আনন্দনগরে শীতবস্ত্র বিতরণ
গত ২৯শে নভেম্বর আনন্দনগর সংলগ্ণ বাগলতা গ্রামে দুঃস্থ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়৷ কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করেন আনন্দনগরের রেক্টার মাস্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ ৬২ জন মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়৷
গত ২৯শে নভেম্বর আনন্দনগর সংলগ্ণ বাগলতা গ্রামে দুঃস্থ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়৷ কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করেন আনন্দনগরের রেক্টার মাস্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ ৬২ জন মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়৷
গত ২৯শে নভেম্বর আনন্দনগর সংলগ্ণ জেলাডি গ্রামে সুরেশ কেওট ও লক্ষ্মী কেওটের দ্বিতীয় পুত্রের নামকরণ অনুষ্ঠান হয়,‘আনন্দমার্গে চর্র্যচর্য’ বিধিতে৷ ওই উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত, তিনঘন্টা, অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷
আনন্দনগর ঃ গত ১৪ই নভেম্বর দীপাবলী উৎসব উপলক্ষ্যে ভোর ৫টা থেকে বিকেল৫টা পর্যন্ত ১২ঘন্টার অখণ্ড কীর্ত্তন পরিবেশিত হয় আনন্দরেখা ভবনে (রাঢ় গবেষণা কেন্দ্র)৷ আনন্দনগরের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে কীর্ত্তনের আধ্যাত্মিক স্পন্দনে উপস্থিত ভক্তমণ্ডলী এক স্বর্গীয় আনন্দে আপ্লুত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা স্বাধ্যায়ের পর স্থানীয় গ্রামের ছেলে মেয়েদের দ্বারা প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান সকলকে মুগ্দ করে৷ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত৷ সমগ্র অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রেক্টর মাস্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷
আনন্দনগর ঃ আনন্দনগর সংলগ্ণ চিতমু গ্রাম নিবাসী শ্রী নিরঞ্জন গরাই তাঁর নবনির্মিত ভবনে মার্গীয় শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী গৃহপ্রবেশ করেন গত ২৫ নভেম্বর৷ আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি মেনে প্রত্যুষে প্রথমে বাড়ীর গৃহকর্তী ও তাঁর সঙ্গে অন্যান্য মহিলারা শঙ্খ বাজিয়ে গৃহে প্রবেশ করেন৷ এরপর পরিবারের পুরুষ সদস্য আত্মীয় পরিজন ও অতিথীবৃন্দ গৃহে প্রবেশ করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আনন্দমার্গের প্রবীন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত৷
আনন্দনগর ঃ আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্তিজী গভীর মমত্ব দিয়ে রাঢ়ের গৌরবময় অতীতকে তুলে ধরেছেন৷ তাঁর রচিত ওই সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়ে৷ রাঢ় বাঙলার গৌরবময় অতীত কথা বলেছে৷ রাঢ় গবেষণা করার জন্যে তিনি তার পুস্তকে বলেছিলেন৷ ১৪ই নভেম্বর প্রায় চল্লিশবছর পরে আনন্দনগরে রাঢ় মিউজিয়ামের উদ্বোধন হয়৷
গত ২৯শে নভেম্বর চিতমু নিবাসী শ্রী মন্টু গরাই-এর নাতি তপোময়ের জন্মদিন পালিত হয় আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধি অনুসারে৷ স্থানীয় মার্গীভাইবোন ও সন্ন্যাসী দাদা-দিদিদের উপস্থিতিতে প্রভাত সঙ্গীত, ‘বাবা নাম কেবলম্’ অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন, সমবেত সাধনা ও বর্ণময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপিত হয়৷
বর্ধমান জেলার বামুনপাড়ায় আনন্দমার্গ ইয়ূনিহাবার্র্সল রিলিফ টিম মহিলা শাখার পক্ষ থেকে গত ২৯ শে নভেম্বর একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ গ্রামের শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয় ও দুঃস্থ মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়৷
গত ২৭শে নভেম্বর---নওয়া পাড়ায় একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ১৮৫ জন মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়৷ ২৬শে নভম্বর রাজারামতলাতেও চিকিৎসা শিবির হয়৷ শিবিরগুলির ব্যবস্থা করেছিলেন অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা ও অন্যান্য মার্গীভাইবোনেরা গত ২৫ নভেম্বর দোলপাড়ায় চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷
হাওড়া জেলার রাণীহাটি শিশুসদনে ভাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থানীয় ইয়ূনিট, দক্ষিণেশ্বরের নালন্দা ও আনন্দধারা নামে দুইটি সমাজসেবী সংস্থার উদ্যোগে একটি মনোরম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ওই দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে শিশু সদনের শিশুদের হাতে নানা উপহার তুলে দেওয়া হয়৷
গত ৩০শে নভেম্বর হাওড়া আমতা ব্লকের গাজীপুরে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের স্থানীয় ইয়ূনিটের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্যে একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয় অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে৷ প্রায় দুইশতাধিক মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান৷ অসুস্থদের প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়৷ এছাড়া যোগাসন, তাণ্ডব ও কৌশিকী নৃত্যের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ শ্রী জয়ন্ত শীল আকু প্রেসারের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের প্রশিক্ষণ দেন৷
হাওড়া জেলার বিশিষ্ট মার্গী শ্রী নিমাই রানা দীর্ঘ রোগ ভোগের পর পরলোক গমন করেন৷ গত ২৯শে নভেম্বর লিলুয়া থানার খালিয়া গ্রামের বাসভবনে পরলোকগত রানার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত৷ শ্রী রানার কর্মজীবনের স্মৃতিচারণা করেন শ্রী বকুল রায়, ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা প্রমুখ৷