সংবাদ দর্পণ

ঠাকুর নগরে আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২রা মার্চ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ঠাকুর নগর শিমুলপুর আনন্দমার্গস্কুলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনা সভায় স্কুলের অভিভাবক অভিভাবিকা ও স্থানীয় মার্গী ভাই-বোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ সভায় আনন্দমার্গ দর্শনের শিক্ষা-সংস্কৃতি সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রী কুমুদরঞ্জন দাস ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী-ভাইবোনেরা৷

বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছেড়ে অর্থনীতিকে বাস্তবমুখী হতে হবে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দেশে ধনবৈষম্য বাড়ছে৷ ধবনির ভাণ্ডার যতপূর্ণ হচ্ছে গরীবের নাভিশ্বাস উঠছে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অগ্ণিমূল্যে দু-মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করতেই গরীবের দিন ফুরিয়ে যায়৷ জিডিপি জিডিপি চিৎকার করে সরকার ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছে৷ জিডিপি কখনই একটা দেশের আর্থিক স্বচ্ছলতার মাপকাঠি হতে পারে না৷ জিডিপির হিসাব হয় ধনকুবেরদের ক্রয় বিক্রয়ের হিসাব করে৷ যারা ১৪০ কোটি মানুষের দেশের কয়েক হাজার মাত্র৷ তাই এদের সম্পদ বৃদ্ধি আর্থিক অবস্থার সার্বিক চিত্র নয়৷ গরীব মধ্যবিত্তের হেঁসেলের খোঁজ নিলেই অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র দেখা যাবে৷ কিন্তু দেশের অর্থনীতির নিয়ামকদের দৃষ্টি অত নীচে নামে না৷

প্রাউটের মতে আর্থিক অবস্থার সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতির জন্যে চাই সুনির্দিষ্ট ও যথোপযুক্ত পরিকল্পনা ও কর্মসূচী৷ প্রাউট প্রবক্তা স্পষ্টই বলেছেন---‘‘আজ অর্থনীতি-বস্তাপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া কিছুই নয়৷ একে অধিকতর বাস্তবমুখী করতে হবে৷ অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান৷’

সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রাউট প্রবক্তা বিশ্বের ভাষা কৃষ্টি ও সংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, প্রাকৃতিক ভৌগোলিক পার্থক্য অনুযায়ী প্রতিটি জনগোষ্ঠীর জন্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা দিয়েছেন৷

ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের স্থানগত পার্থক্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ও স্থানীয় অঞ্চলের সম্ভাবনা ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রাউটের দৃষ্টিতে সারা ভারতকে ৪২টি স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে৷ আবার জমির উর্বরতা, শ্রমের যোগান ইত্যাদির পার্থক্যের জন্যে একই অঞ্চলের একাধিক অংশের জন্যে পৃথক পৃথক পরিকল্পনা রচনা করতে হবে৷ যেমন পূর্ববর্ধমান পশ্চিম বর্ধমান একই অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে হলেও দুই অংশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এক হবে না৷ পশ্চিম অংশ যেমন মাটির নীচের খনিজ সম্পদে ভরপুর আবার পূর্ব অংশ বিশ্বের উর্বরতম মাটি-যা কৃষিজাত পণ্যের উপযুক্ত৷ তাই দুই অংশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এক হতে পারে না৷ অর্থনীতিতে স্থানগত পার্থক্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,যা এযাবৎ দেশের অর্থনীতির নিয়ামকরা বিবেচনাই করেননি৷ হয়তো তারা বৈচিত্র্যময় ভারতের ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্র্যের কথা জানেননি না৷ জানলেও মাথায় রাখেন না৷ কারণ তাঁদের পরিকল্পনা তৈরী করতে হয় ধনকুবেরদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে৷

তাই সবকা সাথ সবকা বিকাশের একটাই পথ বর্তমান অর্থনীতির খোল-নলচে পাল্টে প্রাউটের বিকেন্দ্রীত বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার রূপায়ন করে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা দিতে হবে৷

কম্যুনিষ্ট নৃশংসতার বলি পঞ্চ দধীচির স্মরণে নিপীড়িত মানবতার মুক্তির শপথ গ্রহণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই মার্চ ছিল দধীচি দিবস৷ পুরুলিয়ার আনন্দনগরে --- আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় হতদরিদ্র মানুষগুলোর জন্যে গড়ে উঠেছিল নানা সেবাকেন্দ্র, স্কুল, শিশুসদন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রভৃতি৷ সর্বহারার দল কমিউনিষ্টরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল৷ মানুষ যদি এত উন্নয়নের ছোঁয়া পায় তাহলে সর্বহারা দলের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে৷

সময়টা ছিল ১৯৬৭ সাল৷ রাজ্যে তখন যুক্তফ্রন্ট সরকার৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু৷ শাসকদলের মদতেই চিরাচরিত কম্যুনিষ্ট প্রথায় আনন্দমার্গে বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে ওই অঞ্চলের হতদরিদ্র সহজ সরল কিছু আদিবাসী মানুষকে আনন্দমার্গের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুললো৷ ক্ষেত্র প্রস্তুত করে ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ আশ্রম আক্রমণ করে কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনী যার নেতৃত্বে ছিল কম্যুনিষ্ট পার্টির জেলার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)৷ কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে সেদিন নিহত হন আনন্দমার্গের পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী কর্মী, তারা হলেন--- আচার্য অভেদানন্দ অবধূত, আচার্য সচ্চিদানন্দ অবধূত, আচার্য অবোধ কুমার ব্রহ্মচারী আচার্য প্রবোধ কুমার ব্রহ্মচারী ও আচার্য ভরত কুমার ব্রহ্মচারী৷

কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনীর চক্রান্ত ব্যর্থ করে আনন্দমার্গ আজ সারা বিশ্বে তার বিজয় রথের পতাকা উড়িয়ে এগিয়ে চলেছে৷ আর সেই কম্যুনিষ্টরা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় পৃথিবী গ্রহ থেকেই লুপ্ত হতে চলেছে৷

সেই দিন থেকে ৫ই মার্চ আনন্দমার্গ বিশ্বের সকল ইয়ূনিটে দধীচি দিবস পালন করে৷ পুরানের কাহিনী অনুযায়ী দধীচি মুনি আসুরিক শক্তির বিনাশ করতে আত্মত্যাগ করেছিলেন৷ কম্যুনিষ্ট অসুরদের প্রতিহত করতে সেদিন আনন্দমার্গের পাঁচজন সন্ন্যাসী আত্মত্যাগ করেন৷ তাই দিনটি দধীচি দিবস হিসেবে পালন করে আনন্দমার্গ৷

এই দিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় সেদিনের ঘটনাস্থল আনন্দনগরে৷ এছাড়া কলিকাতা কেন্দ্রীয় আশ্রম সহ বিশ্বের সমস্ত ইয়ূনিটে দধীচি দিবস পালন করা হয়৷ এইদিন সারাদিন আনন্দমার্গীরা উপবাসে থাকেন ও সন্ধ্যায় ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সমাজ থেকে পাপশক্তি বিনাশের শপথ গ্রহণ করে৷

বিকশিত ভারত!

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বিশ্বগুরুর হাত ধরে ভারত সাফল্যের চূড়ায় চড়ছে৷ একটি সমীক্ষায় দবি করা হয়েছে দেশে ধনকুবেরদের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে ১৩হাজার পার হয়েছে৷ আগামী পাঁচ বছরে সংখ্যাটা ২০ হাজারের কাছাকাছি যেতে পারে৷ ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে আরও বলা হয়েছে ভারতে ধনকুবেরদের সংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বে সবথেকে বেশী৷ এ হিসেব আকাশ পানে তাকিয়ে৷ তাতেও জল মিশ্রিত৷ ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ৷ তাই কোন দেশের সঙ্গে জনগোষ্ঠীর শতাংশের নিরিখে বিচার করলে প্রকৃত চিত্রটা ধরা পড়বে৷

মাটির দিকে তাকালেই সবকা বিকাশের অর্থনীতির বিপরীত চিত্রটাও ধরা পড়ে৷ দেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৪০ কোটি৷ তারমধ্যে ধনকুবেরদের সংখ্যা ১৩ হাজার৷ সেটা যদি বেড়ে ১৯হাজার হয়--- সেটাই কী সবকা সাথ- সবকা বিকাশ? এমনই প্রশ্ণ তুলছেন প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ৷ তাঁর অভিযোগ সরকার ভ্রান্ত যুক্তির ফাঁদে ফেলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে৷ শুধু ধনকুবেরদের নয়, গরীব মধ্যবিত্তের হেঁসেলের খবর রাখাটাও সরকারের দায়ীত্বের মধ্যেই পড়ে৷ সেই হিসেবের দিকে তাকালেই অর্থনীতির আসল চেহারাটা ধরা পড়বে৷

