March 2022

প্রজ্ঞানন্দকে নিয়ে চর্চা ক্রীড়ামহলে

ভাবলে অবাক হতে হয়, কুড়ির কম বয়সি এই পাঁচজনই এখন ২৬০০-র উপরে এলো রেটিংয়ে থাকা ভারতীয় দাবাডু৷ গুকেশ যেমন ১২ বছর বয়সে গ্র্যাণ্ডমাস্টার হয়েছে৷ অর্জুন চমকে দিয়েছে টাটাস্টিল চ্যালেঞ্জারের মতো কঠিন টুর্ণামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়৷ নিহাল সব চেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে৷ কমনওয়েলথে চ্যাম্পিয়ান রৌনকও৷ প্রজ্ঞা তো বিশ্বচ্যাম্পিয়নকেও হারিয়ে এখন খবরের শিরোনামে৷ ওদের  দেখে নিজের ছোটবেলার কথাও ভাবি৷ একটা সময় বন্ধুদের  কোনও অভিভাবকও চাইতেন না তাঁদের ছেলে আমার সঙ্গে মিশুক৷ যদি দাবায় নেশাগ্রস্ত হয়ে ওঠে?

সেদিনের কথাm আজও প্রাসঙ্গিক

‘‘উদ্যাম নিষ্ঠুরতা আজ ভীষণাকার মৃত্যুকে জাগিয়ে তুলছে সমুদ্রের তীরে তীরেদৈত্যরা জেগে উঠছে মানুষের সমাজে৷ মানুষের প্রাণ যেন তাঁদের খেলার জিনিস৷ মানুষের ইতিহাসে এই দানবিকতাই কি শেষ কথা? মানুষের মধ্যে এই-যে অসুর এই কী সত্য? .............................

পশ্চিমের আকাশে বিশ্বযুদ্ধের  প্রলয় দীপ্তি - ইউক্রেনে রুশ হামলা-পশ্চিমী দুনিয়া ফুঁসছে

আশঙ্কা সত্যিকরে বর্বরতার নখদন্ত বার করে ইউক্রেনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে রুশ সেনা৷ এই মুহূর্তে ইউক্রেনের শহরে শহরে বর্বরতার বিভৎস রূপ প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ববাসী৷ প্রত্যক্ষভাবে ঝাঁপিয়ে না পড়লেও ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাল্টা জবারের হুংকার ছাড়ছে আমেরিকা সহ ইয়ূরোপের শক্তিশালী দেশগুলি৷ যুদ্ধবাজদের করাল গ্রাস থেকে ইউক্রেনে স্কুল, হাসপাতাল কিছুই বাদ যাচ্ছে না৷ যথারীতি যুদ্ধের আবহ বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে৷ ইউক্রেনবাসী মরছে রুশ হামলায়৷ জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে তৃতীয় বিশ্বের সাধারণ মানুষের৷ রুশ সামরিক শক্তি যত সহজে ইউক্রেন দখল করবে ভেবেছিল তা হচ্ছে  না৷ প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ

আমরা বাঙালীর ভাষা দিবস পালন

গত ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণে  হাওড়ায় বিভিন্ন জায়গায় স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ একটি গাড়ীতে মাইক যোগে ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকরা রানীহাটীতে সমবেত হয়৷সেখানে ভাষা-শহীদদের স্মরণে একটি সভা করেন, এরপর গাড়ী করে ধূলাগড়, আলমপুর, আন্দুল ও মৌড়ী স্টেশনে সভা করে ‘আমরা বাঙালী’৷ এই সব সভায় বক্তব্য  রাখেন প্রদীপ খাঁড়া, গোপা শীল,কৌস্তভ সাহা, ভারতী কুন্ডু, বিপ্লব শীল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ এইসব সভায় বহু সাধারণ মানুষ আমরা বাঙালীর সমর্থনে এগিয়ে আসেন৷

পুরনির্বাচনে শাসক দলের জয়ের ধারা অব্যাহত

রাজ্যে ১০৮ পুরসভা নির্বাচনেও শাসকদলের জয়ের ধারা অব্যাহত৷ ১০২ টি পুরসভা এককভাবেই দখল করেছে শাসক দল তৃণমূল৷ একইভাবে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির পতন অব্যাহত৷ বামদল একটি পুরসভা দখল নিলেও বিজেপির ভাঁড়ার শূন্য৷ রাজ্য বিজেপির নেতাদের নিজস্ব গড়েও পর্যদস্তু বিজেপি৷ ৪টি পুরসভায় কোন দল গরিষ্ঠতা পায়নি৷ দার্জিলিং-এ বিজেপি বিমলগুরুং-এর দলকে পিছনে  ফেলে জয়ী হয়েছে নবাগত হামরো পার্টি৷

