May 2024

ঐক্য সংহতির সোপান

সমগ্র মানবজাতির সংস্কৃতি এক তবে অভিব্যক্তিতে আঞ্চলিক তারতম্য রয়েছে৷ ‘শিক্ষা’ সাংস্কৃতিক জীবনেরই একটা অঙ্গ৷ শিক্ষা অবশ্যই নিঃশুল্ক হওয়া উচিত ও তা বিশ্বৈকতাবাদের ভিত্তিতে হওয়া উচিত৷ শিক্ষাকে বাস্তবায়নের সময়ে অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে সমাজে এক এক অঞ্চলের স্থানিক পরিস্থিতি সমস্যা ও স্থানিক প্রয়োজন এক এক রকমের৷ তাই শিক্ষাগত সংরচনা তৈরি করার সময় এই মৌলিক তত্ত্বটাকে মনে রাখতে হবে৷ (কনিকায় প্রাউট, নবম খন্ড) ৷

জলসত্র

তাপপ্রবাহে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ৷ তাপদগ্দ পথচারিদের ঠাণ্ডা জল ও সরবৎ পানের ব্যবস্থা করছে বলেন্টিয়ার্স সোস্যাল সার্ভিস ও আনন্দমার্গ সেবাদল মহিলা শাখার কর্মীরা৷ দক্ষিণ কলিকাতার তিলজলা, লেকগার্ডেন্স, গড়িয়াহাট প্রভৃতি অঞ্চলে আনন্দমার্গের কর্মীরা তাপদগ্দ ক্লান্ত পথচারিদের হাতে তুলে দিচ্ছে ঠাণ্ডা পানীয়৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলিকাতার ভুক্তিপ্রধান সুনন্দা সাহা ও কলিকাতার বিভিন্ন ইয়ূনিটের কর্মীরা এই কাজে হাত লাগিয়েছে৷ তাঁরা এই কর্মসূচীর নাম দিয়েছে জলসত্র৷

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রাউটিষ্টদের দাবী জীবন যাপনের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির নিশ্চিততা চাই

ম্যারাথন লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে৷ আজ ২৬শে এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন৷ নেতাদের কন্ঠে এখন বাগাড়ম্বরপূর্ণ ভাষার ফুলঝুরি৷ সে ভাষায় জনগণের সংকট মোচনের সমস্যা সমাধানের কোন আশার বাণী নেই৷ শুধু পরস্পরের প্রতি হুমকি ও অশালীন ভাষা প্রয়োগ৷ নেতারা শুধু পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ-বিষ ছড়াচ্ছে৷

খাদ্যপণ্যের মূল্য হ্রাসের গ্যারান্টি নেই

নির্বাচনের প্রচারে যতই মোদির গ্যারান্টি বিজেপি কর্মীরা চড়া গলায় প্রচার করুক কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে খাদ্যপণ্যের মূল্য হ্রাসের কোন গ্যারান্টি নেই৷ প্রতিবেদনটি তৈরী করেন আর বি আই-এর আধিকারিকদের একটি কমিটি৷ এই কমিটির মাথায় রয়েছেন আর বি আই-এর ডেপুটি গভর্নর৷

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশা করেছিল মূল্যবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নীচে নামবে৷ কিন্তু খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমছে না৷ প্রচণ্ড তাপ প্রবাহ, খরা পরিস্থিতি, বহু জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাব মূল্যবৃদ্ধির কারণ বলে আর বি আই মনে করে৷ আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ওঠানামাও অন্যতম কারণ৷

দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ‘আমরা বাঙালী’র দুই প্রার্থী

রাজ্যের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও বালুরঘাট কেন্দ্রের ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী খুশীরঞ্জন মণ্ডল ও নরোত্তম সাহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ দুই কেন্দ্রের প্রচারের দায়িত্বে থাকা আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যুবনেতা তপোময় বিশ্বাস বলেন--- রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে আমরা বাঙালী কুড়িটার মতো আসনে লড়াই করবে৷ উত্তরবঙ্গে আমরা চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছি৷ এছাড়া ত্রিপুরার দুটি আসনে ও ঝাড়খণ্ডেও কয়েকটি আসনে আমরা বাঙালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ শ্রীবিশ্বাস বলেন---রাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কখনোই দিল্লী গিয়ে বাঙালীর স্বার্থের কথা বলে না৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচর

বহু ভাষা কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিতে বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষ একের নির্বুদ্ধিতায় ভেঙে পড়তে পারে

