কেন্দ্রীয় সরকার সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে মন দিক
- Read more about কেন্দ্রীয় সরকার সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনে মন দিক
- Log in to post comments
সবাই মিলে' এক সঙ্গে চলার নামই সমাজ। যে পিছিয়ে রয়েছে তাকে ঘৃণা না করে' এগিয়ে আসতে সাহায্য কোরো। এটাই হবে তোমার সমাজ-ধর্ম।
-- শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি
ভারতের দলতন্ত্র যার নাম দেওয়া হয়েছে গণতন্ত্র, বর্ত্তমানে সেটি খণ্ড ক্ষুদ্র স্বার্থের যূপকাষ্ঠে মহা সংকটের মধ্যে অবস্থান করছে৷ মনে পড়ে গত ১৯৭৫ সালের অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থার পর কংগ্রেসী স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটে৷ জনতাদলের শাসন কায়েম হয়৷ সেই সময় ছোট দলগুলো জনতা দলকে সমর্থন জানায়৷ সেই পরিস্থিতিতে দিল্লীর জুমা মসজিদের প্রধান ইমাম আবদুল্লা বুখারি সেই কেন্দ্রীয় মিলিজুলি সরকারকে সমর্থন জানিয়ে ঘোষণা করেন –‘গুলসান–ই–গুলসান’৷ অর্থাৎ পাঁচ ফুলের মিলিত সাজি৷ কিন্তু দলতন্ত্রের স্বার্থান্ধতায় সেই গুলসান শুকিয়ে মিলিয়ে যায়৷ সেটা ছিল সেই আজকের যে আওয়াজ উঠছে ছোট ছোটদলের ফোডারেশন বা ফ্রন্ট গড়ার ইচ্ছা তেমনই কিন্ত
প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে (ব্দপ্সন্তুন্প্স–ন্দ্বন্ত্ ব্ভুন্ব্ধ) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,
১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (হ্মপ্সব্ধন্দ্বুব্ধন্ত্র)
অতি সম্প্রতি আমাদের রাজ্যে দৈনিক খবরের কাগজের পৃষ্ঠায় এ রাজ্যেরই এক কম্যুনিষ্ট তথা মার্কসবাদী নেতার হুংকার প্রকাশের নমুনা দেখে তাজ্জব বনে গেলুম, মূলতঃ এই কারণেই যে, এ ধরণের ব্যষ্টিরাই আমাদের শতগুণ দুর্র্ভগ্যের কারণে আমাদের বিধায়ক, মন্ত্রণাদাতা (মন্ত্রী বা মহামাত্য অর্থে) তথা শাসক সেজে ছড়ি ঘোরাবার সুযোগ পেয়ে যান--- প্রধানতঃ পুঁজিবাদী গণতন্ত্র, আর তারই সহায়ক অন্যান্য ঔপকরণনাদির সুযোগ পেয়ে৷ যারা, মানব-ইতিহাসের ধারণা রাখেন না ভূগোলেরও যথার্থ পরিচয় পেয়েছেন কোনদিন বলে মেনে নেওয়া যায় না নৃতাত্ত্বিক আইডিয়া খুবই সীমিত বলে মানব-মনস্তত্ব ও যুগোপযোগী চিন্তাধারাও পোষণ করতে নারাজ---এই ধরণের লোকেদেরই বর
আমরা ১লা মে দিনটিকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করি৷ আমরা ২০২১শে মে দিবস পালন করছি৷ কিন্তু এই দিনটি ১৮৮৬ সালের একটি মর্মান্তিক ঘটনায় স্মরণীয় হয়ে আছে এই পৃথিবীর মাটিতে৷ ঘটনাটি ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী ও ৮ ঘন্টা কাজের দাবীতে কর্ম বিরতি অর্থাৎ ধর্মঘট করে৷ এটি ছিল মাংসের কারখানা যেখানে প্রাণী হত্যা করা হতো৷ এর পরিবেশ ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর৷ এই অসহনীয় পরিবেশে শ্রমিকদের প্রায় ১৬ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করা হতো কিন্তু মজুরী যৎসামান্য৷ শ্রমিকরা তাদের লাল ঝাণ্ডা উড়িয়ে মিছিল করে৷ যাদের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লক্ষ৷ সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ গুলি চ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
