November 2020

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৩ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

অন্ধ বাঙালী বিদ্বেষ দেশের অখণ্ডতা বিপন্ন করবে

এইচ. এন. মাহাতো

ভারত সরকারের অন্ধ বাঙালী বিদ্বেষ দেশকে সর্বনাশের পথে নিয়ে যাচ্ছে৷ ত্রিপুরার দিকে তাকালেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরের জাম্পুই পাহাড়ে মিজোরাম পুলিশ (এম আর.পি) জমি দখলের  নামে গ্রামে প্রবেশ করলে স্থানীয় টি.এস.আর বাহিনীর দ্বারা প্রতিহত হয়৷ তবে এটাই প্রথম নয়৷ এর আগে মিজোরাম থেকে আসা কয়েক হাজার ব্রু-রিয়াং-রা বছরের পর বছর আনন্দবাজারের সংলগ্ণ অঞ্চল জুড়ে বসতি স্থাপন করে বসে আছে৷ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে তাদের খাওয়া ও দৈনন্দিন জীবনের সকল খরচ সরকার বছরের পর বছর বহন করে চলেছে৷ তাদের জন্য এই খরচ বাঙালীর পকেট কেটে বহন করা হচ্ছে৷ কারণ একমাত্র ত্রিপুরার ভূমিপুত্র বাঙালীরাই সরক

প্রভাত সঙ্গীতের স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রভাতরঞ্জন সরকার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২১ সনের বৈশাখী পূর্ণিমার পূণ্য প্রভাতে, বিহারের জামালপুরে৷ অর্থাৎ আজ থেকে এক শতাব্দী আগে৷ জন্মশতবর্ষে দাঁড়িয়ে বিরল ও বহুমুখী প্রতিভার এক অনন্য উদাহরণ এই ব্যষ্টিত্বের কর্মমূখর জীবনের এক অতি সংক্ষিপ্ত খণ্ড চিত্র তুলে ধরার অপূর্ণ ও অক্ষম প্রয়াস এই নিবন্ধে৷ তিনি একাধারে দার্শনিক, গীতিকার, সুরকার,সমাজবিদ, ভাষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কৃষিবিদ, প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বা প্রাউট দর্শনের প্রণেতা, সর্র্বেপরি নব্যমানবতাবাদের উদগাতা৷ আজ আমরা  এই বহুধাপল্লবিত ব্যষ্টিত্বের শুধু সঙ্গীত সৃষ্টির ওপর কিঞ্চিত আলোকপাতের প্রয়াস করব৷ তাই আশা করি সঙ্গীতের গুরুত্ব সম্পর্কে

ত্রিপুরায় শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে মহাপ্রয়াণ দিবস পালন

গত ২১শে অক্টোবর থেকে ২৬শে অক্টোবর পর্যন্ত মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পার্থিব দেহের মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন, বস্ত্র বিতরণ, নারায়ণ সেবা প্রভৃতি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় ত্রিপুরার আগরতলা সহ বিভিন্ন ইয়ূনিটে৷

এছাড়া ২১শে অক্টোবর মাছমারা মাস্টার ইয়ূনিটে,২২শে অক্টোবর কৈলা শহর, ২৬শে অক্টোবর শিববাড়ী ও চামটিলা মাস্টার ইয়ূনিটে মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন, বস্ত্র বিতরণ ও নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয়েছিল৷ এইসব অনুষ্ঠানগুলিতে বহু মার্গী ও ভক্তের সমাগম হয়েছিল৷

মানুষ! মানুষ ! হারায়ে হঁশ কোথায় চলেছ তুমি?

প্রফুল্ল কুমার মাহাত

একথা বলেছেন তারকব্রহ্ম, মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷ তিনি  মানুষকে চরম হুঁশিয়ারী দিয়ে,আসন্ন মহাসঙ্কটের সাবধান বাণী শুনিয়ে  মহান পরিত্রাতারূপে প্রভাত সঙ্গীতের বজ্রগম্ভীর সুরে তার স্বরে দৃপ্তকন্ঠে একথা বলেছেন৷ বর্তমান মানব সমাজের অধিকাংশ মানুষের  চলার বিসদৃশ গতিবিধি দেখে যার পর নাই অসন্তুষ্ট, ক্ষুদ্ধ, রুষ্ট হয়ে বাধ্য হয়ে এহেন দৈববাণী শুনিয়েছেন৷

