সংবাদ দর্পণ

জীবিত প্রমাণে মরিয়া ভোপালের এক বৃদ্ধ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

তিনি জীবিত৷ কিন্তু প্রশাসনের খাতায় ‘মৃত’৷ আর নিজেকে তাই জীবিত প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক বৃদ্ধ৷ ‘মরিনি, আমি এখনও বেঁচে আছি সাহেব!’ গলায় এ রকমই একটা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে তাঁকে৷

জগদীশ কুশওয়াহা৷ ভোপালের মাঝিয়ারি গ্রামের বাসিন্দা৷ ২০২১ সাল থেকে তিনি প্রশাসনের চোখে ‘মৃত’৷ কুশওয়াহা জানান, ওই বছরে পেনশনের কাজে পুরসভায় গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে বলা হয় পেনশন দেওয়া যাবে না৷ কারণ তিনি ‘মৃত’৷ এ কথা শুনে জগদীশ চমকে উঠেছিলেন৷ পুরসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি জগদীশ কুশওয়াহা৷ এখনও বেঁচে আছি৷ সশরীরে হাজির হয়েছি৷’’ কিন্তু তাঁর কথা বিশ্বাস করতে চায়নি পুরসভা৷ সেই থেকেই নিজেকে জীবিত প্রমাণে লড়াই শুরু কুশওয়াহার৷

তার পর মাঝে আরও আড়াই বছর কেটে গিয়েছে৷ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন৷ তিনিই যে জগদীশ কুশওয়াহা, তা প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে গিয়ে বলেছেন৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ বৃদ্ধের৷ নিজের ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ও প্রমাণ হিসাবে জমা দিয়েছেন, তার পরেও প্রশাসনের চোখে ‘মৃত’ই থেকে গিয়েছেন গত আড়াই বছর ধরে৷ ঘটনাচক্রে, এ বার লোকসভা নির্বাচনে ভোটও দিয়েছেন জগদীশ৷ তাঁর স্ত্রীর কথায়, ‘‘যদি আমার স্বামীর মৃত্যু হত, তা হলে কী ভাবে তিনি ভোট দিলেন?’’

বৃদ্ধের এই ঘটনা নিয়ে যখন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে জোর চর্চা শুরু হয়, প্রশাসন তৎপর হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য৷ তাঁর বাড়িতে প্রশাসনের তরফে লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হয়৷ তার পরই জগদীশকে আবার ‘জীবিত’ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়৷

ক্লাউড সিডিং’ প্রযুক্তি অবলম্বন করছে ইন্দোনেশিয়া

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

খরা অধ্যুষিত অঞ্চলে কিংবা কোনও জায়গায় জল সরবরাহ বাড়াতে আশ্রয় নেওয়া হয় কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের৷ যা করা হয় ‘ক্লাউড সিডিং’ বা মেঘের বীজ বপন করে৷ তবে এ বার নুসেনতারা শহরে অতিবৃষ্টি কমাতেও ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রযুক্তির আশ্রয় নিল ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন৷ মেঘে বীজ বপনের বিষয়টি আসলে কী? চাষবাসের জন্য ক্ষেতে যেমন ফসলের বীজ ছড়িয়ে অথবা পুঁতে দেওয়া হয়, বৃষ্টি নামানোর জন্য খানিকটা সে ভাবেই মেঘের উপর কৃত্রিম মেঘ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়৷ কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে আবহাওয়ায় খানিকটা রদলবদল করা হয়৷ সে জন্য ড্রোনের মাধ্যমে মেঘের উপর সিলভার আইয়োডাইডের মতো রাসায়নিক অথবা ড্রাই আইস কিংবা খাওয়ার নুন ছড়িয়ে দেন গবেষকেরা৷

মেঘের উপর রাসায়নিক ছড়ানোর জন্য ড্রোন ছাড়াও বিমান অথবা রকেট ব্যবহার করেন গবেষকেরা৷ বিমানগুলি মেঘের উপর সোডিয়াম ক্লোরাইড অর্থাৎ নুনের গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয়৷ এর পর ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এবং ক্যালসিয়াম অক্সাইডের মিশ্রণের প্রলেপ দেওয়া হয় মেঘের গায়ে৷ এতে শুকনো মেঘের আর্দতা বাড়বে, আয়তনে এবং ওজনেও ভারী হবে৷ সব শেষে কিছু বরফও রাখা হবে সেই মেঘে৷ তাতেই শুকনো মেঘগুলি পরিণত হবে জলভরা মেঘে৷ নামবে বৃষ্টি৷ পাশাপাশি, বায়ুতে যে যৎসামান্য জল জলীয় বাষ্পের আকারে থাকে তা মেঘে ছড়ানো রাসায়নিকের কণার আশপাশে ঘনীভূত হয়ে স্ফটিকের মতো বরফের দানার আকার নেয়৷ এর থেকে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷ এই পদ্ধতিকে ‘নিউক্লিয়েশন’ বলা হয়৷ সাধারণত কৃত্রিম মেঘ তৈরি করতে মেঘের প্রয়োজন হয়৷ তবে যে মেঘগুলি উল্লম্ব আকৃতির হয়, তার উপরেই মেঘের বীজ বোনা যায়৷ কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টির জন্য যে ধরনের মেঘের সাহায্য নেওয়া হয়, সেগুলিকে পরিবাহী মেঘ বলা হয়৷ তবে বৃষ্টি নামাতে দিগন্তবিস্তৃত স্তরীভূত মেঘের উপর এই বীজ বোনা হয় না৷ উল্লেখ্য, ক্লাউড সিডিংয়ে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত তৈরি করা গেলেও তা জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব নয়৷ মেঘের বীজ বোনার পদ্ধতি অবশ্য নতুন নয়৷ ১৯৪৬ সালে প্রথম বার এই পদ্ধতিতে বীজ বুনেছিল আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক৷ সংস্থার তরফে সে উদ্ভাবন করেছিলেন সে দেশের রসায়নবিদ তথা আবহবিজ্ঞানী ভিনসেন্ট স্যাফার৷ ভারতেও এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে৷ ইজরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আমেরিকায় মেঘের বীজ থেকে বৃষ্টির ফসল পেয়েছেন গবেষকেরা৷ কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশে এবং মহারাষ্ট্রে মূলত খরা রুখতে অথবা বাঁধের জলস্তর বৃদ্ধি করতে এই পদ্ধতিতে কৃত্রিম মেঘ সঞ্চার করা হয়েছিল৷ মেঘের গায়ে বৃষ্টি বোনার এই পদ্ধতি ২০১১ সালেই শুরু করেছে চিন৷ এর পিছনে দেড় হাজার লক্ষ ডলার খরচও করেছে তারা৷ শুধু খরা পরিস্থিতি মোকাবিলাই নয়, দূষণ রুখতেও এই পদ্ধতি কার‌্যকরী বলে জানা গিয়েছে চিনের আবহাওয়া দফতরের তরফে৷ যদি জলাভাব দূর করতেই ক্লাউড সিডিং করা হয়, তা হলে কী ভাবে অতিবৃষ্টি রুখতেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইন্দোনেশিয়া? জলবায়ু পরিবর্তন এবং উষ্ণায়নের জেরে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে যে সব উপকূলবর্তী এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই অন্যতম ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাজধানী জাকার্তা৷ পাশাপাশি যানবাহনের ভিড়েও জেরবার জাকার্তাবাসী৷ এই পরিস্থিতিতে নুসেনতারা শহরকে রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী সে দেশের প্রশাসন৷ আগামী ১৭ অগস্ট, অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে নতুন রাজধানী হিসেবে কাজ শুরু হতে চলেছে নুসেনতারায়৷ নুসেনতারা শহরকে ইতিমধ্যেই ঢেলে সাজানোর কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে৷ কিন্তু নির্মাণকাজে বাধা অতিবৃষ্টি৷ অগত্যা ‘ক্লাউড সিডিং’ প্রযুক্তি অবলম্বন৷ ইন্দোনেশিয়া সরকারের লক্ষ্য, নুসেনতারার আশপাশের অঞ্চলে মেঘে বৃষ্টির বীজ বপন করা৷ যাতে ভবিষ্যতের রাজধানী থেকে বৃষ্টি সরিয়ে পার্শবর্তী এলাকাগুলিতে স্থানান্তর করা যায়৷

এই অভিনব পরিকল্পনার বাস্তবায়িত করতেই দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে ক্লাউড সিডিং করা হচ্ছে৷ যা এর আগে কখনও হয়নি৷ ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া এবং জলবায়ুগত সংস্থা বিএমকেজি-র পূর্বাভাস, স্বাভাবিক হিসেবে নুসেনতারায় অগস্টের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কথা৷ তাই তার আগেই ক্লাউড সিডিং করে বৃষ্টি স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ ইন্দোনেশিয়ায় গত সপ্তাহে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ কাজ শেষ হচ্ছে রবিবার৷ এর পরেই বোঝা যাবে ফলাফল৷ প্রসঙ্গত, পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ ‘ক্লাউড সিডিং’ করে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর পক্ষপাতী নন৷ এ বছরই অতিবৃষ্টির কারণে দুবাইয়ে বন্যা হয়ে জনজীবন রুদ্ধ হওয়ার নেপথ্যে ‘ক্লাউড সিডিং’ ছিল বলে মনে করা হয়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, মেঘে বীজ বপনের বিষয়টি এমনিতেই বিতর্কিত৷ কারণ, এই প্রক্রিয়া বাস্তবে কত কার‌্যকর, তার কোনও পোক্ত প্রমাণ এখনও মেলেনি৷ তা ছাড়া, আবহাওয়ার উপরে এর নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিও অস্পষ্ট৷ আর সেই কারণেই পরিবেশ বিজ্ঞানীদের অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহারের বিপক্ষে৷

আনন্দমার্গের ত্রি-দিবসীয় সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দপূর্ণিমা ধর্ম মহাসম্মেলনের পর গত ২১,২২,২৩শে জুন শুরু হ’ল আনন্দমার্গের ত্রি-দিবসীয় সেমিনার৷ প্রথম ডায়োসিস স্তরের ত্রি-দিবসীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা সার্কেলে আলিপুর ডায়োসিসে কামাখ্যাগুড়ি আনন্দমার্গ স্কুলে, এখানে উপস্থিত ছিলেন সমগ্র উত্তরবঙ্গ ও অসমের গোয়ালপাড়া বনগাই গাঁও প্রভৃতি জেলার মার্গী ভাইবোনেরা৷ শিলং সার্কেলে গুয়াহাটি আনন্দমার্গ স্কুলে গুয়াহাটি ডায়োসিসের মার্গীভাইবোনেরা এই সেমিনারে যোগ দেন ও ভুবনেশ্বর সার্কেলে সম্বল ডায়োসিসে বারকোটে৷ সম্বলপুর ডায়োসিসের প্রতিটি জেলার মার্গী ভাই-বোনেরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন৷ তিন দিনের এই সেমিনারে প্রথম দিন তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায়ের পর সেমিনারের শুভ উদ্বোধন হয়৷

এছাড়া প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যে মিলিত সাধনা, আসন কৌশিকী তাণ্ডবের পর মার্গীয় দর্শনের ওপর আলোচনা হয়৷ তিনদিনের এই সেমিনারে আলোচ্য বিষয় ছিল --- ৰৃহতের আকর্ষণ ও সাধনা,আন্তরিক শক্তির উৎস, প্রমা,অর্থনৈতিক গণতন্ত্র৷ সেমিনারের শেষ দিনে সাংঘটনিক পর্যালোচনার পর মার্গের আদর্শের প্রচার ও প্রসারের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় ও পরবর্তী দ্বিতীয় ডায়োসিস স্তরে সেমিনারের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়৷

গুয়াহাটির সেমিনারে পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত ও প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত ও আচার্য কৃষ্ণপ্রসূনানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ গোপা আচার্যা ও অবধূতিকা আনন্দ রূপাতীতা আচার্যা৷ গুয়াহাটিতে পরিচালনায় ছিলেন আচার্য অমৃতাবোধানন্দ অবধূত৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বোধীসত্ত্বানন্দ অবধূত ও আচার্য চিতভাষানন্দ অবধূত৷ বারকোটে পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আচার্য চিরঞ্জয়ানন্দ অবধূত৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দরূপাতীতা আচার্যা৷

মুখ্যমন্ত্রীর কথায় মান্যতা পেল আমরা বাঙালীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভিন রাজ্যের মানুষ এসে রাজ্যের জমি বাড়ি দখল করছে, ভাষা সংস্কৃতি ধবংস করছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা এরপর পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলার লোক পাওয়া যাবে না৷ গত ২৪শে জুন নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, পুরসভার প্রধান চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত প্রধান মন্ত্রী ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন৷ জমি বেদখল করে ভিনরাজ্যের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া, অর্থের বিনিময়ে কাজ প্রভৃতি দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী নিজ দলের ও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত নেতামন্ত্রী ও আধিকারিকের দাবী করেন৷ বিভিন্ন পুর ও পঞ্চায়েতে পরিষেবায় মানুষকে অযথা হয়রানি করা হয়, টাকার বিনিময়ে কাজ করা হয়৷ এইসব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত দলের নেতা মন্ত্রী ও প্রশাসনের সঙ্গে ব্যষ্টিদের মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়তে হয় এদিন৷ হাওড়া পুরসভার কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেমন ক্ষুব্ধ তেমনি উলুবেড়িয়া পুরসভার কাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷ হাওড়া শহরের জমি ভিন্‌রাজ্যের মানুষ এসে দখল নিচ্ছে৷

আমরা বাঙালী সংঘটন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বাঙলার জমি বেদখল ও বাঙলার ভাষাকৃষ্টি সংস্কৃতি ধবংস করার অবাঙালী চক্রান্তের বিরুদ্ধে৷ তারজন্যে আমরা বাঙালীকে প্রাদেশিক, সাম্প্রদায়িক বলে দাবী করা হতো৷ এই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমরা বাঙালীর অভিযোগ মেনে নিলেন৷ আমরা বাঙালী আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত প্রবীন নেতা খুশীরঞ্জন মণ্ডল বলেন তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাদেশিক বলা হবে কি? তিনি বলেন সত্যটা তুলে ধরার জন্যে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, তবে তিনি যদি বাঙলার বেদখল জমি ফিরিয়ে আনতে পারেন বাংলা ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতিকে দিল্লীর আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে পারেন বাঙলার মানুষ তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে৷

সরকারী প্রতিবেদনেই মূল্যবৃদ্ধির পাল্লা ভারী গ্রামে অগ্ণিমূল্যে জ্বলছে গৃহস্থের হেঁসেল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিভিত্তিক সর্বভারতীয় খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গ্রাম ও শহরের মূল্যবৃদ্ধি সমহারে হলেও গত দু’মাসে গ্রামের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা শহর অপেক্ষা বেশী কারণ হিসেবে বলা হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও ব্যবহার্য জিনিস যেমন আটা, ডাল সবজি, পেঁয়াজ, দুধ, কাঁচা হলুদ আদা পানের পাতা, মাছ, শাড়ি, জুতো জামাকাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে৷ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যেখানে শহরে মূল্যবৃদ্ধির সূচক ১২৬৯ পয়েন্ট সেখানে গ্রামীন ভারতে মূল্যবৃদ্ধি সূচক ১২৮১ পয়েন্ট৷ মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘাড়ে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা ঔষধের মূল্যবৃদ্ধি৷ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় শতাধিক ঔষধের দাম ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেরবাইরে--- বার বার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার সমীক্ষায় সেই তথ্য পাওয়া গেছে৷ আর এর কারণ খাদ্যশস্যের আকাশ ছোঁয়া দাস৷ সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্র্ধরণ কমিটির বৈঠকের প্রতিবেদনে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ পরিসংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাধারণ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার গড়ে ৪.৭৫ শতাংশ সেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ৷ শহরাঞ্চলে ৮.৮৩ শতাংশ আর গ্রামাঞ্চলে ৮.৬২ শতাংশ৷

গত তিন মাসে গ্রামীন ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হার শহর অপেক্ষা অনেক বেশী৷ শহরাঞ্চলে যেখানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.১৫ শতাংশ সেখানে গ্রামীন ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৩ শতাংশ৷

গত ২১শে জুন প্রকাশিত কৃষিভিত্তিক মূল্যসূচকে দেখা যাচ্ছে গ্রামে মূল্যবৃদ্ধির পাল্লা ভারী৷ অথচ গ্রাম থেকে শহরে সব্‌জি আসে৷ তবে রাজ্য অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির হারে পশ্চিমবঙ্গ সব থেকে কম৷ উড়িশা ও কর্ণাটকে মূল্যবৃদ্ধির হার সবথেকে বেশী ৬ শতাংশ উপর৷ সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৪ শতাংশ৷ তৃতীয় মোদী সরকার এখনও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোন আশার বাণী শোণায়নি৷

আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে আনন্দমার্গের যোগ প্রশিক্ষণ শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২১শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিভিন্ন শাখায় যোগ প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ কলকাতা কেন্দ্রীয় আশ্রম বেহালা ক্ষুদিরামপল্লী আনন্দমার্গ জাগৃতিতে বহু ছাত্র-ছাত্রা যোগ প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন৷

হুগলীতে যোগ প্রশিক্ষণ ঃ গত২১সে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে বাঁশবেড়িয়ার মিলনপল্লী মাধ্যমিক শিক্ষাসদনে একটি যোগাসন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়৷ বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০জন ছাত্র এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে৷ উক্ত অনুানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মাননীয় শ্রী রাকেশ দাস৷ তিনি তাঁর ভাষণে যোগের উৎপত্তি, এর ব্যাপ্তি শ্রেণীবিভাগ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন৷এরপর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মাননীয় শ্রী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস৷ তাঁর বক্তব্যে প্রধানতঃ উঠে আসে যোগব্যায়াম বা যোগাসনের উপকারিতা, ছাত্ররা যোগব্যায়াম করলে কি কি উপকারিতা লাভ করতে পারে৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধুত৷ তিনি যোগের সম্পূর্ণ ধারণা, তার ইতিহাস সম্পর্কে ছাত্রদের অবগত করেন৷ তাঁর মূল উপস্থাপনা ছিল ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন যোগাসন প্রদর্শন এবং কোন আসনের কি উপকারিতা,কোন আসন কতক্ষণ ধরে করা উচিত ইত্যাদি৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ করে জিত,অরিত্র এবং শুভঙ্করের যোগাসন প্রদর্শন উল্লেখ্য৷ সবশেষে ধ্যানের মাধ্যমে এই সুন্দর অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে৷

বর্ধমান আনন্দমার্গ স্কুলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনস্টাইন রিসার্চ স্কলার হোস্টেলের ছাত্রদের নিয়ে একটি যোগ প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ শিবিরের আয়োজন করেন বর্ধমান ডায়োসিস সচিব আচার্য দেবপমানন্দ অবধূত৷ মধূবনী ফুলপরাস জুনিয়র হাইস্কুলে ছাত্রাদের নিয়ে যোগ প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ পরিচালনায় ছিলেন অবধূতিকা আনন্দরসপ্রজ্ঞা আচার্যা৷ এই দিন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বের সর্বত্রই আনন্দমার্গের ইয়ূনিটে যোগ দিবস পালিত হয়৷

