August 2025

শহীদ বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত

পত্রিকা প্রতিনিধি

৭ই জুলাই, ১৯৩১সাল৷ শেষ রাতের অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে৷ আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরা কেমন নিস্তব্ধ, নীরব৷ ম্লান মুখগুলো অব্যক্ত যন্ত্রণায় ভারাক্রান্ত৷ আর কিছুক্ষণ পরেই চিরদিনের মত চলে যাবে তাঁদের সহবন্দি বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত৷ পরাধীন দেশের বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বিচারে তাঁর ফাঁসি৷ পরাধীন দেশের নাগরিকদের বিদেশি অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খোলা নিষেধ৷ আর উনি মুখ খোলেননি, মহাকরণের অভ্যন্তরে গিয়ে বিদেশি শাসকের কোমর ভেঙে দিয়ে এসেছে৷ এইরকম বিপদজনক ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখাও বিপদ৷ তাই বিচারের প্রহসনে ফাঁসির দন্ডই বরাদ্দ হয়েছে তার জন্য৷

সামাজিক অপরাধের দায় সাহিত্য সংস্কৃতির জগৎকেও নিতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কসবার ঘটনা নিয়ে শুধু শাসক পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুললে হবে না৷ যুব সমাজকে সঠিক পথের দিশা দেখানোর একটা দায় কবি সাহিত্যিক শিল্পীদেরও আছে৷ তারা কি সেই দায়ীত্ব পালন করছে!

অকারণ হিন্দি প্রেম - অশুভ সংকেত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ভাষা মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম৷ প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সাহিত্য সংস্কৃতির ওপর মাতৃভাষার প্রভাব অস্বীকার করা যায় না৷ কোন জনগোষ্ঠীর প্রাণশক্তিকে যদি দুর্বল করতে হয়, তার প্রাণধর্মকে যদি নিষ্পেষিত করতে হয় তবে তার ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতিকে অবদমিত করে তার ওপর হীন রুচির নিম্নমানের অশ্লীল শিল্প সাহিত্য চলচ্চিত্র সংগীত চাপিয়ে দিতে হয়৷ স্বাধীনতার পর থেকেই দীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে দিল্লির হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী সরকার বাঙলার উপর এই নীতি প্রয়োগ করে চলেছে৷

গণ–র্থনীতিকে সার্থক করে তুলতে হবে সমবায়ের মাধ্যমে

প্রভাত খাঁ

ব্যষ্টি নিয়ন্ত্রিত ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ব্যবস্থাই অদ্যাবধি পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ও মূলতঃ বন্টন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করছে৷ এদের যথাক্রমে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রক সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলা হয়৷

আজ এই দুটি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থাই শোষণের হাতিয়ার হিসাবে চিহ্ণিত হচ্ছে৷

সারা পৃথিবীতে চলছে চরম অর্থনৈতিক শোষণ৷ বর্ত্তমানে ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই সর্বত্র স্বনামে ও বেনামে কাজ করে চলেছে৷ এই দুই ক্ষেত্রেই শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নানাভাবে আর্থিক দিক থেকে শোষিত হচ্ছে৷

প্রাউট প্রসঙ্গে

প্রাউটিষ্ট

একটা মানুষ অন্যের মুখের গ্রাস কেড়ে নেবে, এটা তো উচিত নয়৷ সুতরাং মানুষ যাতে একটা বিধিসম্মতভাবে তার সমস্ত সম্পদ নিজেদের মধ্যে মিলে মিশে ভাগ করে কাজে লাগাতে পারে তার একটা ব্যবস্থা দরকার ছিল যা এর আগে কোন মহান পুরুষ করে নি৷... এই না করার জন্যে সমাজ জীবনে যে অনুপপত্তি থেকে গিয়েছিল, সেই অনুপপত্তির জন্যেই মানুষের যত দুঃখ কষ্ট ভোগ চলছিল৷...

জ্ঞানের গভীরে

কৌশিক খাটুয়া

জ্ঞানের গভীরে ধরা নাহি যায়

ধ্যানে অনুরাগে পেয়েছি তোমায়,

সমর্পিত মন খোঁজে শ্রীচরণ

জ্ঞানের গরিমা তোমাতে হারায়!

