বাঙালী! আর কত সইবে?

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর ইতিহাসে যে সকল প্রাতঃস্মরণীয় মনীষী তাঁদের জ্ঞান, কর্ম, তেজস্বিতা,ত্যাগ, সাধনা  ও বৈদগ্দের দ্বারা মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে  চেতনাকে আলোকদীপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অন্যতম৷ তাঁর বর্ণপরিচয় আজও বাঙালীর প্রথম পাঠ্যপুস্তক৷ সাধারণ মানুষের শিক্ষা, বিশেষতঃ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান ভারতবর্ষের শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত৷  তৎকালীন হিন্দু সমাজের কৌলীন্যপ্রথার দাপটে বিধবা নারীদের জীবনে যে দুর্বিসহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল তার থেকে পরিত্রাণের জন্যে  বিদ্যাসাগর মহাশয়ের  অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় ‘‘বিধবা বিবাহ আইন’’ প্রবর্তন  এক যুগান্তকারী ঘটনা৷  এরফলে নারী সমাজের  সর্র্বপেক্ষা অবহেলিত নিপীড়িত,অজস্র বিধিনিষেধের  শৃঙ্খলে  আবদ্ধ  বিধবা  নারীকুল মুক্তির দিশা খুঁজে  পেয়েছিলেন ও সমাজ এক চরম অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল৷ শুধু তাই নয়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজের পুত্রের বিবাহ একজন বিধবার সঙ্গেই দিয়েছিলেন৷ বাঙালী সমাজে তিনি দেবতুল্য মানুষরূপেই পূজিত হন৷

গত১৪ই মে সন্ধ্যায় কলকাতায় একটি রাজনৈতিক দলের অবাঙালী সভাপতির রোড শো চলাকালীন কতিপয় পাষণ্ডের আক্রমণে বিধান সরণী স্থিত বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে সযত্নে রক্ষিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্ত্তিটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুষ্পিত কাননে রাজনৈতিক মত্তহস্তীসম অকাল কুষ্মান্ডদের দাপাদাপি সভ্য সমাজের বাসিন্দা সুস্থ ও শুভবুদ্ধিযুক্ত মানুষের পরিচায়ক নয়৷ তাই এই ধরণের একটি গর্হিত কুকর্ম  যে দলের দ্বারাই সংঘটিত হোক না কেন, সর্বৈব নিন্দনীয়৷ সংস্কৃতির পীঠস্থান কলকাতার কলেজস্ট্রীট চত্বরে রাজনৈতিক বেলেল্লাপনা যাদের প্রশ্রয়ে বা আশ্রয়ে হয়েছে, তারা ক্ষমার অযোগ্য৷ এটি নিছক একটি মূর্তি ভাঙার ঘটনা নয়, বাঙলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সংবেদনশীলতার ওপর চরম আঘাত, মানবিক মূল্যবোধের ওপর জঘন্যতম পাশবিক আক্রমণ৷ এর প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই বাঙলা ও বাঙলার বাইরের বহু মানুষ  সরব হয়েছেন৷ কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির আঙিনায় যে ধরনের বাক্-বিতন্ডা চলছে ও মূর্তির পুনর্নিমাণের বিষয়ে দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, তাতে ঋষি মনীষীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ওইসব রাজনীতিকদের অন্তঃসারশূণ্যতাই প্রকট৷

শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, বাঙলা তথা ভারতের  শিক্ষা-সংস্কৃতি - শিল্প জগৎসহ অন্যান্য সাংবিধানিক  প্রতিষ্ঠান গুলিও রাজনীতির পঙ্কিল আবর্তে কালিমা লিপ্ত হয়ে চলেছে৷ প্রাতিষ্ঠানিক ঔদার্যও স্বাধীনসত্তার ব্যাপ্তিকে  রাজনৈতিক সংকীর্ণতার নাগপাশে ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে৷ মানুষের মননশীলতা ও উন্মুক্ত চিন্তার আকাশকে ক্রমশঃ জাত-পাত-ধর্মমত-দলগোষ্ঠীগত বিভাজনের বেড়াজালে সঙ্কুচিত করার এক অন্তহীন প্রয়াস চলেছে৷ এইরকম একটা বিচিত্র পরিবেশে প্রকৃত জ্ঞানী-গুণী-মনীষীগণের, বিশেষতঃ  তাঁদের মধ্যে যারা বাঙালী হিসেবে পরিচিত, সম্মান  বজায়  রাখা অত্যন্ত কষ্টকর ব্যাপার৷ উদ্ধত রাজনীতি, পেশীশক্তির কদর্য আস্ফালন, মিথ্যাচার, কুবাক্য বিন্যাসের বিষবাষ্পে আকাশ বাতাস পরিব্যাপ্ত৷