কৃত্রিম জলপ্রপাত চীনের ইয়ূনতাই

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চিনের উচ্চতম জলপ্রপাত হিসাবে দাবি করা হয় ইয়ুনতাইকে৷ কিন্তু সেই জলপ্রপাত নাকি পুরোপুরি ভুয়ো! কোনও প্রাকৃতিক জলপ্রপাত নয়, এই জলপ্রপাত নাকি কৃত্রিম ভাবে বানানো হয়েছে৷ শুধু চিন-ই নয়, গোটা বিশ্বে জলপ্রপাত বেশ আকর্ষণীয় বলেই মনে করা হয়৷ প্রতি বছর তা-ই শয়ে শয়ে পর্যটক এই জলপ্রপাতের নয়নাভিরাম দৃশ্যের টানে ছুটে আসেন৷ কিন্তু যে জলপ্রপাতের উচ্চতা, দৃশ্য নিয়ে এত আকর্ষণ, সেই জলপ্রপাত পুরোটাই কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে৷

ইয়ুনতাই জলপ্রপাতটি উত্তর-মধ্য চিনের হেনা প্রদেশের ইয়ুনতাই মাউন্টেন পার্কে৷ ১০৩০ ফুট উচ্চতার এই জলপ্রপাতটির সম্প্রতি ড্রোনের মাধ্যমে ছবি তোলা হয়েছিল৷ সেই ছবি তোলার সময়ই দেখা যায়, কোনও পাহাড়ি ঝোরা নয়, মোটা মোটা একাধিক পাইপের মাধ্যমে গ্যালন গ্যালন জল পাম্প করে বার করা হচ্ছে৷ আর সেই জল হাজার ফুট নীচে আছড়ে পড়ছে৷

সেই সময় ইয়ুনতাই মাউন্টেন পার্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করলেন, এই জলপ্রপাতটি প্রাকৃতিকই৷ তবে যে হেতু গরমের মরসুমে জলের পরিমাণ কমে যায়, তাই সেই ঘাটতি মেটাতে এবং পর্যটকরা যাতে ওই নয়নাভিরাম দৃশ্য থেকে বঞ্চিত না হন, সে কথা মাথায় রেখেই কয়েকটি পাইপ দিয়ে জল পাম্প করা হয়৷ গরমের মরসুমেও বর্ষার মতো জলপ্রপাতের রূপ ধরে রাখতে এই ‘বাড়তি’ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় চিনের মিথ্যাচার নিয়েও প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে পর্যটক মহলে৷

রিব স্নাতক ছাত্র-ছাত্রাদের বিনামূল্যে তিন মাস শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে আই.আই.টি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

স্নাতকদের চাকরির জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) মাদ্রাজ৷ এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, আইআইটি মাদ্রাজ প্রবর্তক টেকনোলজিস ফাউন্ডেশনের তরফে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে৷ প্রশিক্ষণের জন্য অংশগ্রহণকারীদের কোনও ফি জমা দিতে হবে না৷

আগ্রহীদের ২০২৩ কিংবা ২০২৪-এ কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত কিংবা বায়োটেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক হতে হবে৷ স্নাতক স্তরে তাঁদের অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন৷ ইনফরমেশন টেকনোলজি ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরি করতে চান, তাঁরা এই প্রশিক্ষণে যোগদান করার সুযোগ পাবেন৷

বাছাই করা পড়ুয়াদের তিন মাস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ ক্লাস শুরু হবে জুলাই মাসে, শেষ হবে সেপ্ঢেম্বরে৷ এই ক্লাসে নেটওয়ার্কিং এসেনশিয়ালস, ক্লাউড ফান্ডামেন্টালস, টিকিটিং টুলস, লিনাক্স অ্যান্ড উইন্ডোজ বেসিকস, স্টোরেজ অ্যান্ড ব্যাকআপ ফান্ডামেন্টালসের মত বিষয়গুলি শেখানো হবে৷ পাশাপাশি, মক ইন্টারভিউ, ক্যাম্পেনের ব্যবস্থা থাকবে৷

এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পেতে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে৷ বাছাই করা প্রার্থীদের সঙ্গে আইআইটি মাদ্রাজের তরফে যোগাযোগ করে নেওয়া হবে৷

পৃথিবীর অন্য দেশগুলির মতো ভারতেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দু’বার করে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করা হবে- জানাল ইউজিসি কমিশন

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এ বার থেকে বছরে দু’বার করে পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে পারবে৷ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)৷ বিষয়টি জানিয়েছেন ইউজিসি প্রধান অবধেশ কুমার৷ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে জুলাই-অগস্ট এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই দু’বার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে৷

এই প্রসঙ্গে কুমার বলেন, ‘‘ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বছরে দু’বার ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিলে সুবিধা হবে বহু পড়ুয়ার৷ যাঁরা বোর্ডের ফলাফল দেরিতে প্রকাশ, অসুস্থতা বা ব্যক্তিগত কারণে জুলাই-অগস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি, তাঁরা সুবিধা পাবেন৷’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, বছরে দু’বার ভর্তির প্রক্রিয়া চললে কোনও পড়ুয়ার গোটা বছর নষ্ট হবে না৷ বছরে দু’বার করে ক্যাম্পাসে নিয়োগের পরীক্ষাও চালানো হবে৷ সেই মতো শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকের ব্যবস্থাও রাখতে হবে৷

পৃথিবীর অন্য বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দু’বার করে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু রয়েছে৷ ভারতে এ রকম চালু হলে আখেরে দেশের পড়ুয়াদেরই সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন কুমার৷ তিনি জানিয়েছেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সংযোগ বৃদ্ধি পাবে৷ দুই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরস্পরের মধ্যে পড়ুয়া বিনিময় করতেও পারবে৷ অর্থাৎ এক দেশের পড়ুয়া অন্য দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে৷ এর ফলে এ দেশের পড়ুয়াদের বিদেশে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সুবিধা হবে৷ ইউজিসি প্রধান এও জানিয়েছেন, শুধু দ্বিবার্ষিক ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করলেই হবে না, সেই মতো পরিকাঠামো রাখতে হবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দ্বিবার্ষিক ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করলে তাদের প্রশাসনিক বিষয়টিও দেখতে হবে৷ যা সম্পদ রয়েছে, তার ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন৷ যাঁরা ভিন্ন সময়ে ভর্তি হবেন, তাঁদের সাহায্যের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং পড়ুয়াদের প্রস্তুতও করতে হবে৷’’ তবে ইউজিসির তরফে এও জানানো হয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বছরে দু’বার করে পড়ুয়া ভর্তি করাতে বাধ্য নয়৷ এই ব্যবস্থা চালু হলে নিয়মের প্রয়োজনীয় বদল করা হবে৷১৪

পরলোকে আচার্য প্রদীপ দেব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলিকাতার পাটুলি নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী আচার্য প্রদীপ দেব গত ১লা মে অপরাহ্ণে ৫-১৫ মিনিটে পার্থিব শরীর ত্যাগ করে পরমপিতার কোলে আশ্রয় গ্রহণ করেন৷ আচার্য প্রদীপ দেব একজন একনিষ্ঠ ও আদর্শবান কঠোর নীতিবাদী মার্গী ছিলেন৷ মিশনের যে কোন কাজের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হতো৷ তিনি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতেন৷ সংঘের সমস্ত অনুষ্ঠানেই সব সময় আচার্য প্রদীব দেব উপস্থিত থাকতেন৷ তবে বেশ কিছুদিন তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ঘর থেকে বাহির হতেন না৷

গত ৪ঠা মে ভি.আই.পি বাজার আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ধ্যান মন্দিরে আচার্য প্রদীপ দেবের শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠিত হয়৷ সংঘের সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী দাদা-দিদি-সংঘের কর্মী ও আচার্য প্রদীপ দেবের আত্মীয় পরিজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