সংবাদ দর্পণ

অসমে নির্বাচন শেষ হতেই বাঙালী বিতাড়ণের আয়োজন শুরু

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসমে সংসদীয় আসনের নির্বাচন শেষ৷ সরকারের বাঙলা প্রেমও উধাও৷ ভোট মিটলেই বিদেশী বাছাই শুরু হবে এমন আতঙ্ক নির্বাচনের সময়ই বাঙালীদের গ্রাস করেছিল৷ সেই আতঙ্ক সত্য করে প্রায় তিন শতাধিক মানুষকে ডি-ভোটার থেকে বিদেশী ঘোষণা করল ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল৷ রামকৃষ্ণনগর বিধানসভা এলাকার তিনশত ব্যষ্টির তালিকা স্থানীয় রাতাবাড়ি থানায় এসে পৌঁচেছে৷ রাতাবাডি থানার ও.সি স্বীকার করেছেন বিদেশী ঘোষণার কথা৷ থানাসূত্রে জানা যায় যাদের নামের তালিকা থানায় এসে পৌঁচেছে ইতিমধ্যে তাদের থানায় ডাকা হয়েছে৷ অর্থ ও পরিবার যোগ্য ব্যষ্টি না থাকায় অনেকেই ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি তুলে ধরতে পারেনি উপযুক্ত নথিপত্র নিয়ে৷ অনেকের দাবী তারা ভারতীয় হয়েও নাগরিকত্ব হারিয়ে বিপাকে পড়ছেন৷

পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্বের শুনানি শুরু ঃ নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি৷ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নাগরিকত্ব দেওয়ার শুনানি৷ নদীয়া জেলায়  নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করে প্রায় দুই’শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে৷ শুনানির সময় অনেকেই উপযুক্ত নথি জমা দিতে পারেননি৷ তাঁদের অবস্থান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ আবেদনের অর্থই নিজেকে বাংলাদেশী বলে স্বীকার করে নেওয়া৷ বিরোধীদের দাবী এখন উপযুক্ত নথি জমা দিতে না পারলে নাগরিকত্বহীন হয়ে যাবে আবেদনকারীরা৷ কেন্দ্রীয় শাসকদলের বক্তব্য আবেদন বাতিল হওয়ার অর্থ আবেদনকারী  ভারতের নাগরিক৷

গার্লস প্রাউটিষ্টের উদ্যোগে মগরায় প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৬শে মে হুগলী জেলার মগরা মিলচিতা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গার্লস প্রাউটিষ্টের উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ শিবিরে জেলার গার্লস প্রাউটিষ্টের সদস্যা ছাড়াও জেলার প্রাউটিষ্ট কর্মী ও বেশ কিছু সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন৷ গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লী সেক্টরের সচিব অবধূতিকা আনন্দরূপাতীতা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দরত্নপ্রভা আচার্যা৷

আলোচনার শুরুতে বর্তমান সমাজে নারীর প্রতি যে অসাম্য বৈষম্য অত্যাচার অবিচার ও প্রাউটের দৃষ্টিতে তার সমাধানের পথ সে বিষয়ে আলোচনা করেন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের হুগলীর ভুক্তি প্রধান কৌশিক সাঁতরা৷ তিনি বলেন পুরুষের পাশাপাশি সমাজের সর্ব বিষয়ে নারী জাতিকেও সম অধিকার  ও সমমর্যাদা দিয়েছেন প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ এরপর আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ তিনি বর্তমান সমাজে মানুষের বিশেষ করে ছাত্র যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় ধন বৈষম্য সামাজিক অবিচারের প্রসঙ্গগুলি তুলে ধরেন ও বলেন একমাত্র সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউটের পথেই সব সমস্যার  সমাধান সম্ভব৷ সমস্ত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও শিক্ষক শ্রী শান্তুনু বাগুই৷ তাঁকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মী---মৌপিয়া ঘোষ, অন্বেষা মণ্ডল, মৌমিতা ধাড়া, রিমপা ওরাও, দীপ ঘোড়ুই, রিক্তম বাগুই প্রমুখ৷

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০৩ তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে শুরু হল ধর্ম মহাসম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগর, ৩১শে মে ঃ আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রবর্তক শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ১০৩তম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষ্যে ৩১শে মে থেকে ২রা জুন পর্যন্ত পুরুলিয়ার আনন্দনগরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এবার মার্গগুরুদেবের প্রতিনিধি হয়ে ধর্মমহাসম্মেলনে এসেছেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আনন্দমার্গীরা যোগ দিতে এসেছেন৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আনন্দমার্গের শাখা রয়েছে---ওই সমস্ত দেশ থেকে আনন্দমার্গের অনুগামীরা এই ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দিয়েছেন৷

