March 2025

জনচেতনার অভাবে দানবতন্ত্রের প্রবেশ

সঞ্জীব বিশ্বাস

সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে ও বিপক্ষে বিতর্ক চলেছেই৷ তবে এই শাসনতন্ত্রের বিশেষত্ব হ’ল এই যে, যে দেশের ভোট দাতাদের মধ্যে বিচারশীল মানুষদের সংখ্যাধিক্য বেশী সেখানেই এটি কৃতকার্য হতে পেরেছে৷ অন্যথায় প্রাগৈতিহাসিক মনোভাবাপন্ন বা মেকী সভ্য সমাজে এই শাসনতন্ত্র সুশাসনের প্রতীক হতে পারছে না৷ কারণ এই তন্ত্রকে ফলপ্রসূ করতে গেলে জনশিক্ষার দরকার হয়৷ এর অর্থ দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কমপক্ষে ৫১ শতাংশ অভিজ্ঞান প্রাপ্ত শিক্ষিত হলেই চলবে না, এই শিক্ষিতদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা থাকতে হবে৷ সঙ্গে একটা বিচারশীল মানসিকতাও চাই৷

আমার বাঙলা

একর্ষি

‘আমার বাঙ্গলা’র অর্থনৈতিক অবস্থার অতীত ও বর্তমান -এর কথা উঠলেই একটা ‘দিকদর্পণ’ সামনে আসে--- তা হ’ল,---একটা জাতির, একটা জনগোষ্ঠীর বা একটা দেশের অস্তিত্ব, স্থায়িত্ব, উদ্বর্তন ও ক্রমোনতি নির্ভর করে পঞ্চশক্তি ওপর, যথা অর্থশক্তি, ভাষা-সংস্কৃতির শক্তি, ক্ষাত্র শক্তি, প্রশাসনিক দক্ষতা বা ম্যানেজেণ্ট,---অন্য কথায় নেতৃত্ব, এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য অদম্য জিদ বা সুদুঢ আত্মবিশ্বাস৷ অর্থ শক্তি এদের মধ্যমণি৷ তাই হয়তো জীবনবাদী মহাভারতকার বললেন---‘অর্থই অনর্থের মূল’৷ ভাবুক দরবেশ গাইলেন -টাকা টাকা টাকা ভাই, টাকার মত জিনিস নাই,/ টাকা নাই যার মরণ ভাল এ সংসারেতে৷’’---কথার মধ্যে ভাবের আতিশয্য থাকলেও বাস্তবকে অস্ব

মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী

ডাঃ আলমগির

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী৷ দিনে পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে বা পার্কে যান ও হাল্কা শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ করে তুলুন৷ সবল করে তুলুন মানসিক স্বাস্থ্যকে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ সবুজ ঘাসের ওপর পাঁচ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে৷ সেইসঙ্গে বাড়িয়ে তোলে ব্যষ্টি আত্মমর্যাদাবোধও৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে, পার্ক বা ময়দানে বেশী সময় কাটানোর জন্যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷ আলেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটা, বাগান করা,

পাতিনেবুর উপকারিতা

পত্রিকা প্রিতিনিধি

প্ত দু’ চা চামচ নেবুর রস দু’ চা চামচ আদার রস মিশিয়ে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে বদহজমজনিত সব রকমের পেট ব্যথা সারে৷

প্ত শোওয়ার সময় গরম জলে নেবুর রস খেলে সর্দি সারে৷ কিছুদিন ধরে এইভাবে খেলে পুরোনো সর্দিও সেরে যায়৷

প্ত অল্প নেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেলে প্রবল কাসি সেরে যায়৷ হাঁপানির আক্রমণও তৎক্ষণাৎ থেমে যাওয়ায় আরাম পাওয়া যায়৷

প্ত নেবুর রস আঙ্গুলে লাগিয়ে দাঁতের মাড়িতে মালিশ করলে দাঁত থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়৷

প্ত নেবুর রসে মধু মিশিয়ে বাচ্চাদের চাটিয়ে দিলে বাচ্চাদের দুধ তোলা বন্ধ হয়৷

দিশাহীন উন্মত্ততা

কৌশিক খাটুয়া

এদের *ক* লিখতে কলম ভাঙ্গে

 *খ* লিখতে ছেঁড়ে খাতা,

 এরা হলেন বাংলাদেশের

বি. এন. পি আর জামাত নেতা!

জাতির জনক মুজিবর

ভেঙেছে তাঁর দুয়ার-ঘর,

ইতিহাসকে লোপাট করে

বাড়ায় নিজের বাজার দর!

যাঁর ভূমিকায় স্বাধীনতা

সম্মানীয় জাতির পিতা,

স্বেচ্ছাচারী নেতা বলে

এসব নাকি আদিখ্যেতা!