বাঙলার জল হাওয়া ও মাটির এক আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ বাঙলার ঐতিহ্য মিলনের, সম্প্রীতির, সহনশীলতার ও আতিথেয়তার৷ বাঙালী সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারে৷ মানবিক মূল্যবোধ ও সম্প্রীতির আদর্শেই বাঙলার জীবনধারা প্রবাহিত৷ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শরৎচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্র বসু, বিপিন বিহারী পাল, অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখ এককালের বাঙালী রাজনীতিবিদগণ সর্বদাই সেবা ও ত্যাগের ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়ে রাজনীতির অঙ্গনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন৷ বর্তমানেও কতিপয় ব্যতিক্রম ছাড়া সাধারণতঃ বাঙালী রাজনীতিকরা অতীতের ঐতিহ্যকে মেনে  চলার চেষ্টা করেন৷ অবশ্য বাঙলার বাইরে থেকে যারা বাঙলায় রাজনীতি করতে  এসেছেন, তাঁরা সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বিদ্বেষ বিভাজনের অসংস্কৃতি, যা বাঙলার রাজনৈতিক পরিবেশকে কলুষিত করে চলেছে৷ ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে কিছু সংখ্যক বাঙালী  তাঁদের  আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে লালিত হচ্ছেন আর ওইসব রাজনীতিকদের প্ররোচনায় বাঙলার সংস্কৃতি-ঐতিহ্য বিনষ্ট হয়ে চলেছে, যার ফলশ্রুতিতে বাঙলার গুণী মনীষীগণও অসম্মানিত হচ্ছেন৷ এরই প্রকৃষ্ট নিদর্শন ১৪ই মে তারিখে দুষৃকতী-তাণ্ডবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার ঘটনা---আর এই ঘটনা এমন একটা সময়ে ঘটেছে যখন কি না বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উদযাপনের  প্রস্তুতি চলছে৷ বিদ্যাসাগরকে অসম্মানের অর্থ বাঙালীর অন্তরের দেবতার অপমান, বাঙালীর চেতনার গভীরে অধিষ্ঠিতন্তরাত্মার চরম অবমাননা৷  এই ঘটনা প্রবাহকে আকষ্মিক দুর্ঘটনা বলে বাঙালী মেনে নিতে পারে না---এটা বাঙালী জাতিসত্তাকে অপমানের ধারাবাহিক পরিকল্পনারই অঙ্গ৷ এই বাঙালী বিদ্বেষের মূল যথেষ্ট গভীরে প্রোথিত৷

ভারতবর্র্ষের স্বাধীনতার আগে থেকেই বাংলা বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার৷ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসককুল বুঝেছিল, ভারতীয়দের মধ্যে এই বাঙালী জাতি সর্বাপেক্ষা রাজনৈতিক সচেতন ও শিক্ষায় দীক্ষায় জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নত৷ বাঙালীর সংগ্রামী মানসিকতা ছিল তাদের ভয়ের কারণ৷ তাই নানা অছিলায় বিভিন্ন সময়ে বাঙলাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার চেষ্টায় তারা ছিল তৎপর৷ ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের বঙ্গ ভঙ্গের চক্রান্ত সমগ্র বাঙালীর ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফলে রোধ করা সম্ভব হলেও পরবর্তীকালে বাংলাভাগ হয়ে৷ এছাড়াও ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের নামে পশ্চিম সীমান্তে পঞ্জাব ও পূর্ব সীমান্তে বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করে ভারতবর্ষ ও পাকিস্তান দুইটি পৃথক রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়৷ স্বাধীনতার পরেও ইংরেজদের সুযোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে  ‘ডিভাইড এ্যাণ্ড রুল’ নীতিকে কাজে লাগিয়ে তৎকালীন দেশীয় অবাঙালী শাসকবৃন্দ বাঙলার বঞ্চনার ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখে৷ রাজ্য পুনর্ঘটনের নামে বাংলার অংশ কেটে বিহার (অধুনা ঝাড়খণ্ড), মধ্যপ্রদেশ, অসম ,ওড়িষ্যা প্রভৃতি রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া  হয়৷ স্বাধীনতার সময় লোক বিনিময়ের ফলে যে উদ্বাস্তু  সমস্যার সৃষ্টি হয়, পঞ্জাব সীমান্তে উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন সুসম্পন্ন হলেও  পূর্ব সীমান্তে সেই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করা  হয়নি--- যদিও তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে  সাংবিধানিক নিয়মেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন৷ অথচ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে বেশী রক্ত ঝরিয়েছে বাঙালী, প্রাণ উৎসর্গ করেছে বাঙালী, লড়াই করেছে বাঙালী৷ শুধুমাত্র বাঙালী হওয়ার কারণে সুভাষচন্দ্র বসুকে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত  দেশ স্বাধীন করার সংকল্প নিয়ে তাকে দেশত্যাগ করতে হয়৷ হিন্দি-সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসন ও উৎপীড়নের  শিকার হয়ে  বাঙলা ও বাঙালীকে আজও বঞ্চিত, শোষিত হতে হচ্ছে৷ ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, অসম, ইত্যাদি রাজ্যের বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলে বাঙলা ভাষা শিক্ষার বিদ্যালয় ও শিক্ষকের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে৷ বাঙালীরা মাতৃভাষা বাংলা ভুলে ক্রমশঃ বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে  হারিয়ে ফেলতে বসেছে৷ অসমের বরাক উপতক্যার  ৯০ শতাংশেরও বেশী অধিবাসী বাঙালীর ওপর অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ও মাতৃভাষা বাংলাকে যথাযথ মর্র্যদা দানের দাবীতে ১৯৬১ সালে যে গণআন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল, তাঁকে দমনের উদ্দেশ্যে নিরীহ, নিরস্ত্র, সত্যাগ্রহীদের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চালিহা সরকারের অসমীয়া পুলিশ বাহিনী৷ শিলচর স্টেশন চত্ত্বরের ঘটনাস্থলেই ৯জন ও হাসপাতালে ২ জন মোট ১১জন নিহত হন৷ আহত হয়েছিলেন শতাধিক আন্দোলনকারী৷ শুধুমাত্র মাতৃভাষার দাবীতে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল৷ নিহতদের মধ্যে একজন তরুণী, কমলা ভট্টাচার্যও ছিলেন৷ এই আন্দোলনের কাছাকাছি আসার মত রয়েছে একমাত্র ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় উর্দুভাষী পুলিশের গুলিতে মৃত পাঁচজন ভাষা শহীদের আত্মবলিদান৷ কিন্তু এত বড় একটা ঘটনাকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার  ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল কংগ্রেস শাসিত অসম রাজ্য ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার৷ একই দল কংগ্রেসের শাসনাধীন  পশ্চিমবঙ্গ - সরকারের পক্ষ থেকেও সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি শিলচরে পাঠানো ব্যতীত বিশেষ কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ সেই সময় সমস্ত বাঙালী দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে  যদি  রুখে দাঁড়াতেন  তবে হয়তো স্বাধীন ভারতবর্ষের বাঙলা ও বাঙালীর ইতিহাস  ভিন্নতর হত৷ এছাড়াও বিভিন্ন সময় ‘বাঙালী খেদাও’ অভিযানের সম্মুখীন হতে হয়েছে অসমের বাঙালীকে৷

