September 2019

এন আর সি ঃ রাষ্ট্রসংঘে উদ্বেগ

ভারতে এন আর সি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘের উদ্বাস্তু বিভাগের শীর্ষ কর্তা ফিলিপো গ্রাণ্ডি৷ তিনি এন আর সি-তে ১৯ লক্ষেরও বেশী মানুষ নাগরিকহীন হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ণ হন৷ ভারত সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেছেন যাতে একজনও প্রকৃত নাগরিক রাষ্ট্রহীন না হয়ে পড়ে৷

দুর্নীতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ

সরকার যতই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা ফাটাক দেশ কিন্তু আর্থিক দুর্নীতিতে দ্রুত এগিয়ে চলেছে৷ এটা কোন বিরোধী দলের অভিযোগ নয়৷ ২০১৮-২০১৯ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের যে বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তা থেকেই এই তথ্য পাওয়া গেছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে জালিয়াতি ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষে জালিয়াতির পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা৷ ২০১৮-১৯-এ তা ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭১ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা৷

এন আর সি-র নামে বাঙালীদের ওপর চরম আঘাত - প্রতিবাদে মুখর আমরা বাঙালী

এন আর সি-র নামে বাঙালীদের ওপর চরম আঘাত হানতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বিদেশী একটা অজুহাত মাত্র৷ বাঙালী জাতিটাকেই শেষ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাই বেছে বেছে বাঙালী অধূ্যষিত এলাকাতেই এন আর সি করা হয়েছে৷ এই সেদিনও শ্রীলঙ্কা থেকে কয়েক লক্ষ শরণার্থী ভারতে এসেছে৷ তারা নাগরিক জীবনের সব সুখ-সুবিধা নিয়ে বহাল তবিয়েতেই আছে৷ শুধু বেছে বেছে বাঙালীদেরই বিদেশী চিহ্ণিত করা হচ্ছে৷ এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না৷ কথাগুলি বলেন---বাঙালী ছাত্র, যুব সমাজের পক্ষ থেকে তপোময় বিশ্বাস৷ তিনি বলেন এন আর সি-র নামে বাঙালীদের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদে বাঙালীরা এবার পথে নামবে৷ আগামী ৭ই সেপ্ঢেম্বর কলকাতার অসম ভবনে বিক্ষোভ প্রদর্শন

দুর্নীতি-বৈষম্য-মন্দা দেশ চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে  প্রাউটের পথেই পরিত্রাণ

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সাল

দুর্নীতির জালে রাষ্ট্র জড়িত৷ অর্থনৈতিক মন্দা চরম আকার ধারণ করেছে৷ সরকার স্বীকার না করলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নীতি আয়োগের আর্থিক সংস্থার শীর্ষকর্তারা আর গোপন করছে না৷ তাঁরা খোলাখুলিই স্বীকার করছেন অর্থনৈতিক অবস্থার বেসামাল দশা৷ স্তাকব অর্থনীতিবিদরা সরকারের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলালেও বেহাল দশা বুঝে অনেকেই পদ ছেলে চলে যাচ্ছেন৷ শিল্প সংস্থাগুলির নাভিঃশ্বাস উঠেছে৷ কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে বহু পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে৷

জীবনের মূল মন্ত্র

জীবনের গতি সর্বদা পরম লক্ষ্যের দিকে কিন্তু জড় প্রকৃতি তাকে সবসময় নিজের দিকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে থাকে৷ নিজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষের শক্তি যখন আর কিছুই করতে পারে না, সেই সময়ের যে অবস্থা তাকে বলে মৃত্যু৷ এমনিতে শরীর থেকে প্রাণশক্তি যখন বেরিয়ে যায়, সেই সময়ের যে পরিস্থিতি তাকে মৃত্যু বলা হয়---এটা স্বাভাবিক তথা গৌণ মৃত্যু৷ কিন্তু মানুষের আবার অকাল মৃত্যুও হয়৷ আসলে প্রকৃতির এই আসুরী শক্তির সঙ্গে সংগ্রাম করে নিজেকে চরম লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রয়াস তাকেই জীবন বলে৷ তমোগুণী বৃত্তিগুলো সমাজের সর্বত্র ব্যাপ্ত থেকে মানুসের চরম লক্ষ্যপ্রাপ্তির পথে বাধা সৃষ্টি করছে৷ যে এই আসুরী বৃত্ত

জাতি, ভাষা, ধর্মমত ও সংস্কৃতিতে  বিশ্বজনীনতা

আজকের আলোচ্য বিষয়বস্তু হল ‘‘জাতি race), ভাষা, ধর্মমত ও সংস্কৃতিতে বিশ্বজনীনতা৷’’ যদিও মানুষের ভাষা,  বর্ণ  ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিছু আপাতঃ বৈষম্য রয়েছে তথাপি মানুষের  এই সকল অপরিহার্য বিষয়গুলি  কিন্তু এসেছে একই  উৎস থেকে- সবই এসেছে সেই একক সত্যা পরমপুরুষ থেকে৷ ভাষাগত বৈষম্য  বর্ণগত বৈষম্য , জাতিগত বৈষম্য আছে ঠিকই কিন্তু এসবই বাহ্য আপাতঃদৃষ্ট৷ মুখের ভাষা নয়, আসলে হৃদয়ের ভাষা, সেন্টিমেন্টের ভাষায় শুণতে হবে৷

দেশপ্রেমিকদের প্রতি (অংশবিশেষ)

রাজনীতি আমার ব্যবসাও নয়, পেশাও নয়৷ আমি ইতিহাসের এক সাধারণ ছাত্র মাত্র৷ ভারতবর্ষে যে ভয়াবহ চিত্র আমার চোখের সামনে ভেসে আসছে মুখ ফুটে তা’ প্রকাশ করা আমার কর্তব্য মনে করছি, তাতে ভবিষ্যতের ঐতিহাসিকরা আমাকে দোষ না দেন৷ যাঁরা দেশনেতা এ ব্যাপারে তাঁদের দায়িত্ব সর্বাধিক৷ তাঁরা দেশকে ডোবাতেও পারেন, বাঁচাতেও পারেন৷ মুখে যাই বলা হোক না কেন, আসলে সরকারী বা বেসরকারী, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সকল সংস্থারই নীতি নির্ধারণ করে থাকেন মুষ্টিমেয় দু’চারজন৷ তাঁরাই সেই সংস্থার নেতা৷

রাষ্ট্রহীন নাগরিক---অমানবিক রাষ্ট্র

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গিলোটিন, গ্যাস চেম্বার নরহত্যার নানা নৃশংস পদ্ধতি ইতিহাসে উল্লেখ আছে৷ কিন্তু মানুষকে এমন তিলে তিলে দগ্ধে দগ্ধে মারা এও তো কম নৃশংস নয়৷ কার দোষ আর কে বলি হচ্ছে! সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মধ্যযুগীয় বর্বরতার চেয়ে এ কম কীসে? অসহায় মানুষগুলোর কি দোষ! দোষ যদি কারো হয় সে তো রাষ্ট্রের কর্ণধারদের৷ ক্ষমতার লিপ্সা, সাম্প্রদায়িক জিঘাংসা, অপরিণামদর্শী দিশাহীন নেতৃত্ব, বিভেদ, সংঘাত আর দায়ী দেশভাগ৷ তবু সেই নেতৃত্বকে কোন জবাব দিতে হয়নি৷ কোনও প্রমাণ দাখিল করতে হয়নি৷ নিস্ব হয়ে আদালতের দুয়ারে গিয়ে দাঁড়াতে হয়নি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায়৷

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

অজস্র বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ আমাদের মাতৃভূমি এই ভারতবর্ষ৷ ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, জাতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাত্রবর্ণ, সামাজিক রীতিনীতি, কৃষ্টি সংস্কৃতি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত মানুষের বাস এই বিশাল দেশে৷ কশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত এই দেশ ভূসম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ,  প্রাণী ও মানবসম্পদে সমৃদ্ধ৷ এছাড়া রয়েছে জলবায়ু, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশগত বিভিন্নতা৷ এত বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতা সত্ত্বেও  সমগ্র দেশ মিলনের ঐতিহ্যে মৈত্রীর বাঁধনে একসূত্রে গাঁথা৷ এই দেশের মহান আধ্যাত্মিকতার আদর্শ, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্র্চ, ভারতবাসীগণের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সুদূঢ় অতীতকাল থেকেই বিভিন্ন দেশের মানুষ

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (potentiality)