সংবাদ দর্পণ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপপ্রবাহ---জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবেই তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিণাম এই ঘটনা৷ তার জেরে এপ্রিল মাসে ভারতে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৫ গুণ! জলবায়ুর চোখরাঙানির জেরে বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১.২ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এমনই আশঙ্কার ছবি উঠে এসেছে ওয়ার্ল ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন (ডব্লিউডব্লিউএ)-এর সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে৷ তার জেরে জনজীবনে (বিশেষত যাঁরা দারিদ্রসীমার নীচে) বাড়বে দুর্র্ভেগ৷ মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ জন বিজ্ঞানী রিপোর্টটি তৈরি করেছেন৷ গত দু’বছরের রিপোর্টেও এ বারের মতোই ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কার‌্যকারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল৷ বিজ্ঞানীরা আবহাওয়ার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছেন শিল্পবিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বর্তমানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি৷ নতুন রিপোর্টে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বিশ্লেষণের জন্য পৃথক মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ পশ্চিম এশিয়ায় (যেমন সিরিয়া, লেবানন, জর্ডন, প্যালেস্টাইন) মার্চ-এপ্রিলের তিন দিনের সর্র্বেচ্চ গড় তাপমাত্রা খতিয়ে দেখা হয়৷ ফিলিপিন্সে দৈনিক সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রার ১৫ দিনের গড় পর্যালোচনা করা হয়েছে৷ তবে ভারত, মায়ানমার, লাওস-সহ দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে এপ্রিলের গড় তাপমাত্রাকে বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ দেখা গিয়েছে, গড় সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি৷ চলতি বছরের গ্রীষ্মেও ভারতে একই চিত্র ধরা পড়েছে৷ রিপোর্ট বলছে, ভারতে জলবায়ু পরিবর্তনের জোরালো ইঙ্গিত মিলেছে৷ তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৫ গুণ৷ ভবিষ্যতে পশ্চিম এশিয়ায় তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের৷ ২০৪০ বা ২০৫০ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে৷ সাধারণ ভাবে এপ্রিল মাসে এশিয়ায় তাপমাত্রা এমনিতেই বেশি থাকে৷ গবেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক কালে তাপমাত্রা যে বিপুল হারে বাড়ছে (বিশেষত কিছু শহরে), তা নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন৷ অত্যধিক তাপে যে সমস্ত প্রজাতির বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে, তাদের সুরক্ষার বন্দোবস্তেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ তা না হলে ব্যাহত হতে পারে জীববৈচিত্র৷

বাঙলার ছেলের তৈরী পাইন কাঠের হাঁস পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন৷ সেই সময় সমাজমাধ্যমের একটি বিজ্ঞাপনে নজর পড়ে বালুরঘাটের বিপ্লব সরকারের৷ চাওয়া হয়েছিল একটি বিশেষ আদলের পাইন কাঠের হাঁস৷ বিপ্লব চাহিদা মতো হাঁসের মডেল বানিয়ে কলকাতায় পাঠান৷ পত্রপাঠ মঞ্জুর হয় বিপ্লবের আবেদন৷ শহরে ফিরে এলাকার মহিলাদের এ কাজে যুক্ত করে নেন বিপ্লব৷ তার পর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় হাঁস বানানো৷ এখানে তৈরি পাইন কাঠের হাঁস এখন দিব্যি পাড়ি দিচ্ছে দেশ-বিদেশে৷ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন শিল্পী, ক্রমশ স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার মহিলারাও৷

