December 2024

বেদ–সুপ্রাচীন মানব ঐতিহ্যের প্রতিভূ

ঋগ্বেদ মুখ্যতঃ স্তুতি সম্বন্ধীয় হলেও তাতেও অন্যান্য কথা ও কথনিকা রয়েছে৷ সেই সকল কথা ও কথনিকার সকল অংশ সমান আধ্যাত্মিক মূল্য বহন না করলেও তারা সুপ্রাচীন মানব ঐতিহ্যের প্রতিভূ......ক্রমঃদ্রুতিতে অগ্রসৃত মানব–মননের তথা সমাজ–সংরচনার একটি আলেখ্য৷ সেদিক দিয়ে বিচারে ঋগ্বেদ ভাষা, সাহিত্য ও অভিব্যক্তির জগতে বিশেষ মূল্য বহন করে৷ ঋগ্বেদীয় যুগে লিপি ছিল না সত্য কিন্তু ধবন্যাত্মক অক্ষর ও আক্ষরিক ব্যাহূতি তথা ধবনিবিক্ষেপ.....প্রক্ষেপ ও উপন্যাস–রীতি (উপস্থাপিত করবার পদ্ধতি) ছিল৷ ঋগ্বেদে বিভিন্ন অক্ষরের জন্যে স্বতন্ত্র উচ্চারণ–রীতিও প্রচলিত ছিল যা ঋগ্বেদের অনুগামীরা পরবর্তীকালে গুরুপ্রমুখাৎ শিখে নিতেন৷ আমা

(১) সৃষ্টি-স্থিতি-লয় ক্রিয়ার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে পঞ্চাশৎ মাতৃকাবর্ণ৷ বিভিন্ন ভাব-তরঙ্গের আঘাতে -প্রঘাতে-প্রতিঘাতে-সংঘাতে ও বিচ্ছুরণে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে জড় ও ভাবজগতের সব কিছু সংঘটিত হয়ে চলেছে৷ এই পঞ্চাশৎ বর্ণের মধ্যে নিয়ন্তৃ-বিন্দু হয়ে রয়েছে তিনটি ধবনি-সৃষ্টিবীজ ‘অ’ স্থিতি বা পালন-বীজ ‘উ’ ও প্রণাশবীজ ‘ম’৷ মনে রাখা দরকার, অনেকেই ‘ম’-কে সংহার বা বিনাশের বীজ ৰলে ভেবে থাকেন৷ কিন্তু তা ঠিক নয়৷ ‘সংহার’ মানে শেষ করে দেওয়া৷ ‘স’ মানেও শেষ, করে দেওয়া৷ ‘নাশ’ মানে নষ্ট হওয়া, ‘বিনাশ’ মানে বিশেষ রূপে নষ্ট হওয়া কিন্তু ‘প্রণাশ’ মানে বর্তমানকালীন অস্তিত্বকে ত্যাগ করে মৌলিক অস্তিত্বে বা মূল সত্তায় প্রত্যাবর্তন

গল্পের গল্পকথা

অনেকে ভাবে ‘গল্পষৰ’ বুঝি একটি সংস্কৃত শব্দ৷ না, এটি একটি গৃহীত সংস্কৃত শব্দ অর্থাৎ যে শব্দ মূলতঃ সংস্কৃত নয়, অন্য ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে যেমন ‘গুবাক’, ‘রজ্জু’, পান অর্থে ‘পর্ণ’, মাছ অর্থে ‘মীন’, গ্রাম অর্থে ‘পল্লী’---এরা সবাই গৃহীত সংস্কৃত৷ ‘গল্প’ শব্দটি তাই-ই৷ গল্প / গল্পিকা দুটোই গৃহীত শব্দ৷ সংস্কৃতে এরকম গৃহীত শব্দগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হ’ল এদের ব্যুৎপত্তি পাওয়া যায় না৷

শাসককে হতে হবে জনগণের বন্ধু গণতন্ত্রের রক্ষক

প্রবীর সরকার

বর্তমান সমাজে যে সার্বিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে তাকে মোকাবিলা করতে হবে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবেই৷ তা না করে যদি কেবল পৃথক পৃথক ভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিবাদ ও মিছিল করা হয় তাতে কাজের কাজ হবে না৷ গোটা দেশে বিদেশী ইংরেজের শোষণের বিরুদ্ধে যে ঐক্যবদ্ধ তীব্র আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলনের ফলে ইংরেজ শোষক বুঝে নেয় যে তাদের শোষণ আর চলবে না৷ তারা চিন্তা করতে থাকে কি ভাবে প্রতিবাদী শক্তিকে প্রতিহত করবে৷ কিন্তু এমনই একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ফলে যাতে ইংরেজ বাধ্য হয় এদেশ ছেড়ে যেতে৷ কিন্তু তারা রেখে যায় তাদের এজেন্টদের৷ সেই এজেন্টরাই আজ দীর্ঘ ৭৭ বছর দেশ স্বাধ

