বর্তমান বিশ্বের যে অর্থনৈতিক অবস্থা সেটি মূলতঃ আশাপ্রদ নয়৷ সব দেশগুলিই যেন সার্বিক উন্নয়নে ব্যর্থ৷ আমেরিকা নাকি সবচেয়ে ধনী দেশ সে দেশের বর্তমান শাসক প্রধান মিঃট্রাম্প তো ঘোষনাই করেছেন যে দেশ ঋণে আক্রান্ত ও ঘাটতি দেশ! তাই তাঁর মূল কাজ হলো নতুন আমদানীর শুল্ক নীতি সারা পৃথিবীতে যারা সে দেশের সঙ্গে কারবার করবে তিনি ১৫ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ যে দেশের অর্থমূল্য আমদানী কর বসাবেই৷ তাছাড়া যদি যে দেশ বাণিজ্য করতে আসে সে দেশের সঙ্গে তারা যে কর বসাবে তার প্রেক্ষিতে আমেরিকাও কর বসাবে পুনরায়৷ তাছাড়া তাদের ডলারের অর্থমূল্যটাই হবে হিসাবের কেন্দ্রবিন্দু৷
তার ফলে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক টাকার মূল্য তলানিতে ডলারের তুলনায়৷ তাই ভারত যে বাণিজ্য চুক্তি করেছে তাতে ভারতকে ঋণের দায়ে বিক্রি করে ফেলতে হবে আমেরিকার কাছে৷ এরফলে নামে ভারত যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন কিন্তু হতে হবে আর্থিকক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পদানিত প্রজা বিশেষ! এটাই মিঃট্রাম্পের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি! তাছাড়া যে সবদেশ কে আমেরিকা উন্নয়ণে আর্থিক সাহায্য দিতো তা সবকিছু বন্ধ বর্তমানে গোঁড়া সাম্রাজ্যবাদী মিঃ ট্রাম্পে শাসনে আর শোষণ নোতুন আর্থিক নীতিতে! তাই প্রাণে বাঁচতে ভারতের মতো গরিব দেশকে আর্থিক বাণিজ্যনীতি একেবারে বন্ধ করেই বুদ্ধিমানের মতো ইয়ূরোপ, এশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়া আর আফ্রিকার মতো দেশগুলির সঙ্গে কারবার করতেই হবে৷ নচেৎ সর্বনাশের গর্ভে পা৷ তাই অতি উৎসাহী দলতন্ত্রের হিন্দুত্ববাদী মোদিজীকে ও তার মন্ত্রীসভাকে সাবধান হতেই হবে! আমেরিকার হলো যুদ্ধবাজ দেশ৷ এরা কোনদিন ভারতের বন্ধু নয়৷ এদেশের সঙ্গে সামরিক অস্ত্র শস্ত্র ও আকাশযান কেনার ব্যাপারে সর্বদা দুরে থাকতে হবে৷
মি.ট্রাম্প বন্ধুত্বের ধার ধারে না, ভারত বড় দেশ৷ তার বিশাল দখল করাই আমেরিকার লক্ষ্য৷ তাই আমেরিকার সঙ্গে যে কোন বাণিজ্য চুক্তিতে ভারতের লোকসানের সম্ভাবনাই বেশী৷ তাছাড়া যে অসম্মান জনকভাবে অবৈধ বাসীদের আমেরিকার থেকে ফেরত পাঠিয়েছে তাও মোদিজী হজম করলেন কিভাবে!
