April 2024

মুষ্টিমেয় ধনিদের স্বর্গরাজ্য ভারত

প্রভাত খাঁ

সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় ভারতে আর্থিক বৈষম্য গত ১০ বছরে ব্রিটিশ আমলকে ছাড়িয়ে গেছে৷ শুধু আর্থিক নয় দেশে এখন গণতন্ত্রও বিপন্ন, স্বৈরাচার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে৷ মনে রাখা খুবই দরকার তা হলো গণতন্ত্রেই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাটা খুবই জরুরী৷ বিশেষ করে ভারতের  মতো বিরাট দেশে  যেখানে বহু রাজ্যের ও বহু ভাষাভাষীর দেশ৷ ভারতীয় সংবিধানও হলো বিশ্বের বৃহত্তম সংবিধান৷ যেখানে বহু পরিশ্রমে রাষ্ট্রনেতাগণ এই সংবিধান ঘটন করেন৷

প্রসঙ্গ ঃ গণতান্ত্রিক নির্বাচন

ৰলা হয়, গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের জন্যে, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন৷ শূদ্র যুগের পর গোষ্ঠীপতিদের হাতে ক্ষমতা স্থানান্তরিত হয়৷ কালক্রমে গোষ্ঠীপতিরা সামন্ত রাজা হয়ে পড়ে৷ রাজতন্ত্রের অত্যাচারের বিরুদ্ধ মনোভাব থেকে গণতান্ত্রিক মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে৷ গণতন্ত্রের ইতিহাস অতি প্রাচীন৷ কথিত হয় যে প্রাচীন ভারতবর্ষে লিচ্ছবী রাজবংশের সময়ে গণতন্ত্রের সূত্রপাত হয়৷ অত্যন্ত প্রাচীন সংঘটন ৰলে এতে কিছু বিকৃতি আসা মোটেই অস্বাভাবিক নয়৷

আচার্যের আচরণ

সমাজে সম্মানিত আর বয়স্ক লোকেদের আচার–ব্যবহার অন্যের কাছে আদর্শস্বরূপ যুগের পর যুগ ধরে মানুষ তার অনুসরণ ও অনুকরণ করে চলেঙ্গ আজ মানুষের সমাজে এক চরম দুর্দিন আর দুর্দশা সমুপস্থিত, আর তার একটাই কারণ, সমাজের ত্রুটিপূর্ণ নেতৃত্ব। মানুষ অন্ধের মত অর্বাচীন নেতাকেও অনুসরণ করে। নেতারা বড় বড় কথা, অ৷–ভি৷ আর নাটুকেপনা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে সম্মোহিত ও আকর্ষিত করে। এটা জেনে রাখবে যেকোনো দেশে, যে–কোনো মানুষের দারিদ্র্য আর দুর্দশার পেছনে রয়েছে নেতাদের পাপ। যারা যথার্থ নেতা তাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে আর ভাবতে হবে সবচেয়ে ভালভাবে মানব সমাজের সেবা কীকরে করা যায়। তাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যে তাদের নির্দেশনার

স্বাগত ১৪৩১

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

 আর একটা বছর বছর অতিক্রম করে এসে গেল বাঙ্লার শুভ নববর্ষ৷ বাংলা ১৪৩০ সাল পেরিয়ে আমরা ১৪৩১–এ পড়লুম৷ নোতুন বছরে পা দিলাম৷ এমনি এক বাংলা নববর্ষের প্রবচনে প্রাউট–প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি একাধারে মহান দার্শনিক, ইতিহাসবিদ্, ভাষাতত্ত্ববিদ্, শিক্ষাবিদ্, সঙ্গীতকার, যিনি মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমধিক পরিচিত, তিনি আত্মবিস্মৃত বাঙালী জাতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী অতীতে জীবিত ছিল, আজও জীবিত ও আমি আশা করব, ভবিষ্যতে আরও দুর্দান্তভাবে জীবিত থাকবে৷ সেই জনগোষ্ঠীকে নোতুন করে শপথ নিতে হবে–এই নোতুন বছরটা তারা কীভাবে আরও সফল করে তুলবে৷ নিজেদের অস্তিত্বকে কী

ৰাংলা নববর্ষ

আমরা  পৃথিবীর–পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরও ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোটো গ্রহটা আছে–সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে, তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলার পথে বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই৷ কমা, কোলন, সেমিকোলনের কোনো যতি চিহ্ণ নেই৷ তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ এগিয়ে সে চলেছে, চলবে৷ চলটাই তার জীবন–ধর্ম, অস্তিত্বের প্রমাণ, অস্তিত্বের প্রতিভূ হ’ল চলা৷ কেউ যদি চলতে চলতে থেমে যায়, বুঝতে হবে সে জীবনের ধর্মকে খুইয়ে বসেছে৷ সব কিছুই চলছে

