April 2024

আয় চৈতালী ঝড়

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আয় বসন্ত, আয় দুরন্ত, আয় চৈতালী ঝড়

আয়রে ভীষণ, আয়রে ভয়াল, আয়রে ভয়ংকর!

আনরে কাঁপন জীর্ণ শাখায়,

আনরে মরণ শুষ্ক পাতায়,

আনরে মাতন সবুজ পাতায়--- হানরে অসুন্দর!

আয় বসন্ত, আয় দুরন্ত, আয় চৈতালী ঝড়!

আয় ভাঙনের জয়গান গেয়ে, আয় মহা তাণ্ডবে,

এক ঘেয়েমির সুর-তাল কেটে আয় হত গৌরবে৷

আয় ধবংসের ডঙ্কা বাজিয়ে,

আয় সৃষ্টির অর্ঘ্য সাজিয়ে,

নবীন আশার পুলক জাগিয়ে আয় নতুনের চর!

আয় বসন্ত, আয় দুরন্ত, আয় চৈতালী ঝড়!!

শোল–ঘাপটি

গাত্রূসম্কুচূঘঞূণিনি‘গাত্রসংকোচিন্’৷ ভাবারূঢ়ার্থে গাত্রসংকোচিন্ মানে যে শরীরকে সংকুচিত করে, যোগারূঢ়ার্থে যে পরিবেশগত ও মানসিক কারণে শরীরকে ছোট করে দেয়, ঘাপ্পি বা ঘাপটি মেরে বসে পড়ে৷ এই ঘাপ্পি বা ঘাপটি মারা আবার তিন ধরনের হয়৷

১) শোয়া–ঘাপটি ঃ যেমন হাত–পা কুঁঁকড়ে হাঁটু দু’টো ৰুকের কাছাকাছি এনে চিৎ হয়ে ৰা পাশ ফিরে শুয়ে থাকা৷ এতে শীত একটু কম লাগে৷ শীতের দিনে বিড়াল, কুকুর ও অন্যান্য অনেক জীৰকে এই ভাবে শোয়া অবস্থায় দেখতে পাৰে৷

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

৭ই মার্চ’২৪ আনন্দমার্গ গার্লস হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ স্কুলের ছাত্রারা দৌড়, অঙ্ক দৌড়, স্পোন-মার্বেল রেস মেমোরি টেষ্ট, স্কিপিং রোপ, মিউজিক্যাল চেয়ার ও যেমন-খুসী সাজো খেলায় অংশগ্রহণ করে ও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়৷

আনন্দমার্গ হাইস্কুলে কবাডি খেলা শুরু

৯ই মার্চ,২৪ ‘কবাডি’ ও ‘খো-খো’ খেলার জাতীয় কর্মকর্তা ও সিনিয়র কোচ শ্রী তারক মজুমদার মহাশয়ের প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে ও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ক্রীড়া শিক্ষক শ্রীনুপকুমার পাল মহাশয়ের উদ্যোগে আনন্দমার্গ বয়েজ হাইস্কুলে কবাডি প্রশিক্ষণ আজ থেকে শুরু হয়েছে৷ যদিও কবাডি ভারতবর্ষের প্রাচীনতম নিজস্ব ক্রীড়া, তবুও কোথাও আজ যেন ব্রাত্য৷ ভারত ও রাজ্যের স্কুলস্‌ গেমে স্বীকৃত খেলা৷ এই খেলার প্রতি ছাত্রদের দারুণ উৎসাহ দেখা গেছে৷

চোট সারিয়েই যোগ্যতা অর্জন করলেন মীরাবাই

আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করলেন মীরাবাই চানু৷ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পদকজয়ী ভারোত্তোলক বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘বি’তে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন মহিলাদের ৪৯ কেজি বিভাগে৷ একই সঙ্গে তিনি আগামী অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণের যোগ্যতা মান স্পর্শ করেছেন৷ তাইল্যান্ডে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় মোট ১৮৪ কেজি ওজন তুলেছেন মীরাবাই৷ চোট সারিয়ে ছ’মাস পর প্রতিযোগিতায় নেমেই অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ফেললেন দেশের অন্যতম সেরা মহিলা ভারোত্তোলক৷ উচ্ছ্বসিত মীরাবাই বলেছেন, ‘‘চোট পাওয়ার পর এ ভাবে ফিরে আসাটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে৷ ওজন তুলতে কোনও সমস্যা হয়নি৷ প্রতি বারই পরিষ্কার ভাবে ওজন তুলেছি৷ যথাযথ ভাবে শক্তি