প্রভাতসঙ্গীতের ৩৮ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কলকাতায় প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান

গত ২৭শে অক্টোবর কলকাতায় প্রভাত সঙ্গীতের ৩৮ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গের সাংসৃকতিক প্রকোষ্ঠ রাওয়া (রেণেশাঁ আর্টিষ্টস্ এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েসন)-এর পক্ষ থেকে এক মনোজ্ঞ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ কলকাতাস্থিত আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমের জাগৃতিভবনে এই অনুষ্ঠানটি হয়৷

‘স্বপ্ণ, নিদ্রা, স্বাভাবিক মৃত্যু ও অপঘাত মৃত্যু’’

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মানব শরীর হ’ল একটা জৈব যন্ত্র (Humanbody is a biological machine)৷ এই জৈব যন্ত্রে সমাবেশ  ঘটছে ৬টি চক্রের ও পাঁচটি কোষের৷ এই ৫টি কোষ হ’ল--- কামময় কোষ, মনোময় কোষ, অতিমানস কোষ, বিজ্ঞানময় কোষ ও হিরন্ময় কোষ৷

কামময় কোষ হ’ল প্রথমস্তর৷ এই কোষের অধিষ্ঠান হ’ল মূলাধার চক্র৷ মনোময় কোষের অধিষ্ঠান স্বাধিষ্ঠান চক্র, অতিমানস কোষের অধিষ্ঠান হ’ল মনিপুরচক্র৷ বিজ্ঞানময় কোষের অধিষ্ঠান হ’ল অনাহত চক্র৷ হিরন্ময় কোষের অধিষ্ঠান হ’ল বিশুদ্ধ চক্র৷ কামময় কোষকে জীবের স্থূল মন বলে৷ মনোময় কোষকে জীবের সুক্ষ্ম মন বলে৷  আর অতিমানস, বিজ্ঞানময় ও হিরন্ময় কোষ তিনটিকে একত্রে জীবের কারণ মন বলে৷

কৃষ্ণনগরে মহাপ্রয়াণ দিবস পালন

গত ২১শে অক্টোবর ২০২০, নদীয়া জেলার  কৃষ্ণনগর ঘূর্ণীতে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর বাসভবন ‘মধুপর্ণায়’ ৩০তম মহাপ্রয়াণ দিবস শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়৷ বহু আনন্দমার্গীর উপস্থিতিতে বেলা ৩টে থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত তিনঘন্টাব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্’অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন গোরাচাঁদ দত্ত, রেখা মজুমদার, মিঠু মুখার্জী, অনুপ্রিয়া দেব,সৌমিতা বিশ্বাস প্রমুখ৷

পরলোকে সমীরণ আচার্য

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট ও ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের একনিষ্ঠ কর্মী শ্রী সমীরণ আচার্য গত ৩১শে অক্টোবর  হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অপরাহ্ণ ২-৩০ মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকাল তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর৷ তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুতে আত্মীয় পরিজন ও সহকর্মীরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন৷ আজীবন তিনি আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক জীবনধারার সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত ছিলেন ও ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের সক্রিয় আদর্শবান কর্মী ছিলেন৷ সংঘটনে যখন যে দায়িত্ব পেয়েছেন নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷

নরহরি স্মরণে

আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ ও নীরব কর্মী নরহরি মণ্ডল গত বছর ২৬শে অক্টোবর তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন চলাকালীন অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন৷ দীর্ঘ একটা বছর পেরিয়ে গেল, বিশেষ করে হাওড়া জেলার মার্গী ভাইবোনেরা আজও তাঁর অভাব অনুভব করে৷

‘‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে৷’’

তবু কিছু কিছু মানুষ আছে যাঁরা চলে গেলে তাঁর অভাব চিরকাল থেকে যায়৷ নরহরিদা তেমনি একজন মানুষ৷ মৃত্যুর আগের মূহুর্ত্ত পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন৷ বাবার মহাপ্রয়াণ দিবস আসলে বড় বেশী করে মনে পড়ে নরহরিদার কথা৷