অতীতের পৃষ্ঠা থেকে জন্মদ্বিশতবর্ষে - প্যারীচরণ সরকারের কিছু কথা৷

মণিমেখলা মাইতি                                             

বিস্মৃত বাঙালিকে ক্ষমা করে দিন আপনি৷ আপনি তো মুক্ত মনের মানুষ৷ এ ক্লেদাক্ত সমাজে আপনাকে আজ কোন দরকার নেই৷ সত্যিই তো, আপনার অবদান কে কবেই বা মনে রাখলো! সেই ১৮৪৭ সালের কথা কেউ মনে রাখে! সাধারণ বাড়ির মেয়েরা তখন পড়াশুনা করে না৷ মেয়েরা পড়লে বিধবা হবে, স্ত্রীশিক্ষা হল ’’কালকেউটের বিষ’’৷ তাই ধামায় করে পিতা পাঁচ বছর বয়সে কন্যাদান করেন৷ মেয়ে অন্ধকার আলোয় রাঁধে, বাড়ে, সংসার বৃদ্ধি করে৷ তার কাছে বাইরের পৃথিবী অধরা৷ এমন অবস্থায় এগিয়ে এসেছিলেন পুণ্যশ্লোক প্যারীচরণ সরকার৷ বারাসাতে কালীকৃষ্ণ মিত্র, নবীনকৃষ্ণ মিত্রের সহযোগিতায় গড়ে তুললেন সাধারণ মেয়েদের জন্য প্রথম প্রকাশ্য বিদ্যালয়৷ দেশের মধ্যে প্রথম কি?

বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি দর্শণে সূর্যগ্রহণে মিলল বহু তথ্য

৮ এপ্রিলের (সোমবার) পূর্ণগ্রাস সূর‌্যগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছিল মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডা থেকে৷ এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি এরিস-এর গবেষকেরা৷ তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস শহরে৷ উদ্দেশ্য, সূর‌্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা৷ ডালাসের ‘কটন বোল স্টেডিয়াম’-এ গ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন কমপক্ষে ১০ হাজার সাধারণ মানুষ৷ সূর‌্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার জন্য উত্তেজনায় ফুটছিলেন সকলেই৷ গ্রহণ দেখলেন তাঁরা, জানলেন সৌরজগতের খুঁটিনাটি, বিজ্ঞানের গল্প শুনলেন বিশেষজ্ঞদের থেকে৷

 নাতনিদের জব্দ করতে পাঁচকোটির সম্পত্তি থেকে মাত্র পাঁচহাজার টাকার সম্পত্তি দিলেন এক বৃদ্ধ

পাঁচ কোটির বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন বৃদ্ধ৷ সঙ্গে আরও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বাড়ি ছিল তাঁর নামে৷ তাঁর মৃত্যুর পর সন্তানদেরই সে সম্পত্তি পাওয়ার কথা৷ কিন্তু মৃত্যুর আগে উইল করে সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন বৃদ্ধ৷ বঞ্চিত করলেন পাঁচ নাতনিকে৷ অভিযোগ, শেষ জীবনে ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি৷

ফিরেও তাকাননি তাঁর দিকে৷ তাই পাঁচ কোটির সম্পত্তি থেকে তাঁদের মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধ৷ঘটনাটি ব্রিটেনের৷ দাদুর এই ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নাতনিরা৷ তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি৷ বিচারক বৃদ্ধের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিয়েছেন৷

ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল মোহন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত সঙ্গীত৷ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল ধবনাত্মক ধবনি (Positive sound)৷ ভজন, কীর্ত্তন ও ইষ্ট নাম হ’ল পজিটিভ সাউণ্ড৷ উচ্চৈস্বরে পরম পুরুষের গুণগান ক’রে পরমপুরুষকে আনন্দ দেওয়াকে কীর্ত্তন বলে৷ কীর্ত্তনে পরম পুরুষের আনন্দপ্রাপ্তি হয়৷ এই অবস্থায় ভক্ত নিজেকে ভুলে গিয়ে আত্মহারা হ’য়ে পরমপুরুষকে আনন্দ দেওয়াই হ’য়ে ওঠে ভক্তের জীবনের লক্ষ্য৷ পজিটিভ  সাউণ্ডের পরিবেশ পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের সমাবেশ হওয়ার পক্ষে অত্যন্ত  অনুকূল৷ সেদিক থেকে ৰাৰার দেওয়া অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ মন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তনে যে মনরম স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাতে কোটি কো

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের অতি প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় বনগাঁ কলেজ-পাড়া নিবাসী শ্রী গৌরীশঙ্কর বিশ্বাস মহাশয় ইংরেজী ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী গত ৮ই এপ্রিল ভোর রাত ২-৪৫ ঘটিকায় পরলোক গমন করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ (ছিয়াশী) বৎসর৷ তিনি আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ সাধক ছিলেন৷ তিনি ১৯৬৮-৬৯ সাল নাগাদ সাধনা শেখেন৷ তিনি ২০১৭ সালে বাবার জীবনীমূলক গ্রন্থ ‘তারকব্রহ্ম শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও বিশ্বায়ন’ শিরোনামে রচনা করেছেন৷ পুস্তকখানি কবিতায় লেখা ও এখানে বাবার জীবনী সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷ তাঁর নশ্বর দেহ মার্গীয় বিধিতে সৎকার করা হয়েছে বনগাঁ মহাশ্মশানে৷ তাঁর অন্তেষ্টি অনুষ্ঠানে বনগাঁ ও পার্শবর্তী ইউন