স্বাধীনতার আগে ও পরে বাঙলার শাসকের পরিবর্তন এসেছে বার বার৷ ইতিহাসের পাতায় বাঙলা একই শাসন ব্যবস্থার বস্যতা বেশী দিন স্বীকার করেনি৷
জাতীয় কংগ্রেসের হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য স্বাধীনতার নামে দেশ ভাগ করে বাঙালীস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলো৷ আর সেই সময় বলে ছিলো যারাই ওপার বাঙলা থেকে আসবে তাদের সবাইকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷
মানুষ আজ অমানুষে পরিণত হচ্ছে৷ হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থ লোভ মানুষকে বিবর্তনের বিপরীত পথে নিয়ে চলেছে৷ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কেউ তৃণমূল, কেউ বিজেপি নানা নামে পরিচিত৷ মানুষের পরিচয় সে ভুলে যায়, মানব ধর্মের অনুশীলন সে করে না৷ দলীয় স্বার্থরক্ষা করা আর অর্থ উপার্জন তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান৷ ক্ষমতার দখল নিতে সে উন্মত্ত, উন্মাদ৷ তাই তো এত খুন, এত রক্ত!কেউ একবারও ভাবে না কে কাকে মারছে? কে কার রক্তে হাত রাঙাচ্ছে?
মানবজাতির ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে চলেছে যে, আমাদের পৃথিবীর বুকে, যে কয়েকটি স্থানকে ঘিরে প্রথমে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল,তাদের মধ্যে রাঢ়ভূমিতে সর্বপ্রথম মানব সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছিল৷ প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক এ প্রসঙ্গে আলোচনায় উল্ল্যেখ করেছেন যে, রাঢ়ের পূর্বে পৃথিবীর অন্যকোথাও মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল বলে এখনও অব্দি এমন কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ দ্বিতীয়ত প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, তাঁর রচিত ‘সভ্যতার আদি বিন্দু রাঢ়’ বইতে প্রামাণ্য তথ্য-প্রমাণাদি সহই সুষ্পষ্টভাষাকে উল্ল্যেখ করেছেন যে, রাঢ়ের লালমাটিতেই পৃথিবীতে মানব-সভ্যতারও সূত্রপাত ঘটেছিল৷ এর কিছু প্রমাণ অবশ্য আম
ভারতযুক্ত রাষ্ট্রটি বহুভাষাভাষী ও বহু ধর্মমতের আশ্রিত বিভিন্ন মানুষের দেশ৷ এই দেশ শুধু হিন্দু আর মুসলমান দেশ নয়৷ কিন্তু শাসকগুলো বর্ত্তমানে সবটাই বিভিন্ন নামকেওয়াস্ত জাতীয় রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন নামে আঞ্চলিক দল হিসাবে সারা ভারতে রাজ্যগুলিতে ও কেন্দ্রে শাসন করে চলেছে৷ যেমন আজকের কংগ্রেস এটা হলো ইন্দিরা কংগ্রেসের দল৷ বিজেপি দলটি জনতা দল ভেঙ্গে আর এস.এস এর নিয়ন্ত্রণে গড়ে উঠেছে৷ কমিউনিষ্ট দল ভেঙ্গে গড়ে উঠেছে সিপিআই (এম), তৃণমূল কংগ্রেস দলটি গড়ে উঠেছে ইন্দিরা কংগ্রেস ভেঙ্গে ৷ ঠিক তেমনই দক্ষিন ভারতে আঞ্চলিক দল ডি.এম.কে ভেঙ্গে এ আই.