সংবাদ দর্পণ

শহীদ ক্ষুদিরাম স্মরণে --- আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১১ই আগস্ট যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বীর বিপ্লবী, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম আত্মবলিদানকারী ক্ষুদিরাম বসুর ১১৭তম আত্মবলিদান দিবস পালন ও স্মরণসভা আয়োজন করেছিল ‘আমরা বাঙালী’৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে কলকাতা,বারাসাত, কাঁকিনাড়া, বনগাঁ, মেদিনীপুর,পুরুলিয়া,মুর্শিদাবাদ,জলপাইগুড়ি, আলিপুরদোয়ার সহ জেলায় জেলায় ও ত্রিপুরা,ঝাড়খণ্ড,অসমেও ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস পালন করা হয়৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে বাগবাজার বাটার মোড়ে ক্ষুদিরাম বসু আত্মবলিদান দিবস স্মরণসভার আয়োজন করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় অর্থসচিব ড: মোহনলাল অধিকারী প্রমুখ৷ এছাড়াও সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘স্পান্দনিক শিল্পীগোষ্ঠী’র পক্ষের স্মরণ সভায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া ভৌমিক,শঙ্কর সরকার,শুভ্রা ভৌমিক সঙ্গতে তবলায় প্রতীম দাশ, কালীপদ মণ্ডল প্রমুখ৷

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন১১ই আগস্ট এক শপথের দিন, এক অপরাজেয় সংগ্রামীর চিরভাস্বর হওয়ার দিন৷ অত্যাচারী বিট্রিশ প্রশাসক কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে ক্ষুদিরাম ভুল করে অন্য গাড়ীতে বোমা ছোড়েন ও দুজনের প্রাণ যায়৷ ১৯০৮ সনের ১১ই আগস্ট, মুজাফফরপুরে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রথম ও সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি দেয় ব্রিটিশ পুলিশ৷ তাঁর ১১৬তম আত্মবলিদান দিবসে তাঁর প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই৷ ১৯০৮ সনের ১১ই আগস্ট নাবালক ক্ষুদিরাম বসুকে ফাঁসি দিয়ে ব্রিটিশ পুলিশ ভেবেছিল ক্ষুদিরামকে হত্যা করলেই স্বাধীনতা সংগ্রামকে স্তব্ধ করা যাবে, কিন্তু এই ঘটনাই বুমেরাং হয়ে দাম্ভিক,অত্যাচারী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের কাছে ফিরে তাদের সূর‌্যাস্তের সূত্রপাত করে৷ ফাঁসি দিয়ে ক্ষুদিরাম বসুকে হত্যা করলেও তাঁর বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নিজের জীবন-স্বার্থকে বিসর্জন দেওয়া- দেশের হাজার হাজার তরুণের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্পৃহা অগ্ণিস্ফুলিঙ্গের মতন ছড়িয়ে দিয়েছিল৷ তার আকার নিয়েছিল অগ্ণিযুগের বিপ্লব, জন্ম দিয়েছিল অরবিন্দ ঘোষ, বারীন ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, প্রফুল্ল চাকী, বিনয় - বাদল - দীনেশ, মাস্টার দা সূর‌্য সেন,প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার,মাতঙ্গিনী হাজরার মতন শত শত বিপ্লবীদের৷ ক্ষুদিরামের ফাঁসি মনে দাগ কেটেছিল ছোট্ট সুভাষচন্দ্রের মনেও৷ পরবর্তীতে সেই সুভাষচন্দ্র বসুর আপোষহীন সংগ্রাম ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটায়৷ আজকের এই দিন প্রত্যেক বাঙালী তথা ভারতবাসীর স্মরণের দিন, শপথের দিন৷