বর্তমানে সমাজের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে৷ কেবল নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষা,সংস্কৃতি,অর্থনীতি প্রভৃতি সর্বক্ষেত্রে যে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এই সমস্ত ক্ষেত্রের সকল সমস্যার সমাধানেরই পথ দেখিয়েছেন৷ বলা বাহুল্য, মানুষের নৈতিক অধঃপতন সব সমস্যার মূলে৷ তার জন্যে দরকার উপযুক্ত মানুষ তৈরীর মানসাধ্যাত্মিক শিক্ষা তথা অনুশীলন৷ এ সমস্ত ব্যাপারে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী যে সর্বপ্রকার ডগমা ও কুসংস্কার মুক্ত সর্বাত্মক জীবন দর্শন দিয়েছেন৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে সে সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করেবেন মার্গগুরুর প্রতিনিধি ও মার্গের অন্যান্য কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে মার্গগুরুর আদর্শের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ছয় মাসের জন্যে মার্গের আদর্শ প্রচার ও বহুমুখী সেবার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হবে৷ ---এ কথা জানিয়েছেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় ধর্মপ্রচার সেক্রেটারী আচার্য বিশুদ্ধাত্মানন্দ অবধূত৷

তিনি জানান, ধর্মমহাসম্মেলনের তিন দিন কীর্ত্তন, সাধনা, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মার্গগুরুর ভি. ডি. ও. প্রদর্শন ও মার্গগুরুর প্রতিনিধির প্রবচন সহ নানান কর্মসূচী থাকছে৷ তাছাড়া, আনন্দমার্গ প্রকাশনের পুরাতন ও নূতন পুস্তক, সংস্থার বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রকাশিত পত্র---পত্রিকা ও ম্যাগাজিনও এখানে থাকছে৷

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপপ্রবাহ---জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবেই তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিণাম এই ঘটনা৷ তার জেরে এপ্রিল মাসে ভারতে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৫ গুণ! জলবায়ুর চোখরাঙানির জেরে বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১.২ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এমনই আশঙ্কার ছবি উঠে এসেছে ওয়ার্ল ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন (ডব্লিউডব্লিউএ)-এর সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে৷ তার জেরে জনজীবনে (বিশেষত যাঁরা দারিদ্রসীমার নীচে) বাড়বে দুর্র্ভেগ৷ মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ জন বিজ্ঞানী রিপোর্টটি তৈরি করেছেন৷ গত দু’বছরের রিপোর্টেও এ বারের মতোই ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কার‌্যকারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল৷ বিজ্ঞানীরা আবহাওয়ার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছেন শিল্পবিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বর্তমানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি৷ নতুন রিপোর্টে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বিশ্লেষণের জন্য পৃথক মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ পশ্চিম এশিয়ায় (যেমন সিরিয়া, লেবানন, জর্ডন, প্যালেস্টাইন) মার্চ-এপ্রিলের তিন দিনের সর্র্বেচ্চ গড় তাপমাত্রা খতিয়ে দেখা হয়৷ ফিলিপিন্সে দৈনিক সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রার ১৫ দিনের গড় পর্যালোচনা করা হয়েছে৷ তবে ভারত, মায়ানমার, লাওস-সহ দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে এপ্রিলের গড় তাপমাত্রাকে বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ দেখা গিয়েছে, গড় সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি৷ চলতি বছরের গ্রীষ্মেও ভারতে একই চিত্র ধরা পড়েছে৷ রিপোর্ট বলছে, ভারতে জলবায়ু পরিবর্তনের জোরালো ইঙ্গিত মিলেছে৷ তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৫ গুণ৷ ভবিষ্যতে পশ্চিম এশিয়ায় তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের৷ ২০৪০ বা ২০৫০ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে৷ সাধারণ ভাবে এপ্রিল মাসে এশিয়ায় তাপমাত্রা এমনিতেই বেশি থাকে৷ গবেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক কালে তাপমাত্রা যে বিপুল হারে বাড়ছে (বিশেষত কিছু শহরে), তা নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন৷ অত্যধিক তাপে যে সমস্ত প্রজাতির বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে, তাদের সুরক্ষার বন্দোবস্তেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ তা না হলে ব্যাহত হতে পারে জীববৈচিত্র৷

বাঙলার ছেলের তৈরী পাইন কাঠের হাঁস পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন৷ সেই সময় সমাজমাধ্যমের একটি বিজ্ঞাপনে নজর পড়ে বালুরঘাটের বিপ্লব সরকারের৷ চাওয়া হয়েছিল একটি বিশেষ আদলের পাইন কাঠের হাঁস৷ বিপ্লব চাহিদা মতো হাঁসের মডেল বানিয়ে কলকাতায় পাঠান৷ পত্রপাঠ মঞ্জুর হয় বিপ্লবের আবেদন৷ শহরে ফিরে এলাকার মহিলাদের এ কাজে যুক্ত করে নেন বিপ্লব৷ তার পর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় হাঁস বানানো৷ এখানে তৈরি পাইন কাঠের হাঁস এখন দিব্যি পাড়ি দিচ্ছে দেশ-বিদেশে৷ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন শিল্পী, ক্রমশ স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার মহিলারাও৷

সমাজমাধ্যমের পাতায় দেখা বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে যেন কপাল ফিরতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের নলাতাহারের কাঠশিল্পীদের৷ বালুরঘাট শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে নলতাহার গ্রামে পাইন গাছের টুকরো কেটে হাতের জাদু মিশিয়ে চমৎকার হাঁস তৈরি করছেন নবান সরকার ও তাঁর ছেলে বিপ্লব৷ তাতে যুক্ত হয়েছেন এলাকার আরও অন্তত ১০ মহিলা৷ ফেসবুকে আলাপ হওয়ার পর কলকাতার একটি সংস্থা দু’হাজারটি কাঠের হাঁস তৈরির বরাত দিয়েছে বিপ্লবকে৷ সময় মতো কাজ শেষ করতে স্থানীয় মহিলারা কোমর বেঁধে হাঁস তৈরির কাজে লেগে পড়েছেন৷ কাজ প্রায় শেষের দিকে৷ আর হাঁস বানিয়ে বাড়তি অর্থ উপার্জন মুখে হাসি ফুটিয়েছে গ্রামের মহিলাদের৷ কলকাতার এই সংস্থা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে পাইন কাঠ এসে পৌঁছচ্ছে বালুরঘাটে৷ তার পর সেই কাঠ দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জামের সাহায্যে নির্দিষ্ট আদলের হাঁস তৈরি করছেন পিতা-পুত্র৷ খোলা বাজারে কেউ কারখানা থেকে হাঁস কিনতে চাইলে হাঁসপ্রতি এক হাজার থেকে বারোশো টাকা দিতে হবে৷ এই হাঁস কলকাতা থেকে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ চাহিদা বৃদ্ধি পেতেই গ্রামের মহিলাদের এই কাজে নিয়োগ করেছেন বিপ্লব৷ বর্তমানে সাত মহিলা কাজ করছেন৷ আগামিদিনে আরও কাজের বরাত পাওয়ার আশা রয়েছে৷ তখন আরও বেশি মহিলাকে এই কাজে নিয়োগ করার পরিকল্পনাও সাজিয়ে ফেলেছেন বাবা-ছেলে৷

শিল্পী নবান বলেন, ‘‘এমন কাজ আগে কখনও করিনি৷ চাহিদা অনুযায়ী হাঁস তৈরির জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে৷ তার পরে সঠিক আকার এবং আয়তনের হাঁস তৈরি আয়ত্তে এনেছি৷ অনেক মহিলা এই কাজ করে ক্রমশ স্বাবলম্বী হচ্ছেন৷ ইতিমধ্যেই হাঁস তৈরি করে প্যাকেটজাত করা হয়েছে৷ কলকাতা থেকে এখানে গাড়ি পাঠানো হবে৷ সেই গাড়িতে আমাদের তৈরি করা মাল উঠে যাবে৷’’ আর বিপ্লব বলছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি৷ এখন কলেজে ভর্তি হব৷ আগে থেকেই খুঁটিনাটি জিনিস তৈরি করতাম৷ তার পরে সমাজমাধ্যমে এ রকম পোস্ট দেখে উৎসাহী হই৷ আমার পাঠানো নমুনা পছন্দ হওয়ায় তাঁরা দু’হাজারটি হাঁসের বরাত দিয়েছেন৷ সেগুলি আবার বাইরে রফতানি করবেন বলে শুনেছি৷ দিনে প্রায় ১০টি হাঁস তৈরি করতে পারি৷ স্থানীয় মহিলাদের আরও বেশি করে কাজে নিযুক্ত করে স্বাবলম্বী করে তোলার ইচ্ছে আছে৷’’

রাতের আকাশে রহস্যময় লাল আলো দেখা গেল লাদাখের এক গ্রামে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত শুক্রবার রাতে লাদাখের প্রান্তবর্তী গ্রাম হ্যানলের আকাশ লাল আলোয় ঢেকে যায়৷ সেই সময় যাঁরা ওই গ্রামে ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ সমাজমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন৷

কিন্তু কী কারণে এই লাল আলোর ছটা দেখা গেল লাদাখে? সম্প্রতি একটি সৌরঝড় আছড়ে পড়েছে মহাকাশে৷ তার প্রভাব পড়েছে পৃথিবীতেও৷ উত্তর ইউরোপ, অস্ট্রেলেশিয়া অঞ্চলের বহু দেশে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি৷ তারই প্রভাব লাদাখে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ যদিও মেরুপ্রভা সচরাচর উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু ও সংলগ্ণ অঞ্চলে লক্ষ করা যায়৷ ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখেই লাদাখের মতো জায়গায় মেরুপ্রভার দর্শন পাওয়া প্রায় বিরল ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে৷

কয়েকটি দেশে কিছু সময়ের জন্য টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক এই সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ে সূর‌্যের কেন্দ্র থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের বিরাট বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়৷ এর ফলে কোটি কোটি সৌরপদার্থ চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে পারে৷ সৌরজগতে তার প্রভাব পড়া অনিবার‌্য৷ তার উপরে গত ২০ বছরে এমন সৌরঝড় হয়নি বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ৷

নাসার বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, সৌরঝড়ের ফলে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ধরতে পারে৷ জিপিএস, বেতার যোগাযোগ সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে তার প্রভাবে৷ এমনকি, সৌরঝড় প্রভাব ফেলতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইলের নেটওয়ার্কের উপরেও৷ কোথাও কোথাও বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনাও বিরল নয়৷

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের দাবী নিয়ে নির্বাচনে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ইতোমধ্যে রাজ্যে ৪দফা লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটেছে৷ রাজনৈতিক গণতন্ত্রের মোহ মানুষকে ভুলিয়ে দিয়েছে প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ৷ ‘আমরা বাঙালী’ ছাত্রযুব নেতা তপোময় বিশ্বাস বলেন বাঙলাতে ‘অর্থনৈতিক গণতন্ত্রে’র বাস্তবায়নের ও শোষণমুক্ত বাঙালীদের মাতৃভূমি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল বাঙালীস্তান গঠনের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ লোকসভা নির্বাচনে সাধ্য মতন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে৷

বাকি ৩ দফা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশোজিৎ সরখেল, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী সুকেশচন্দ্র পলমল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ এছাড়াও বারাসাত লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী ডাঃ মোহনলাল অধিকারী ও কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী প্রণতি পাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ বাঙালী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের বাঙালীদের ওপর চরমভাবে চলতে থাকা ভাষিক -সাংস্কৃতিক ও মানসিক, অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জামশেদপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে অঙ্গদ মাহাত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷

বিজেপির গ্যারান্টি বাঙালীদের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পূর্ব ও উঃপূর্বাঞ্চলের বাঙালীরা নিজের ভূমিতে বাস করেও নাগরিকত্বহীনের আতঙ্কে ভুগছে৷ সেই আতঙ্ক আরও বাড়াচ্ছে বিজেপির গ্যারান্টি, বলা ভালো মোদির গ্যারান্টি৷ ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে অসমে নরেন্দ্রমোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেবে বিজেপি সরকারে এলে৷ কিন্তু কেন্দ্রে ও রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরী করেছে বিজেপি সরকার অসমের গোয়ালপাড়ায়৷ এবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে অমিত শাহ বলছেন ঘরে ঘরে গিয়ে নাগরিকত্ব দেবে৷ অসমে বিজেপি প্রচার করছে ডি-ভোটার সমস্যার সমাধান করবে এবারের বিজেপি সরকার নির্বাচনের পর৷

কিন্তু ডিটেনশন ক্যাম্প, কালো টাকা ফেরৎ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন বিজেপি প্রতিশ্রুতি নিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতা বড় তিক্ত৷ অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই পূর্ব ও উঃপূর্বাঞ্চলের বাঙালীরা আতঙ্কে ভুগছেন৷ অসমে বাঙালীদের আতঙ্কের কারণ গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন ক্যাম্প৷ এখন সেই ক্যাম্পে রয়েছেন মাত্র ৭জন৷ বাঙালীদের আশঙ্কা, ভোট মিটলেই ভর্তি শুরু হবে সেখানে৷ কারণ ইতিমধ্যেই অসমে দেড় লক্ষ নাগরিককে ‘বিদেশি’ বলে শনাক্ত করা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে বলছেন অসমে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ অবৈধ বাংলাদেশী৷

ফলে বাড়ছে আতঙ্ক৷ তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ বরাক বঙ্গের নেতৃ সুস্মিতা দেব বলেন--- ভোট মিটলেই শুরু হবে বিজেপির বাঙালী-বিদ্বেষের খেলা৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারের ভাষায় সেই ইঙ্গিত৷ তাই অনেকেই প্রহর গুনছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার৷ ক্যা-যে বাঙালীকে বিদেশী বানাবার ফাঁদ সেটা অনেকেই বুঝতে পারছে৷ তাই আবেদনও করছেন না কেউ৷ ভোটের আগে অবশ্য বিজেপি বলেছে, ক্যা-কে সহজ করা হবে’’৷ সেটাই বাঙালীর আরও আতঙ্কের কারণ৷ বিজেপি মুখে যা বলে কাজে তার বিপরীতটাই করে৷ বরাকের মানুষ জানেন, হিমন্তদের জন্যই ভূ-ভারতে একমাত্র অসমেই ডি বা সন্দেহভাজন ভোটারের সংস্থান রয়েছে৷ হিমন্ত বিশ্বশর্মার শতাধিক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল প্রতিনিয়ত ভারতীয় বাঙালীদের বিদেশি বানিয়ে চলেছে বলেও তাঁদের অভিযোগ৷ ২৭ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড আটকে রাখা হয়েছে৷ এ বছরের শুরুতে হিমন্তের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ৯৬,৯৮৭ জন ডি-ভোটার আছেন৷ এঁদের সকলকেই নাগরিকত্বের পরীক্ষা দিতে হবে৷ প্রমাণ না করতে পারলেই ডিটেনশন ক্যাম্প৷ তাই বিজেপির প্রতিশ্রুতি বরাকের তিনটি জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ভরসা জোগাতে ব্যর্থ৷ তাঁদের ভয়, ভোট মিটলেই আসল চেহারায় বেরিয়ে আসবে বিজেপি৷

অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থের আশঙ্কা, ভোটের পরই ফের শুরু হবে বাঙালিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরার পালা৷ সুদ-সহ মিটিয়ে দেবে যাবতীয় হিসেব৷ তাঁর মতো অনেকেই মনে করেন, বিজেপি আসলে বাঙালীকে ধবংস করতে চায়৷

প্রাউট প্রবক্তার আবির্ভাব তিথিতে প্রাউটিষ্টদের স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার ডাক

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---দলতান্ত্রিক রাজনীতি ও ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি মানব সভ্যতা ও মানুষের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলছে৷ শ্রী খাঁ বলেন--- কমিউনিজম তথা জড়বাদ ও ব্যষ্টিকেন্দ্রিক পুঁজিবাদ কখনও মানুষের সর্বাত্মক বিকাশের সহায়ক হতে পারে না৷

এই দুয়ের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে মানুষের সমাজ ও সভ্যতা আজ বিপন্ন৷ পুঁজিবাদের সীমাহীন শোষণ ও জড়বাদী হিংস্র রাজনীতি মানব সভ্যতা ও সমাজের এই বিপন্নতার জন্যে দায়ী৷

