April 2024

পরম শ্রদ্ধেয় বিজয়ানন্দদা

সুভাষ প্রকাশ পাল

প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা ঈশ্বরলাভের জন্য বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ে-পর্বতে নির্জন স্থানকেই তপোভূমি হিসাবে বেছে নিতেন৷ খুব প্রয়োজন না হলে তাঁদের লোকালয়ে আসতে হত না বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যথেচ্ছভাবে মিশতে হত না৷ কিন্তু আমরা যারা সংসারে বাস করি আমাদের নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মিশতে হয়৷ কারও সঙ্গ খুব ভাল লাগে--- মনে হয় অনেকক্ষণ আমার কাছে থাকুন আবার কাউকে দেখলেই মনে মনে একটা বিরক্তিভাব চলে আসে--- তিনি কখন সামনে থেকে চলে যাবেন সেই অপেক্ষায় থাকি, যত বেশী সৎ মানুষের সঙ্গে লাভ করব তত আমাদের মঙ্গল৷ তারকব্রহ্ম যে সময়ে পৃথিবীতে এসেছেন আমরাও সেসময় জন্ম গ্রহণ করেছি, তাঁকে স্বচক্ষে দেখেছি, তাঁর সঙ্গে কথা

 নদীয়া জেলার আসাননগর গ্রামে কীর্ত্তন অনুষ্ঠান

৩রা মার্চ ২৪ রবিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত আসাননগর গ্রামের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী অভিভূষণ রায়ের বাসগৃহে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের মধুরানন্দে গ্রামের দূর-দুরান্ত থেকে বহু ভক্ত কীর্ত্তন অঙ্গনে উপস্থিত হন৷

কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন শ্রীমতী পিয়া সরকার, কৌশিক সরকার.,. শ্রীমতী কাকলী মন্ডল, শ্রীমতী কাজল সরকার, ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা, প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷

 মদনপুরে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে গৃহ প্রবেশ

গত ১০ই মার্চ ২৪ রবিবার নদীয়াজেলার অন্তর্গত মদনপুর নিবাসী বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রী দশরথ ভদ্র এর নুতন বাসগৃহের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়৷শুরুতেই প্রভাতসঙ্গীত,মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্র্ত্তনের পরে মিলিত সাধনা গুরুপুজা ও স্বাধ্যায় হয়৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা৷ প্রভাতসঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন কাজল সরকার,তনুকা সরকার৷ ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা প্রমুখ৷ অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথি বৃন্দকে প্রীতিভোজে আপ্যায়ীত করেন দশরথদা৷

নবরায়নগর গ্রামে কীর্ত্তন অনুষ্ঠান

৩১শে মার্চ ২৪ নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৫০ শোর্ধ ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত রায়নগর গ্রামের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী দিদি শিপ্রা সরকার দিদির বাসগৃহে সকাল ৭টা থেকে বেলা বেলা ১টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম অখন্ড সঙ্কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্র্ত্তনের সুর মুর্ছনায় গ্রামের মানুষ কীর্তন অঙ্গনে আসেন৷

কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন ব্রহ্মচারিণী সুচেতা আচার্যা, কৌশিক সরকার, শ্রীমতী কাজল সরকার, শ্রীমতী পিয়া সরকার, শ্রীমতী কাকলী মন্ডল, শ্রীমতী রাজলক্ষী বণিক ,সজল রায় প্রমুখ৷ কীর্র্ত্তন শেষে মিলিত সাধনার ,গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷

 হবিবপুর গ্রামে কীর্ত্তন

গত ১০ মার্চ ২৪ রবিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৫০জন ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত হবিপপুর গ্রামের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী তথা হবিপপুর ইউনিট সেক্রেটরী সুকান্ত বিশ্বাসের বাসগৃহে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের মধু মুর্চনায় গ্রামের দূর-দুরান্ত থেকে বহু ভক্ত কীর্ত্তন অঙ্গনে ছুটে আসেন৷

কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন ব্রহ্মচারিণী সুচেতা আচার্যা, ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, কৌশিক সরকার, শ্রীমতী কাকলী মন্ডল প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা,গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

৩রা’২৪ মার্চ, হিঞ্জরী-শ্যামপুর গ্রাম নিবাসী ধর্মদাস কুমার মহাশয়ের বাসভবনে মানসিক শান্তি রক্ষায় সকাল ৯-১২টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

আনন্দনগরে বিশেষ ধর্মচক্র

৮ই মার্চ,২৪ শিবচতুর্দশী তিথিতে ডিমডিহা ও পসকা তন্ত্রপীঠে স্থানীয় মার্গীগণ দ্বারা বিশেষ ধর্মচক্রের অর্থাৎ মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণের আয়োজন করা হয়৷

চিৎমু সপ্তদশতম বার্ষিক নাম-সংকীর্ত্তন

৯-১০ মার্চ,২৪ চিৎমু আনন্দমার্গ সেন্ট্রাল জাগৃতিতে বাৎসরিক সপ্তদশতম ২৪ ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম সংকীর্ত্তন, প্রভাত সঙ্গীত, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয়৷ চিৎমু গ্রামের এই নাম-সংকীর্ত্তন মিলনোৎসবের রূপ ধারণ করেছে তথা গণোৎসবের আকার নিয়েছে৷ গ্রামের যেসব মানুষ কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাঁরা ছুটি নিয়ে ও মহিলারা শ্বশুর বাড়ি থেকে কীর্ত্তনের আকর্ষণে চলে আসেন অংশগ্রহণ করতে৷

আমেরিকার ভার্জিনিয়া থেকে আনন্দনগর

২১-২২ মার্চ’২৪ আমেরিকার ভার্জিনিয়া থেকে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আনন্দনগর বেড়াতে আসেন কস্তুরী৷ আনন্দনগরের এত পরিবর্তন দেখে তিনি মুগ্দ হয়ে যান৷ উমানিবাসের মহিলা বিভাগের সেবামূলক প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন৷ আনন্দনগরে ফার্ম ডিপার্টমেন্টের কাজুবাদাম বাগান, আম বাগান, মাল্টা মোসাম্বি বাগান ও নার্সারি, অডিটোরিয়াম, তন্ত্রপীঠ, রাঢ় মিউজিয়াম প্রভৃতি স্থান পরিদর্শন করেন৷

অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন

১৯ই মার্চ’২৪ টাটুয়াড়া নিবাসী শ্রীকেজুলাল কুমারের বাসভবনে মানসিক শান্তি কামনায় সকাল থেকে ৬ ঘণ্টা অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন ‘বাবা নাম কেবলম্‌’, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, স্বাধ্যায়, বর্ণার্ঘ্যদান ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