সমাজমাধ্যমের পাতায় দেখা বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে যেন কপাল ফিরতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের নলাতাহারের কাঠশিল্পীদের৷ বালুরঘাট শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে নলতাহার গ্রামে পাইন গাছের টুকরো কেটে হাতের জাদু মিশিয়ে চমৎকার হাঁস তৈরি করছেন নবান সরকার ও তাঁর ছেলে বিপ্লব৷ তাতে যুক্ত হয়েছেন এলাকার আরও অন্তত ১০ মহিলা৷ ফেসবুকে আলাপ হওয়ার পর কলকাতার একটি সংস্থা দু’হাজারটি কাঠের হাঁস তৈরির বরাত দিয়েছে বিপ্লবকে৷ সময় মতো কাজ শেষ করতে স্থানীয় মহিলারা কোমর বেঁধে হাঁস তৈরির কাজে লেগে পড়েছেন৷ কাজ প্রায় শেষের দিকে৷ আর হাঁস বানিয়ে বাড়তি অর্থ উপার্জন মুখে হাসি ফুটিয়েছে গ্রামের মহিলাদের৷ কলকাতার এই সংস্থা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে পাইন কাঠ এসে পৌঁছচ্ছে বালুরঘাটে৷ তার পর সেই কাঠ দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জামের সাহায্যে নির্দিষ্ট আদলের হাঁস তৈরি করছেন পিতা-পুত্র৷ খোলা বাজারে কেউ কারখানা থেকে হাঁস কিনতে চাইলে হাঁসপ্রতি এক হাজার থেকে বারোশো টাকা দিতে হবে৷ এই হাঁস কলকাতা থেকে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷ চাহিদা বৃদ্ধি পেতেই গ্রামের মহিলাদের এই কাজে নিয়োগ করেছেন বিপ্লব৷ বর্তমানে সাত মহিলা কাজ করছেন৷ আগামিদিনে আরও কাজের বরাত পাওয়ার আশা রয়েছে৷ তখন আরও বেশি মহিলাকে এই কাজে নিয়োগ করার পরিকল্পনাও সাজিয়ে ফেলেছেন বাবা-ছেলে৷

শিল্পী নবান বলেন, ‘‘এমন কাজ আগে কখনও করিনি৷ চাহিদা অনুযায়ী হাঁস তৈরির জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে৷ তার পরে সঠিক আকার এবং আয়তনের হাঁস তৈরি আয়ত্তে এনেছি৷ অনেক মহিলা এই কাজ করে ক্রমশ স্বাবলম্বী হচ্ছেন৷ ইতিমধ্যেই হাঁস তৈরি করে প্যাকেটজাত করা হয়েছে৷ কলকাতা থেকে এখানে গাড়ি পাঠানো হবে৷ সেই গাড়িতে আমাদের তৈরি করা মাল উঠে যাবে৷’’ আর বিপ্লব বলছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি৷ এখন কলেজে ভর্তি হব৷ আগে থেকেই খুঁটিনাটি জিনিস তৈরি করতাম৷ তার পরে সমাজমাধ্যমে এ রকম পোস্ট দেখে উৎসাহী হই৷ আমার পাঠানো নমুনা পছন্দ হওয়ায় তাঁরা দু’হাজারটি হাঁসের বরাত দিয়েছেন৷ সেগুলি আবার বাইরে রফতানি করবেন বলে শুনেছি৷ দিনে প্রায় ১০টি হাঁস তৈরি করতে পারি৷ স্থানীয় মহিলাদের আরও বেশি করে কাজে নিযুক্ত করে স্বাবলম্বী করে তোলার ইচ্ছে আছে৷’’

রাতের আকাশে রহস্যময় লাল আলো দেখা গেল লাদাখের এক গ্রামে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত শুক্রবার রাতে লাদাখের প্রান্তবর্তী গ্রাম হ্যানলের আকাশ লাল আলোয় ঢেকে যায়৷ সেই সময় যাঁরা ওই গ্রামে ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ সমাজমাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেন৷

কিন্তু কী কারণে এই লাল আলোর ছটা দেখা গেল লাদাখে? সম্প্রতি একটি সৌরঝড় আছড়ে পড়েছে মহাকাশে৷ তার প্রভাব পড়েছে পৃথিবীতেও৷ উত্তর ইউরোপ, অস্ট্রেলেশিয়া অঞ্চলের বহু দেশে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি৷ তারই প্রভাব লাদাখে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ যদিও মেরুপ্রভা সচরাচর উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু ও সংলগ্ণ অঞ্চলে লক্ষ করা যায়৷ ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখেই লাদাখের মতো জায়গায় মেরুপ্রভার দর্শন পাওয়া প্রায় বিরল ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে৷

কয়েকটি দেশে কিছু সময়ের জন্য টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক এই সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ে সূর‌্যের কেন্দ্র থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বকীয় তরঙ্গের বিরাট বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়৷ এর ফলে কোটি কোটি সৌরপদার্থ চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে পারে৷ সৌরজগতে তার প্রভাব পড়া অনিবার‌্য৷ তার উপরে গত ২০ বছরে এমন সৌরঝড় হয়নি বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ৷

নাসার বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, সৌরঝড়ের ফলে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ফাটল ধরতে পারে৷ জিপিএস, বেতার যোগাযোগ সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন হতে পারে তার প্রভাবে৷ এমনকি, সৌরঝড় প্রভাব ফেলতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইলের নেটওয়ার্কের উপরেও৷ কোথাও কোথাও বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনাও বিরল নয়৷

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের দাবী নিয়ে নির্বাচনে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ইতোমধ্যে রাজ্যে ৪দফা লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটেছে৷ রাজনৈতিক গণতন্ত্রের মোহ মানুষকে ভুলিয়ে দিয়েছে প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ৷ ‘আমরা বাঙালী’ ছাত্রযুব নেতা তপোময় বিশ্বাস বলেন বাঙলাতে ‘অর্থনৈতিক গণতন্ত্রে’র বাস্তবায়নের ও শোষণমুক্ত বাঙালীদের মাতৃভূমি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল বাঙালীস্তান গঠনের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ লোকসভা নির্বাচনে সাধ্য মতন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে৷

বাকি ৩ দফা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশোজিৎ সরখেল, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী সুকেশচন্দ্র পলমল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ এছাড়াও বারাসাত লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী ডাঃ মোহনলাল অধিকারী ও কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী প্রণতি পাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ বাঙালী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের বাঙালীদের ওপর চরমভাবে চলতে থাকা ভাষিক -সাংস্কৃতিক ও মানসিক, অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জামশেদপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে অঙ্গদ মাহাত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷

বিজেপির গ্যারান্টি বাঙালীদের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

পূর্ব ও উঃপূর্বাঞ্চলের বাঙালীরা নিজের ভূমিতে বাস করেও নাগরিকত্বহীনের আতঙ্কে ভুগছে৷ সেই আতঙ্ক আরও বাড়াচ্ছে বিজেপির গ্যারান্টি, বলা ভালো মোদির গ্যারান্টি৷ ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে অসমে নরেন্দ্রমোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেবে বিজেপি সরকারে এলে৷ কিন্তু কেন্দ্রে ও রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরী করেছে বিজেপি সরকার অসমের গোয়ালপাড়ায়৷ এবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে অমিত শাহ বলছেন ঘরে ঘরে গিয়ে নাগরিকত্ব দেবে৷ অসমে বিজেপি প্রচার করছে ডি-ভোটার সমস্যার সমাধান করবে এবারের বিজেপি সরকার নির্বাচনের পর৷

কিন্তু ডিটেনশন ক্যাম্প, কালো টাকা ফেরৎ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন বিজেপি প্রতিশ্রুতি নিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতা বড় তিক্ত৷ অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই পূর্ব ও উঃপূর্বাঞ্চলের বাঙালীরা আতঙ্কে ভুগছেন৷ অসমে বাঙালীদের আতঙ্কের কারণ গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন ক্যাম্প৷ এখন সেই ক্যাম্পে রয়েছেন মাত্র ৭জন৷ বাঙালীদের আশঙ্কা, ভোট মিটলেই ভর্তি শুরু হবে সেখানে৷ কারণ ইতিমধ্যেই অসমে দেড় লক্ষ নাগরিককে ‘বিদেশি’ বলে শনাক্ত করা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে বলছেন অসমে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ অবৈধ বাংলাদেশী৷

ফলে বাড়ছে আতঙ্ক৷ তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ বরাক বঙ্গের নেতৃ সুস্মিতা দেব বলেন--- ভোট মিটলেই শুরু হবে বিজেপির বাঙালী-বিদ্বেষের খেলা৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারের ভাষায় সেই ইঙ্গিত৷ তাই অনেকেই প্রহর গুনছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার৷ ক্যা-যে বাঙালীকে বিদেশী বানাবার ফাঁদ সেটা অনেকেই বুঝতে পারছে৷ তাই আবেদনও করছেন না কেউ৷ ভোটের আগে অবশ্য বিজেপি বলেছে, ক্যা-কে সহজ করা হবে’’৷ সেটাই বাঙালীর আরও আতঙ্কের কারণ৷ বিজেপি মুখে যা বলে কাজে তার বিপরীতটাই করে৷ বরাকের মানুষ জানেন, হিমন্তদের জন্যই ভূ-ভারতে একমাত্র অসমেই ডি বা সন্দেহভাজন ভোটারের সংস্থান রয়েছে৷ হিমন্ত বিশ্বশর্মার শতাধিক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল প্রতিনিয়ত ভারতীয় বাঙালীদের বিদেশি বানিয়ে চলেছে বলেও তাঁদের অভিযোগ৷ ২৭ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড আটকে রাখা হয়েছে৷ এ বছরের শুরুতে হিমন্তের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে ৯৬,৯৮৭ জন ডি-ভোটার আছেন৷ এঁদের সকলকেই নাগরিকত্বের পরীক্ষা দিতে হবে৷ প্রমাণ না করতে পারলেই ডিটেনশন ক্যাম্প৷ তাই বিজেপির প্রতিশ্রুতি বরাকের তিনটি জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের ভরসা জোগাতে ব্যর্থ৷ তাঁদের ভয়, ভোট মিটলেই আসল চেহারায় বেরিয়ে আসবে বিজেপি৷

অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থের আশঙ্কা, ভোটের পরই ফের শুরু হবে বাঙালিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরার পালা৷ সুদ-সহ মিটিয়ে দেবে যাবতীয় হিসেব৷ তাঁর মতো অনেকেই মনে করেন, বিজেপি আসলে বাঙালীকে ধবংস করতে চায়৷

প্রাউট প্রবক্তার আবির্ভাব তিথিতে প্রাউটিষ্টদের স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার ডাক

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---দলতান্ত্রিক রাজনীতি ও ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি মানব সভ্যতা ও মানুষের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলছে৷ শ্রী খাঁ বলেন--- কমিউনিজম তথা জড়বাদ ও ব্যষ্টিকেন্দ্রিক পুঁজিবাদ কখনও মানুষের সর্বাত্মক বিকাশের সহায়ক হতে পারে না৷

এই দুয়ের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে মানুষের সমাজ ও সভ্যতা আজ বিপন্ন৷ পুঁজিবাদের সীমাহীন শোষণ ও জড়বাদী হিংস্র রাজনীতি মানব সভ্যতা ও সমাজের এই বিপন্নতার জন্যে দায়ী৷

শ্রী খাঁ বলেন--- প্রাউটের মতে সামাজিক আদর্শ তথা ব্যবস্থাগুলি মানুষের সর্বাত্মক বিকাশের কথা ভেবেই তৈরী করতে হয়৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী যিনি লৌকিক জগতে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার নামে পরিচিত তিনি মানবসভ্যতা ও মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে দিয়েছেন এক সর্বানুসূ্যত জীবন দর্শন৷ তাঁর দর্শনে যেমন জগৎও জীবন সম্পর্কে সুস্পষ্ট আলোচনা করেছেন, মানব জীবনের পরমলক্ষ্য দিব্যজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যুক্তি ও বিজ্ঞান নির্ভর সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই সঙ্গে মানুষের ভৌতিক তথা জাগতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে দিয়েছেন বাস্তবসম্মত ও প্রয়োগ ভৌমিক সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব৷ তাঁর অর্থনৈতিকতত্ত্ব একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান যা বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক বিকাশ ঘটাতে সক্ষম প্রাউট৷ প্রাউট সারা বিশ্বজুড়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে প্রতিটি মানুষের কাছে আর্থিক নীতির সুফল পৌঁছে দিতে চায়৷ যা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক দর্শন সারা বিশ্বে আনন্দমার্গ দর্শনরূপে পরিচিত৷ এই দর্শনকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ও বাস্তবের মাটিতে প্রয়োগ করতেই প্রতিষ্ঠা করেছেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ৷ আজ পুঁজিবাদী শোষণ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদগত সংঘর্ষ মানুষের সভ্যতা ও অস্তিত্বকে ধবংস করতে হলে আনন্দমার্গ ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই৷ শ্রী খাঁ বলেন---আগামী ২৩শে মে প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের আবির্ভাব তিথিতে প্রাউটিষ্টরা শপথ নেবেন এই পৃথিবীকে সর্বপ্রকার গ্লাণি ও শোষণ থেকে মুক্ত করে মানুস ও সর্বজীবের বসবাসযোগ্য আদর্শ সমাজ গড়ার৷

অমর ১৯শে মে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ২১শে ফেব্রুয়ারী এক গৌরবোজ্জ্বল বেদনাদায়ক ইতিহাস৷ মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগ রক্তদান ব্যর্থ হয়নি৷ মুখের ভাষা-মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে জন্ম নিল স্বাধীন বাংলাদেশ৷ শুধু ভাষার দাবীতে রাষ্ট্রঘটনই নয়, দ্বিজাতিতত্ত্বের দোহাই দিয়ে যে উর্দু ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা দেশ ভাগ করেছিল তাদের মুখে ঝামা ঘষে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীরা বুঝিয়ে দিয়েছিল তথাকথিত ধর্মমতের গোঁড়ামি অপেক্ষা বাঙালীর কাছে তার ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির মর্যাদা অনেক বেশী৷ সেই মর্যাদা রক্ষা করতেই স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রসংঘের সৌজন্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷

পিছিয়ে থাকেনি এপারও৷ ১৯৬১ সালের ১৯শে মে বরাকবঙ্গের শিলচর শহরে রচিত হয় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আর এক আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ স্বাধীন দেশের স্বাধীন সরকারের সেনার বুলেটে রক্তাক্ত হলো স্বাধীন দেশের নাগরিক, লুটিয়ে পড়ে ১১টি তরুণ তাজা প্রাণ৷ কি অদ্ভুদ মিল শাসকের চরিত্রে! ওপারে উর্দু সাম্রাজ্যবাদী শাসক, এপারে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শাসক বাংলাভাষার প্রতি আতঙ্ক উভয়ের৷ কারণ বাংলা শুধু মুখের ভাষা নয়--- বাংলা যে শোষণ, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ভাষা, প্রতিবাদের ভাষা৷ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ বাংলা ভাষায় রচিত নীলদর্পন, পথের দাবী, আনন্দমঠ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল৷

স্বাধীনতা লাভের জন্য যারা সবথেকে বেশি রক্ত দিয়েছিল, ত্যাগ স্বীকার করেছিল তারাই হল স্বাধীন দেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক৷ কথায় আছে ‘চোরা না শোণে ধর্মের কাহিনী’৷ শাসক বদলায় কিন্তু শাসকের চরিত্র বদলায় না, সে শাসক স্বদেশী হোক আর বিদেশী হোক৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী সার্থক হলেও ১৯শে মে’র আত্মত্যাগের ঋণ আজও শোধ হয়নি৷ স্বাধীন ভারতে বাংলাভাষা আজও অবদমিত পশ্চিম বাঙলাতেও বাংলাকে অপাংক্তেয় করে রাখা হচ্ছে স্বদেশী শাসকের প্ররোচনায়৷ ১৯শে মে ১১টি ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধায় স্মরণে মুখর হবে বরাকবঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গ---শিলচর থেকে কলিকাতা, সেই মুখরতার মাঝে আর একটা শপথ--- আর একটা ২১শে ফেব্রুয়ারী--- এপারেও....৷

 

নাসার ‘স্পেস ট্যাক্সি’র যাত্রা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্থগিত হয়ে গেল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সিট বেল্ট বেঁধে ‘স্পেস ট্যাক্সির’র মধ্যে বসে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস৷ মঙ্গলবারই তৃতীয় বারের জন্য মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ এই অভিযানে সুনীতার সঙ্গী ছিলেন বুচ উইলমোর৷ কিন্তু মহাকাশে ওড়ার আগেই স্থগিত হয়ে গেল সুনীতাদের যাত্রা৷ সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই অভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে৷ কবে আবার এই মহাকাশ অভিযান হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷

ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা ০৪ মিনিট নাগাদ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল বোয়িংয়ের সিএসটি-১০০ স্টারলাইনার স্পেস ট্যাক্সির৷ সেই মতো প্রস্তুতিও চলছিল জোরকদমে৷ সুনীতা এবং বুচ, দু’জনেই তৈরি হয়ে মহাকাশ যানে সওয়ার হয়েছিলেন৷ কিন্তু স্পেস ট্যাক্সিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় চিন্তায় পড়েন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ শুরু হয় মেরামতির কাজ৷ তবে শেষ পর্যন্ত ওই যানের মেরামতি সম্ভব হয়নি৷ ওড়ার ঘণ্টা দেড়েক আগেই অভিযান স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় নাসা৷ তার পরই স্পেস ট্যাক্সি থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতারা৷ নাসার তরফে জানানো হয়েছে, রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি ভাল্‌ভ খারাপ হয়ে যায়৷ সেই সমস্যা মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিযান বাতিল করতে হল৷

স্পেস ট্যাক্সিকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিল ‘ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স এলএলসি’ (ইউএলসি)-র অ্যাটলাস-৫ রকেট৷ দীর্ঘ দিন ধরেই বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশ সফরের প্রস্তুতি চলছিল৷ কিন্তু নানা প্রযুক্তিগত সমস্যায় ভুগছিল বোয়িং৷ নিরাপদে তারা মহাকাশে মানুষ পৌঁছে দিতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ণ উঠেছিল৷ মঙ্গলবার সুনীতাদের অভিযান বাতিল হওয়ার পর সেই প্রশ্ণ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠল৷

৫৯ বছর বয়সি সুনীতা নৌবাহিনীর উচ্চপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেস্ট পাইলট৷ এর আগেও দু’বার মহাকাশে গিয়েছেন তিনি৷ এক বার ২০০৬ সালে৷ দ্বিতীয় বার ২০১২-তে৷ নাসার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন তিনি৷ এক সময়ে মহিলা নভশ্চর হিসেবে মহাকাশে সর্র্বেচ্চ সময় হাঁটার (স্পেসওয়াক) রেকর্ডও সুনীতার ঝুলিতে ছিল৷ সাত বারের স্পেসওয়াকে মোট ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট মহাকাশে হেঁটেছেন তিনি৷ পরে সুনীতার রেকর্ড ভেঙে দেন পেগি হুইটসন৷

একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ব্রাজিল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে ভেঙে গেল আট দশকের রেকর্ড৷ বন্যায় হাবুডুবু ব্রাজিলের দক্ষিণতম রাজ্য রিয়ো গ্রান্দে দো সুল৷ পরিস্থিতি এমনই যে, ১৯৪১ সালের ভয়ঙ্কর বন্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এ বারের বিপর্যয়৷ রিয়ো গ্রান্দে দো সুল ছাড়াও দক্ষিণাংশের কয়েকটি শহরে জলস্তর ১৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে৷ প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের৷ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে শুক্রবার জানানো হয়, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷

ব্রাজিলের দক্ষিণতম এই শহরটির ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই সেখানে মাঝেমধ্যেই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা যায়৷ কখনও প্রবল বৃষ্টি, আবার কখনও প্রবল খরার কবলে পড়ে এই অংশ৷ বিজ্ঞানীদের মতে, এ সবের পাশাপাশি বিশ্ব উষ্ণায়নেরও প্রবল প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সেখানে৷ তাই আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট জলের নীচে তলিয়ে গিয়েছে৷ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক সড়ক ও সেতু৷ পাশাপাশি ভূমিধসও নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু এলাকা৷ টাকুয়ারি নদী উপত্যকার সংলগ্ণ শহর লাজেডো এবং এস্ট্রেলা, সম্পূর্ণ ভাবে জলের তলায় চলে গিয়েছে৷ রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ, জল, ইন্টারনেট, টেলিফোন পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে৷

রিয়ো গ্রান্দে দো সুল-এর নাগরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরের ৬৮ জন বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ এবং কমপক্ষে ২৪ হাজার মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন৷ উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যের ৪৯৭টি শহরে অর্ধেকেরও বেশি অংশ ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে সান্তা মারিয়া নদীর জল৷ ভেসে গিয়েছে নদীর ওপরে থাকা সেতুটিও৷ রাজধানী পোর্র্তে অ্যালেগ্রির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গুয়াইবা নদীর তীরেও ভাঙন দেখা দিয়েছে৷

মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্র্দে লেইতে বলেছেন, ‘‘কিছু দিনের মধ্যে আমরা অন্যান্য এলাকায় পৌঁছতে সক্ষম হব৷ তখন মৃতের সংখ্যা বাড়তেও পারে৷’’ প্রবল বৃষ্টি এবং জলস্তর বাড়ায় একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বাঁধ আংশিক ভাবে ধসে পড়ে৷ অন্য একটি জলাধারের অবস্থাও খারাপ হওয়ায় বিপদের আশঙ্কায় জলাধারের কাছাকাছি বসবাসকারী লোকেদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন৷

৮০০ টাকা কেজি আটা, খাদ্যের আকাল পাকিস্তানে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এক কেজি আটা ২৩০ পাকিস্তানি টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮০০ পাকিস্তানি টাকা৷ ভারতীয় মুদ্রায় ২৩৮ টাকা৷ শুধু তা-ই নয়, সেই শহরে এক একটি রুটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায় (পাকিস্তানি মুদ্রায়)৷

পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে ‘লড়াই করছে’ পাকিস্তান৷ সে দেশে গত কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্র্বেচ্চ৷ খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ শতাংশ৷ পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে সে দেশে খাদ্য, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বছরে পাকিস্তানের শহরাঞ্চলগুলিতে টম্যাটোর দাম ১৮৮ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ৮৪ শতাংশ, সব্জির দাম ৫৫ শতাংশ, মশলার দাম ৪৯ শতাংশ, চিনির দাম ৩৭ শতাংশ এবং আলুর দাম ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১৯ শতাংশ৷ বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৭৩ শতাংশ৷ শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বহু গুণ৷

কিন্তু কেন এই অবস্থা হল পাক অর্থনীতির? কেনই বা মূল্যবৃদ্ধি ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের? বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের উপর বিপুল ঋণের বোঝাই মূলত এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ)-ও পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে৷ আইএমএফের শর্তের কারণে পাকিস্তান সরকার ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করেছে৷ যার ফলে খাদ্যসামগ্রী থেকে মৌলিক চাহিদা, সব কিছুই ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে সে দেশে৷ তবে এই পরিস্থিতি নতুন নয়৷ গত দু’বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির জন্য বারে বারে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে পাক নাগরিকদের৷ খাবার নিয়ে সে দেশের মানুষকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারপিটও করতে দেখা গিয়েছে একাধিক বার৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজেদের দেশের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে ভারতের উদাহরণ টেনে এনেছেন পাকিস্তানের এক শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক৷ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি সুদীর্ঘ ভাষণ দেন জমিয়তে উলেমা-ই-ফজল (জেইউআই-এফ)-এর প্রধান মওলানা ফজলুর রহমান৷ কট্টরপন্থী বলেই পরিচিত এই নেতা পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের তুলনা করে দেখুন৷ আজ ওরা (ভারত) সুপার পাওয়ার (বড় শক্তি) হওয়ার স্বপ্ণ দেখছে৷ আর আমরা দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে ভিক্ষা করছি৷’’ মনে করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই পাক সরকারকে আক্রমণ করেছেন ফজলুর৷