প্রবীর সরকার

ভারতবর্ষ কোন একটি ভাষাভিত্তিক কোন একটি ধর্মমতের জনগোষ্ঠীর দেশ নয়৷ নানা ভাষাভাষি কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির বৈচিত্রময় সমাবেশ ভারতবর্ষে৷ এই বৈচিত্রের বৈশিষ্ট্যকে ধবংস করে একের দোহাই দিয়ে কোন একটি ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কেউ যদি ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় তার পরিণতি ভালো হবে না৷ চোখের সামনেই দৃষ্টান্ত আছে বাঙলাদেশ৷ একই ধর্মমতের মানুষ হয়েও শুধুমাত্র ভাষা কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষা করতে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরী করেছে৷ ইয়ূরোপ ও আরব দেশগুলির দিকে তাকালেও দেখা যাবে একই ভাষা বা ধর্মমতের জনগোষ্ঠীগুলো একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারে নি৷ আজ ভারতবর্ষের কর্ণধাররা যদি এর থেকে শিক্ষা

মানুষের প্রকৃত প্রতিষ্ঠা

গুরু তিন প্রকারের, শিষ্যও তিন প্রকারের৷ মানুষের অভিব্যক্তিও তিন প্রকারের, বৈদ্যকেও তিন প্রকারের বলা হয়ে থাকে৷ অধম বৈদ্য তিনি, যিনি কেবল ওষুধ বলে দেন, মধ্যম বৈদ্য তিনি যিনি ওষুধ তো বলেই দেন, সঙ্গে সঙ্গে এটাও জেনে নেন যে রোগী সেটা ব্যবহার করতে পারবে কী না৷ যিনি উত্তম বৈদ্য তিনি ওষুধও বলে দেন, জেনেও নেন, আর সঙ্গে সেটা ব্যবহারের ব্যবস্থাও করে দেন৷ অধম ও মধ্যম স্তরের বৈদ্য বস্তুতঃ বৈদ্য নয়, কেবল উত্তম স্তরের বৈদ্যই বাস্তবিক বৈদ্য৷ সেই রকমই অধম স্তরের গুরু ভাল ভাল কথা শুণিয়ে দেন৷ মধ্যম স্তরের গুরুও ভাল কথা শুণিয়ে দেন, আবার তার সম্বন্ধে জেনেও নেন৷ উত্তম স্তরের গুরু ভাল কথা শুণিয়ে দেন, জিজ্ঞেস করে

বিদ্বান ও শিক্ষিত

তাকেই Learned বা বিদ্বান বলব যে প্রচুর পড়াশোনা করেছে, যা পড়েছে তা ৰুঝেছে, সেটা মনে রেখেছে, ও সেগুলিকে কার্যেও রূপায়িত করেছে৷ কোনো শিক্ষিত (Educated) ও বিদ্বান মানুষের পুঁথিগত বিদ্যা থাকতে পারে বা নাও পারে, তেমনি প্রথাগত ভাবে বিদ্যার্জনকারী কোনো একজন মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হতেও পারে আবার নাও পারে৷ তাহলে সত্যিকারের বিদ্বান ও শিক্ষিত তাকেই বলব যার মধ্যে নিম্নোক্ত চারটি তত্ত্ব থাকতেই হবে, এদের মধ্যে একটিরও অভাব থাকলে তাকে বিদ্বান বলা যাবে না ঃ–

১৷ একটি দু’টি নয়, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনেক বই যত্নের সঙ্গে পড়তে হবে৷ অল্প পড়াশোনা করে বিদ্বান হওয়া যায় না৷

অপ্রতিরুদ্ধ আনন্দমার্গ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ গত কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসে বোধকরি সবচেয়ে পৈশাচিকতম ঘটনা ঘটে গেল আজকের সভ্যতার পীঠভূমি কলকাতার বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেটের মত জনাকীর্ণ এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে৷ আনন্দমার্গের ১৬জন সন্ন্যাসী ও ১জন সন্ন্যাসিনীকে বর্ণনার অতীত নৃশংসতম ভাবে খুন করল তৎকালীন শাসকদল সিপিএম’এর গুণ্ডাবাহিনী৷ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল৷ স্পষ্টই বোঝা যায় এই হত্যার ষড়যন্ত্র প্রশাসনের ওপর মহল থেকেই করা হয়েছিল৷

গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটিত হোক

প্রভাত খাঁ

সেই ১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তারিখটি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো৷ আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী ও গৃহী ভক্তবৃন্দ সেই বিজন সেতু ও বন্ডেল গেটে যে তরতাজা লাল গোলাপের মত সুন্দর ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী নৃশংসভাবে দিবালোকে কলকাতার রাজপথে নিহত হলেন তাঁদের বিদেহী আত্মাকে স্মরণ করতে ও হৃদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করতে সমবেত হবেন আগামী ৩০ শে এপ্রিল বিজন সেতুতে তাপ দগ্ধ দ্বিপ্রহরে৷ দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪২ বছর৷ অদ্যাবধি ভারতের মতো বিরাট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই নির্মম হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা করলেন না৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই