March 2020

ঠাকুরনগরে তত্ত্বসভা ও অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৪, ১৫ই মার্চ ঠাকুরনগর কাটাখাল নিবাসী শ্রীপ্রদীপ কুমার মণ্ডলের বাড়ীতে তত্ত্বসভা ও ছয় ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ১৪ তাবিখ সন্ধ্যায় শতাধিক মার্গীর উপস্থিতিতে ধর্মচক্র অনুষ্ঠিত হয়, এরপর মার্গগুরুদেবের জীবনী ও তাঁর প্রবর্ত্তিত দর্শনের ওপর দীর্ঘ আলোচনা করেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত৷

কাঁকিনাড়ায় বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৯ই মার্চ কাঁকিনাড়া আনন্দমার্গ সুকলে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কাঁকিনাড়া শাখার উদ্যোগে বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা অখণ্ড বাবানাম কেবলম্ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী লেখা প্রবচন পাঠ, প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পর মার্গগুরুচর চরণে আবীর দিয়ে সকলে আবীর খেলায় মেতে ওঠে৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন মিতালী মুখার্জী, শঙ্কর সরকার, অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত৷

অভিনবত্বের মাধ্যমে বসন্ত উৎসব

গত ৭ই মার্চ সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের উদ্যোগে বিশেষ আঙ্গিকে বসন্ত উৎসব পরিবেশিত হল নিজস্ব  অডিটোরিয়ামে৷

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মানুষ বিপর্যস্ত৷ সরকারীস্তরে বহু অনুষ্ঠান যেখানে বন্ধ রাখা হচ্ছে সেখানে সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনের  অনুষ্ঠান অতিথিবৃন্দকে মুখবন্ধনি (মাস্ক) পরিয়ে শুরু করা হয়৷

সদ্বিপ্রের নেতৃত্ব

সংকলন ঃ জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

(প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচনা সম্ভার থেকে সংগৃহীত)

প্রতিটি চলমান সত্ত্বাকে নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে প্রয়োজন সার্থক নেতৃত্ব৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নৌকার জন্যে একজন কাণ্ডারী, ট্রেন-বাসের জন্যে ড্রাইভার যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই মানব সমাজের প্রগতির জন্যেও প্রয়োজন প্রকৃত নেতৃত্বের যাঁরা সমগ্র সমাজকে নির্ভুল দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন৷ সমাজ সম্পর্কে আলোচনায় প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---

রাজ্যসভায় পাঁচে পাঁচ

পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভায়  শূন্য হওয়া পাঁচ আসনে ছয়জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিল৷ চারটি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত ছিল৷ কিন্তু অঙ্কের হিসেবে বাম কংগ্রেসের জোটবদ্ধ হওয়ায় পঞ্চম আসনে সি.পি.এমের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার কথা৷ কিন্তু তৃণমূল সমর্থিত দীনেশ বাজাজ নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল৷ কিন্তু দীনেশ বাজাজের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় শূন্য পাঁচ আসনের জন্য পাঁচজন প্রার্থী রইলেন৷ নির্বাচনের আর প্রয়োজন থাকল না৷ কংগ্রেসের হাত ধরে পঞ্চম আসনে জয়ী হল সি.পি.এম প্রার্থী৷ প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ থাকে বাম জমানায় কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ায় হাত কেটে নিয়েছিল সি.পি.এমের ঘাতকরা৷ সেই কংগ্রেসেরই হাত ধরে রাজ্যসভা

চুঁচুড়ায় সেমিনার

গত ১৫ই মার্চ হুগলী জেলার চুঁচুড়া ডিটের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলে৷ চুঁচুড়া ডিটের বিভিন্ন ব্লক থেকে ৬০ জন মার্গী ভাই-বোন এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন৷ প্রভাতসঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর আলোচনা সভা শুরু হয়৷ সভায় আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শ্রী প্রভাত খাঁ ও শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিন্হা৷

রাজ্য সভায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি: সমালোচনার ঝড়

মাত্র কয়েক মাস আগে অবসর নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ৷  প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন তিনি বলেছিলেন ---অবসরের পর সরকারি পদের নিয়োগ বিচারবিভাগের স্বাধীনতার গায়ে এক ক্ষত৷ রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য হয়ে তিনি নিজেই সেই ক্ষত সৃষ্টি করলেন৷

এরফলে প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন শ্রী গগৈয়ের  নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ণ উঠল৷ বিরোধী শিবিরের আইনজীবীদের মতে, গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কফিনে শেষ পেরেকটি  পঁুতে দিল মোদি সরকার৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

চুঁচুড়া নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমতী চন্দনা সেনের পিতা শ্রী শৈলেন্দ্র সাহা গত ১২ই মার্চ পরলোকগমন করেন৷ গত ১৬ই মার্চ দ্বিপ্রহরে শ্রীমতী সেন তাঁর পিতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে করেন৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷

রাঢ়ের সভ্যতা

মানুষের উদ্ভব পৃথিবীতে কয়েকটি বিশেষ বিশেষ বিন্দুতে হয়েছিল৷ কে আগে আর কে পরে–এই নিয়ে বিশদ আলোচনা না করেও বলতে পারি, রাঢ়ভূমিতে মানুষের উদ্ভব অতি প্রাচীন৷ এর চেয়ে প্রাচীনতর মনুষ্য–নিবাসের কোন সন্ধান পাওয়া যায় না৷ পৃথিবীতে যখন অরণ্য এল রাঢ়ের এই কঠিন শিলা, বিবর্তিত শিলা, আগ্ণেয় শিলা ও পাললিক শিলার ওপরে জন্ম নিল নিবিড় অরণ্য৷ সেই অরণ্যই একদিন মানুষ–জনপদ রাঢ়কে প্রাণ–সুধা জুগিয়েছিল, এই অরণ্যই রাঢ়ের নদীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করত৷ ওই অরণ্যই বরফ–ঢাকা পাহাড়গুলি ক্ষয়ে যাবার পরে আকাশের মেঘকে ডেকে আনত রাঢ়ভূমিতে৷ রাঢ়ভূমিতে পর্জন্যদেবের কৃপাবর্ষণ হ’ত অফুরন্ত, অঢেল৷ এই আমাদের রাঢ়ভূমি–অনেক সৃষ্টি–স্থিতি–লয়ের জীবন্ত

লুচি/নুচি দুই–ই ঠিক

আমার গ্রামে পটোল ঘোষ নামে একজন ঔদরিক ছিলেন৷ নেমন্তন্ন বাড়িতে তাঁর নুচি (নুচি/লুচি দুই–ই শুদ্ধ) খাওয়ার সর্বনিম্ন মান ছিল ১০১৷

পঞ্চাশোর্দ্ধে তিনি দারুণ অম্ল রোগে ভুগতে লাগলেন৷ সঙ্গে সব সময় থাকত সোডি–বাইকার্বের টিন৷ কিন্তু তাঁর অর্জিত চ্যাম্পিয়ানশিপ বজায় রাখার জন্যে নেমন্তন্ন বাড়িতে ১০১–এর একটিও কম নুচি খেতেন না৷ বলতুম ১০১ আবার কেন, ১০০–তেই তো সোজা হিসেব থাকবে৷ উনি বলতেন–১০০টা খেলুম, আর একটি ভবিষ্যতের নিশ্চিততার জন্যে (নিশ্চয়তা’ ভুল) অর্থাৎ ওই একটির মাধ্যমে জানিয়ে দিলুম যে ভবিষ্যতে আরও এক হাজার খেতে পারি৷ এই ভবিষ্যতের জন্যে জানানোকে ‘জানান দেওয়া’ (Prior intimation) বলে৷