মাইক্রোবাইটামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

লেখক
শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার মাইক্রোবাইটাম সম্পর্কে বহু তথ্য দিয়েছেন৷ এই তথ্যগুলির মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হ’ল৷

(১) অতীতে পজেটিব মাইক্রোবাইটার বিরাট প্রয়োজন হয়নি৷ এই প্রথম সাধারণ মানুষের আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্য মাইক্রোবাইটামকে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক ব্যবহার পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রয়োজন ও ব্যবহার করার জন্য শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন৷

(২) পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের স্বভাব অনুযায়ী, মানুষকে উদার ও বিশ্বৈকতাবাদী হয়ে ওঠার জন্য প্রেরণা যোগায় এই মাইক্রোবাইটামেরা৷ অপর দিকে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের কাছ থেকে প্রেরণা দিয়ে মানুষ জড়াভিমুখী হয়ে ওঠে৷

(৩) কিছু মানুষ আছেন যারা শুধুমাত্র স্পর্শ করলে রোগ সেরে যায়৷ এর কারণ ওই রোগটিকে সংশ্লিষ্ট মানুষটি পজেটিব মাইক্রোবাইটা প্রয়োগ করে রোগ সারিয়ে দেয়৷

(৪) কোন জিনিস পচতে বা গলতে শুরু করেছে এর অর্থ নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পচতে বা গলতে শুরু করেছে৷

(৫) উচ্চতর চক্রগুলি মাইক্রোবাইটামের আবাসভূমি৷ আর এখানেই সংশ্লেষাত্মকের সূত্রপাত হয়৷ নিম্নতম চক্রগুলি হ’ল নেগেটিব মাইক্রোবাইটার আবাস স্থল আর এরা হয় বিশ্লেষাত্মক৷ নিম্নতম চক্রগুলি নেগেটিব মাইক্রোবাইটামদের খুব প্রিয় স্থান৷

(৬) প্রাউট ও নব্যমানবতাবাদকে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মাইক্রোবাইটামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷

(৭) মানুষের শরীরে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের প্রভাব সাত্ত্বিক মনোবৃত্তি তৈরী করে ও নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম তামসিক মনোবৃতিত তৈরী করে৷

(৮) সাধক যদি ভক্তি সহকারে সাধনার দ্বারা পরমপুরুষকে সন্তুষ্ট করতে পারে তবে পরমপুরুষ কৃপাপরবশ হয়ে সাধকের দেহে চক্রগুলিকে পজেটিব মাইক্রোবাইটাম দিয়ে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করেন৷ এর ফলে সাধকের বিবেক জাগ্রত হয় ও শুভ মানসিকতা গড়ে ওঠে৷ সদ্‌গুরু সাধককে এই ভাবেই এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন ও শক্তিসঞ্চার করেন৷

(৯) যদিও মাইক্রোবাইটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম জড়দেহ তবুও তারা জীবিত সত্ত্বা৷ তাই রসায়ন বিদ্যা ও ঔষধ সংক্রান্ত ব্যাপারে এদের নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে৷ এজন্য সূক্ষ্ম প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে হবে৷

(১০) মূলাধার চক্র হতে মণিপুর পর্যন্ত তিনটি চক্রকে একসঙ্গে ভৌতিক চক্র বলা হয়৷ এই চক্রগুলি শারীরবৃত্তিক চাহিদা পূরণের জন্য ক্রিয়াশীল হয়৷ তাই এই চক্রগুলি তামসিক বৃত্তির স্তর৷ এই স্তর নেগেটিব মাইক্রোটাম দ্বারা পরিচালিত৷ তাই নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম থাকার এটাই উপযুক্ত স্থান৷ এখানে নেগেটিব মাইক্রোটামের অবস্থান হওয়ায় দেহের নিম্নাঙ্গ অর্থাৎ কোমর, কিড্‌নি, পাকস্থলী প্রভৃতি অঙ্গগুলিতে নানা ধরণের রোগ সৃষ্টি করে৷

মণিপুর থেকে বিশুদ্ধ চক্র পর্যন্ত স্তরকে বলা হয় ভৌতিক-মানসিক স্তর৷ এই স্তরে অনাহত ও বিশুদ্ধ চক্র আছে৷ এরা সাত্ত্বিক গুণসম্পন্ন৷ সুতরাং এই স্তরে পজেটিব মাইক্রোবাইটাম জমে ও কাজ শুরু করে৷ এখানেই এরা অধিক ক্রিয়াশীল৷

বিশুদ্ধ চক্র হতে আজ্ঞাচক্র পর্যন্ত স্তরটি হ’ল মানসাধ্যাত্মিক স্তর৷ এই স্তরে পজেটিব মাইক্রোবাইটা প্রভাব বিস্তার করে৷ কিন্তু এখানে নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না অর্থাৎ আজ্ঞাচক্রকে নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম স্পর্শ করতে পারে না৷

এরপর গুরুচক্র ও সহস্রার চক্র হ’ল আধ্যাত্মিক স্তর৷ গুরুচক্রে নেগেটিব মাইক্রোবাইটাম কোনক্রমেই থাকতে পারে না৷ আজ্ঞাচক্র হ’ল পজেটিব মাইক্রোটামের পক্ষে সর্বোচ্চ বিন্দু৷ যদি এখান থেকে এরা গুরুচক্র পর্যন্ত উঠে থাকে তবে সেটা পরমপুরুষ তথা সদ্‌গুরুর কৃপা৷ আজ্ঞাচক্র হতে যদি পজেটিব মাইক্রোবাইটাম মানব মহিমার সর্বোচ্চ বিন্দু সহস্রার চক্র পর্যন্ত ওঠে তবে পজেটিব মাইক্রোবাইটামের এই ঊধর্বগতিকে করুণা বলা হয়৷ সুতরাং কৃপা ব্যতিরেকে করুণা পাওয়া সম্ভব নয়৷