শয়নে স্বপনে গানে জাগরণে

উজ্জীবিত মন তব প্রেরণায়,

যশ-সুখ্যাতি নাহি মানে ইতি

অবোধের মতি তোমায় ভুলায়৷

নিদাঘ হুতাশে দগ্দ বাতাসে

তৃপ্ত বরষার শীতল সলিলে,

বিপদে রয়েছ সম্পদে আছো

প্রীতি-ডোরে বাঁধো অতীত ভুলে৷

ভোরের আলোয় নিকষ কালোয়

মন্দ-ভালোয় তব আশীর্বাদ,

এই ভরসায় সমুখে চলায়

বিরতি বিহীন যাত্রা অবাধ৷

গহন বনে হলে দিশাহারা

শঙ্কিত মনে তুমি ধ্রুবতারা,

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

আকাশে মেঘ জমতে দেখলে আমরা মনে করি বুঝি বৃষ্টি হবে৷ কিন্তু মেঘ ছাড়াও বৃষ্টির আরো পূর্ব লক্ষণ আছে৷

আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা বলে গেছেন, পিপঁড়েদের যদি দেখা যায়, হঠাৎ খাবার মুখে নিয়ে ওপরের দিকে উঠতে তবে বুঝতে হবে শিগ্রীই বৃষ্টি হবে৷ বৃষ্টি হবার আগে ব্যাঙ ডাকে তা আমরা প্রায় সবাই জানি৷ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ালরা অনেক আগেই টের পেয়ে নিরাপদ জায়গায় ছুটতে থাকে৷ অনুরূপভাবে বেজি আর সাপও যার যার আস্তানার দিকে দৌড়তে থাকে৷ শরভ নামে এক ধরণের হরিণ বৃষ্টির আগে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়৷

জীবনব্রত

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

হাসতে হাসতে এগিয়ে যাবো

মুছিয়ে অশ্রু জল

মানুষ আমরা এই পরিচয়ে

বাড়াই আত্মিক বল৷

কালিমা যত মুছিয়ে মনের

করবো বেদন দূর

সহজ সরল জীবন মনে

আনবো সমাজ ভোর৷

দীপ্ত জীবনে সুপ্ত চেতনা

ফুটাবো কুসুম কলি

যোগাবো সাহস সততা নিয়ে

বিনম্রতায় চলি৷

আত্মীয় সবাই দূর কেহ নাই

সবারে আপন মানি

সুন্দরতায় ভরিয়ে দোব

জীবনব্রত মানি!

আনন্দমার্গের উদার অসাম্প্রদায়িক আদর্শ সর্বশ্রেণীর মানুষের কল্যাণ করতে সক্ষম

গত ৪,৫ ও ৬ই জুলাই শিলচর রবীন্দ্র সরণি আনন্দমার্গ আশ্রমে তিন দিনের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই আলোচনা সভায় বরাক ভ্যালির আনন্দমার্গের কর্মী ও অনুগামীরা অংশগ্রহণ করেন৷ তিনদিনের আলোচনা সভায় আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের উপর আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও আচার্য শুভদীপানন্দ অবধূত৷ ৫ জুলাই অপরাহ্ণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্রসরনী হাইলাকান্দি রোড সংযোগের সামনে সমবেত হয় ও একটি সভার আয়োজন করা হয়৷ ওই সভা থেকে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের শিলচর শাখার পক্ষ থেকে ৬০ জন আর্থিক দুর্বল মানুষদের হাতে মশারি তুলে দেয়া হয়৷ পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খিচু

রাজ্যে হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় হিন্দির দৌরাত্ম্য ভিন্ন রাজ্যে বাঙালীকে হিন্দি শিখতে বাধ্য করা হচ্ছে

এ রাজ্যে হিন্দিভাষীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েছেন৷ কলকাতা শহরে এখন বাংলা বললেও হিন্দিভাষীর লাঞ্ছনা সহ্য করতে হচ্ছে৷ অন্য রাজ্যে বাংলা বললেই আটক করে রাখা হচ্ছে, বাংলাদেশী বলে বিতাড়ন করা হচ্ছে৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