April 2025

সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহতা

মানুষ যে জাতপাত ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায় সেটা কি স্বাভাবিক, না কৃত্রিম স্বাভাবিক বিভাজন কোষ বিভাজনের মত – একটা কোষ যেমন দু’টো কোষে বিভাজিত হয়৷ কৃত্রিম বিভাজন এরকম নয়৷ কাজেই, মানুষের জাতি ও সম্প্রদায়গত ভেদকে কী বলা যাবে–স্বাভাবিক বিভাজন, না কৃত্রিম বিভক্তিকরণ বৈরী শক্তিগুলির মধ্যে কিছু দল আছে যেগুলো বিচ্ছিন্নতার মতাদর্শে চালিত হয় ও কিছু লোকও আছে যারা এই সব বিভেদকামী দলগুলির দ্বারা চালিত হয়৷ এই সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব হবে কীভাবে আমরা এই সব যুযুধান দলগুলিকে একটা অচল সেকেলে ভাবাদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা থেকে নিবৃত্ত করতে পারব যা দেশকে খণ্ড

পরমপুরুষের কাছে কিছু না চাওয়াই ভাল

পরমপুরুষের কাছ থেকে কোন কিছু প্রার্থনা করা উচিত কি লোকে বলে–

‘‘মাঙ্না মরণ সমান হ্যায়

মৎ কোই মাঙো ভিখ্৷

বিন মাঙে মোতি মিলে,

মাঙে মিলে না ভিখ৷৷’’

কলার মোচার উপকারিতা

প্রাচীন ৰাংলায় ‘মোচা’ শব্দের অর্থ ছিল ৰড় আকারের ফুল, আর ‘মুচি’ ছিল ছোট আকারের ফুল৷ কলার ফুলকে ৰলা হয় মোচা আর কাঁটাল বা নারকোলের ফুলকে বলে মুচি৷

লিবার (যকৃত) ও প্লীহা রোগে ঃ প্রাচীন ৰাংলায় মোচাকে একটি সুখভোগ্য খাদ্য বলে মনে করা হত৷ ঈষৎ ক্ষারযুক্ত হওয়ায় মোচা লিবার ও প্লীহা এ দু’য়ের পক্ষেই ভাল (তরকারী হিসেবে)৷

ভেজানো (বা অঙ্কুরিত) ছোলা

ছোলার খোলা না ছাড়িয়ে জলে ভিজিয়ে ফুলিয়ে নিলে তাকে বলা হয় ‘সিক্তচনকং’৷ ছোলা কিছুটা গুরুপাক হলেও গুড়–আদার সঙ্গে ভিজে–ছোলা মিশিয়ে খেলে তা কিছুটা সহজ পাচ্য হয়৷ ‘লবণেন সহ সিক্তচনকং’–অর্থাৎ নুন দিয়ে ছোলা ভিজে কিডনী রোগের ঔষধ৷ যাঁরা কোন কর্মে উৎসাহ পান না, যাঁরা দীর্ঘসূত্রী বা অলস, তাঁরা গুড়, ছোলা–ভিজে ও আদা একসঙ্গে কিছুদিন খেলে কর্মোদ্যম ফিরে পাবেন৷ ( যথেষ্ট খাদ্যগুণ–সমৃদ্ধ হওয়ায়, যাঁরা নিরামিষ আহার করেন, তাঁদের যদি পেটে সহ্য হয়, তবে সকালে নিয়মিতভাবে ভিজানো বা অঙ্কুরিত ছোলা খাওয়া খুবই উপকারী৷ ভিজে ছোলা পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে )৷

শুকনো রুটি

রুটি চাটুতে সেঁকে তারপর উনুনে ফেলে গরমে ফুলিয়ে নিলে তা ব্যবহারের উপযুক্ত হয়, অন্ততঃ আজকালকার নিয়মে৷ কিন্তু আসলে রুটিতে যদি ঘি বা জল না বোলানো হয় তবে তা অগ্ণ্যাশয় (Pancreas) ও যকৃতের ওপর ধাক্কা দেয়৷

বিস্ফোটকের অপর অর্থ হ’ল বিশেষ ধরণের ফোঁড়া৷ বিস্ফোটক> বিসফোড> বিসফোড়া> বিসফোঁড়া৷ ৰানানটি হয় ‘বিস্ফোড়া’ অথবা ‘বিসফোড়া’৷ অনেকেই ভুল করে ‘বিষফোঁড়া’ লিখে থাকেন৷ ভাবেন, মানে ৰুঝি গরল (Poison)৷ না, শব্দটি আসলে তা একেবারেই নয়৷ সঙ্গে এর কোন সম্পর্কই নেই৷ হ্যাঁ, এতদর্থে ‘ফ’ মানে ফোঁড়াও হয়৷

পানের ৰরজ–বরোজ নয়

ৰাংলা ভাষায় ৰহুল–প্রচলিত ‘গরজ’ শব্দটি আসলে ফারসী মূলজাত৷ শব্দটি ‘গরজ’ নয়–‘গর্জ্’৷ তোমরা ৰাংলা উচ্চারণে ঢ়েলে একে ‘গরজ’ করে নিয়েছ, যেমন তৰলা ৰাজাতে গিয়ে দ্রুত লয়কে ‘জলদ’ করে দিয়েছে৷ শব্দটি ‘জলদ’ নয়–‘জল্দ্’৷ উর্দু ফারসীতে প্রচলিত ‘খুদগর্জী’ শব্দের সঙ্গে তোমরা কেউ কেউ হয়তো পরিচিতও৷ শব্দটি ‘খুদগরজী’ নয়–‘খুদগর্জী’৷

‘গরজ’ অশুদ্ধ....‘গর্জ্’ শুদ্ধ, কিন্তু তাই ৰলে ‘ৰরজ’ অশুদ্ধ–‘ৰরোজ’ শুদ্ধ এমনটা ভেবে বসো না৷ তবে ৰানানে ‘ৰরোজ’ না লিখে ‘ৰরজ’ লেখাই সঙ্গত, কারণ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে ৰরূজনূড এই সূত্র থেকে৷ এ ব্যাপারে সেই মজার পৌরাণিক গল্পটা জান তো৷

কেন্দ্রের বঞ্চনা ও বৈষম্যমূলক আর্থিক নীতি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে

রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বার বার পরাজিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণ কোন সুস্থ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লক্ষণ নয়৷ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভারতের মতো যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রে ও রাজ্যে ভিন্ন দলের শাসন থাকতেই পারে৷ কিন্তু কখনই কেন্দ্র ভিন্ন দল শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না৷ কেন্দ্রীয় শাসক দলের এই আচরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে৷ বঞ্চিত নাগরিকদের মনে বিচ্ছিন্নতার প্রবণতা দেখা দিতে পারে৷