আজকের এই দিনে জাতির প্রতি আহ্বান যে জাতি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝড়ালো, যে ক্ষুদিরাম বসু, বিনয় বাদল দীনেশ, সূর্য সেনের প্রমুখের মতন শত-সহস্র জানা অজানা বাঙালী বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ ব্রিটিশদের ভারত ছাড়া করলো৷ স্বাধীন ভারতবর্ষে সেই বাঙালী জাতির করুণ পরিণতির কথা কাউরই অজানা নেই৷ ক্ষুদিরামের মাতৃভাষায় (বাংলা ভাষায়) কথা বললে বিদেশী, ঘুসপেটিয়া এইসব শুনতে হচ্ছে আজ ক্ষুদিরামের স্বজাতির উত্তরসূরীদের! রাষ্ট্রীয় মদতে বাঙালীদের বিদেশী চিহ্ণিত করে আবার দেশছাড়া করার নীলনকশা ছকা হচ্ছে! বর্তমান প্রজন্মের মন থেকে ক্ষুদিরাম বসুকে সরিয়ে দিতেও দেখা যায়৷ মূলত দিল্লী বোর্ড সহ বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল গুলতে ক্ষুদিরাম নিয়ে কোন চর্চা নেই, কে ক্ষুদিরাম বসু? এখনকার প্রজন্ম জানেই না তাঁর অবদান৷ ‘ধন-ধান্যে-পুষ্পে ভরা’ স্বাধীন ভারতে দেশবাসীকে কেন বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলতে হবে? অপুষ্টি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, আর্থিক কেলেঙ্কারি, ধনী-দরিদ্র চরম আর্থিক বৈষম্য, বিপুল আর্থিক মন্দা.... কেন? আসলে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পেলেও তা কেবল ভোটাধিকারের স্বাধীনতা৷ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ব্যাতিরেকে রাজনীতি স্বাধীনতা ‘ফুলোক্রেসী’তে পর্যবসিত হতে বাধ্য৷ ভারতবর্ষও এই ফুলোক্রেসীর শিকার৷ তদানীন্তন দেশীয় সাম্রাজ্যবাদ মদতপুষ্ট শক্তি নেতাজীকে ভারত ছাড়া করার পর, দেশ ভাগের (পড়ুন বাঙলা ভাগের) রক্তাক্ত পরিবেশের সূত্রপাতের মধ্যে দিয়ে একদল ক্ষমতালোভী অবাঙালীনেতা স্বাধীনতার নামে রাজনৈতিক ক্ষমতা হস্তান্তর করেন মাত্র৷ মানুষের জন্মসিদ্ধ অধিকার ‘অর্থনৈতিক মুক্তি’৷ সেই অর্থনৈতিক কার্যকলাপের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে মুনাফাখোর,সাধারণ মানুষের রক্তচোষা দেশীয় অবাঙালী বেনিয়াদের হাতে৷ পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীকৃত করে নিয়ন্ত্রণ করছে মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিরা৷ সম্প্রতি কোন এক শিল্পপতির ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠান চলল কয়েক মাস ধরে! লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হল তাদের বিনোদনের জন্য, অথচ এই দেশেই পুষ্টির অভাবে, খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ, বেকারত্বের জ্বালায় ভুগছে দেশের যুব সমাজ৷ হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে তারা৷ আর অন্যদিকে পুঁজির পাহাড় তৈরী হচ্ছে, দেশের মোট অর্থের ৮৫ শতাংশ অর্থ-সম্পদ মাত্র দু-চারজনের হাতে!! মুনাফাবাজ এই অবাঙালী পুঁজিপতিরাই ফান্ডিং করছে রাজনৈতিক দলগুলোকে হাজার হাজার কোটি টাকার দূর্নীতি৷ অসাংবিধানিক ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছে বর্তমান রাজ্য, কেন্দ্র শাসকদল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল৷ ঘুষ দিয়ে এদের মুখ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে, শুধু তাই নয় রেল, বিমানের মতন দেশের জাতীয় সম্পদকেও এই শোষকদের হাতে তুলে দিতে পিছপা হয়নি বর্তমান কেন্দ্রের শাসকদল৷ এই স্বাধীনতাই চেয়েছিলেন ক্ষুদিরাম বসু?? পাঠকবর আপনারাই বিচার করুন৷ এসবের বিরুদ্ধে ও খাদ্য - বস্ত্র - বাসস্থান - শিক্ষা-চিকিৎসার মতন মৌলিক অধিকারের নিশ্চিততা, ক্রয়ক্ষমতার গ্যারান্টি, সার্বিক কর্মসংস্থানের দাবীতে আজকের এই ১১ই আগস্ট সকল ভারতবাসীর উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরব হওয়া৷ ডাক দিতে হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার৷