বঞ্চিত বাঙলা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বাঙলার প্রতি বঞ্চনার বহর দিন দিন বাড়ছে৷ দিল্লির মসনদে শাসক পরিবর্তন হলেও বাঙলার প্রতি দিল্লির বৈষম্যমূলক আচরণের কোন পরিবর্তন হয়নে৷ বাম আমলেও এই একই অভিযোগে সংসদে সরব হতো বাম সাংসদরা৷ নরেন মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ঘটিত হওয়ার পর অনেকে ভেবে ছিল এবার বুঝি বাঙলার প্রতি দিল্লির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে৷ কিন্তু এই জায়গায় নেহেরু থেকে নরেন্দ্রমোদি সরকারী নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি৷ ১০০দিনের কাজ, গ্রামীন আবাস যোজনা, গ্রামীন সড়ক যোজনা–বঞ্চনার তালিকা আর দীর্ঘ না করেও বলা যায় পূর্বতন সব সরকারের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে গত ১২ বছরে মোদি জমানার বঞ্চনা৷

পরমারাধ্য ৰাৰা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী স্মরণে দু’চার কথায় শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিধানে আর একটা ২১শে অক্টোবর পেরিয়ে গেল৷ এই দিনটি আনন্দমার্গীদের কাছে অতীব দুঃখের! পরমারাধ্য ৰাৰা এই দিন আমাদের ছেড়ে চলে যান তাঁর ইহলীলা ত্যাগ করে! তিনি এক মহান কর্মযোগী৷ তাই তিনি কাউকে না জানিয়েই চলে যায়৷

তিনি রেখে যান তাঁর বিশ্ব জোড়া সংঘটন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ আর সারা পৃথিবীর ১৮২টি দেশে লক্ষ লক্ষ ভক্ত যাঁরা মহান কর্মযজ্ঞে যুক্ত৷ তাঁর আবির্ভাব সেই মহা পবিত্র বিহারের জামালপুরে ২১শে মে ১৯২১শে আর তিরোধান সেই ১৯৯০ এর ২১শে অক্টোবর সেই কলকাতার তিলজলার আনন্দমার্গ আশ্রমে৷

বিহার থেকে মুক্ত হয়েও ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র বাঙালীরা আজও শোষিত ও বঞ্চিত

তপোময় বিশ্বাস

তপোময় বিশ্বাস সুপ্রাচীনকাল থেকে রাঢ় বাঙলার অংশ বিশেষ, আজ যা ঝাড়খণ্ড নামে পরিচিত৷ সেই ঝাড়খণ্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী তথা ভূমিপুত্র বাঙালী জনগোষ্ঠীর ভাগ্যাকাশে যে কালো ছায়া ঘণীভূত হয়েছে, হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শোষণের স্ট্রীমরোলারে নিষ্পেষিত হতে হচ্ছে,তা থেকে পরিত্রাণ স্বরুপ ‘প্রাউট’ দর্শনের আলোকে শোষণবিরোধী আন্দোলন সংঘটিত করতে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক সংঘটনের উদাত্ত আহবান আসন্ন (ঝাড়খণ্ড) বিধানসভা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করুন৷

আমরা কোথায় চলেছি তা ভাবতে হবে

সঞ্জীব বিশ্বাস

আজকের স্বাধীন ভারতের নিত্যদিনের ঘটনা দুটি৷ (এক) মহিলা, কিশোরী ও শিশু কন্যাদের ওপর পাশবিক হেনস্তা৷ (দুই) ডোমেষ্টিক ভায়োলেন্স৷ এই উপদ্রবদুটি গোটা দেশব্যাপী এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিরূপে অবস্থান করছে৷ শুধু তাই নয়–বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় জ্যামিতিক হারে ওই শক্তিমানরা তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে৷ তাই পত্র পত্রিকা ও বৈদ্যুতিন মিডিয়ার স্যুইচ ওপেন করলেই উক্ত খবর দুটি থাকবেই৷ তাই ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যে ভারতের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজ যেন পাগলা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসেছে৷ এর শেষ কোথায় তা কারও জানা নেই৷

সমাজের সার্বিক বিকাশে চাই বাস্তবমুখী পরিকল্পনা

পত্রিকা প্রতিনিধি

ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক শোষণই হ’ল সব ব্যর্থতার মূল কারণ৷ মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষ কোন মতাদর্শের ধার ধারে না৷ তারা দু’মুঠো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে চায়৷ সেই স্থানে যদি শোষণ ও বঞ্চনা হয় তাহলে তারা অবশ্যই রুখে দাঁড়ায়৷ দেশে দেশে শোষণের ছলাকলার পরিবর্ত্তন ঘটিয়ে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিশ্ব কব্জা করেছে৷ এমনকি যারা ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সময়ে বড় বড় কথা বলে জনগণকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছিল, শেষে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা তাদের ওই ধনতন্ত্রের অক্টোপাশের বন্ধনেই আবদ্ধ করে ফেলে৷ তাই রাশিয়া ও চীন সেই ধনতন্ত্রেরই পায়ে ফুল দেয়৷ আর চীন মিথ্যাচারিতা করে কমিউনি