May 2024

স্থূলতা

লক্ষণ ঃ মানুষের শরীরের পক্ষে মেদ একটি অত্যাবশ্যক ধাতু৷ মেদ না থাকলে অস্থি ও মাংসের স্বাভাবিক ক্রিয়াশীলতা এই মুহূর্ত্ত অব্যাহত থাকতে পারে না৷ কিন্তু এই মেদ যখন প্রয়োজনের মাত্রা ছাড়িয়ে বৃদ্ধি পায়, তখন তার ফলে সমস্ত শরীর যন্ত্রই অপটু হয়ে পড়ে৷ এই অবস্থার নাম মেদবৃদ্ধি বা স্থূলতা৷

বিশ্ব উষ্ণায়ন

নাতাশা ইসলাম

পৃথিবী ক্রমশ তেতে উঠছে৷ এই উত্তপ্ত পৃথিবীর বাসিন্দা আমরা–অসংখ্য পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছপালা ও সর্বোপরি মানুষ৷ যে মানুষ আজকের এই সংকটজনক পরিস্থিতির জন্যে অনেকটাই দায়ী৷ বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কারণ গ্রীনহাউস গ্যাস৷ বায়ূ মণ্ডলের প্রধান গ্রীনহাউস গ্যাসগুলি হল–জলীয়বাষ্প, কার্বন–ডাই–ক্সাইড (ড্রত্থ২), নাইট্রাস অক্লাইড (ত্ত্ব২ত্থ), মিথেন (ড্রণ্ড্র২) ও ওজন (ত্থ৩), আর আছে ক্লোরিন যুক্ত কয়েকটি গ্যাস–পার ফ্লুরোকার্বন্স্ (ত্নণ্ঠড্রত্র), হাইড্রো ফ্লুরোকার্বন (ণ্ড্রণ্ঠড্রত্র) ও সালফার হেক্সাফ্লুরাইড (ত্রণ্ঠ৬), মন্ড্রিল প্রোটোকল৷ ১৯৮৭–এর সিদ্ধান্তে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন–এর্ ব্যবহ

প্রশ্ণ হানে মানবতা

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

সেদিনও এসেছিল অন্ধ নিশা অবসানে শুভ্র প্রভাত

নব রবির আলোক নির্ঝর-স্নিগ্দ প্রকৃতিবক্ষে বিহগের কলগুঞ্জন

একে একে জেগেছে মানুষ, নবশক্তি সম্পাতে কেটেছে অবসাদ

নব চেতনায় সমৃদ্ধ সবে উন্মুখ, আরব্ধ করিতে সম্পাদন৷

মহাজীবনের আহ্বানে তাপস-তাপসী অগণিত দলে দলে

ত্যাগব্রতে বলীয়ান, সেবাব্রতে মহীয়ান, সঁপেছে অমূল্য জীবন

নিঃস্বহায় আর্তত্রাণে, বিশ্বমানবতার বেদীমূলে

সত্য-ধর্মের মহামন্ত্রে ধবনিত বিশ্বের মহাজাগরণ৷

প্রমাদ গণেছে নিকষ অন্ধকারের জীব, নররূপী হায়নার দল

পাশবিক শক্তি মদমত্ত, মানবতার শত্রু, পাতক, মিথ্যাচারী

গাওয়াও আমায় গান

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

গাওয়াও আমায় জীবন ভরে গাওয়াও আমায় গান--       

যেই গানেতে প্রাণে প্রাণে জাগবে মহাপ্রাণ--

যেই গানেতে ফুটবে আশা

মধুর হবে ভালবাসা---

যেই গানেতে আমার তো নয় তোমারি সম্মান৷

গাওয়াও আমায় জীবন ভরে গাওয়াও আমায় গান৷৷

আড়াল হতে বাজিয়ে বাঁশী

জীবনে মোর দাঁড়াও আসি,

সংঘাতে সংঘাতে তোলো এগিয়ে চলার তান৷

গাওয়াও আমায় জীবন ভরে গাওয়াও আমায় গান৷৷

গণিত-গণিত খেলা

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

খেলা আর খেলা৷ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই রয়েছে একটা না একটা খেলাতে৷ কেউবা ক্রিকেট খেলায় মেতেছে, কেউবা ফুটবল খেলায় মেতেছে৷ আবার, বিপুল অর্থব্যয়ে চার-পাঁচ বছর অস্তর বিশ্বকাপ অথবা অলিম্পিক খেলায় মেতে চিত্তবিনোদনের স্রোতে সকলে ভেসে চলি৷ আর চলছে, পৃথিবীব্যাপী রাজনীতিবিদদের চরম... ধবংসাত্মক, খেলা৷ এদিকে স্কুল-কলেজগুলিতে চলছে নানান ধরনেব Indoor-outdoor প্রভৃতি games.

দাবায় বিশ্ব রেকর্ড ভারতের

১৭ বছরের গুকেশ ডোম্মারাজু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে চ্যালেঞ্জ জানানোর যোগ্যতা অর্জন করলেন৷ তিনিই বিশ্বের কনিষ্ঠতম হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন৷ কানাডার টরন্টোয় ক্যান্ডিডেটস দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন গুকেশ৷ ১৪ রাউন্ডের প্রতিযোগিতার পর ভারতীয় সময় সোমবার ভোরে চ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ৷ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে এই বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যালেঞ্জ জানাবেন তিনি৷ শেষ রাউন্ডে কালো ঘুঁটি নিয়ে গুকেশ ড্র করেন আমেরিকার গ্র্যান্ডমাস্টার হিকারু নাকামুরার সঙ্গে৷ ফ্যাবিয়ানো করুয়ানা এবং ইয়ান নেপমনিয়াচির ম্যাচ ড্র হওয়ার ফলে গুকেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ড্র-ই দরকার ছিল৷

পরলোকে সুভাষ সরকার

গত ২২শে এপ্রিল উঃ২৪পরগণা জেলার বিরাটি তুলসী বাগানের বাসিন্দা বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীসুভাষ সরকার পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল সত্তর বছর৷ তিনি ষাটের দশক থেকেই আনন্দমার্গে যুক্ত ছিলেন৷ তিনি আনন্দমার্গের নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন৷ তাঁর প্রয়াণে মার্গী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷ আগামী ২৭শে এপ্রিল শনিবার সকাল দশটায় তাঁর বাসভবনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হবে৷

আর্থিক বিকাশ হোক সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বর্তমান অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন--- ‘আজ অর্থনীতি বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে৷’’ তাই প্রাউটের দৃষ্টিতে অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান৷ বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ সর্বজীব ও সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে অর্থনীতিকে বিকশিত করতে হবে৷

কম্যুনিষ্ট বর্বরতার নিষ্ঠুরতম নিদর্শন বিজনসেতু সন্ন্যাসী হত্যার ৪২তম বছরে দধীচিদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল কলকাতার বিজন সেতু এলাকায় ও বণ্ডেল গেটে আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সেদিনের শাসক দল সিপিএমের ঘাতক বাহিনী৷ এরই প্রতিবাদে ও সেই সপ্তদশ ‘দধীচি’র প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে---গত ৩০শে এপ্রিল দুপুর ২-৩০ মিনিটে দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতুর উদ্দেশ্যে এক মৌন মিছিল বের হয়৷ এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত মৌন মিছিল ও তৎপরে বিজন সেতুর ওপরে প্রতিবাদ-সভায় সমবেত হন হাজার হাজার আনন্দমার্গী ও মানবতাবাদী মানুষ৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে এই দিন মানবতা বাঁচাও দিবস পালন করা হয়৷