শ্রীখাঁ আর্থিক সংস্থা ইণ্ডিয়া রেটিংস অ্যাণ্ড রিসার্চের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন--- গরীব মধ্যবিত্তের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বাড়েনি, বাজারে ধনিক শ্রেণীর ব্যবহারের বিলাস দ্রব্যের চাহিদা বেড়েছে৷ তিনি বলেন--- চার চাকার গাড়ী বিক্রি বাড়লেও সাইকেল মটর বাইকের বিক্রি কমেছে৷ আবার রেলযাত্রী না বাড়লেও বিমানের যাত্রী সংখ্যায় বেড়েছে৷ অর্থনীতির এই চিত্র সবকা সাথ সবকা বিকাশের নয়৷ ধনিক শ্রেণীর বিলাসিতার বহর বাড়ছে সেইসঙ্গে দেশে ধনি দরিদ্র্যের মধ্যে ধনবৈষম্যও বাড়ছে৷ যখন ধনকুবেরদের আয় বাড়ছে তখন ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে গরীব, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তের আয় কমেছে৷

শ্রী খাঁ আরও বলেন--- জিডিপি বৃদ্ধি নিয়েও সরকার অসত্য প্রচার করছেন৷ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে জিডিপির হিসেবে ভারত ব্রিটেনকে টপকে গেছে৷ এই হিসাবেও গরমিল আছে৷ আসল সত্যটা হলো ভারত ১৪০ কোটি জনতার দেশ, সেখানে ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৭কোটির কাছাকাছি৷ ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ৭ কোটি জনসংখ্যার দেশের থেকে জিডিপি বেশী এটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু মাথাপিছু জিডিপির হিসেবে ভারত ব্রিটেন থেকে অনেক পিছনে৷ মাথাপিছু আয়েও ১৮৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪১তম৷ জি-২০ দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান সবার নীচে৷

শ্রী খাঁর অভিযোগ জনগণের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে অচেতনতার সুযোগ নিয়ে সরকার দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে৷ অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র গোপন করছে৷ সংখ্যাতত্ত্বে জালিয়াতি করে দেশবাসীকে বোঝাতে চাইছে অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে৷

 

হাওড়ায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১১ই ফেব্রুয়ারী’২৪ হাওড়ার আমতার গুজারপুর নিবাসী প্রবীন আনন্দমার্গী বেচুরাম বরের স্ত্রী মায়া বরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধি অনুযায়ী ওনার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় পৌরহিত্য করেন আনন্দ কিশলয়া আচার্যা, বক্তব্য রাখেন বকুল রায়৷ শ্রাদ্ধ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত, স্মৃতিচারণ করেন শুভম দেব, প্রবীর বিশ্বাস, দীপ্তি বিশ্বাস৷ স্বাধ্যায় পাঠ ও অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেছেন অমিয় পাত্র, বিজলী মন্ডল, ভারতী কুন্ডু,মাধব মাইতি,মায়া বর, নিশীত রীত, মহাব্রত ব্রহ্মচারী ও হারাধন পাল এবং আনন্দ রসধ্যানা আচার্যা৷ মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের সুবন্দোবস্ত করে ছিলেন পুত্র গনেশ বর৷

মার্গীয়বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী ’২৪ হাওড়ার সালকিয়ার বর্ষীয়ান মার্গী দাদা শৈলেন সরকারের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে ওনার বাসভবনে৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন তৃপ্তি মাইতি৷ অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ স্মৃতিচারণ করেন যথাক্রমে সুব্রত সাহা, ওনার নিজের ভ্রাতা সুরিন্দ্রকুমার সরকার, ওনার বোন ঝুনু দে৷ উনি ওনার দাদাকে নিয়ে মনোমুগ্দকর স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান সঙ্গে একটি রবীন্দ্র সংগীত ও শুনিয়ে দাদাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ সব শেষে বকুল রায় উনার সাংঘটনিক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ওনার চির শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন৷

