March 2023

২০২৬ এর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে নিজের জায়গা পাকা করলো আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডা

গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ৷ এর মধ্যেই ২০২৬ এর বিশ্বকাপের দামামা বেজে উঠেছে৷ সেই বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে আমেরিকা, মেক্সিকো ও কানাডা৷ ফিফা সরকারি ভাবে জানিয়েছে যে এই তিন দেশই বিশ্বকাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছে৷ ফলে যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ খেললেও সেই ফল বিবেচিত হবে না৷

আমেরিকা ও মেক্সিকো প্রায় বিশ্বকাপেই যোগ্যতা অর্জন করে৷ তবে কানাডার কাছে এটা দারুণ সুযোগ৷ কাতারে ৩৬ বছর পর যোগ্যতা অর্জন করেছিল তারা৷ পরের বার নিজেদের ঘরের মাঠেই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে৷ মোট ১৬টি শহরে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে৷

দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্টে হারিয়ে সরাসরি তৃতীয় টেস্ট খেলতে যায়নি ভারতীয় দল

দিল্লি টেস্ট জিতে সরাসরি তৃতীয় টেস্ট খেলতে যায়নি ভারতীয় দল৷ কারণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মধ্যে অনেক দিনের তফাত৷ তাই ক্রিকেটাররা নিজের নিজের বাড়ি চলে গেছে৷ তৃতীয় টেস্ট হবে ১লা মার্চ৷ এই দুই টেস্টের মাঝে সাত দিনের তফাত ছিল৷ তাই আড়াই দিনে খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দু’দিন হাতে পেয়েছেন ক্রিকেটাররা৷ সেই সময়কে কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা৷

বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে জানা গেছে আবার আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারী ইনদওরে জড়ো হবে  সবাই৷ কারণ ১লা মার্চ থেকে ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হচ্ছে হাতে অনেকটা সময় আছে তাদের৷ ২৫শে ফেব্রুয়ারীর পর তারা আর বাড়ি কেউ যাবে না টানা ম্যাচ খেলতে হবে তাদের৷

বাকুলদায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী বিকাল চারটে থেকে সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত বাকুলদা ইয়ূনিটের বরিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীযুক্ত কালীকৃষ্ণ কালসার মহাশয়ের বাড়িতে তিন ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত  হয়৷ এর পর মিলিত সাধনা , গুরুপূজা ও স্বাধ্যায় পাঠ হয়৷ প্রায় চল্লিশজন মার্গী দাদা দিদি আধ্যাত্মিক অনুভূতি লাভ করেন৷ শেষে নারায়ণ সেবা করানো হয়৷ একজন আনন্দমার্গের বিজ্ঞান ভিত্তিক সাধনা পদ্ধতি শেখেন৷

আপ্তবাক্য

‘‘ ...কুযুক্তির  ধবজাধারীরা ধর্মের ভেক ধরে নিপীড়িত  মানুষ-সমাজকে  বোঝাতে চায় যে তাদের এই অর্থকৃচ্ছতাপ্রসূত  লাঞ্ছনা, অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব, চিকিৎসাভাব, গ্রীষ্মে রোদে পোড়া, শীতে কুঁকড়ে  জমে মরা এগুলো সমস্তই  নাকি বিধিলিপি পূর্বকৃত কর্মের প্রতিক্রিয়া৷ কিছুদিন পূর্বে জনৈক    কোটিপতিকে কোন একটি  সভায় বলতে শুণেছিলুম যে আজকের  সমাজে  গীতার কর্মবাদ ভালভাবে প্রচার করা  দরকার কারণ এই কর্মবাদকে নাকি ভালভাবে বুঝতে  পারলে ডাষ্টবিনের  এই নিপীড়িত নরকঙ্কালের  দল  তাদের দুর্দশার  জন্য আর পুঁজিবাদীগণকে দোষ দেবে না তারা সহজ ভাবেই তাদের দুদৈবকে মেনে নেবে৷                             

স্মরণিকা

* শত্রু শক্তিশালী হলে লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করাই শ্রেয়৷

* শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধে নামার আগে নিজের এবং তার শক্তি সম্বন্ধে ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত৷

* শক্তিমান হলেই দুর্বলের সঙ্গে শত্রুতা করা বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়৷

* দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন, মানীকে মান্য করা, গুরুজনের সেবা করা, আর ধর্মে অবিচল ভক্তি রাখাই মানুষের কর্তব্য৷

* আত্মরক্ষার্থে বিষহীন সাপকেও ফণা তুলে তেড়ে যেতে হয়৷        ---পঞ্চতন্ত্রর নীতি

 

নারী পুরুষের মমতাময়ী জননী-এটাই নারীর সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরব ও পরিচয় নিউব্যারাকপুরে গার্লস প্রাউটিষ্টের আলোচনা সভা

