বিশ্ব-হ্মাণ্ডের প্রতিটি অণু-পরমাণুও সকল জীবের এজমালী সম্পত্তি৷ নীতিগতভাবে এটা মেনে নিতেই হবে, আর এ কথাটা স্বীকার করার পরে এদেশী ও বিদেশী, অমুকের অমুক দেশের নাগরিক হবার যোগ্যতা আছে আর অমূকের নেই অথবা রাষ্ট্রীয় অধিকার অমূক সম্প্রদায় এতখানি, তার চাইতে কম পাবে বা পাবেনা---এ ধরণের কথাগুলো আর বলা চলে না৷ বস্তুতঃ এ ধরণের কথায় উৎকটভাবে কায়েমী স্বার্থবাদই ফুটে ওঠে৷ এক দেশের মানুষ ভূমির অভাবে বা খাদ্যের অভাবে ক্লেশ পাক, অন্যদেশে থাকুক প্রচুর পতিত জমি বা প্রচুর খাদ্য---এ অবস্থাটাও এক ধরণের পুঁজিবাদ ছাড়া আর কী! জন্মগত সূত্রে সকলেরই সর্বত্র যাবার, বাস করবার ও মানুষের মত খেয়ে পরে বাঁচার অধিকার আছে৷ যদি কোন দেশের কোন মানব-গোষ্ঠী জীবের এই মৌলিক অধিকারটুকু মেনে নিতে রাজী না হয়ে থাকে বুঝতে হবে তাদের মুখের শান্তির বুলি নিছক একটা লোক-ভোলানো ধাপ্পাবাজী ছাড়া আর কিছুই নয়৷ শুধু এই ছোট্ট পৃথিবী নয়, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি গ্রহ-উপগ্রহ, নক্ষত্র, উল্কা-নীহারিকা সবকিছুতেই মানুষের ঘর রয়েছে৷ যদি কেউ মানুষকে তার এই জন্মগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখতে চায় মানুষকে শক্তিবলে স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে সবদেশে মোর দেশ আছে, আমি সেই দেশ লব বুঝিয়া৷
আজকের সমস্যা বই থেকে