসেবে টিভি– সিরিয়্যালে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে কথায় কথায় রবীন্দ্র প্রীতির নিদর্শন দেওয়া হচ্ছে৷ পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্যা বইছে৷ কিন্তু ওই সঙ্গীতগুলির অন্তর্নিহিত ভাব যে অনুভব করার চেষ্টা প্রায় কেউই করেন না এটা বলাই বাহুল্য৷ এই ভাবে রবীন্দ্র–ভাব, রবীন্দ্র–আদর্শকে ভুলেই আমরা রবীন্দ্রপ্রীতির উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছি৷

জামালপুর ভ্রমণ

আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত

কয়েক বছর আগে আনন্দনগরের রেলসংক্রান্ত বিশেষ কাজে আদ্রারেল ডিভিশন অফিসে যাওয়া হয় ও কাজের বিষয়টি নিয়ে এ.ডি.আর.এমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আমার সংঘটন ও গুরুদেবের কথা বলাতে শুনলাম উনি বাবাকে অর্থাৎ গুরুদেব ও আনন্দমার্গের প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে  ভালো করেই জানেন। কথা প্রসঙ্গে জানালেন জামালপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ অফিসে কর্মজীবনে গুরুদেব যে চেয়ারে বসে  কাজ করতেন সেটি তাঁর "স্মৃতিচিহ্ন" হিসাবে রেল ডিপার্টমেণ্টে সযত্নে রাখা আছে।

ভারতীয় অর্থনীতি ও বেকার সমস্যা

হরিগোপাল দেবনাথ

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

প্রথমতঃ, সাম্রাজ্যবাদী শোষকরা রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা দু’টোকেই পরিপূর্ণভাবে অর্থনৈতিক শোষণের কাজে লাগায়৷ প্রকৃতপক্ষে ভারতবর্ষে বাঙলার ওপর সাম্রাজ্যবাদী শোষণের যুগ শুরু হয়েছিল মোগল সম্রাট আকবরের সময় থেকেই৷ আইন-ই-আকবরীতে উল্লেখ আছে যে, বিশাল মোগল-বাহিনীকেই রসদ যোগাত বাঙলা৷ আবার, মোগল যুগের অবসান ঘটতেই চলে এল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শোষণের যুগও৷

ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবার সময় এসেছে

প্রভাত খাঁ

আমরা বিশ্বযুদ্ধ ভয়াবহতার কথা শুনেছি কিন্তু বর্তমানে একটি ছোটস্বাধীন দেশ ইউক্রেনের উপর প্রাক্তন কমিউনিষ্ট দেশ রাশিয়ার যে কতোখানি নিষ্ঠুরতা তা টিভির মাধ্যমে চোখে  দেখছি তা সহ্য করা যায় ন!

মহিলা মহল

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

একটা প্রবাদ আছে-‘কুকুরটাকে যদি মারতে হয়, তবে ওটার বদনাম দিয়ে দাও৷ ব্যাপারটাকে কয়েকটি ভাবনা বা দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে৷ যেমন---(ক) ধান্দাবাজ-সুবিধাভোগী ও চরম নারীবিদ্বেষীরা নারী সমাজকে দাবিয়ে রাখতে নারী নির্যাতনের হাতিয়ার করেছে কতগুলো নিন্দা ব্যঙ্গ বক্রোন্তিকে

(এটা সুবিধাবাদীরা প্রচার করেছিল-মুক্তি পেতে হলে মরে গিয়ে আবার পুরুষের শরীর নিয়ে আসতে হবে, তারপরে মুক্তি পাবে৷)

নারী নরকের দ্বার, শয়তানের জাত, সাক্ষাৎ কালনাগিনী৷

পতির পুণ্যে সতীর পুণ্য

উম্যান্‌ মীনস্‌ উত্ত টুন ম্যান্‌৷

বঙ্গদেশের নারী পোটলার চেয়ে ভারী৷