এপ্রিলের শেষে বেছে নেওয়া হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল

আইপিএল শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ৷ সেই দলে কারা সুযোগ পাবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে৷ এর মাঝেই জানা গেল, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতের দল ঘোষণা হতে পারে৷ আইসিসি-র কাছে দল পাঠানোর শেষ তারিখ ১মে৷ তার আগেই ঘোষণা করা হবে দল৷ তবে ২৫ মে পর্যন্ত দলে বদল করা যাবে৷

বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের কোনও একটা সময় ভারতের দল নির্বাচন হবে৷ আইপিএলের প্রথমার্ধ তখন শেষ হয়ে যাবে৷ যারা দলে ঢোকার দৌড়ে রয়েছে তাদের ফর্ম এবং ফিটনেস সম্পর্কে একটা আন্দাজ পেয়ে যাবেন জাতীয় নির্বাচকেরা৷’’

স্বাগত নববর্ষ ১৪৩১

বৎসর, নব বৎসর, তুমি কল্যাণ এনো চারিদিকে,

নূতন ভোরের হাতছানিতে নূতন ঊষার নবালোকে৷৷

বৃক্ষ–লতারা সবুজে ভরুক, বন্য পশুরা নিরাপদ হোক,

পাখীরা কণ্ঠে অমিয় ভরিয়া উড়িয়া বেড়াক দিকে দিকে৷৷

মানুষে মানুষে ভেদ দূর হোক, বুদ্ধির অপচয় রোধ হোক,

শক্তির সর্বনাশা প্রতাপ সংযত হোক সব দিকে৷৷  

                              –প্রভাতসঙ্গীত

রাজনীতির রং বদল নয়---ক্ষমতা হাতবদল নয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আমূল পরিবর্তন চাই

বর্তমান সমাজ সার্বিক সংকটে দিশাহীন হয়ে পড়েছে৷ নেতৃত্বের সংকট,অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থা, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অশ্লীলতার স্রোত মানুষকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে৷ অপরাধের পথে যেতে বাধ্য করছে৷ পুঁজিবাদী শোষণের চরম অবস্থায় পৌঁচেছে শোষণ৷ আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে নেতারা পরস্পরের প্রতি অশালীন ভাষায় সমালোচনা ছাড়া যুব সমাজকে সৎপথে চলার প্রেরণা দেওয়ার কোন বার্র্ত নেই৷ বরং নেতা মন্ত্রীদের কথায় বিপরীত পথে চলার উস্কানি আছে৷ হাত পা ভেঙে দেওয়ার মত হুমকিও দেওয়া হচ্ছে৷ গণতন্ত্রের বেদীতে দানবতন্ত্রের আস্ফালন৷ এই পরিস্থিতিতে আসল নকল কোন পরিবর্তনই মানুষের কল্যাণ করতে পারবে না৷

এদেশে গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে চলছে দলতান্ত্রিক শোষণ৷ স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক দলের ‘ব’-কলমে দেশের শাসনভার পরিচালনা করছে মুষ্টিমেয় কয়েকজন পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করাই পবিত্র কর্তব্য৷ কিন্তু ভারতবর্ষের আজও ৮০ শতাংশের বেশী মানুষ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সচতেন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলভনে ৭৭ বছরে কোন শাসকই জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন নয়৷ তাই নির্বাচনের আগে নেতাদের গালভরা আশ্বাসের প্রলোভনে পড়ে জনগণ শাসক নির্বাচন করে নিজেদের ভালোমন্দ না বুঝেই ৭৭ বছর

অসমে ভোট এলেই বিজেপির বাঙালী প্রেম জেগে ওঠে

প্রধানমন্ত্রীর মতো অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বাঙালীদের ধাপ্পা দিয়ে চলেছেন৷ অসমে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রতিশ্রুতি ৬ মাসের মধ্যেই অসমে ডি-ভোটার সমস্যার সমাধান হবে৷ অসমবাসী বাঙালীরা এটাকে মুখ্যমন্ত্রীর ধাপ্পা বলেই উড়িয়ে দিচ্ছে৷ ২০১৪ সালে স্বয়ং নরেন্দ্রমোদি অসমে ভোট-প্রচারের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে অসমের সমস্ত  ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷ দুবছর পরে বিধানসভা নির্বাচনেও অসমে বিজেপি জয়লাভ করে৷ অসমে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও একটা ডিটেনশন ক্যাম্প ও ভাঙা হয়নি, গোয়ালপাড়ায় তৈরী হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প৷ ডি-ভোটার নিয়ে হি