গত ২৬শে ফেব্রুয়ারী উঃ২৪ পরগণার নিউব্যারাকপুর শহরে রামকৃষ্ণ পাঠাগারে গার্লস প্রাউটিষ্টের নিউব্যারাকপুর শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ আলোচনার বিষয় ছিল ‘‘মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল ৪.২৫ মিনিটে৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধান অতিথি নিউব্যরাকপুর মাসুন্দা উচ্চমাধ্যমিক গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতী কাকলী সরকার৷ এরপর পুষ্পস্তবক দিয়ে---সভাপতি অবধূতিকা আনন্দসুমিতা আচার্যা, প্রধান অতিথি শ্রীমতী কাকলি সরকার, বিশেষ অতিথি গার্লস প্রাউটিষ্টের কেন্দ্রীয়  সচিব অবধূতি

তেলিয়ামুড়া ও শিলচরে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ২৭,২৮,২৯শে জানুয়ারী ত্রিপুরা রাজ্যের আনন্দমার্গ স্কুলে তিন দিনের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সভায় ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে আনন্দমার্গের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন৷

প্রশিক্ষক হিসেবে গিয়েছিলেন কলকাতা থেকে আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল ব্রহ্মভাব ও মানব জীবন, প্রগতি ও পঞ্চবেদনা, আনন্দমার্গ যোগ সাধনার বৈশিষ্ট্য ও সংগচ্ছধবং৷ আচার্য সুধাক্ষরানন্দ আলোচনা করেন ব্রহ্মভাব ও মানবজীবন ও যোগসাধনার বৈশিষ্ট্য বিষয়৷ মন্ত্রসিদ্ধানন্দ আলোচনা করেন সংগচ্ছধবং, প্রগতি ও পঞ্চবেদনা বিষয়ে৷

বিদ্রোহী বাঙলা : অত্যাচারী কাজীর বিরুদ্ধে শ্রীচৈতন্যদেবের গণবিদ্রোহ

সুকুমার সরকার

শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাব মূলত ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে৷ কিন্তু সমাজ সচেতনতা ও গণজাগরণেও তাঁর ভূমিকা কিছু মাত্র কম ছিল না৷ বরং তৎকালীন সমাজ-সামাজিকতার প্রশ্ণে গণজাগরণ ও গণ-বিদ্রোহের ক্ষেত্রে তাঁকে বলিষ্ঠ নেতৃত্বকারীও বলা যায়৷ আর তাঁর বলিষ্ঠতার পেছনে মূল প্রেরণা ছিল ওই বিদ্রোহী বাঙালি সত্তা৷ বাঙালি জাতি যে চির বিদ্রোহী, তা যেকোনো প্রেক্ষাপটেই হতে পারে৷ হোক তা ধর্মীয় ভাবে, কিংবা সামাজিক ভাবে, কিংবা রাষ্ট্রনৈতিকভাবে৷ যখন যেখানে যেভাবে প্রয়োজন পড়েছে বাঙালি তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে নিজেদের অধিকার, স্বাধীকার ও প্রাণধর্ম বজায় রাখতে৷ সেই ধারাতেই শ্রীচৈতন্যদেবের বিদ্রোহ৷ আর এই বিদ্রোহের রূপ ছিল কীর্তন সহ

বেদে উল্লেখিত সরস্বতী

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

ৰজ্রযানী তন্ত্রের যুগে তিন ধরণের তারা ছিলেন৷ ভারতে পূজিতা হতেন উগ্রতারা আর চীনে ভ্রামরী তারা৷ ভ্রামরী তারা বলা হ’ত কেননা রঙটা ভ্রমরের মত কালো৷ আর কিংপুরুষবর্ষে (সংস্কৃতে তিববতকে কিংপুরুষবর্ষ বলা হয়)৷ কেন ৰলা হয় তাও জেনে রাখো৷ তিববতে পুরুষ আর মেয়েদের পোষাক- পরিচ্ছদ অনেকটা এক রকমই-ঢিলাঢালা আলখাল্লা৷

তাই দূর থেকে ৰোঝা যায় না কে পুরুষ আর কে নারী৷ তাই ‘কিংপুরুষঃ’ মানে---ও কি পুরুষ? এটা বুঝতে গোলমাল হচ্ছে৷ তাই ‘কিং পুরুষঃ’---ও কি পুরুষ? আর ‘বর্ষ’ মানে দেশ৷ তাই ‘কিংপুরুষবর্ষ’ মানে যে দেশে পুরুষদের দেখে ৰোঝা যায় না ওরা পুরুষ কি না৷

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাই প্রকৃত উন্নয়নের মাপকাঠি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট) করে উন্নয়নের ঢাক পেটাচ্ছেন নেতামন্ত্রীরা৷ কিন্তু জিডিপির সঙ্গে আমজনতার সম্পর্ক কতটুকু৷ জিডিপি কমা, বাড়ার সঙ্গে দেশের সার্বিক বিকাশ নির্ভর করে কি? পুঁজিবাদী দুনিয়ায় যেখানে সম্পদের সিংহভাগ দখল করে বসে থাকে  মুষ্টিমেয় কয়েকজন সেখানে জিডিপি দেখিয়ে উন্নয়নের দাবী চরম মিথ্যাচারিতা৷