বর্তমান পৃথিবী এমন এক অনিশ্চিতের মধ্যে পড়েছে যেটার হাত থেকে তাকে রক্ষা করার প্রায় কেউই নেই কারণটা মূলতঃ একটাই যারা অত্যন্ত শিক্ষা দীক্ষায় মানসিকতায় নিম্নস্তরের তারা অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রীয় ভার হাতে নিয়েই সেই দলতন্ত্রের দলাদলিতে মেতে উঠেছে৷ সুশাসন করতে যে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গী ও উদার মানসিকতা প্রায় মোটেই নেই৷ সেই কারণে অহেতুক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠেছে৷ শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সার্বিক উন্নতিটাই ব্যহত হচ্ছে৷ তাই যারা মহাজ্ঞানী বুদ্ধিমানগণ তাঁরা রাজনীতি পরিধির মধ্যে আসতে চাননা৷ মূলতঃ নিম্ন মানসিকতার আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর মানুষই এখন রাজনীতিতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে৷ এরা সব সময় অসৎ মানুষ পরিবেষ্টিত হয়ে থাকে আর সৎনীতিবাদী মানুষদের শত্রু মনে করে৷ সৎনীতিবাদীরাও এদের থেকে দুরে থাকে৷ ফলে রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থাটাই চলে গেছে অসৎ নির্র্বেধ মানুষের হাতে৷
বাংলাদেশ সম্বন্ধে বলা যায় ভাষা আন্দোলনটি ছিল মূলতঃ শিক্ষিত ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যষ্টিদের দ্বারা৷ এটা একটি উন্নতমানের আন্দোলন ছিল৷ তাই সেখানে নিম্নস্তরের সংকীর্ণ স্বার্থের অতি নিষ্ঠুর মানসিকতার যারা তারা সংখ্যায়মূলতঃ অধিক ছিল না৷ তবু বঙ্গবন্ধু নিশ্চিন্তে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারেন নি৷ তাঁকেও শেষ পর্যন্ত নিষ্ঠুর নির্র্বেধদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে৷ আজ যারা শাসন ক্ষমতায় আছে তারা একেবারে মানবতা বিরোধী, তাদের সংকীর্ণ স্বার্থে ছোট্ট বাংলাদেশটি এক শ্মশানে পরিণত হয়েছে৷ অত্যন্ত কষ্টের দুঃখের কথা তা হলো হাসিনার বিদায়ের পর এমন একজন পণ্ডিত ব্যষ্টি অর্ন্তবর্ত্তিকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন তিনি শিক্ষিত ব্যষ্টি,নোবেল জয়ী ব্যষ্টি! সেই মিঃ মোহাম্মদ ইয়ূনুস সাহেব কোন কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না৷
এদিকে সেই ধান্দাবাজ দলতান্ত্রিক দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি বিএনপি দলের নেত্রী৷ তাঁর দল মনে করেছিল হাসিনার বিদায়ের পর যেন তেন প্রকারে নির্বাচন করে ক্ষমতায় ফিরবে৷ কিন্তু মহঃ ইয়ূনুস সেটা চাইছে না৷ তিনি শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার নামে কালহরণ করছেন৷ এই সময়টা তিনি কট্টর ইসলামিক পন্থীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই চলবেন৷ কট্টরপন্থীদের লক্ষ্য হিন্দুদের দেশ ছাড়া করা৷ এরা পাকিস্তানের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছে৷ ইয়ূনুস সরকারের কাজকর্মের লক্ষণও তাই৷ খালেদার দলেও কট্টর হিন্দু বিদ্বেষী আছে৷
এদিকে ধান্দাবাজ আমেরিকা এই সময়ে দশ হাজার কোটি টাকা ইয়ূনুস সরকারকে দিয়েছে৷ সেটা শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে! সেটা কৈফিয়ৎ চাইছে মিঃ ইউনুসের কাছে সেই জামাতপন্থীরা৷
আজ অসৎ স্বার্থলোভীদের শাসন সারা পৃথিবীতেই! যেখানে দল ও ধনী ব্যবসাদারদের রাজত্ব চলছে৷ সারা পৃথিবীতে লুঠ পাটের রাজত্ব চলছে শোষক পুঁজিপতি ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকের অশুভ আঁতাতে৷ এই সুযোগে আমেরিকাও বাংলাদেশকে পকেটে পুরতে চাইছে৷ তাই ইয়ূনুস সরকারকে দশ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে নির্বাচন করতে৷ কিন্তু জামাতের মত কট্টরপন্থিরা এই মুহূর্ত্তে নির্বাচন চায় না৷
আমেরিকাতেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে শাসক পরিবর্তন হয়েছে৷ নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনিও ধনকুবেরদের প্রতিনিধি৷ শপথ নিয়েই তাঁর লক্ষ্য বিদেশী অভিবাসীদের দেশে ফেরৎ পাঠান৷ আমেরিকার অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তরের হিসাবে ১৫ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী আছে৷ ট্রাম্পের এক কলমের খোঁচায় তাদের ভারতে ফিরতে হবে৷ রাজনীতিতে রাষ্ট্রনীতিতে স্থায়ী বন্ধুত্ব বলে কিছু হয় না৷ সবাই দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখে৷ ভারতের দুর্ভাগ্য এদেশের নেতারা দেশ অপেক্ষা নিজের স্বার্থ বড় করে দেখে৷ তাই ভারতের রাজনীতিতে সৎ-নীতিবাদী মানুষের আজ বড় অভাব৷
গোটা পৃথিবীতেই ভয়ঙ্কর সামাজিক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ধেয়ে আসছে৷ পুঁজিবাদী আগ্রাসন ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন এর কারণ৷ তাই পৃথিবীকে ধবংসের হাত থেকে বাঁচাতে সৎনীতিবাদীদের রাজনীতিতে আসা জরুরী৷ প্রাউটের সদ্বিপ্র নেতৃত্ব সেই দায়িত্ব নিতে পারে৷
- Log in to post comments