প্রসঙ্গত বলতে বাধ্য হচ্ছি সেই উন্নত স্বাধীন দেশ মিঃ জেলেনস্কির ইউক্রেন যা ছিল রাশিয়ার খাদ্যভাণ্ডার ও উন্নত খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ সেই দেশকে মিঃ পুতিন আক্রমন করে বেশ কিছু এলাকা জয় করে নেয়৷ চরম লড়াই করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সাহায্য পেয়ে রাশিয়াকে আঘাত করে৷ রাশিয়া পুনরায় একে ধবংস করতে তৈরী হচ্ছে৷ কিন্তু রাশিয়ার জনগণ চান না যুদ্ধ হোক বিশেষ করে শ্রদ্ধেয়া মাতৃজাতি সে দেশের৷
এদিকে মিঃ ট্রাম্প ও পুতিন তার সঙ্গে ভারতের মোদি যোগ দেন শান্তি স্থাপন করতে যাতে ইউক্রেনে যুদ্ধ থেমে যায়৷ তার প্রতিদানে আমেরিকাকে ৫০ শতাংশ মূল্যবান খনিজ সম্পদ দিতে হবে আমেরিকাকে, তাতে ইউক্রেন সম্মত হয়নি৷ তাতে তাকে অত্যন্ত কর্কশ ভাষায় তিরস্কার করে ঐ ট্রাম্প! পুতিনের সঙ্গে আঁতাত করে রাশিয়ার অধিকৃত অংশ দু’জনে ভাগ করে নেবে কারণ আমেরিকার পূর্বের সরকার জেলেনস্কিকে সামরিক সাহায্য দান করে তারই টাকা আদায় করতে ট্রাম্প-এর এই দাবী৷ বিপদে পড়ে মিঃ জেলেনস্কি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় যাবেন যাতে মিঃট্রাম্প শান্তি স্থাপনে শেষ অর্থাৎ সেই ইউক্রেনকে সাহায্য দানে স্বীকৃতি দান করেন৷ এই সর্ত্তে তিনি আমেরিকা যাবেন৷
এদিকে একটি সম্মেলনে সমবেত রাষ্ট্রগুলিকে ইউক্রেনের ব্যাপারে মতামত জানতে বলা হয়৷ সেথায় সমবেত সদস্যগণের বৃহত্তম সংখ্যক দেশ, ফ্রান্স, ইংল্যাণ্ড, ইয়ূরোপের প্রায় সব দেশ, এশিয়ার কিছু ও আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য বোটে সমর্থন দান করেন৷ কিছু সংখ্যক দেশ বিরোধিতা করে এর বিরুদ্ধে!
আর নাটের গুরু রাশিয়া তার স্বার্থান্বেষী বন্ধু মিঃ ট্রাম্প ও মিঃ ট্রাম্পের বন্ধু হওয়ার ইচ্ছায় ভারত যুক্তরাষ্ট্র বোটদানে বিরত থাকেন৷ ভারতযুক্ত রাষ্ট্রের এই ধরণের আন্তর্জাতিক স্তরে কর্মকাণ্ডনীতিকে প্রবীন দেশবাসী মানতে পারছেন না৷ পৃথিবীর শক্তিশালী দুটি দেশ এক হয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া তাতে গোষ্ঠী নিরপেক্ষ ভারত সমর্থন দিচ্ছে৷ যে দেশের মূল বানী হলো যুদ্ধ নয় শান্তি চাই৷ এখানে ভারত কি ইউক্রেনের অধিকৃত জমি দু’দেশের মধ্যে ভাগাভাগির সাক্ষী থাকবে! না বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান গোষ্ঠী নিরপেক্ষ নীতি ত্যাগ করে লোক দেখানো ধনতন্ত্রের সঙ্গে আর মার্কসবাদীদের সঙ্গে মাখামাখি করে থাকার একটি দো আঁসলা নীতিতে হাঁটতে সচেষ্ট হচ্ছেন৷ মোদিজী একটু ভেবেচিন্তে কাজ করুন৷ মনে রাখবেন ভারতযুক্ত রাষ্ট্রের নিজস্ব নীতি আছে আর সে নীতি হলো নিজের পায়ে দাঁড়ানো নীতি৷ কোন দলতন্ত্রের সেবা দাস হয়ে নয়৷ অতীব বিপদের কথা তা হলো মিঃ ট্রাম্প জাল ফেলেছে ভারতের মেধাবী ছাত্রদের পড়ার অগ্রাধিকার দেবে ও নাগরিক করবে তাঁদের দেশের ৪৩ কোটি টাকার গোল্ড কার্ড কিনলে৷ তাই দয়া করে ভারতের মূল্যবান সম্পদ হলো মেধাশক্তি৷ যদি সেটা যায় তাহলে ভারত অতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ তাই মেধাবী ছাত্রাদের সর্বাগ্রে তাঁদের সুযোগ দানের ব্যবস্থা করুন ভারত সরকার৷ সেখানে কোন বন্ধু নেই চরম শত্রুইই আছে৷ তাই দয়া করে সাবধান হোন এই কঠিন সময়ে৷ বন্ধু কেউ নয় দেশের নাগরিকগণই পরমবন্ধু৷ তাই তাঁদের দেশের সার্বিক মঙ্গলের কথাটা সর্বাগ্রে ভাবুন ও সেই পথকে সফল করুন! অন্য বিপথে পা দেবেন না তাতে দেশের ক্ষতি হবে৷ তখন আর পাশ কাটানো যাবে না৷
- Log in to post comments