ক্ষমতাচ্যুত নির্বাচিত সরকার

ক্ষমতায় উন্মত্ত জবরদখলদার,

উগ্র রক্ষণশীলতার আবরণে

‘ভারত-বিদ্বেষ’ একমাত্র হাতিয়ার৷

এরা মানব সমাজে বিরাজমান

 বিষাক্ত হুলে ভিমরুল,

কাজি হলেও হয়নাতো তারা

ভালো-মন্দ যাহাই ঘটুক সত্যরে লও সহজে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সংস্কৃত কলেজের একটা ভাঙা সিড়ি নিয়ে একবার দুই ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে ভীষণ মারামারি আর হৈচৈ হলো৷ দুপক্ষই চাইল ভাঙা সিঁড়িটি খেলার সামগ্রী হিসাবে দখল করতে৷ তাই উভয় দলের মধ্যে শুরু হলো শক্তি পরীক্ষা৷ প্রথমে কথা কাটাকাটি... তারপর ঠোকনা ঠাকানি.... তারপর ঠেলাঠেলি ব্যঙ্গ বিদ্রূপ...তারপর দুমদাম কিলচড় লাথিঘুষি৷

সংবাদটা পৌঁছে গেল অধ্যাপক মহলে৷ জনকয়েক অধ্যাপক ছুটে এসে ধমকানি দিতেই ছাত্ররা যে যার ক্লাসে পালিয়ে গেল৷

 কিন্তু ব্যাপারটা সেইখানেই শেষ হলো না৷ জল আরেকটু গড়ালো৷ অধ্যাপকদের কাছ থেকে সংবাদটা পৌঁছলো অধ্যক্ষের কাছে৷ ছাত্ররা ভীষণ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে৷ শক্ত হাতে এদের শায়েস্তা করা দরকার৷

শরণাগতিই বড় কথা

অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ বর্তমান বা ভবিষ্যতের চেয়ে অতীত নিয়েই বেশী মাথা ঘামায়৷ অনেককেই অনেক সময় বলতে শোণা যায়, ‘হে ঈশ্বর, আমি পাপী, তুমি আমাকে ত্রাণ করো’ এই ধরনের চিন্তা তন্ত্রসম্মত নয় কারণ ‘যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্বির্ভবতি তাদৃশী’৷ যে নিজেকে সর্বদা পাপী ভাবে, সে যদি পাপী নাও হয়, তবু যদি সে ভাবে, ‘আমি পাপী, আমি পাপী’---এই রকম ভাবতে ভাবতে সে পাপী হয়ে যাবে৷ সুতরাং এ ধরনের চিন্তা খুবই খারাপ৷ বরং এটাই ভাবা উচিত, আমি পাপী ছিলুম, আজ আর পাপী নই, কারণ আমি ঈশ্বরের শরণে এসেছি, আমার পাপ কোথায় থাকবে?

ভাব জড়তার অন্ত হোক

ইতোপূর্বেই আমি তোমাদের ৰলেছি যে এ জগতে কোন কিছুই অর্থহীন নয়৷ প্রতিটি ধবনি-স্পন্দনের অর্থ রয়েছে৷ আমরা তার অর্থ জানি বা না জানি, প্রতিটি ধবনির অর্থ ঠিকই রয়েছে৷ তাই প্রতি শব্দই অর্থময়৷ আর বাক্য কাকে ৰলে? শব্দের সমষ্টিকে ৰলে বাক্য৷ প্রতিটি বাক্যের নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে৷

বধিরতার নিরাময়

লক্ষণ ঃ এই রোগে আক্রান্ত হবার প্রথমের দিকে রোগী কাণে ভোঁ–ভোঁ শব্দ শোণে ও ক্রমশঃ অনান্য সমস্ত শব্দই রোগীর কাছে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে৷

কারণ ঃ জন্মগত কারণ ব্যতিরেকে বধিরতা নিজে কোন রোগ নয়–অন্য রোগের প্রতিক্রিয়া মাত্র৷ তাই এ রোগের অজস্র কারণ থাকতে পারে৷

১) অতিরিক্ত কুইনাইন বা অন্য কোন বিষ ঔষধ রূপে দীর্ঘকাল ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত হয় বা স্তম্ভিত হয়ে যায়৷

২) পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে পৌঢ়ত্বে বা বার্দ্ধক্যে অনেক লোকের শ্রবণযন্ত্রের স্নায়ুপুঞ্জ দুর্বল হয়ে পড়ে ও তার ফলে বধিরতা দেখা দেয়৷

গণ্ডোয়ানাভূমি ও রাঢ়

এই যে এলাকাটায় আমরা রয়েছি এটা সুপ্রাচীন গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ডের পূর্ব প্রত্যন্ত৷ একেবারে পূর্ব বলতে পারছি না কারণ একেবারে পূর্বে রয়েছে গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ডের যে অংশ তাকে আজকের মানুষ রাঢ় বলে জেনে থাকে৷ এই গণ্ডোয়ানাল্যাণ্ডের পূর্বদিকের পাহাড়গুলো পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সমান্তরালভাবে চলে গেছে৷ উত্তর দিকে কেবল রাজমহল পাহাড়টি সোজা পূর্বে না গিয়ে উত্তর–পূর্ব কোণে গিয়ে সাহেবগঞ্জের কাছে এসে গঙ্গায় পথ হারিয়েছে৷ গঙ্গাই বললুম যদিও এককালে ওখানে গঙ্গা ছিল না–ছিল সমুদ্র৷ তখন হিমালয়ই তৈরী হয়নি–গঙ্গা আসবে কোত্থেকে!