কপি ঃ এই সবজীটি ভারতের নয়৷ এর আদি বাসস্থান মধ্য ইয়ূরোপ৷ এদেশে এর বীজ এনেছিলেন পর্ত্তুগীজরা৷ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি ও লেটুস আজ পৃথক পৃথক সবজী ৰলে গণ্য হলেও অতি প্রাচীনকালে এরা একই ছিল৷ ব্রকোলি ৰেশী ঠাণ্ডা আবহাওয়া চায়৷ তাই ভারতের মাটিতে তাকে জন্মানো কষ্টকর৷ ফুলকপি মাঝারি ধরণের ঠাণ্ডা চায়৷ তাই ভারতের প্রায় সর্বত্রই ফুলকপি জন্মায় ও ফুলকপির বীজও তৈরী হয়৷ বাঁধাকপি একটু ৰেশী শীত চায়৷ তাই ৰাঁধাকপিকে আমরা ৰাঁধতে দেখি একটু ৰেশী শীতের সময়৷ যত শীতে ফুলকপিকে পাই, তত শীতে ৰীধাকপিকে পাই না৷ বাঁধাকপির বীজ তৈরীর জন্যে খুৰ বেশী ঠাণ্ডা দরকার৷ ভারতের সমতলে ততটা ঠাণ্ডা পড়ে না৷ তাই বাঁধাকপির বীজ ৰাইরে থেকে আনতে হয়৷ ফুলকপির বীজ ৰাঙলার সমতলেই হয়৷
ৰাঁধাকপির বীজ কশ্মীর, হিমাচল ও হিমালয়ের অন্যান্য অংশ থেকে ও বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়৷ চেষ্টা করলে লেটুসের বীজ ৰাঙলার সমতলে হতে পারে৷ তবে সে ৰীজ উন্নত মানের হয় না৷ খাদ্য হিসেৰে লেটুস একটি বিটামিন-যুক্ত শাক৷ ৰাঁধাকপির পাতায় বিটামিন থাকলেও তা লেটুসের তুলনায় কম৷ ফুলকপির ফুল একটু গুরুপাক, তবে তা স্নায়ু ও চক্ষুরোগের পক্ষে উপকারী৷ ফুলকপির চাষে ‘কম্পোষ্ট’ সারের যতটা দরকার হয় ৰাঁধাকপি ও লেটুসের ততটা প্রয়োজন হয় না৷ ভারতে ও ৰাঙলায় ফুলকপি cauliflower) ও ৰাঁধাকপি Cabbage) সংরক্ষণ-শিল্প এখনও তেমন গড়ে ওঠেনি৷ এ শিল্পটিকে ঠিকমত গড়ে তুলতে পারলে শীতের শেষের দিকে চাষীকে জলের দরে কপি বেচে দিতে হৰে না৷
কপিত্থ ঃ মানে, কয়েদ্ৰেল৷ ‘‘কপিত্থফলবৎ বিশ্বং দক্ষিণোত্তরয়োঃ সমং’’ (গোলাধ্যায়) অর্থাৎ যার মানে হচ্ছে জগৎটা কয়েদ্বেলের মত দেখতে৷ কেবল উত্তর ও দক্ষিণ দিক কিছুটা চাপা৷ ৰোটানিকাল নামFeronia Elehantum.
কৰন্ধ ঃ ‘কবন্ধ’ মানে দেহের ধড়৷ মুণ্ড ও কৰন্ধ দুই নিয়ে দেহ৷ গল্পে আছে, আত্মহত্যাকারী মৃত্যুর পর যে প্রেতযোনি প্রাপ্ত হয় তাকেও কৰন্ধ ৰলা হয়৷ কথ্য ৰাংলায় ওই ধরণের ভূতকে ৰলা হয় ‘কন্ধ কাটা’৷
কম্বু ঃ ‘কম্বু’ মানে শঙখ৷ ‘কম্বুকণ্ঠে’ মানে ‘শঙ্খনিনাদে’৷
কর্ত্তৃ ঃ কৃ+ তৃচ্= কর্ত্তৃ, প্রথমার একবচনে ‘কর্ত্তা’৷ ‘করে থাকে যে’ এই অর্থে উপপদ সমাস৷ ‘কর্র্ত্ত’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ কর্ৎর+ ঈপ= কর্ৎরী= কর্ত্রী (এক্ষেত্রে ‘ঋ’-এর ঋগ্বেদীয় উচ্চারণকে লিখে পাশাপাশি অক্ষরগুলি সাজালে যথার্থ রূপ চোখের সামনে ভেসে উঠৰে৷ ‘ঋ’-এর ঋগ্বেদীয় উচ্চারণ ‘র্’)৷ এই ‘কর্তৃ’ শব্দ থেকে আসছে কর্তৃত্ব, কর্তৃপক্ষ, কর্তৃগণ (‘কর্ত্তাগণ’ হবে না), গৃহকর্তা, গড়কর্তা বর্তমান ৰাংলায় ‘গড়াই’৷ শব্দটি ‘‘গড়কীর্তি থেকেও এসেছে৷ ‘গড়’ মানে প্রাচীন রাঢ়ের জৈনকেন্দ্র৷ সে যুগে গড়াইরা ছিলেন জৈন জীবনে নেতৃস্থানীয় মানুষ), ৰড় কর্তা, কর্তাৰাৰা (আমার ছোটবেলায় রাঢ়ের মানুষ সাধারণতঃ ঠাকুরদাকে কর্তাৰাৰা ৰলত)৷ (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের লঘুনিরক্ত থেকে গৃহীত)