September 2021

বাসনা

কৌশিক খাটুয়া

মরণের পরে আসি যদি ফিরে

প্রভু এ ধরায় জন্ম দিও,

এই ধরনীর জল, বায়ু, নগ

তটিনী, সিন্ধু আমার প্রিয়৷

অরন্যের মর্মর ধবনি---

সে কি শুধু তব কথা কয়,

বায়ু প্রবাহ দিকে দিকে ধায়

চিরকাল তব বারতা বয়৷

তটিনী আজও কুলু কুলু রবে

তোমারই গান গায়,

লহরী তাহার করিছে নৃত্য

সিন্ধুর পানে ধায়৷

গিরিরাজ আজ মৌন রয়েছে

অব্যক্ত তার ব্রত,

অজানা কারণে কার কথা মনে

শির সদা উন্নত৷

ধন্য ধরনী হলো গববিনী

পরমপিতার আগমণে,

ধরার ধূলি মাথায় তুলি

যে ধূলির পরশ শ্রীচরণে৷

প্রাউট সঙ্গীত

সাক্ষীগোপাল দেব

বিশ্বভুবন ঘুরে এলাম

ভরল না মন ভাই

বাংলা মায়ের  মতক এমন

কোথাও দেখি নাই৷

কোথায় এমন ছয়টি ঋতু

সাতটি রঙে সাজে

সকাল সাঁঝে পাখীর কুজন

সুর হয়ে কাণে বাজে৷

রঙ ছড়িয়ে প্রজাপতি

হাওয়ায় উড়ে ইতিউতি

মৌমাছিরা মধুর লোভে

ফুলে ফুলে ধায়৷৷

নীল আকাশে অর্কপ্রভা

রাতে তারা চন্দ্র শোভা

জলভরা মেঘ কখনো বা

মলয় পবণ রায়৷৷

কত নদী ঝর্ণাধারা

সাগর মাঝে হয় যে হারা

ভাটিয়ালী বাউল গানে

মন হারিয়ে যায়৷৷

কাঁসর ঘন্টা আজানের সুর

মিলেমিশে হয় যে মধুর

রাখী-বন্ধনের উৎস

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

শ্রাবণী পূর্ণিমায় রাখী-বন্ধন একটি সর্বভারতীয় উৎসব৷ তবে হিন্দী-ভাষাভাষী অঞ্চলে যেমন নারীপুরুষ নির্বিশেষে একে অপরের হাতে রাখী পরিয়ে দেয় বাংলাদেশে ঠিক এতটা নির্বাধ রাখীবন্ধন হয় না৷ এখানে কেবল বোনেরাই ভাইদের হাতে রাখী বেঁধে দেয়৷

‘‘গোলোক বৃন্দাবন’’

গ্রামে যাত্রাগান চলছে৷ গীতাভিনয়*(সেকালে ভাল ৰাঙলায় যাত্রাকে ‘গীতাভিনয়’ বলা হত৷) হচ্ছে জমিদার বাড়ীর সামনেকার প্রকাণ্ড মাঠে৷ যার যা পার্ট সে পার্ট তো সে করছেই উপরন্তু সবাইকার চেষ্টা কোনোক্রমে জমিদারৰাৰুকে কিছুটা সন্তুষ্ট করে দিয়ে কিছু বখ্শিস আদায় করা৷ এই ধরনের ব্যাপার সেকালকার ৰাঙলায় খুব চলত৷ যার এলেম*(*মূল শব্দটি ‘ইল্ম্’ যার থেকে ‘আলিম্’ শব্দটি এসেছে৷) তেমন নেই সেও জমিদারের খোশামোদ করে দিয়ে বখশিসের ব্যবস্থা করে নিত৷ সেই যে গল্পে আছে না–

মানালী ভ্রমণ

আশীষ দত্ত রায়

পূর্বপ্রকাশিতের পর,

কোনও স্থানে অটল, স্থিতিশীল হয়ে রইলে অঞ্চলের সুবিধাগুলি নিশ্চিত ভোগ করা যায়৷ কিন্তু অসুবিধা গুলোকেও অনিবার্যভাবে দুর্র্ভেগ করতে হয়৷ তাই একটা রীতির মাথায় রেখে পথ চলতে হয়৷

সুর-নর-মুনি কি এহি রীতি৷

স্বার্থ লাগি করে সব প্রীতি৷৷

শিশল

শুধুমাত্র কুড়ি ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হলেই শিশলের পক্ষে যথেষ্ট৷ তাই শুষ্ক অঞ্চলে শিশল ভালই জন্মায়৷ শিশলের উৎপত্তি পূর্ব আফ্রিকায়৷ ৰাংলার বীরভূম জেলা থেকে শিশলের গাছ আনানো যেতে পারে৷ শিশল ক্যাকটাসের মত স্যাকুল্যান্ট প্রজাতির গাছ৷ গাছের নীচ থেকেই এক পুরু ও শক্ত দণ্ড ওপরে ওঠে আর তার মাথায় ফুল আসে৷ এর পাতা থেকে যে তন্তু পাওয়া যায় তা দিয়ে দড়ি তৈরী হয়৷ এখানে শিশল প্রচুর সংখ্যায় আছে৷

পথিতরু  হিসেবে শিশল লাগানো উচিত বা রাস্তার ধারে বা নদীর  তীরে অন্য ৰড় গাছের মধ্যিখানে বা জমির সীমানা-রেখায় লাগানো যেতে পারে৷ নদীর উভয় তীরে যেখানেই ভূমিক্ষয়ের  সম্ভাবনা আছে সেখানেই শিশল গাছ লাগানো উচিত৷

গাজর

গঙ্গার উভয় তীরে উর্বর জমিতে গাজর খুব ভাল জন্মায়৷ আশ্বিন মাসে জমিতে চার বার  চাষ দিয়ে গাজর লাগাতে হবে৷ শুকনো গোবর সার বা কম্পোস্ট ব্যবহার করতে হবে৷ বার ঘন্টা ৰীজকে জলে ভিজিয়ে রেখে তারপর শুকিয়ে নিয়ে জমিতে লাগাতে হবে৷ পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহে বা মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহে গাজর তৈরী হয়ে যাবে৷ ব্রোকোলির মতই গাজর উষ্ণ আৰহাওয়ায় জন্মাবে তবে ৰীজ হবে না৷ তাই এ সম্বন্ধে গবেষণা হওয়া উচিত৷

ফুটবলে ভারতকে জয়ের মুখ দেখালেন আকাশ

গত ১৬ই আগষ্ট ফুটবলপ্রেমী দিবসে এ বার রাজ্য সরকার ও আইএফএ পালন করল ‘খেলা হবে’ দিবসও৷ তাই গত সোমবার সন্ধ্যায় আইএফএ একাদশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে ভারতীয় দল৷ প্রণয় হালদার, রহিম আলিদের নিয়ে গড়া জাতীয় দল ১-০ হারায় আইএফএ একাদশকে৷ দুই অর্ধে ২৫ মিনিট করে খেলা ম্যাচে গোলদাতা ভারতীয় দলের আকাশ মিশ্র৷ স্তিমাচ বলছেন,‘‘এরকম ম্যাচ আরও খেলতে হবে৷ অতিমারির এই সময় প্রতিপক্ষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ ছেলেরা অনুশীলন না করে নামায় ৪৫ মিনিট খেলার জন্য তৈরি ছিলাম না৷’’

কোহলীর ব্যাটে রানের পরিমান কম কে ন --- জানালেন সচিন

আগের ইংল্যাণ্ড সফরে ঝুরি ঝুরি রান করলেও এবার দু’টি টেষ্টের একটি ইনিংসেও দাগ কাটতে পারেননি তিনি৷ কোথায় সমস্যা হচ্ছে কোহলীর? এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন সচিন তেণ্ডুলকর৷

সচিনের মতে, কোহলীয় পায়ের নড়াচড়া আগের মতো হচ্ছে না৷ পাশাপাশি আড়াআড়ি শট খেলার প্রবণতাও বিপদ ডেকে আনছে৷ সচিনের কথায়, ‘‘বিরাটের শুরুটা ভাল  হচ্ছে না৷ মানসিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকার কারণেই টেকনিকে ভুল হচ্ছে৷ যদি শুরুটা ভাল না হয় তখন মনের মধ্যে অনেক চিন্তা আসে৷ সেই অতিরিক্ত চিন্তার কারণেই বাকি দিকগুলির কথা খেয়াল থাকে না৷ ব্যাটসম্যানদের৷’’

শাশ্বত শান্তির কোলে শান্তিরঞ্জন পাইন

পার্থিব জগতের কর্ম সমাধা করে পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিলেন শান্তিরঞ্জন পাইন৷ তিনি আনন্দমার্গের একজন আদর্শপরায়ণ ও একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ গত ২৩শে আগষ্ট সকাল সাত ঘটিকায় তিনি একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বৎসর৷ পরাধীন ভারতবর্ষে ১৯৩৪ সালে ১লা সেপ্ঢেম্বর শান্তি পাইনের জন্ম৷ বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন৷ স্ত্রী গত হয়েছেন আগেই৷ তাঁর দুইপুত্র এক কন্যা বর্তমান৷