হাওড়ায় যোগ স্বাস্থ্য শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়ার মৌড়ীরপাবলিক লাইব্রেরীতে একটি যোগ স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ব্যবসাপনায় ছিলেন সুশান্ত শীল৷ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ আনন্দ মধুপর্ণা দি ও আনন্দ রুপলীনা দি উভয়েই যোগের উপর ক্লাস নেন৷ মেয়েদের জন্য আলাদা জায়গায় ক্লাসের সুব্যবস্থা ছিল৷ পুরুষ দের জন্য আসন শেখান আচার্য সুবোদ্ধানন্দ অবধূত৷ বিকাশানন্দ দাদার বক্তব্য অনুষ্ঠানটিকে আলাদা মর্যাদা এনে দিয়েছে৷ আনন্দ রেখাদি অনুষ্ঠানে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন৷ মার্গী ও নন মার্গীরা উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানটিকে সাফল্য মন্ডিত করেন৷ অনুষ্ঠানে সম্ব্যদ্ধিত হয় বিভিন্ন ইভেন্টে দীস্তি বিশ্বাস, ভারতী কুন্ডু, অর্পনা বৈতালিক, তপন মান্নার অনুপস্থিতিতে নিশীথ রীত সম্ব্যদ্ধিত হয়৷ সকালে ও দুপুরে সুন্দর নিরামিষ সুস্বাদু স্বাস্থ্য সম্মত আহারে প্রত্যেক কে আপ্যায়ন করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুশান্ত শীল৷ প্রতিনিধিদের অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্বে ছিলেন কৌশিক খাটুয়া৷

হাওড়ায় আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়ার রানিহাটী মোড়, ধূলাগোড়, আলমপুর মোড়, আন্দুল বাসষ্ট্যান্ড এবং মৌড়ীগ্রাম রেলষ্টেশনে ‘আমরা বাঙালী’ হাওড়া শাখার পক্ষ থেকে দু’টো গাড়ি ও মাইক যোগে ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দিনটি যথাযথ মর্যাদা সহকারে উৎযাপন করা হয়৷

মেদিনীপুরে মার্গগুরুদেবের পদার্পণ দিবস উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯৮১সালের ২৫শে জানুয়ারি মেদিনীপুর শহরের কেরানীটোলায় অবস্থিত আনন্দ মার্গ জাগৃতি তে মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূতর্িজী পদার্পণ করেছিলেন৷ সেই স্মরণীয় দিনটি নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়৷ সুসজ্জিত মণ্ডপে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ৬ ঘন্টাব্যাপী ’ বাবা নাম কেবলম’ কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ বিকেল ৩টায় কীর্তন শেষে ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় পাঠ করা হয়৷ মানবসমাজে মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদান বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও অসিত কুমার দত্ত৷ মেদিনীপুর কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী রবীন্দ্রনাথ দাস অনুষ্ঠানে পুরো সময় উপস্থিত ছিলেন ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর মার্গগুরুর লেখা পুস্তক সম্ভার দেখে বিস্মিত হন৷ দুপুরে মিলিত আহারে অংশগ্রহণ করেন দ্বিশতাধিক আনন্দমার্গী ও আমন্ত্রিত অতিথি৷ বিকেল ৪টায় মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌরসভা পরিচালিত জনকল্যাণ ভবনে বসবাসকারী ৪০জন অসহায় মানুষ জনকে ফলমূল ও মিষ্টান্ন প্রদান করা হয়৷ এখানে ভূক্তি প্রধান শুভাশীষ সাহুর ব্যবস্থাপনায় সদাব্রত অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে করা হয়৷ অসিত দত্ত, রঞ্জিত ঘোষ, দিলীপ পাল, রাজু মান্না, সৌমিত্র পাল, শরৎচন্দ্র পতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

মার্গগুরুর পদার্পণ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে আশিস মণ্ডল, অসীম কুমার পাল, মনোরঞ্জন মণ্ডল, সুকেশ পলমল, দিলীপ পাল, শুভাশীষ সাহু, সুব্রত মাইতি প্রমুখ সক্রিয় ভূমিকা নেন৷

নদীয়া জেলার হবিবপুর পানপাড়া গ্রামে কীর্তন অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৫ই ফেব্রুয়ারী২৪, রবিবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার অন্তর্গত হবিবপুরস্থ রাঘবপুর গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীনিলচন্দ্র বিশ্বাস এর বাসগৃহে সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম’ অখন্ড সঙ্কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের মধুরানন্দে গ্রামের দূর-দুরান্ত থেকে বহু ভক্ত কীর্ত্তন অঙ্গনে উপস্থিত হন৷        

কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন---কৌশিক সরকার, কাকলী মন্ডল, শ্রীমতী কাজল সরকার, শ্রীমতী রাজলক্ষ্মী বণিক, ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা, সজল রায় প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপুজা ও স্বাধ্যায় হয়৷

কীর্ত্তন মহিমা বিষয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ---আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ শতাধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়িত করেন শ্রী অনিলচন্দ্র বিশ্বাস৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন---নদীয়া ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