আমরা পৃথিবীর–পৃথিবী আমাদের দেশ৷ আরও ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোটো গ্রহটা আছে–সেই পৃথিবীর এক কোণে বাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে, তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ চলার পথে বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই৷ কমা, কোলন, সেমিকোলনের কোনো যতি চিহ্ণ নেই৷ তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ এগিয়ে সে চলেছে, চলবে৷ চলটাই তার জীবন–ধর্ম, অস্তিত্বের প্রমাণ, অস্তিত্বের প্রতিভূ হ’ল চলা৷ কেউ যদি চলতে চলতে থেমে যায়, বুঝতে হবে সে জীবনের ধর্মকে খুইয়ে বসেছে৷ সব কিছুই চলছে–
‘‘আকাশ পাথারে চলেছে ফুলের দল
নীরব চরণে বরণে বরণে,
সহস্র ধারায় ছুটে দুরন্ত জীবন নির্ঝরিণী
মরণের বাজায়ে কিঙ্কিনী৷’’
সেই মরণের কিঙ্কিণীকে, সেই মরণের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলতে হবে ও যে এগিয়ে চলে এইভাবে সে ইতিহাস রচনা করে৷
এই যে বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী–একটা নয়, দুটো নয়, তেরো কোটি৷ সুতরাং মরণের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলবার মতো প্রাণশক্তি তার যথেষ্ট আছে৷ এই যে ইতিহাসের পদবিক্ষেপে এই চলার পথে সঙ্কোচ–বিকাশী নিয়মটা কী –না, চলাটা একটানা নয়৷ গতিটা সংকোচ বিকাশী (ত্রম্ভব্দব্ধ্ত্রপ্তব্ধ, ত্নব্ভপ্তব্দ্ত্রব্ধন্ল)৷ এই যে ত্নব্ভপ্তব্দ্ত্রব্ধন্প্স্, ইতিহাসের এই যে ত্নব্ভপ্তব্দ্ত্রব্ধন্প্স্–এরই একটা মুখবন্ধ হয় এক একটা নববর্ষে৷ সুতরাং নববর্ষের এই যে বিরতি ও গতি (ত্ন্ত্রব্ভব্দন্দ্ব স্তু ত্রহ্মন্দ্বন্দ্বস্তু), এই বিরতির অবস্থায় যখন মানুষ একবার তাকিয়ে দেখে, পেছনে অনেককে ফেলে এসেছি, সামনে অনেক কিছু রয়েছে, অনেক কিছু করতে হবে, প্ল্যান প্রোগ্রাম সব কিছু এই দিনে বসে করতে হবে যাকে কর্মান্বিত করবো গোটা বছর ধরে৷
আজকের এই দিনটা হ’ল ব্রত স্মরণের দিন অর্থাৎ আমার ব্রতটা কী সেটা নোতুন করে স্মরণ করে রাখা৷ অতীতের ভুল ভ্রান্ত নিয়ে চিন্তা করবার দিন এইটি৷ অতীতের ভুল ভ্রান্তিগুলোকে সংশোধন করে আরও ভালো করে চলৰার স্ফূর্তি যাতে পাই সেজন্যে পরিকল্পনা করবার দিন এইটি৷
তোমরা অনেকে হয়তো জান না, বর্তমান বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠীর বয়স তিন হাজার বছরের চেয়ে ৰেশী৷ কারণ, ঋগ্বেদকে যদি ধরি পনের হাজার বছর থেকে দশ হাজার বছরের পুরোনো, যর্জুবেদকে যদি ধরি দশ হাজার বছর পাঁচ হাজার বছর পুরোনো, অর্থববেদ অবশ্যই তিন হাজার বছরের পুরোনো৷ কারণ আড়াই হাজার বছর আগে বর্দ্ধমান মহাবীর জৈনধর্মের প্রবর্তন করলেন সেই জৈন শাস্ত্রে–প্রাকৃত শাস্ত্রে অথর্ব বেদের উল্লেখ আছে৷ তার মানে, অথর্ব বেদ তার চেয়ে বেশী পুরোনো, তো তিন হাজারের বেশী পুরোনো৷ অথর্ব বেদে বাঙালার উল্লেখ রয়েছে নানাভাবে৷ তারপরে–তার অনেকদিন পরে অর্ধ–মাগধী ভাষা যখন প্রাচীন বাংলায় রূপান্তরিত হচ্ছিলো তখনও ‘বঙ্গ’ শব্দও রয়েছে, বাঙ্গালী শব্দও রয়েছে৷ অনেকে ভাবেন যে তুর্কী শব্দ ‘বাঞ্জাল’ আর ফারসি শব্দ ‘বাঙ্গাল’ থেকে বাঙলা শব্দ এসেছে, তারা ভুল করেন৷ চীনা ভাষাতেও ‘বাঞ্জাল’ শব্দটা চলেছে পাঁচ–হাজার বছর ধরে৷ চীনা ভাষায় বাঙ্লাদেশটাকেও বলা হয় বাঞ্জাল৷ সুতরাং দেশটাও পুরোনো, জনগোষ্ঠীও পুরোনো৷ আর অর্ধ–মাগধী যখন রূপান্তরিত হচ্ছে প্রাচীন বাংলায়, সেই সময়কার বৌদ্ধ যুগের কবিতাতেও বাংলা ও বাঙ্গালী শব্দ আছে৷ যেমন–‘বঙ্গে নিল জায়া৷’ বলা হচ্ছে
‘‘ভুসুকু আজি তু বঙ্গালি ভৈলি
নিয় ঘরণী চণ্ডালী লেলহি’’৷
–‘‘বঙ্গালি শব্দ রয়েছে৷ যদি এটা তুর্কী বা ফারসি থেকে আসতো তাহলে এই শব্দটার বয়স সাড়ে সাত–শ’ বছরের বেশী হতো না৷ সুতরাং এ জনগোষ্ঠীও সুদূর অতীত থেকে আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে তিন হাজার বা তার চেয়েও বেশী বছর ধরে৷ হঠাৎ জেগে ওঠা একটা বাউণ্ডারী পাওয়া রাষ্ট্রকেন্দ্রিক এই জনগোষ্ঠীটা নয়৷ রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভাঙ্গাগড়া অনেকবার হয়েছে কিন্তু জনগোষ্ঠী অনেকদিনের৷ আর অনেকদিনের পুরোনো বলেই ঐতিহাসিক অগ্রগতি হয়েছে ধাপেধাপে, সে অনেক কিছু অনেকের থেকে নিয়েছে, অনেক কিছু অনেককে দিয়েছেও সেজন্যে তার নিজস্ব পোষাক রয়েছে, মেয়েদের নিজস্ব শাড়ী পরবার পদ্ধতি রয়েছে, এর নিজস্ব পঞ্জিকা রয়েছে, ভাষা রয়েছে, লিপি রয়েছে, উচ্চারণ রীতি রয়েছে, একটা বিশেষ ধরণের সামাজিকতা রয়েছে৷ এতগুলো বৈশিষ্ট্য আমি যতদূর জানি, পৃথিবীর আর কোনো জনগোষ্ঠীর নেই৷ ইয়ূরোপে বা অন্যান্য জায়গায় এক একটা জনগোষ্ঠীকে যাকে বর্তমান ভাষায় নেশন বলা হয়–যদিও ল্যাটিন মূলধাতুটাকে যদি দেখি ‘নেশন’ শব্দের ব্যবহারে একটু সংযত, একটু সংহত হওয়া দরকার–তাহলে যে মানেতে নেশন শব্দ ধরা হয় সে মানেতে এই জনগোষ্ঠী নেশনের বাড়তি আরও কিছু–নিজের দায়াধিকারও রয়েছে৷
এইভাবে যুগে যুগে সে এগিয়েছে অনেক দূর৷ যে জনগোষ্ঠী এগিয়ে চলে তার ইতিহাসের পঞ্জীকরণের জন্যে, আর নিজস্ব কাল নিরূপণের ব্যবস্থা থাকা দরকার হয়৷ তখনকার বাঙ্লা–সমতট, রাঢ়, পৌণ্ড্রবর্ধনের বাঙ্লা–সে যুগের বাঙ্লার প্রায় সাড়ে সাতশ’ বছর ধরে রাজধানী ছিল সিংহপুর৷ বর্তমান সিংহপুর হুগলী জেলার একটি খুব ছোট শহর৷ সেই সিংহপুরে রাজা ছিলেন সিংহবাহু, তাঁর পুত্র বিজয়সিংহ লংকা জয় করে লঙ্কার নাম পালটে সিংহল রেখেছিলেন৷ বিজয় সিংহের অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যু হওয়ায় তিনি তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র পাণ্ডু বাসুদেবকে আবার সিংহপুর থেকে নিয়ে গিয়ে সিংহলের ও কেরালার রাজা করে দিয়েছিলেন৷ সেটা ৫৩৪ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ অর্থাৎ আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগেকার কথা৷ এই পাণ্ডু বাসুদেবের বংশধররা আজ কেরালার নায়ার নামে পরিচিত৷ বাঙ্লার সামাজিক উৎসবে–কোনো শুভ অনুষ্ঠানে কল্যাণকর কার্যের আগে বাঙ্লার মেয়েরা হুলুধ্বনি দেন যাকে উলু বা জোকার দেওয়া বলে৷ সেটা আজও কেরালার নায়ারদের মধ্যে পাওয়া যাবে, কারণ তাঁরা এখান থেকে গিয়ে সেখানে বাস করেছিলেন, তাই তাঁরা উলু দেন৷ সেই সিংহপুরেরই এক রাজপুত্র ছিলেন যার নাম ছিলো সহস্রবাহু, যিনি থাইদেশ জয় করে তার নাম দেন শ্যাম দেশ৷ সেই সিংহপুরের রাজা ছিলেন শালিবাহন৷ তিনি তৎকালীন ভারতে প্রচলিত সংবৎ ধারার, সংবৎ নিয়মের বিরোধিতা করলেন৷ সংবৎ গণনা করা হয় চাঁদের হিসেবে–২৯ দিনে মাস,, ৩৫৪ দিনে বছর৷ এতে ফসলের সঙ্গে ঋতুর সম্পর্ক থাকে না৷ কোনো বছর বর্ষা নামবার আগেই আষাঢ় মাস আসছে৷ কোনো বছর বর্ষা চলে যাবার পরে আষাঢ় মাস আসছে৷ এতে কর্ষকের অসুবিধা, সরকারেরও রাজস্ব সংগ্রহে অসুবিধা৷ তাই তিনি সংবৎ প্রথাকে ত্যাগ করলেন৷ ত্যাগ করে বাঙ্লা সালের প্রবর্তন করলেন৷ সোজা হিসেব–আজ থেকে ১৩৮৭* বছর আগে৷ ওড়িষ্যা, অসম, বাঙলা, আজকাল যার নাম বাঙলাদেশ ও উত্তর ভারতের জমিদারী হিসাব আজও এই নিয়মে হয়ে চলেছে৷ আকবরের সময় এরই সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হিজরী সালকে ‘লুনার’থেকে ‘সোলার’ করে দেওয়া হ’ল–নাম রাখা হ’ল ফসলি৷ সেটা শুরু হয় আশ্বিন মাস থেকে৷ আজ ‘আউশ’ ধান যখন ওঠে তখন থেকে৷ বাঙলার নিয়ম ছিল–আমন ধান যখন ওঠে তখন থেকে হবে৷ তাই বাঙলা বৎসর শালিবাহনের সময় থেকেই চলে আসছিলো, অগ্রহায়ণে মার্গশীর্ষে শুরু৷ অগ্রহায়ণ ছিলো বৎসরের প্রথম মাস৷ জ্যোতিষিক নাম মার্গশীর্ষ কিন্তু যেহেতু সেটা প্রথম মাস তাই বাঙলায় তাকে বলা হতো অগ্রহায়ণ৷ আকবরের সময় পর্যন্ত অগ্রহায়ণই ছিল বাঙলা বছরের প্রথম মাস, তারপরে ভারতীয় পঞ্জিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখবার জন্যে করে দেওয়া হলো বৈশাখ মাস৷ অগ্রহায়ণে মৃগশিরা নক্ষত্রে পূর্ণিমার অন্ত হয়৷ তাই মাসটার জ্যোতিষিক নাম মার্গশীর্ষ৷ পুরোনো বাঙলার ছড়াতেও আছে–
অঘ্রাণেতে বছর শুরু
নবান্ন হয় মিঠে৷
পৌষেতে আউলি বাউলি
ঘরে ঘরে পিঠে৷৷
মাঘ মাসেতে শ্রীপঞ্চমী
ছেলের হাতে খড়ি৷
ফাল্গুনেতে রোগ সারাতে
ফাগের ছড়াছড়ি৷৷
চৈতের গাজন বাজন
কাঁপে বাঙলা সারা৷
বৈশাখ মাসেতে সবে
চায় জলের ধারা৷৷
জষ্টি মাসে ষষ্টি বাটা
বাঁধে ষষ্ঠীর ডোর৷
আষাঢ়েতে রথযাত্রা
নাইক লোকের ওড়৷৷
শ্রাবণেতে ঝুলন দোলন
পথ্য ঘৃত মুড়ি৷
ভাদ্র মাসে পান্তা ভাত
খান মনসা বুড়ী৷৷
আশ্বিনে মা দুর্গা আসেন
কোলাকুলি করে৷
কার্ত্তিকেতে আকাশ প্রদীপ
শস্য রক্ষা করে৷৷
এই ছিলো বাঙলার বারমাস্যা৷ একে বলে বারমাস্যা৷ অঘ্রাণেতে বছর শুরু৷ আগেকার বাঙলার মেয়েরা কার্ত্তিক মাসে পিত্রালয়ে অর্থাৎ বাপের বাড়ী যেত না৷
‘কার্তিক মাস বছরের শেষ
