April 2024

আনন্দনগরে বসন্তোৎসব

গত ২৫শে মার্চ’২৪ আনন্দনগরে বসন্তোৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে ২৪শে মার্চ সকাল সাড়ে দশটা থেকে ২৪ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তনের শুভারম্ভ হয়৷ ২৫শে মার্চ নাম-সংকীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও বসন্তোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়৷ অতঃপর সকলেই গুরুদেবের প্রতিকৃতিতে রঙ-আবীর অর্পণ করেন৷ ছোটরা বড়দের চরণে আবীর দিয়ে প্রণাম করে ও বড়রা ছোটদের আশীর্বাদ প্রদান করেন৷ পরিশেষে সকলে পুরুষ ও মহিলারা পৃথকভাবে নিজেদের মধ্যে আবীর খেলা করে৷ অবশেষে মিলিত আহারের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

আনন্দনগরের আকর্ষণে

গত ২৫-৩০শে মার্চ’২৪ আসামের হোজাই, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও ২৪পরগণার বেলঘরিয়া-নন্দনপুর থেকে আনন্দমার্গের অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীগণ আনন্দনগর দেখতে তথা বেড়াতে আসেন৷ ২৬-২৭মার্চ’২৪ হোজাইয়ের অধিবাসী ডাক্তার সুজিত দেবনাথ আনন্দনগর থেকেই পড়াশোনা ও জীবনের ভিত্তি গড়া কিন্তু তাঁর পরিবার ও দুইকন্যা সঙ্গে একজন শুভানুধ্যায়ী এই প্রথম আনন্দনগরে আসা৷ ওরা দুইদিনে আনন্দনগরের দর্শনীয়স্থান ও তন্ত্রপীঠ, শিক্ষা-সেবামূলক প্রকল্পগুলো দেখে খুবই উদ্ভুদ্ধ হয়৷ ২৭-৩০মার্চ’২৪ আলিপুরদুয়ার থেকে গৌতম চন্দ্র রায় সঙ্গে একজন শুভানুধ্যায়ী নারায়ণ বিশ্বাসকে নিয়ে আসেন৷ ওনারা আনন্দনগরের প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আনন্দন

শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান

চিৎমু নিবাসী পীতাম্বর টুডুর ধর্মপত্নী শ্রীমতী বাসন্তী টুডু-কিস্কুর কাকু করচে নিবাসী স্বর্গীয় মনোরঞ্জন কিস্কু (মার্গের অনুগামী ছিলেন না) গত ২৫শে মার্চ’২৪ পরলোক গমন করেন৷ তিনি অকৃতদার ছিলেন৷ বাসন্তী কিস্কুই শ্রাদ্ধকর্তী৷ ৩১শে মার্চ’২৪ রবিবার সকালে করচে আনন্দমার্গ জাগৃতিতে তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র ‘‘আনন্দমার্গে চর‌্যাচর‌্য’’ বিধানুসারে প্রভাত সঙ্গীত(ভক্তিমূলক গান), নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় শেষে মূল শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷

কৃষ্ণনগরে ডিট লেবেল সেমিনার

৩০,৩১শে মার্চ ২০২৪ মহা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য সৌম্য সুন্দরানন্দ অবধূত দাদার নেতৃত্ত্বে ও নদীয়া জেলা ভুক্তি কমিটির সদস্যবৃন্দ তথা নদীয়া জেলার সমস্ত দাদা দিদির অকুন্ঠ সহযোগীতায় ৩০শে মার্চ ২০২৪ শনিবার সকাল ৯টা ৩০মিঃ থেকে বেলা ১২টা ৩০মিঃ পর্যন্ত তিন ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম অখন্ড সঙ্কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপুজা,ও স্বাধ্যায়র মধ্যে দিয়ে সেমিনারের শুভ সুচনা করা হয়৷

 চাকদহে অখন্ড কীর্ত্তন

গত ২৪ শে মার্চ ২৪ রবিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ১০০জন ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত চাকদহের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীশক্তিপদ সরকার ও শ্রীমতী গোপা সরকার এর বাসগৃহে একটি মনোরম পরিবেশে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩ঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র বাবানাম কেবলম অখন্ড সংকীর্র্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্র্ত্তনের মধু মুর্চনায় গ্রামের দূর-দুরান্ত থেকে বহু ভক্ত কীর্র্ত্তন অঙ্গনে ছুটে আসেন৷

পাঁশকুড়ায় মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

গত ২৪শে মার্চ রবিবার পাঁশকুড়ার পূর্ববাকুল্দা গ্রামে বাকুল্দা আনন্দমার্গ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী অনিল কুমার মণ্ডলের নাতির শুভ অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান মার্গীয় প্রথায় সুসম্পন্ন হল৷ সকাল থেকে ছয় ঘণ্টার অখণ্ড কীর্তন ও মিলিত সাধনার পর শুরু হয় মূল নামকরণ অনুষ্ঠান৷ অচিন্ত্য-মধুছন্দার নবজাতক পুত্রের নাম রাখা হয় ’তৃষাণ’৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার‌্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত মহোদয়৷ সহযোগিতা করেন অবধূতিকা আনন্দ নবীনা আচার‌্যা, বিভুকনা আচার‌্যা প্রমুখ শ্রদ্ধেয়া দিদিগন৷ অনুষ্ঠান উপলক্ষে রক্তদান শিবির(৪০) ও চারাবিতরণ (৬০০) উপস্থিত অতিথিদের মনে সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে নোতুন ভাবনার জন্ম দেয়৷ গৃহকর্