শেষে চারণ কবি নিত্যসতানন্দের ভাষায় বলি--- ‘কত ক্ষুদিরাম কত বিনয়-বাদল/ দিল প্রাণ কতশত মুক্তিপাগল/ প্রতিদানে হায় তারা কিছু নাহি পায় /বঞ্চিত বাঙালী ধূলায় লুটায়৷৷’

আদালতের নির্দেশে---আর.জি.করে সিবিআই---ছাত্ররা দ্বিধা বিভক্ত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই আর.জি.কর ঘটনার তদন্ত পুলিশের হাত থেকে সিবি আই-এর হাতে তুলে দিল কলিকাতা উচ্চ আদালত৷ গত ১২ই আগষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন পুলিশ ১৮ই আগষ্টের মধ্যে কিনারা করতে না পারলে আর.জি.কর ঘটনার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ কিন্তু তার আগেই কলিকাতা উচ্চ আদালত গত ১৩ই আগষ্ট আর জি কর ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়৷ উচ্চ আদালতে ৫টি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল৷ কলিকাতা উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে এই তদন্ত হবে৷ তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিতে হবে৷

আর জি কর মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা এই রায়ে খুশি নন৷ তবে এই ব্যাপারে ছাত্ররা দ্বিধা বিভক্ত৷ কিছু ছাত্র সিবিআই তদন্তে খুশি হলেও কেউ কেউ আবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী তুলেছে৷ কারণ সিবিআই একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তাদের সাফল্যের হার নগণ্য৷ শান্তিনিকেতনের নোবেল চুরি থেকে রাজ্যের বহু ঘটনার কিনারা সিবিআই আজও করতে পারেনি৷ তাই ওই ছাত্রদের দাবী উচ্চ আদালতের কোন কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে৷

উচ্চ আদালতের রায়ে রোগী-পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্যে পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে৷ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলছেন---যে ঘটনা ঘটেছে তাতে চিকিৎসকদের অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ স্বাভাবিক৷ তবে এই পবিত্র পেশায় রোগীদের প্রতি দায়ীত্ব চিকিৎসকরা অবহেলা করতে পারেন না৷ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ৷ এই শ্রেণীর রোগীর কথা ভেবে আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসতে আবেদন করে আদালত৷

নিহত ডাক্তারের পিতা সিবিআই তদন্তের কথা শুনে বলেন--- আলাদা করে খুশি হওয়ার কিছু নেই৷ মেয়েকে আর ফিরে পাব না, আমি ন্যায় বিচার চাই৷ মুখ্যমন্ত্রীকেও সে কথা বলেছি৷

সমাজ কে পাপমুক্ত করতে হলে অপরাধের উৎস বন্ধ করতে হবে---দাবী আমরা বাঙালীর

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা আমরা বাঙালী সংঘটনের প্রাক্তন সচিব শ্রী বকুলচন্দ্র রায় আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন--- যে বা যারা এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর সাজা হোক৷ রাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কোন আপোস করা চলবে না৷ তাদের নিরপেক্ষ ও কঠোর হতে হবে৷ বিচার ব্যবস্থার প্রতি যাতে মানুষ আস্থা না হারায় সে দিকটাও দেখতে হবে৷

শ্রী রায় বলেন--- তবে পুলিশ-প্রশাসন-বিচার ব্যবস্থা অপরাধীর শাস্তি দিতে পারে কিন্তু সমাজকে অপরাধ মুক্ত করতে পারে না৷ বিশেষ করে পুঁজিবাদ নির্ভর কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক কাঠামোয় পুঁজিবাদী শোষক শ্রেণী ছাত্র-যুব সমাজকে সব সময় নানা সামাজিক অপকর্মের দিকে ঠেলে দিতে চায় তাদের শোষণের পথ কন্টকমুক্ত রাখতে৷ ছাত্র-যুব সমাজ যাতে শোষণের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়৷ ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, সমাজ থেকে এই ধরণের ব্যাধি নির্মুল করতে হলে শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করলে চলবে না৷

শ্রী রায় আরও বলেন সমাজের সুচিতা বজায় রাখতে ও সমাজকে পাপমুক্ত করতে শিল্প সাহিত্য জগতের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷ দুঃখের বিষয় আজকের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের কুশিলবরা তাদের ভূমিকা যথাযথ পালন করছেন না৷ আমাদের মনে রাখতে হবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশবন্ধু-সুভাষচন্দ্র, সূর্য সেন, বাঘা-যতীন, বিনয়-বাদল-দীনেশ সহ হাজার হাজার বাঙলার তরুণ-তরুণীর যেমন অবদান আছে, তেমনি অবদান আছে সেদিনের কবি সাহিত্যিক, শিল্পীদের---তাদের লেখনী শক্তি ছাত্র যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিল৷ আজ বিপরীতধর্মী শিল্প সাহিত্য ছাত্র-যুব সমাজকে অধঃপথে নিয়ে যাচ্ছে৷

শ্রী রায়ের কথায়--- প্রত্যেক মানুষের কতকগুলি সহজাত বৃত্তি আছে৷ যার কিছু বৃত্তি মানুষকে বিকাশের পথে নিয়ে যায় আবার কিছু বৃত্তি তাকে অবণতির দিকে নিয়ে যায়৷ কাম-সেইরকম একটি সহজাত বৃত্তি যা মানুষকে অবণতির দিকে নিয়ে যায়৷ কবি সাহিত্যিক শিল্পীদের ভূমিকা হবে তাদের লেখনীর মাধ্যমে যে সব বৃত্তি বিকাশের পথে নিয়ে যায় তাকে উৎসাহিত করা ও যে সব বৃত্তি অবণতির দিকে নিয়ে যায় তাকে নিরুৎ সাহিত করা৷ কিন্তু আজকের এক শ্রেণীর সাংস্কৃতিক জগতের কুশিলবরা বিপরীতটা করছে৷ সমাজে ব্যাপক নগ্ণ চিত্র, হীনরুচির নিম্নমানের যৌনতা মার্র্ক চলচ্চিত্র সঙ্গীত, অশ্লীল সাহিত্য মানুষকে নৈতিক অধঃপথের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷

তাই শুধুমাত্র প্রতিবাদ আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্ষনের মত পাপ কাজ প্রতিহত করা যাবে না, এ বিষয়ে প্রাউটের পথ নির্দেশনা হলো---‘‘নূতন সাহিত্য-শিল্প-দর্শন-সঙ্গীত রচনা করতে হবে, উদ্ভাবন করতে হবে উন্নতর বাদ্যযন্ত্রের অর্থাৎ সমাজে শিল্প,সাহিত্য, সংস্কৃতির জগতে এক নূতন আলোড়ন তুলতে হবে৷’’ তবেই ছাত্রযুব সমাজের আত্মিক বিকাশ ঘটবে ও সমাজ পাপমুক্ত হবে৷

তেলেঙ্গানায় মিড ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে ভাত আর লঙ্কারগুড়ো

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভাতের উপর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানো৷ আর সেই খাবারই খেতে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের৷ তেলসঙ্গনার এক স্কুলে মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ উঠতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ অভিযোগ, মিড ডে মিলে কোনও পুষ্টিকর খাবার নয়, তরকারি, মাছ বা মাংস নয়, শুধু ভাত আর তার উপরে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে পড়ুয়াদের খেতে দেওয়া হচ্ছে৷ গত ২ অগস্ট রাজ্যের কোঠাপল্লি গ্রামের একটি সরকারি স্কুলের ঘটনা৷ মিড ডে মিল খাওয়ার পরই পড়ুয়াদের পেটে ব্যথা শুরু হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের৷ সন্তানদের কাছ থেকেই তাঁরা জানতে পারেন মিড ডে মিলে শুধু ভাত, তার সঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো এবং সর্ষের তেল দেওয়া হয়৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা৷ বিষয়টি নিয়ে যখন হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে, অভিযোগ পৌঁছয় জেলা শিক্ষা দফতরে৷ তড়িঘড়ি একটি দলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয়৷ যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, পড়ুয়াদের ঠিক খাবারই দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সেই খাবার মুখে দেওয়ার মতো নয় বলে অভিযোগ তোলে তারা৷ তার পরই বিষয়টি নিয়ে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষা দফতরের ওই দলটি৷ তাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়, নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়৷ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে৷

