সংবাদ দর্পণ

পাঁচলায় অখণ্ড কীর্ত্তন ও জলসত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা বৈশাখ হাওড়ার পাঁচলা ব্লকের গঙ্গাধরপুর পেঁপেতলার গোণ্ডলপাড়া শ্মশানে আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের পক্ষ থেকে ১২ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ তাছাড়া পথচারিদের জন্যে জলসত্রের আয়োজন করা হয় ও মধ্যাহ্ণে নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল৷ কীর্ত্তনের ভাবতরঙ্গে আপ্লুত হয়ে বহু সাধারণ মানুষও কীর্ত্তনে যোগ দেন৷

কালিকাপুরে আনন্দমার্গের ত্রাণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৭শে এপ্রিল কালিকাপুর আভা মেমোরিয়াল হাসপাতালে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের মহিলা শাখার উদ্যোগে দাতব্য চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ এখানে শতাধিক মানুষের চোখ ও দাঁতের চিকিৎসা করা হয় অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে৷ তাপদগ্দ পথচারীদের জন্যে জলসত্র ও ছাতা বিতরণ করা হয়৷

প্রাউটের আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগরের চরগালী, টিমাংদা ও ডামরুঘুটু ইউনিটের মা ও বোনেদের নিয়ে প্রাউটের আলোচনা সভা৷ একই সঙে আনন্দমার্গ আদর্শ প্রচার৷

ষ্টাডি সার্কেল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০শে এপ্রিল’২৪ শনিবার রেণেশাঁ ইয়ূনিবারসাল (আর.ইয়ূ), আনন্দনগর শাখার পক্ষ থেকে আনন্দমার্গ হাইস্কুলে নিয়মিত ষ্টাডি সার্কেলের শুভসূচনা হয়৷ আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূতের সুমধুর কন্ঠে ‘জীর্ণ বিদীর্ণ জীবের করিব সেবা’ প্রভাত-সঙ্গীত ও ‘সংগচ্ছধবং সংবদধবং সংবো মনাংসি জানতাম’ মন্ত্র গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ ‘ষ্টাডি সার্কেলের প্রয়োজনীয়তা ও রেণেশাঁ ইয়ূনিবারসাল’ নিয়ে বক্তব্য রাখেন ষ্টাডি সার্কেল ও রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সাল আনন্দনগর শাখার চেয়ারম্যান আচার্য কিষেনসিং সুদ মহাশয়, আনন্দনগর নিজ পুরসভার চেয়ারম্যান আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত ও রেক্টর মাষ্টার আনন্দনগর আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত৷ উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকবৃন্দগণ৷ প্রত্যেক বক্তার পর একটি করে প্রভাত-সঙ্গীত অনুষ্ঠানের মাধুর্যতা বাড়িয়ে দেয়৷ ‘‘মোদের আনন্দনগর ভালবাসাতে ঝলমল’’ প্রভাত-সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷ পরবর্তী ষ্টাডি সার্কেলের বিষয়বস্তু থাকবে (১) বর্তমান সমাজের অবক্ষয়ের কারণ ও সমাধান কিভাবে সম্ভব৷ (২) বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ত্রুটি৷ প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিভাবে সম্ভব? পরবর্তী ‘‘ষ্টাডি সার্কেল’’ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ই জুন’২৪ আনন্দমার্গ হাইস্কুলে৷

আনন্দমার্গবিধিতে জন্মতিথিকৃত্য পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯শে এপ্রিল’২৪ উভয়েই গুড়িডি গ্রাম নিবাসী ও ভ্রাতৃদ্বয়৷ কনিষ্ঠ ঋষিকেশ ও শেফালী গরাঞের কন্যা ‘ঝর্ণার’ তৃতীয় তম জন্মদিন আর অগ্রজ অশ্বিনী ও সুজিতা গরাঞের পুত্র ‘‘জীবমিত্রের’’ অষ্টম তম জন্মদিন আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধি অনুযায়ী আনন্দমার্গ চিলড্রেন্স(বয়েজ)হোমে পালিত হয়৷ হোমের ছেলেরাও তাতে অংশগ্রহণ করে৷ প্রভাত- সঙ্গীত(আধ্যাত্মিক সঙ্গীত), ‘বাবা নাম কেবলম’ নামকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধাণ, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় শেষে জন্মদিন পালনের ‘তাৎপর্য কী ও কেন’ ব্যাখ্যার পর ঝর্ণা ও জীবমিত্রকে গুরুজনেরা মঙ্গলতিলক ও ফুল-দুর্বা দিয়ে ওদের আশীর্বাদ করেন৷ অবশেষে উপস্থিত সকলেই আহার্য গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

গার্লস প্রাউটিষ্টের সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২০শে এপ্রিল’২৪ আনন্দনগর পগরো গার্ল প্রাউটিষ্ট ভবনে গ্রামের মহিলাদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সভায় মহিলাদের শারীরিক সুস্থতা, মানসিক উন্নতির কি কি করনীয় বলা ও শেখানো হয়৷ তাছাড়া সমাজে নারীরা কিভাবে শোষিত, নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হচ্ছে সে-ব্যাপারে আলোচনা হয়৷ সমাজ গঠনে নারীদেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে সে সম্পর্কে সকলকে অবহিত করা হয়৷

আচার্য অসীমানন্দ অবধূত স্মৃতি দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আচার্য অসীমানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক৷ ইনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ভাবনা ও আদর্শে নিয়োজিত একজন অসামান্য সর্বত্যাগী কর্মী৷ যে সবুজায়ন আজ আনন্দনগরের মুখ্য প্রাকৃতিক ভূমিকা, তার মূলে এই নিষ্ঠাবান ত্যাগী কর্মী ছিলেন অগ্রণী৷ কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে পড়াশোনা করার পর সব লৌকিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে সংঘের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ করেন৷ গুরুদেবের চরণে জীবনকে সমর্পন করে তাঁর আদর্শেকে বাস্তবায়িত করতে একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার ব্রত গ্রহণের পর গুরুদেব তাঁকে আনন্দনগরের কৃষিসংক্রান্ত প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব অর্পণ করেন৷ বিবিধ প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের শাসক সিপিএমের কাছে তাঁর অপরাধ ছিল পুরুলিয়ার শুষ্ক মাটিতে সোণা ফলাচ্ছিলেন৷ গ্রামের মানুষদের অনুর্বর জমিতে বিভিন্ন অর্থকরী ফসলের চাষকরে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলছিলেন৷ ওদিকে নাগিনীরা বিষাক্ত নিঃশ্বাসে জর্জরিত করছিল শুধু বায়ু নয়, চক্রান্ত করেছিল তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার৷ সাধারণ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদের নেশার দ্রব্যে ও অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের মনকে বিষাক্ত করে ঘৃণ্য পাপকাজে লিপ্ত করাত৷ ১৯৯০ সালের ২রা এপ্রিল স্থানীয় কয়েকজন মার্গী ভাইয়ের সাথে পরিদর্শনে গেছিলেন ডিমডিহা জলবন্ধ (ড্যাম) প্রকল্প ও ডিমডিহা কৃষি ফার্মের কাজের অগ্রগতি দেখতে৷ ফিরে আসার পথে ছটকা গ্রামে পথ আটকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ক্লাব ঘরে ঢুকিয়ে অসীমানন্দ অবধূত সহ স্থানীয় কোষাঙ্গি গ্রামের অর্জুন সিং ও দারা সিং, চিৎমু গ্রামের রাধু গরাঞ ও উত্তর প্রদেশের দীনবন্ধু সিং চারজনমার্গীকে তদানীন্তন শাসকদল মদতপুষ্ট কমিউনিষ্ট গুণ্ডারা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে৷ কিন্তু তারপরও আনন্দমার্গকে দমিয়ে রাখা যায়নে৷ আনন্দনগরে তাঁর কাজের পরিকল্পনা ও প্রগতি আরও দ্রুতবেগে বাস্তবায়িত হতে থাকে৷ তাঁর স্মৃতি রক্ষায় ১৯৯১সাল থেকে প্রতিবৎসর নভেম্বর মাসে আচার্য অসীমানন্দ অবধূত স্মৃতি নকউট ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে৷ ২রা এপ্রিল’২৪ ডিমডিহা আনন্দমার্গ জাগৃতি ভবনে ৬ ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম-সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণাঘ্যদান, স্বাধ্যায়, স্মৃতিচারণ ও নারায়ণসেবার আয়োজনের মাধ্যমে তাঁর আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করা হয়৷