কাঁটাল

 ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি নাম-করা ফল৷ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘কণ্টকীফলম’ থেকে অর্থাৎ যে ফলের গায়ে কাঁটা আছে৷ ফল শব্দে ‘ল’ অন্তস্থ ল (lra)৷ তাই স্বাভাবিক নিয়মে ‘কাঁটাল’-এর ‘ল’ অন্তঃস্থ ‘ল’ ‘হওয়া’ উচিত কিন্তু আসলে তা নয়৷উত্তর ভারতের সব কয়টি ভাষাতেই একে আদি ‘ল’-এর মত উচ্চারণ করা হয়৷ তাই লেখবার সময় আদি ‘ল’(la) দিয়ে লেখাই সঙ্গত৷ যা সংস্কৃত তৎসম নয় ও যার উচ্চারণও আদি ‘ল’ (la)-এর মত তাকে জোর করে অন্তঃস্থ-‘ল’ (lra) ব্যবহার করতে যাৰ কেন? তবে অনেকে ভূল করে কাঁটালকে ‘কাঁঠাল’ লেখেন৷ ৰাংলা ভাষায় কিন্তু এই ভুল বানান ‘কাঁঠাল’ লেখার প্রথা অনেকদিনের ‘পুরোনো’ ৰাংলা হেঁয়ালিতে আছে---

খাদ্যরস

খাদ্যরস সাধারণতঃ ছয় প্রকারের৷ এই ষড়রস হচ্ছে–তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল ও মধুর৷ তন্ত্র–ভারতীয় ভেষজবিজ্ঞান এই হিসাবকেই অনুসরণ করে৷ প্রথম পাতে খেতে হয় তিক্ত (যেমন পলতা, শুক্তো, নিম–বেগুন, শিউলি পাতার ঝোল প্রভৃতি)৷ দ্বিতীয় পাতে খেতে হয় কটু অর্থাৎ ঝাল (যেমন একটু বেশী লঙ্কা বা গোলমরিচ বা পিপুল দিয়ে তৈরী রান্না–আলু–মরিচ, নিরামিষ ঝাল, ৰড়ির ঝাল)৷ তৃতীয় পাতে খেতে হয় কষায় জিনিস (যেমন ডুমুর, মোচা, থোড়, কাঁচকলা প্রভৃতি)৷ চতুর্থ পাতে খেতে হয় লবণযুক্ত জিনিস (যেমন অচার, পাঁপড়, নোনতা পোলাও, নিমকি, সিঙ্গাড়া প্রভৃতি)৷ পঞ্চম স্তরে খেতে হয় অম্লরস যুক্ত খাদ্য (অম্বল, চাটনি, টক, তেঁতুল, আমড়া, জলপাই, করমচা, কামরা

বসন্ত-প্রকৃতি

কৌশিক খাটুয়া

কাঁপন ধরা মাঘের শেষে

 বসন্তের আগমন,

চেয়ে নীহারিকা আকাশের রাকা

 মুখরিত উপবন৷

কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া

 মেতেছে আজ রঙের খেলায়,

অজ্ঞাত কার কোমল ছোঁয়ায়

 সুপ্তি ভাঙ্গল দূর অবেলায়!

সম্ভাবনাময় কুঁড়ি গুলি চায়

 পূর্ণ প্রস্ফুটন,

বসন্তের একান্ত অভিপ্রায়

 হোক রূপায়ণ৷

 

করবী-কামিনী নয় অভিমানী

 বসন্তে তারা হাসে,

আজ মধুমাসে চৈতি হাওয়ায়

 ফুলের সুরভী ভাসে৷

অশোকে-পলাশে কি উচ্ছ্বাসে

 রঞ্জিত করে বন,

কাঞ্চন বনে কোকিলের গানে

 আবিষ্ট তনু মন৷

ভুমাদর্শ

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

একই পিতার পুত্র কন্যা

মানব মোদের এই পরিচয়

অন্য কিছু নাই৷

একই আকাশ একই বাতাস

যোগায় সবে বল

অভিন্ন এক হৃদিধারায়

আমরা উচ্ছ্বল৷

একই রণন---মাতিয়ে প্রাণে

টানছে একই পানে

সঞ্জীবীত আমরা সবাই

একের অভিধ্যানে৷

জীবন মরণ তুচ্ছ করি

গড়ি মোরা সমাজ

অসীম অপার ভালবাসায়

চাহি একের রাজ৷