এই নির্বাচনী ফল সংসদীয় গণতন্ত্রের কাছে অশনীসংকেত

সম্প্রতি তিন দফায় রাজ্যে ১১৪টি পুরসভার নির্বাচন হয়৷ নির্বাচনে শাসকদল বিরোধীদের নিশ্চিহ্ণ করে ব্যাপকভাবে জয় লাভ করে৷

বিশিষ্ট প্রাউটতাত্ত্বিক শ্রীপ্রভাত খাঁ পৌর নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বলেন---এই ভাবে শাসকদলের একতরফা জয় সংসদীয় গণতন্ত্রের কাছে অশনী সংকেত৷ যদিও বিরোধীরা এই ফল মানতে নারাজ৷ তাদের অভিযোগ শাসক দল রিগিং ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নির্বাচনে জয় লাভ করেছে৷ এই ফল জনগণের রায় নয়৷

সেবামূলক আদর্শের রূপায়ণেই দধীচি দিবসের সার্থকতা

প্রভাত খাঁ

আনন্দমার্গের ইতিহাসে জামালপুর, পটনা, রাঁচি, কলকাতা আর আনন্দনগর (পুরুলিয়ার বাগলতা) চিরস্মরণীয় হয়ে আছে ও থাকবে৷ আনন্দনগরের বুকে আনন্দমার্গের প্রবক্তা মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ দর্শনের বাস্তবায়ন শুরু করেন৷

ওঁ–কার ও ইষ্টমন্ত্র

এখন সংক্ষেপে ‘‘ওঁকার ও ইষ্টমন্ত্র’’ সম্বন্ধে তোমাদের কিছু বলব৷ জেনে বা না জেনে প্রতিটি জৈবিক সত্তা পরমপুরুষকে ভালবাসে, তাঁর ভালবাসা পেতে চায়৷ আর সৃষ্টির ঊষালগ্ণ থেকেই (আমি মানুষের সভ্যতার শুরু থেকে না বলে বলছি মানুষ সৃষ্টির প্রথম অবস্থা থেকে) তাদের সমস্ত আশা–আকাঙক্ষা জ্ঞাতে–জ্ঞাতে সেই পরমপুরুষের দিকেই প্রধাবিত হয়ে চলেছে৷

ওঁম্–কার কী? বেদে ওঁম্–কার সম্বন্ধে বলা হয়েছে–

‘‘সবে বেদা যৎপদমামনন্তি তপাংসি সর্বাণি চ যদ্ বদন্তি৷

যদিচ্ছন্তো ব্রহ্মচর্যং চরন্তি তত্তে পদং সংগ্রহেণ ব্রুবীম্যোমিত্যেতদ্৷৷’’

শিক্ষার পদ্ধতি

শিক্ষাদানের পদ্ধতি  কীরকম হওয়া উচিত তা চিরকালেরই এক জটিল প্রশ্ণ৷ মানুষের মনের ওপর পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম৷ যে পরিবেশে একজন জন্মায়, বেড়ে ওঠে, তার প্রভাব জীবনের শেষক্ষণ পর্যন্ত সেই মানুষটির ওপর কার্যকরী থাকে৷ একজন যেভাবে শিক্ষা পেল সেই অনুযায়ী তার মানসিক সংরচনাও তৈরী হয়৷ আর মানুষের জীবনে শারীরিক সামর্থ্যের চেয়ে মানসিক ক্ষমতার প্রভাব অনেকগুণ বেশী শক্তিশালী ৷

‘দধীচির আত্মত্যাগ ব্যর্থ হয়নে’

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৃথিবীর ইতিহাসে কোনও মহান আদর্শ বিনা বাধায় প্রতিষ্ঠিত হয় নি৷ এই সত্য কথাটি আনন্দমার্গের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ পাণ্ডব বর্জিত অখ্যাত গ্রাম পুরুলিয়া জেলার বাগলতা–যেখানে দিনে শেয়ালের ডাক শোনা যেত সেই অতি দরিদ্র গ্রামের স্থানীয় কিছু মানুষ উদরের ক্ষুণ্ণিবৃত্তির জন্যে এখানে ওখানে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত পশু শিকারের জন্যে বা ঘাসের বীজ সংগ্রহ করত সেই শ্মশান ডাঙ্গায়৷ মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শত শত গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী–সন্ন্যাসিনীদ্ নিয়ে ও মার্গের গৃহী অনুগামীদের সহায়তায় বিশ্বের কল্যাণে এখানে এক সর্বানুসূ্যত আদর্শ আশ্রম গড়ে তোলেন অতি অল্প কয়েক বছরের মধ্যে আর স্থানটির নামকরণ করলেন ‘আনন্দনগর’৷ যাকে বলা