আনন্দনগর পরিদর্শন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৬ই এপ্রিল’২৪ সেনকো গোল্ড ও ডায়মণ্ডের প্রতিনিধিদ্বয় ও শ্রীশ্যামল প্রসাদ জানা যিনি ধূঁয়াহীন প্রাকৃতিক চুল্লার উন্নত পদ্ধতির আবিষ্কারক সহ ইতালি ভেরোনার অসীমা ও ইন্দ্র গিয়েছিলেন দেখতে৷ সকলেই দেখে অত্যন্ত খুশী ও ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

আনন্দনগর কৃষি ফার্ম পরিদর্শন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগর বাঁশগড়ে আনন্দমার্গ কৃষি ফার্মে মাল্টা-মোসাম্বি, তরমুজ, আপেল অন্যান্য ফলের ও সূর্যমুখী ফুলের চাষ বহু মানুষ দেখতে আসেন৷

উন্নতমানের ধূঁয়াহীন চুল্লা প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৬ই এপ্রিল’২৪ ‘সেনকো’ গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ড, কলকাতা প্রধান কার‌্যালয়ের পক্ষ থেকে আনন্দনগর বয়েজ ও গার্ল চিল্ড্রেন্স হোমের সুবিধা ও আর্থিক সাশ্রয়ের জন্যে উন্নতমানের ধূঁয়াহীন চুল্লা তৈরী করে দিয়েছেন৷ এতে জ্বালানি খরচ স্বাভাবিকের থেকে প্রায় অর্ধেক কম লাগবে৷ তাছাড়া কোন ধূঁয়া ও ঘর কালো হবে না৷

উল্লেখনীয় যে সেনকো গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ড, কলকাতা অফিস থেকে ২০২১শের জানুয়ারীতে দু’জন প্রতিনিধি আনন্দনগর আসেন৷ আনন্দনগরে আমাদের সেবামূলক কাজ দেখে ওনারা সন্তোষ্ট হন, ও কোম্পানির ‘‘কর্র্পেরেট সোস্যাল রেস্পন্সেবিলিটিCSR) ফাণ্ড‘‘ থেকে ২০২১শের জুন থেকে গার্ল হোমের জন্যে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন৷ প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল মাসে একবার কোম্পানির প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করতে আসেন৷ শ্রীশুভময় ভট্টাচার‌্য,AGM Training & CSR Coordinatio, তাঁর উদ্যোগেই এই প্রোজেক্ট অনুমোদন প্রাপ্ত হয়৷ তিনি প্রতিবছর আসেন ও সঙ্গে অন্যকেউ থাকেন৷ শ্রীপুরঞ্জিত শীল,CGM- Finance & Accounts তিনি গতবার এসেছিলেন৷ আমাদের কর্মকাণ্ড দেখে ওনার খুব ভালো লেগেছে ও আনন্দনগর আসতে ওনার মন উদগ্রীব হয়ে থাকে৷ ওনার এতব্যস্ততার মধ্যেও এবার এসেছেন৷ সর্বদাই চিন্তা করেন শিক্ষা-সেবা ও জনকল্যাণমূলক কাজে কিভাবে আমাদের পাশে থেকে সাহায্য করতে পারেন৷

 আনন্দনগরের রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত বলেন---আনন্দনগরের পক্ষ থেকে তাঁদের সার্বিক সাহায্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি৷