‘গম্’ ধাতু করণে ‘ডি’ প্রত্যয় করে ‘গো’ শব্দ নিষ্পন্ন হয়েছে যার ভাবারূঢ়ার্থ হচ্ছে যে বেশীর ভাগ সময় চলে থাকে৷ যোগারূঢ়ার্থে ‘গো’ মানে গোরু, ‘গো’ মানে ইন্দ্রিয়, ‘গো’ মানে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, ‘গো’ অর্থাৎ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যাঁর লীলাভাসে উদ্ভাসিত তিনি ‘গোবিন্দ’৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে যিনি পালন করে চলেছেন এই অর্থে পরমপুরুষের আর একটি নাম ‘গোপাল’৷ ‘গো’ মানে ইন্দ্রিয়৷ দেহাধারে এই ইন্দ্রিয় যার শক্তিতে প্রকাশিত এই অর্থেও তিনি গোবিন্দ৷ আবার ঠিক দেহাধারে ইন্দ্রিয় সমূহের যিনি পালক এই অর্থেও তিনি গোপাল, যেখানে গোধন অর্থাৎ ক্যাট্ল প্রতিপালিত হয়, তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটে তা হ’ল গোকুল৷ এই ‘গো’ শব্দ স্ত্রীলিঙ্গে ‘গবী’ রূপ পরিগ্রহ করেছে৷ ‘গো’ শব্দের সঙ্গে ‘রুক্’ প্রত্যয় করে আমরা ‘গোরু’ শব্দ পাচ্ছি৷ গো রুক ঞ্চ গোরুকঞ্ছগোরুঞ্ছগোর্৷ কেউ কেউ ‘গরু’ লিখে থাকেন৷ সেটা ভুল৷ ‘গো’ দিতেই হবে৷
Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার