সংবাদ দর্পণ

ষ্টাডি সার্কেল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৫ই জুন’২৪ আনন্দনগর রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল ক্লাবের পরিচালনায় আনন্দমার্গ হাইস্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রদের নিয়ে ষ্টাডি সার্কেলের আয়োজন করা হয়৷ বিষয়বস্তু ছিল

(১) বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ত্রুটি৷ প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিভাবে সম্ভব? বক্তব্য রাখেন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত ও আচার্য কিষণসিং সুদ৷

বার্ষিক অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৭ই জুন’২৪ বড়রোলা দুবরাজডি গ্রামে আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গণে শ্রী মিহির কুমার আয়োজিত বার্ষিক ৬ঘণ্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলমনাম-সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান,বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহারের আয়োজন করা হয়েছে৷

অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৬ই জুন’২৪ বাবা স্মৃতি শৌধে মাসিক তিন ঘণ্টা অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন ‘বাবা নাম কেবলম’ মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরু পূজা, স্বাধ্যায় ও মিলিত আহার ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বৃষ্টি-বিপর্যস্ত দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ উসমানপুরে জলভর্তি একটি গভীর গর্তে পড়ে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ বৃষ্টিতে খেলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ অন্য দিকে, শালিমার বাগ এলাকায় প্লাবিত আন্ডারপাসে ডুবে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, বসন্ত বিহার এলাকায় একটি নির্মাণস্থলে বৃষ্টিতে পাঁচিল ভেঙে পড়ে তিন শ্রমিকের উপর৷ দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ শুক্রবার বৃষ্টির জেরে সকালে দিল্লি বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদ ভেঙে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল৷ বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ভারী বৃষ্টির পর, শনিবার সকালে বৃষ্টির তেজ কিছুটা কমেছে৷ সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হয়নি, দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীর নানা প্রান্তে৷ দিল্লিতে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে শুক্রবারই৷ মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ১ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে হয়েছে৷ মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, শনিবার দিল্লি-এনসিআরের বিভিন্ন অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে৷ বৃষ্টি হবে দ্বারকা, পালম, বসন্ত বিহার, বসন্ত কুঞ্জ, গুরগাঁও, ফরিদাবাদ এবং মানেসরেও৷ এক দিকে বৃষ্টিতে নাজেহাল পরিস্থিতি গোটা দিল্লির৷ তার মধ্যে শুক্রবার বৃষ্টির ঝোড়ো হাওয়ায় বহু এলাকায় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে৷ বহু এলাকা প্লাবিত৷ শনিবারেও বহু রাস্তা থেকে জল নামেনি৷ যদিও স্থানীয় প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে জল নামানোর চেষ্টা চলছে৷ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বহু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কটও৷ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, চন্দ্রওয়াল ডব্লিউ ডব্লিউ-২ পাম্প হাউসে বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ায় বহু এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহে প্রভাব পড়েছে৷ যদিও দিল্লি জল বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে৷ পরিস্থিতিতে নজরদারি চালানোর জন্য একটি কন্েন্টাল রুম খুলেছে দিল্লি সরকার৷ দিল্লি পুরনিগম এবং পূর্ত দফতর প্লাবিত এলাকাগুলিতে পাম্প দিয়ে জল নামনোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কোন কোন এলাকায় জল জমছে, সেই অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কুইক রেসপন্স টিমও গঠন করা হয়েছে বলে দিল্লি সরকার জানিয়েছে৷

উত্তরাখণ্ডে বিপদসীমা ছুঁয়েছে গঙ্গার জলস্তর

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি হচ্ছে৷ আর সেই বৃষ্টির জেরে গঙ্গার জলস্তরও বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে৷ কোথাও কোথাও পার ছাপিয়ে রাস্তায় উঠে এসেছে গঙ্গার জল৷ কোথাও বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে গঙ্গার জল৷ এ রকম পরিস্থিতিতে গঙ্গা সংলগ্ণ এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ দু’দিন আগেই বর্ষা ঢুকে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডে৷ তার আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও ভারী, কোথাও আবার অতি ভারী বৃষ্টি চলছে৷ শনিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, দেহরাদূন এবং বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ কুমায়ুন অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ আগামী পাঁচ দিন ধরে এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে৷

গত কয়েক দিন ধরে চলা বৃষ্টির জেরে বেশ কিছু জায়গায় ধসের আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷ তাই প্রশাসনের তরফে ওই ধসপ্রবণ এলাকাগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গঙ্গায় না নামার জন্যও বাসিন্দাদের আর্জি জানানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে৷ জায়গায় জায়গায় মাইকে করে ঘোষণাও করা হচ্ছে৷ শুক্রবার রানিখেতে ২৮ মিলিমিটার, লালঢাঙে ২৭, দেহরাদূনে ১৮, নৈনিতালে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ আগামী দিনে এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন৷ দেহরাদূন, উধমসিংহনগর, নৈনিতালে ২ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷

মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না সুনীতা উইলিয়ামস

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২১ দিন পরেই পৃথিবীতে ফিরবেন৷ কিন্তু সেই সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না সুনীতা উইলিয়ামস৷ নাসা জানিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা এবং তাঁর অভিযান-সঙ্গী বুচ উইলমার পৃথিবীতে কবে ফিরবেন, তা এখনই বলতে পারছে না তারা৷ হতে পারে ৪৫ দিন পরেই ফিরে এলেন৷ আবার এমনও হতে পারে ৯০ দিন পরেও ফিরতে পারলেন না৷ নাসা এই ঘোষণা করে জানিয়েছে, আপাতত সুনীতাদের ঘরে ফেরার কথা ভাবছে না তারা৷

নাসার ‘মিশন স্টারলাইনার’ নিয়ে গত ৫ জুন মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী সুনীতা এবং বুচ৷ এই প্রথম স্টারলাইনার মহাকাশচারী নিয়ে পাড়ি দিল মহাকাশে৷ তবে মহাকাশে সুনীতাদের পৌঁছনোটাই শুধু এই ‘মিশন’-এর লক্ষ্য ছিল না৷ মহাকাশ স্টেশনে আরও কাজ ছিল সুনীতাদের৷ সেই সব কাজ নিয়ম মেনে চলছিলও৷ কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে যায় একটি দুর্ঘটনায়৷

দিন কয়েক আগে ‘রিসার্স’ নামে রাশিয়ার একটি কৃত্রিম উপগ্রহ বিস্ফোরণ হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কাছেই৷ তার পরেই উপগ্রহের শয়ে শয়ে ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে পড়েছে মহাকাশ স্টেশনের চারপাশে৷ তাতে মহাকাশ স্টেশনের বাসিন্দা সুনীতাদের কোনও ভয় না থাকলেও তাঁরা স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে ‘মিশন’-এর কাজ করতে পারছেন না৷ এই ধরনের ‘মিশনে’ মহাকাশচারীদের অনেক সময়েই মহাকাশ স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে কোনও যন্ত্রাংশ ঠিক করা এবং নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করার পরিকল্পনা থাকে৷ এই ধরনের অভিযানকে এক কথায় বলা হয় ‘স্পেস ওয়াক’৷ ঘটনাটি যে দিন ঘটে, সে দিন সুনীতাদেরও ‘স্পেস ওয়াক’ করার কথা ছিল৷ কিন্তু দুর্ঘটনাটি ঘটার পরে ঝুঁকি এড়াতে তড়িঘড়ি মহাকাশ স্টেশনে আশ্রয় নিতে হয় তাঁদের৷ তার পর থেকে আর ওই ধরনের কোনও অভিযানেই বেরোতে পারেননি তাঁরা৷ শুধু তা-ই নয়, সুনীতাদের ফেরার পথেও তৈরি হয়েছে নানা বিপদ৷ এই পরিস্থিতিতেই সুনীতাদের ঘরে ফেরা মুলতবি করেছে নাসা৷

মেদিনীপুরে আমরা বাঙালীর ত্রয়োদশ কেন্দ্রীয় সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৮-৩০ জুন’ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রদূত, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম আত্মবলিদানকারী মেদিনীপুরের সুসন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসু,শিক্ষাগুরু-সমাজসংস্কারক মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামের সন্তান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,পৌরুষের বজ্রকৌস্তুভ-আপোষহীন সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও মাতঙ্গিনী হাজরা সহ মেদিনীপুর জেলার বীর বিপ্লবীগণের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন, ‘যাঁরা স্মরণীয়, যাঁরা বরণীয়’ নামাঙ্কিত এই পর্বে বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট, আমরা বাঙালীর কর্মী যাঁরা গত তিন বছরে পার্থিব জগৎ ত্যাগ করে চলে গেছেন তাঁদের স্মরণে ও করোনা মহামারী, বন্যার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাঁদের প্রাণ গেছে তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর শহরের লোধাস্মৃতি ভবনে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক সংগঠনের ত্রয়োদশ ত্রৈবার্ষিক বিশেষ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের শুভ সূচনা করা হয়৷ সংগঠনের পক্ষে তপোময় বিশ্বাস জানান, ২৮,২৯ ও ৩০শে জুন ২০২৪ মেদিনীপুর শহরের লোধাস্মৃতি ভবনে তিনদিন ব্যাপী আমরা বাঙালীর ত্রয়োদশ ত্রিবার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছি৷ তিনি আরো বলেন- এই সম্মেলনের আহ্বায়ক শ্রী বকুল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে  ২৮জুন ও ২৯ জুন এই দুইদিনেই অসম,ত্রিপুরা,মণিপুর,মেঘালয়,ঝাড়খণ্ড,আন্দামান,পশ্চিমবঙ্গের থেকে প্রায় চার শতাধিক সদস্য-সদস্যাদের উপস্থিত হয়েছে৷ এছাড়াও শাখা সংঘটন বাঙালী ছাত্র সমাজ, বাঙালী যুব সমাজ, বাঙালী কর্ষক সমাজ, বাঙালী শ্রমিক সমাজ, বাঙালী বিদ্বৎ সমাজ, ও মহিলা সংগঠন- বাঙালী মহিলা সমাজের প্রতিনিধিরাও যোগদান করেন৷ ‘আমরা বাঙালী’র ত্রয়োদশ ত্রৈবার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মঞ্চ অলংকৃত করেন সভাপতি মাননীয় শ্রী মনতোষ কুমার মণ্ডল, সভাপতি মণ্ডলী মাননীয় শ্রী সুভাষ প্রকাশ পাল ও আহ্বায়ক শ্রী বকুল চন্দ্র রায়, মেদিনীপুরের বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট তথা আমরা বাঙালীর প্রবীণ নেতা শ্রী অসিত দত্ত, আমরা বাঙালী অসম রাজ্য সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ, ত্রিপুরা রাজ্য সচিব শ্রী গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল মহোদয় ও এছাড়াও শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস, শ্রী নৃপেন্দ্রনাথ সিনহা৷ সম্মেলনের অন্তিম দিনে ৩০ জুন  আগামী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির ১৬জন সদস্য নির্বাচিত হন৷ কেন্দ্রীয় সচিব নির্বাচিত হন জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রীতপোময় বিশ্বাস, শ্রী দিব্যেন্দু চউধুরী৷

জল সংকট অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে মুডিজ রেটিং-এর সতর্কবার্র্ত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আজ থেকে প্রায় ৩৫ আগে প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছিলেন---‘নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবীর অনেক অংশেই তীব্রজলসংকট দেখা দেবে৷’’ তিনি জল সংকটের মনুষ্য সৃষ্ট কারণ ও প্রাকৃতিক কারণগুলি তুলে ধরে সমস্যার সমাধানের পথ নির্দেশনাও দিয়ে গেছেন৷ তিনি জল সংরক্ষণের নানা উপায়ের কথাও বলে গেছেন৷ কিন্তু রাষ্ট্রের কর্ণধাররা আজ পর্যন্ত জল সংকট ও জল সংরক্ষণ নিয়ে মাথা ঘামায়নি৷ সম্প্রতি মুডিজ রেটিং সংস্থা জল সংকট ও অর্থনীতিতে তার প্রভাব সম্পর্কে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এবছর দেশের বেশ কিছু অংশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি অতিক্রম করে গেছে৷ ফলে বেশ কিছু শহরে জল কষ্ট দেখা দিয়েছে এই পরিস্থিতিতে মুডিজ সতর্ক করে বার্র্ত দিয়েছে জলসংকট দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে৷

মুডিজের মূল্যায়নের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে--- জলের যোগান কম থাকলে কৃষি-শিল্পে সংকট দেখা দেবে৷ কৃষিতে ফলন কম হবে৷ ইস্পাত তাপ বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন শিল্পোৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে৷ জোগান কমলেই খাদ্যপণ্য সহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়বে৷ মূল্যবৃদ্ধিও আরও মাথা চাড়া দেবে৷ ধনি দরিদ্রের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য বাড়বে৷ মানুষের রোজগার কমবে৷ সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে৷ কেন্দ্রীয় জলমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে ভারতে প্রতিজনে জলের ব্যবহার ছিল ১৪৮৬ ঘন মিটার৷ ২০৩১সালে মাথাপিছু জলের পরিমাণ হতে পারে ১৩৬৭ ঘন মিটার৷ সাধারণ জলের যোগান ১৭০০-এর নীচে হলে তা জল কষ্ট, ১০০০ ঘন মিটার হলে জলের তীব্র আকাল৷ মুডিজ জল সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়তে লগ্ণি বাড়ানোর কথা বলেছে৷

জিডিপি আর্থিক উন্নতির মানদণ্ড নয় প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভারত অর্থনীতিতে তিন নম্বর হবে৷ শাসক দল প্রচারের ঢাক পেটাচ্ছে৷ কিন্তু কোন হিসেবে কিসের ভিত্তিতে তিন নম্বর, তার কোন বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই৷ জিডিপি দেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র কখনই নয়৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- ভারত ১৪০ কোটি মানুষের দেশ৷ সেখানে ইংল্যাণ্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৭কোটির কাছাকাছি৷ এই দুই দেশের মধ্যে কিভাবে জিডিপির হিসাবে আর্থিক উন্নতির তুলনা করা যায়৷ দেশের অভ্যন্তরেও মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণী বাদ দিলে সিংহভাগ মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতাই নেই৷ তাই আর্থিক উন্নয়ণে জিডিপির হিসাবে বিরাট ফাঁকি থেকে যায়৷

শ্রী খাঁ বলেন--- প্রাউটের মতে প্রতিটি মানুষের জীবনে নূ্যনতম প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে হবে অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপন্য ক্রয় ক্ষমতা নিশ্চিততার মাধ্যমে৷ একটি অঞ্চলের আর্থিক সচ্ছ্বলতার মান নির্ভর করে সেই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপর৷ বর্তমান পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক কাঠাময় তা কখনই সম্ভব নয়৷ তাই সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বর্তমান  অর্থনৈতিক কাঠামোর খোল-নলচে পাল্টাতে হবে৷

শ্রী খাঁর কথায় --- প্রাউট অর্থনৈতিক গণতন্ত্রে বিশ্বাস  করে৷ বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক গণতন্ত্র বলা চলে৷ মানুষকে কাগজে কলমে বোটাধিকার দিয়ে অর্থনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে৷ পরিণতিতে অর্থনৈতিক বৈষম্য, বেকার সমস্যা, খাদ্যপণ্যের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি --- মানুষের কোন সামাজিক অর্থনৈতিক সুরক্ষা  থাকে না৷ এই অসার গণতন্ত্র পুতুল নাচের সঙ্গে তুলনীয়৷ ক্ষমতা লোভী রাজনীতিবিদরা পর্দার আড়ালে থাকা পুঁজিপতিদের দাসত্ব করে ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে দেশকে ধবংসের কিনারে নিয়ে এসেছে৷

শ্রী খাঁ দাবী করেন অবিলম্বে কেন্দ্রীত অর্থনীতির পরিকাঠামো ভেঙে অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে৷ যার মূল লক্ষ্য হবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নূ্যনতম  প্রয়োজন পূর্ত্তির নিশ্চিততা দেওয়া৷ প্রতিটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার  ক্রমবৃদ্ধি সুনিশ্চিত করতে হবে৷ অর্থনৈতিক  সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা স্থানীয় মানুষের হাতে রাখতে হবে   ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বহিরাগতের স্থান থাকবে না৷ এইভাবে অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুধু মনুষ্যজগৎ নয় উদ্ভিদ জগৎ-জীবজগৎ তথা সর্ব অস্তিত্বের সর্বজনীন কল্যাণ করতে হবে৷ একমাত্র প্রাউট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই তা সম্ভব৷

কোবাল্টের খনি পাবে কি ভারত না ছিনিয়ে নেবে অন্য দেশ!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারত মহাসাগরের ভিতরে নিমজ্জিত অবস্থায় আছে নিকিটিন সমুদ্র-পর্বত (সিমাউন্ট)৷ এই পর্বতেই রয়েছে কোবাল্টের খনি৷ যাকে ভারত মহাসাগরের গুপ্ত ‘যকের ধন’ বলছেন কেউ কেউ৷ভূতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের নীচে এক সময় বিশাল একটি আগ্ণেয়গিরি ছিল৷ তার অগ্ণ্যুৎপাতের ফলে নিকিটিন পর্বত তৈরি হয়েছে৷ সমুদ্রে নিমজ্জিত এই পাহাড়েই কোবাল্টের খনি রয়েছে৷ যা কয়েক লক্ষ কোটি টাকার সম্পদের উৎস৷সম্প্রতি সেখান থেকেই কোবাল্ট উত্তোলন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ভারত৷ নয়াদিল্লি থেকে গত জানুয়ারি মাসে সরকারি আধিকারিকেরা গিয়ে আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষের (ইন্টারন্যাশানাল সিবেড অথরিটি) কাছে কোবাল্ট উত্তোলনের জন্য আবেদন জমা দিয়ে এসেছেন৷নিকিটিন পাহাড় ভারত মহাসাগরের যে অংশে রয়েছে, তা কোনও নির্দিষ্ট দেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে পড়ে না৷ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষ ওই অংশের দায়িত্বে৷ তাই সেখানে কোনও কাজের জন্য তাঁদের অনুমতি নিতে হয়৷ভারতের সমুদ্রসীমা থেকে নিকিটিন পাহাড় খুব একটা দূরে নয়৷ তাই হিসাব মতো সেখান থেকে কোবাল্ট উত্তোলনের অনুমতি পেতে নয়াদিল্লির খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷ কিন্তু বাধা এসেছে অন্য দিক থেকে৷সমুদ্রের নীচের পর্বত থেকে কোবাল্ট উত্তোলনের জন্য আবেদন জানিয়েছে শ্রীলঙ্কাও৷ ভারতের দক্ষিণের ছোট্ট এই পড়শি দেশ কিন্তু দূরত্বের দিক থেকে নিকিটিন পাহাড়ের বেশি কাছে অবস্থিত৷ ফলে সে দিক থেকে তাদের দাবি জোরালো৷ কোবাল্ট তুলতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল মলদ্বীপও৷ কিন্তু সমুদ্র থেকে ধাতু উত্তোলনের মতো প্রযুক্তি তাদের হাতে না থাকায় সেই আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷ এখন প্রশ্ণ, শ্রীলঙ্কার কি সমুদ্রে পুরোদমে খনির কাজ চালানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে?

কোবাল্টের বাণিজ্যে এমনিতে এগিয়ে আফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্র৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোবাল্টের খনি রয়েছে তাদের সমুদ্রসীমায়৷ সেখান থেকে সারা বিশ্বের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কোবাল্ট উত্তোলন করা হয়৷ভারত মহাসাগরের কোবাল্টের খনি থেকে নিয়মিত উত্তোলন শুরু হলে এই ব্যবসায় ভারতও এগিয়ে আসতে পারবে৷ সে ক্ষেত্রে কোবাল্টের বাণিজ্যে কঙ্গোর উপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমবে৷

ভারত, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ কেউ এখনও কোবাল্ট উত্তোলনের প্রয়োজনীয় অনুমতি পায়নি৷ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষের দফতর রয়েছে জামাইকায়৷ সব দিক বিবেচনা করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কোনও একটি দেশকে অনুমতি দেওয়া হবে সেখান থেকে৷

কোবাল্ট নিয়ে কেন এত কাড়াকাড়ি? কী বিশেষত্ব রয়েছে এই ধাতুর? বস্তুত সমুদ্র থেকে উত্তোলিত কোবাল্ট বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্পে বিশেষ ভাবে কাজে লাগে৷ এই ধাতু দিয়ে ব্যাটারি তৈরি হয়৷

ছোট পেনসিল ব্যাটারি থেকে শুরু করে মোবাইল, ঘড়ি কিংবা আরও বড় কোনও যন্ত্র, কোবাল্ট ছাড়া ব্যাটারি তৈরি করা যায় না৷ ব্যাটারি তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লিথিয়াম৷ তার সঙ্গে কোবাল্টও প্রয়োজন হয়৷

সভ্যতা যত আধুনিক হয়েছে, বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির ব্যবহার তত বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আর ব্যাটারি এই ধরনের যন্ত্রপাতির প্রাণ৷ ফলে কোবাল্ট খনিতে দখল পেলে ব্যাটারি শিল্প থেকে ভারত প্রভূত রোজগার করতে পারবে৷

কিছু দিন আগেও ভারতের দক্ষিণের এই দ্বীপরাষ্ট্র চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিল৷ সরকারের অপদার্থতার বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট দেশছাড়া হয়েছিলেন৷ সে সময়ে শ্রীলঙ্কাকে অর্থসাহায্য করে ভারতই৷

তাই শ্রীলঙ্কা ভারতের চূড়ান্ত বিরোধিতা করবে বলে অনেকেই মনে করছেন না৷ একাধিক রিপোর্টে দাবি, কোবাল্ট তোলার ক্ষেত্রে ভারতের আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে৷ কারণ ভারত এ ক্ষেত্রে নিকটবর্তী দেশগুলির তুলনায় সবচেয়ে বেশি যোগ্য৷

কোবাল্ট উত্তোলনের অনুমতি আদৌ ভারত পায় কি না, পেলে চিনের মদতপুষ্ট শ্রীলঙ্কাকে টপকে কী ভাবে ওই এলাকায় কাজ চালায়, সমুদ্রের ক্ষেত্রে কোন নীতি নেয় নয়াদিল্লি, সে দিকে নজর থাকবে৷