May 2024

বিকাশমান অর্থনীতির বেহাল দশা ক্ষয়িষ্ণুতার পথে ভারতের অর্থনীতি

১৪০ কোটি নাগরিকের দেশ ভারতের জাতীয় সম্পদের ৮০ শতাংশের নিয়ন্ত্রক মাত্র দশ লক্ষ ধনিক শ্রেণী৷ এরাই অর্থনীতির সমৃদ্ধির ভুল তথ্য দিচ্ছে জনগণের সামনে৷ এই রকমই মন্তব্য বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের ২৪শে এপ্রিল প্রকাশিত একটি নিবন্ধে৷ ‘হাউ ইন্ডিয়াজ ইকনমি হ্যজ রিয়েলি ফেয়ারড আন্ডার মোদি’ শিরনামে নিবন্ধে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে ভারতের দাবীকেও নস্যাৎ করা হয়েছে৷ নিবন্ধে বলা হয়েছে ভারতে ৮ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির দাবী নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মোদির প্রাক্তন অর্থনৈতিক পরামর্শ দাতারাই৷ যে পদ্ধতিতে জিডিপির হিসাব হচ্ছে সেই পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ণ তুলেছে ওই নিবন্ধে৷

রক্ষকই ভক্ষক---মনিপুর পুলিশের নক্কারজনক ভূমিকা

মনিপুরে দীর্ঘদিন ধরে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ চলছে৷ গত বছর ৩রা মে মেইতেই সম্প্রদায়ের এক হিংস্র জমায়েত থেকে বাঁচতে কুকী সম্প্রদায়ের দুই মহিলা পুলিশের কাছে আশ্রয় নেয়৷ কিন্তু পুলিশি তাদের ওই হিংস্র জনতার সামনে ছেড়ে দেয়৷ সিবিআই তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে৷

মহান প্রাউটিষ্টদের জগৎকল্যাণে কিছু করনীয় কাজ

প্রভাত খাঁ

নব্য মানবতাবাদী মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এক কল্যাণধর্মী বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ আদর্শভিত্তিক এক মানব সমাজ গড়ে তুলতে যার আশ্রয়ে গড়ে উঠবে আনন্দ পরিবার৷ যেখানে কেউ শোষিত ও নিপীড়িত হবে না৷ কারণ এই বসুন্ধরার মালিক হলেন সেই বিশ্বশ্রষ্ঠা পরমপুরুষ৷ তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকার অধিকার আছে প্রতিটি মানুষের৷ আর এই সমৃদ্ধশালী পৃথিবীর সব কিছু ভোগ করার অধিকার আছে সব মানুষের জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে৷ এই পৃথিবীটা কারোর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়৷ এই মহান ধারণাটা অদ্যাবধি কোন শাসকেরই মাথায় নেই নিছকরকম অজ্ঞানতা বশতঃই৷ বর্তমান নানা রং-এর শাসকদের দৃষ্টিতে না কি বাতুলতা৷ আর এটা তখনই গড়ে উঠবে

আধ্যাত্মিক প্রগতির তিনটি সোপান

প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্ণেন সেবয়া৷* আধ্যাত্মিক প্রগতি তিনটি তত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল–প্রণিপাত, পরিপ্রশ্ণ, সেবা৷ ‘প্রণিপাত’ মানে এক অদ্বিতীয় শাশ্বত সত্তা পরমপুরুষের প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণ৷ এক্ষেত্রে সাধকের মনোভাব হচ্ছে এই যে বিশ্বের যা কিছু সবই পরমপুরুষের, আমার বলতে কিছু নেই৷ এটা হ’ল প্রণিপাত৷ আর যার অহংৰোধ রয়েছে, যে ভাবছে তার বিদ্যা–ৰুদ্ধি, ধন–সম্পত্তি বা অন্যান্য যাবতীয় বস্তু তার বৈয়ষ্টিক সম্পত্তি, সে সবচেয়ে ৰড় মূর্খ৷

ধর্ম কী?

ক্রমবিবর্তনের চরম পরিণতি মানুষ অণুচৈতন্যের ব্যাপক স্ফূর্ত্তি-নিবন্ধন অন্যান্য জীবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ৷ মানুষ তার এই স্ফূর্ত চৈতন্যের সাহায্যে ভাল-মন্দের পার্থক্য নির্ধারণে তথা বিপন্মুক্তির পথ অন্বেষণে সক্ষম৷ কোন জীবই দুঃখ দুর্দশাক্লিষ্ট জীবন চায় না৷ বস্তুতঃ মানুষের স্বভাবই হচ্ছে আনন্দের অন্বেষণ করা৷ এখন দেখা যাক্‌ এই আনন্দ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে মানুষ কী করে, আর তাতে তা’ লব্ধ হয় কি না৷

আনন্দপূর্ণিমার শপথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগামী ২৩শে মে,২০২৪ বৈশাখী পূর্ণিমা, প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০৩ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০৩ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে৷

ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালী আর কতদিন বলির বকরা হয়ে থাকবে

মনোজ দেব

মানুষ আজ অমানুষে পরিণত হচ্ছে৷ হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থ লোভ মানুষকে বিবর্তনের বিপরীত পথে নিয়ে চলেছে৷ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে কেউ তৃণমূল, কেউ বিজেপি নানা নামে পরিচিত৷ মানুষের পরিচয় সে ভুলে যায়, মানব ধর্মের অনুশীলন সে করে না৷ দলীয় স্বার্থরক্ষা করা আর অর্থ উপার্জন তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান৷ ক্ষমতার দখল নিতে সে উন্মত্ত, উন্মাদ৷ তাই তো এত হিংসা, এত রেসারেসি! কেউ একবারও ভাবে না কে কাকে মারছে? কে কার রক্তে হাত রাঙাচ্ছে?

বৃহত্তম সংখ্যার অনুসন্ধান

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

মানুষ তার প্রয়োজনের তাড়নাতেই এক সময় ১ হ’তে ৯ পর্যন্ত এই অঙ্কগুলি (Digits) আবিষ্কার করেছিল৷ এরপর বেশ কিছুদিন এই অঙ্কগুলিকে নিয়ে যে অসংখ্য সংখ্যা (Number) তৈরী করা যায়, এমন কথা কল্পনা করতে শেখেনি৷ তারপর কালক্রমে, শূন্য (Zero)–এর অস্তিত্বের কথা যখন কল্পনায় এসেছিল, তখনই অসংখ্য সংখ্যা তৈরী হ’তে শুরু করল দুরন্ত গতিতে৷ শুরু হ’ল দুই অঙ্ক–বিশিষ্ট, তিন–চার অঙ্ক, প্রভৃতি অসংখ্য সংখ্যা বিশিষ্ট সংখ্যা গঠনের চিন্তা–ভাবনা৷ প্রথমেই আবিষ্কার হ’ল স্বাভাবিক সংখ্যার অর্থাৎ ১ হ’তে ১০০ পর্যন্ত এই স্বাভাবিক সংখ্যাগুলি৷ এরপর হাজার, অযুত, লক্ষ, কোটি স্থানীয় সংখ্যাগুলিকে আবিষ্কার করল৷ এখানেই সংখ্যা তৈরী সমাপ্ত হ’ল ন

রাজনীতি সেবা না চাকরি

শ্রীসুভাষ প্রকাশ পাল

দিন কয়েক আগে ফেসবুকের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে একটা বিষয় নজরে এল৷ বয়স্ক লোকেদের আড্ডার আসরে এক ব্যক্তি আমজনতার উদ্দেশ্যে একটা প্রশ্ণ ছুঁড়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন--- রাজনীতি সেবা না চাকরি? যদি সেবা হয় তাহলে বেতন, পেনশন কেন? আর যদি চাকরি হয় তাহলে পরীক্ষা বা শিক্ষা-দীক্ষা নেই কেন? তবে সত্যি কথা বলতে---এটা অনেকেরই মনের কথা, অনেকে মুখ ফুটে কথাটা বলতে পারেন নি৷ আর উনি সাহস করে সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ণটি উত্থাপিত করেছেন, রবিঠাকুরের কথায় বলতে হয়---‘মন্ত্রী কহে---আমারো ছিল মনে কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে,

২০ লক্ষ গাছের চারা পুঁতে আবার নতুনভাবে অরণ্য তৈরি করেছেন ব্রাজিলের এক দম্পতি

প্রায় ৩২ কোটি একর জমি জুড়ে জঙ্গল৷ আয়তনে দক্ষিণ আফ্রিকার সমতুল্য৷ নববইয়ের দশকে গাছ কাটার কারণে ব্রাজিলের একাংশের ঘন জঙ্গলের অস্তিত্ব পুরোপুরি মুছে যায়৷ দুই দশক জুড়ে সেই এলাকায় ২০ লক্ষ গাছের চারা পুঁতে আবার নতুন ভাবে অরণ্য তৈরি করেন ব্রাজিলের এক দম্পতি৷ ১৯৪৪ সালে ব্রাজিলে জন্ম সেবাস্টিয়াও রিবেইরো সালগাদোর৷ সে দেশের খ্যাতনামী চিত্রসাংবাদিক তিনি৷ পেশার প্রয়োজনে বিশ্বের ১২০টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন তিনি৷ তাঁর কলমে লেখা রয়েছে একাধিক বই৷ ছবি তোলার পেশাই তাঁর জীবনকে অন্য মোড়ে দাঁড় করায়৷ ২০১৫ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেবাস্টিয়াও জানিয়েছিলেন, ১৯৯৪ সালে মধ্য আফ্রিকার রোয়ান্ডায় যুদ্ধ চলাকালীন সেই বিষয়ে তথ্য