যাই হোক বাঙলা ও বাঙালীর শোষণ ও বঞ্চনা অতিশয় দীর্ঘ আর বাঙালীর সহ্যশক্তিও অসীম৷ হয়তো সুদীর্ঘ অবদমন, অবনমন ও বঞ্চনার কারণে  বাঙালীর মেরুদণ্ড অনেকটাই বেঁকে গেছে--- তাই পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ বর্তমানে এন.আর.সি ও ডি-বোটারের নামে বাঙালীকে নাগরিকত্ত্বহীন, ভূমিহীন, রাষ্ট্রহীন, ভাসমান জনগোষ্ঠীতে পরিণত করার অপচেষ্টা চলছে৷ কিন্তু বাঙালীকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে সংগ্রাম করতে হলে, স্মরণ করতে হবে তার অতীত গৌরবের কথা ও আপোষহীন সংগ্রামের ইতিহাস৷  বাঙলার সন্তানই একদা লঙ্কা জয় করেছিলেন, শ্যাম দেশে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ বিবেকানন্দ , নেতাজী সুভাষ, অরবিন্দ, রবীন্দ্রনাথ, ঈশ্বরচন্দ্র, সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, বিনয়-বাদল-দীণেশ প্রমুখ  বীর বিপ্লবী ও মনীষীদের রক্ত বাঙালীর ধমনীতে প্রবাহিত৷ মেষ শাবকদের সঙ্গে বসবাস করে ব্রাঘ্র শাবকের মতো জাতিসত্তা খোয়ালে চলবে না--- তাকে আবার বীরবিক্রমে ব্যাঘ্রের গর্জনে চতুর্দিক প্রকম্পিত করে  তুলতে হবে৷ বাঙালী জাতিকে সমস্ত জড়তা, ভীরুতা ,চাটুকারিতা, ও বাগাড়ম্বর ত্যাগ করে নিজেদের ঐতিহ্যের প্রতি সুবিচার করতে হবে, সংগ্রামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতেই হবে৷ হিন্দু-মুসলিম, জৈন-খ্রীষ্টান বা অন্য কোনো জাতপাত গোষ্ঠী রাজনীতির বিভেদ  ভুলে, দলাদলি-গালাগালি বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র ‘বাঙালী’ পরিচয়ে নিজেদের  পরিচিত হতে হবে ও মাতৃভূমি তথা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় মরণপণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ গ্রহণ করতে হবে৷ সমস্ত বাঙালীকে আজ সগর্বে ও সদর্পে ঘোষণা করতে হবে---‘‘আমি বাঙালী,আমরা বাঙালী,বাঙলা আমাদের মাতৃভূমি,বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, প্রতিটি বাঙালী আমাদের ভাই-বোন আত্মীয় পরিজন, আমরা বাঙলাকে ভালোবাসি, বাংলার দুঃখে কাঁদি ,বাংলার সুখে হাসি৷’’