শ্রী খাঁ বলেন--- প্রাউটের মতে সামাজিক আদর্শ তথা ব্যবস্থাগুলি মানুষের সর্বাত্মক বিকাশের কথা ভেবেই তৈরী করতে হয়৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী যিনি লৌকিক জগতে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার নামে পরিচিত তিনি মানবসভ্যতা ও মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে দিয়েছেন এক সর্বানুসূ্যত জীবন দর্শন৷ তাঁর দর্শনে যেমন জগৎও জীবন সম্পর্কে সুস্পষ্ট আলোচনা করেছেন, মানব জীবনের পরমলক্ষ্য দিব্যজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যুক্তি ও বিজ্ঞান নির্ভর সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই সঙ্গে মানুষের ভৌতিক তথা জাগতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে দিয়েছেন বাস্তবসম্মত ও প্রয়োগ ভৌমিক সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব৷ তাঁর অর্থনৈতিকতত্ত্ব একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান যা বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক বিকাশ ঘটাতে সক্ষম প্রাউট৷ প্রাউট সারা বিশ্বজুড়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে প্রতিটি মানুষের কাছে আর্থিক নীতির সুফল পৌঁছে দিতে চায়৷ যা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক দর্শন সারা বিশ্বে আনন্দমার্গ দর্শনরূপে পরিচিত৷ এই দর্শনকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ও বাস্তবের মাটিতে প্রয়োগ করতেই প্রতিষ্ঠা করেছেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ৷ আজ পুঁজিবাদী শোষণ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদগত সংঘর্ষ মানুষের সভ্যতা ও অস্তিত্বকে ধবংস করতে হলে আনন্দমার্গ ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই৷ শ্রী খাঁ বলেন---আগামী ২৩শে মে প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের আবির্ভাব তিথিতে প্রাউটিষ্টরা শপথ নেবেন এই পৃথিবীকে সর্বপ্রকার গ্লাণি ও শোষণ থেকে মুক্ত করে মানুস ও সর্বজীবের বসবাসযোগ্য আদর্শ সমাজ গড়ার৷

অমর ১৯শে মে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ২১শে ফেব্রুয়ারী এক গৌরবোজ্জ্বল বেদনাদায়ক ইতিহাস৷ মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগ রক্তদান ব্যর্থ হয়নি৷ মুখের ভাষা-মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে জন্ম নিল স্বাধীন বাংলাদেশ৷ শুধু ভাষার দাবীতে রাষ্ট্রঘটনই নয়, দ্বিজাতিতত্ত্বের দোহাই দিয়ে যে উর্দু ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা দেশ ভাগ করেছিল তাদের মুখে ঝামা ঘষে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীরা বুঝিয়ে দিয়েছিল তথাকথিত ধর্মমতের গোঁড়ামি অপেক্ষা বাঙালীর কাছে তার ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির মর্যাদা অনেক বেশী৷ সেই মর্যাদা রক্ষা করতেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রসংঘের সৌজন্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷

পিছিয়ে থাকেনি এপারও৷ ১৯৬১ সালের ১৯শে মে বরাকবঙ্গের শিলচর শহরে রচিত হয় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আর এক আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকারের সেনার বুলেটে রক্তাক্ত হলো স্বাধীন দেশের নাগরিক, লুটিয়ে পড়ে ১১টি তরুণ তাজা প্রাণ৷ কি অদ্ভুদ মিল শাসকের চরিত্রে! ওপারে উর্দু সাম্রাজ্যবাদী শাসক, এপারে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শাসক বাংলাভাষার প্রতি আতঙ্ক উভয়ের৷ কারণ বাংলা শুধু মুখের ভাষা নয়--- বাংলা যে শোষণ, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ভাষা, প্রতিবাদের ভাষা৷ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ বাংলা ভাষায় রচিত নীলদর্পন, পথের দাবী, আনন্দমঠ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল৷

স্বাধীনতা লাভের জন্য যারা সবথেকে বেশি রক্ত দিয়েছিল, ত্যাগ স্বীকার করেছিল তারাই হল স্বাধীন দেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক৷ কথায় আছে ‘চোরা না শোণে ধর্মের কাহিনী’৷ শাসক বদলায় কিন্তু শাসকের চরিত্র বদলায় না, সে শাসক স্বদেশী হোক আর বিদেশী হোক৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী সার্থক হলেও ১৯শে মে’র আত্মত্যাগের ঋণ আজও শোধ হয়নি৷ স্বাধীন ভারতে বাংলাভাষা আজও অবদমিত পশ্চিম বাঙলাতেও বাংলাকে অপাংক্তেয় করে রাখা হচ্ছে স্বদেশী শাসকের প্ররোচনায়৷ ১৯শে মে ১১টি ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধায় স্মরণে মুখর হবে বরাকবঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গ---শিলচর থেকে কলিকাতা, সেই মুখরতার মাঝে আর একটা শপথ--- আর একটা ২১শে ফেব্রুয়ারী--- এপারেও....৷