না যেও পিতার দেশ৷৷’
অর্থাৎ অগ্রহায়ণ ছিলো প্রথম মাস৷ কিন্তু ভারতীয় গণনা পদ্ধতিতে ও সংবতের নিয়মেও বিশাখা নক্ষত্রে যখন পূর্ণিমার অন্ত হয় সেই মাসটাকে চান্দ্র বৈশাখ মাস বলে৷ সেই চান্দ্র বৈশাখ ছিলো বছরের প্রথম মাস৷ চান্দ্র বৈশাখে সূর্য যতক্ষণ মেষ রাশিতে থাকে ততক্ষণকে বলা হলো সৌর বৈশাখ৷ বাঙলা বৈশাখ সৌর বৈশাখ আর কাল সূর্য ছিলো মীন রাশিতে৷’ আজ সূর্য মেষ রাশিতে এসে গেছে৷ তাই আজ বাঙলা বছরের প্রথম দিন৷ এটা প্রবর্তন করলেন রাজা শালিবাহন৷
অনেকে বলেন, ‘সাল’ শব্দটা ফারসী সাল থেকে এসেছে৷ সেটা সত্যি হলেও হতে পারে কিন্তু বাঙলার ক্ষেত্রে সন সাল শালিবাহনের প্রবর্তন৷ রাজা শালিবাহনকে সাহায্য করেছিলেন তৎকালীন দণ্ডভুক্তির প্রসিদ্ধ জ্যোতিষী জয়ন্ত পাণিগ্রাহী (দণ্ডভূক্তি প্রাচীনকালে বলা হতো কাকে বর্তমানে যাকে মেদিনীপুর বলা হয়, মুসলমান যুগে, পাঠান যুগে, মোগল যুগে বলা হতো হিজলী পরগণা, আর প্রাচীনকালে হিন্দু যুগে বলা হতো দণ্ডভুক্তি) তিনি রাজা শালিবাহনকে সাহায্য করেন৷ নোতুনভাবে গণনা করা হয় ও বাঙলা সালের জন্ম হয়৷ সেকালে বর্তমান পশ্চিম বাঙলার দণ্ডভুক্তি, বর্ধমান ভুক্তি, সমতট ভুক্তি, পৌণ্ড্রবর্ধন ভুক্তি ও কামতাপুর ভুক্তি (কামতাপুর ভুক্তি ছিলো বর্তমান জলপাইগুড়ি, গোয়ালপাড়া, কুচবিহার ও রংপুর এই সব জেলা) –এই সমস্তই তাঁর অধীনে ছিলো আর সেইজন্যে সবাই একই সঙ্গে একই গণনা পদ্ধতি গ্রহণ করলো৷ ওড়িষ্যা, অসমও এই গণনা পদ্ধতি মেনে নিয়েছিলো৷
বাঙ্গালী নামধেয় জনগোষ্ঠী যে এগিয়ে চলেছে–তাঁর এগিয়ে চলার সঙ্গে সাল তিথি তারিখও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত আর একে কাট–ছাঁট করা যায় না৷ এ যেন বাদ দেওয়া যায় না৷ এ যেন বিয়ের সময়কার বরের টোপর৷ টোপর বাদ দিলে বর আর বর থাকে না৷
আবার সেই বাঙলা নোতুন বছর এসেছে৷ সুতরাং বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী অতীতে জীবিত ছিলো’ আজও জীবিত ও আমি আশা করবো, ভবিবষ্যতে আরও দুর্দান্তভাবে জীবিত থাকবে৷ সেই জনগোষ্ঠীকে আজ নোতুন করে শপথ নিতে হবে–এই নোতুন বছরটা তারা কীভাবে আরও সফল করে তুলবে৷ নিজেদের অস্তিত্বকে কিভাবে আরও প্রাণবান, প্রাণোচ্ছল করে তুলবে৷ আজ আনন্দের দিন ও এই আনন্দের মধ্যেই তার কর্র্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে ও ভবিষ্যতের রসদ সংগ্রহ করে নিতে হবে৷ ‘নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে অয়নায়’৷ এ ছাড়া একটি জীবিত জনগোষ্ঠীর সামনে দ্বিতীয় কোনো পথ নেই৷ আলস্যের সময় এটা নয়, বহুল কমৈষণার সময়৷ সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত্তকে যেন কাজে লাগানো হয়–এই কামনা নিয়েই আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি৷
* এই প্রবচনটি মার্গগুরুদেব যখন দিয়েছিলেন, সেটা ছিল ১৩৮৭ সালের ১লা বৈশাখ৷