সাপুড়েকে ছোবল মেরে মৃত্যু সাপের

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শঙ্খচূড়ের সামান্য বিষই যেখানে মৃত্যু ডেকে আনে, সেখানে কামড় দিতে গিয়ে মারা গেল শঙ্খচূড়ই! মধ্যপ্রদেশের সাগর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ সাপুড়েকে কামড়াতে গিয়ে নিজেই মারা গিয়েছে শঙ্খচূড়৷ সাপের কামড়ে মৃত্যু হতে পারে ভেবে সঙ্গে সঙ্গে সেই সাপুড়েকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান সাপুড়ে৷ কিন্তু মারা যায় শঙ্খচূড়৷ তরুণ সাপুড়ের নাম চন্দ্রকুমার আহিরওয়াড়৷

১৮ জুলাই রাস্তার ধারে একটি শঙ্খচূড় দেখতে পান চন্দ্রকুমার৷ শঙ্খচূড়টি পাঁচ ফুট লম্বা ছিল বলে জানান তিনি৷ শঙ্খচূড়টিকে ধরবেন বলে তার দিকে হাত বাড়িয়েছিলেন চন্দ্রকুমার৷ সাপটিকে দু’হাত দিয়ে ধরেও ফেলেছিলেন তিনি৷ চন্দ্রকুমারের দাবি, সাপটি দু’বার ফণা তুলে তাঁর দুই হাতের বুড়ো আঙুলে কামড়ে দিয়েছিল৷ দেরি না করে শঙ্খচূড়টিকে একটি প্লাস্টিকের বাক্সের ভিতর ভরে ফেলেছিলেন চন্দ্রকুমার৷

কিন্তু পর মুহূর্তেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন৷ চন্দ্রকুমারের পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে চিকিৎসা চলার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন চন্দ্রকুমার৷ তবে শঙ্খচূড়টির মৃত্যু হয়৷ জানা যায়, শঙ্খচূড়টি যে বাক্সে বন্দি ছিল, সেটি সম্পূর্ণ বায়ু নিরোধক ছিল৷ শ্বাস নেওয়ার জন্য কোনও জায়গা ছিল না৷ অক্সিজেনের অভাবেই মারা যায় শঙ্খচূড়টি৷

টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা গুজরাটের

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারী বৃষ্টিতে আওরঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় গুজরাতে আবার তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ আসন্ন বন্যার আশঙ্কায় দ্রুত তৎপর হয়েছে প্রশাসন৷তিন শতাধিক বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে৷

গত রবিবার মধুবন বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছিল প্রায় ১৪.৬২ লক্ষ কিউসেক জল৷ সোমবারও ৪৭,৭৬২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে৷ এতেই জলস্তর বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে৷

জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং ভালসাদ জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে বিপজ্জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মধুবন বাঁধের জলস্তর৷ রবিবারও ১.১১ লক্ষ ঘনমিটার পর্যন্ত জলপ্রবাহের রেকর্ড করা হয়েছে৷ ফলত, বাঁধের জলস্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬.৬০ মিটারের কোঠায়, যা বিপদসীমা ৮০ মিটারের কাছাকাছি৷

এমনিতেই টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা গুজরাতের৷ এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও মৃত্যুর খবর আসছে ওই রাজ্য থেকে৷ এঁদের মধ্যে কেউ বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন, কারও মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টিতে বাড়ির ভেঙে পড়া দেওয়াল চাপা পড়ে৷ রাস্তায় জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে কারও কারও৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও৷ বৃষ্টিতে গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত৷ বহু মানুষ ঘরছাড়া৷ পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ৷

তবে এখনই বৃষ্টি থামার কোনও নাম নেই, বলছে আবহাওয়া অফিস৷ মৌসম ভবন জানিয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত ভালসাদ জেলার বিভিন্ন তালুকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ ভালসাদে ১৬৩ মিমি, ধরমপুরে ১০৩ মিমি, কাপরাদায় ১১৯ মিমি এবং পারডিতে ৭০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ গত সোম ও মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ভালসাদ জেলায়৷ ধরমপুর এবং কাপরাদাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সোমবার এই দুই তালুকে বন্ধ রাখা হয়েছে যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷

সুনীতাদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য মাত্র এক মাস হাতে নাসার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মহাকাশে আটকে পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহকর্মী বুচ উইলমোর৷ দু’মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশেই রয়েছেন তাঁরা৷ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এখনও ফিরতে পারেননি পৃথিবীতে৷ যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতারা, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে৷ নাসার তরফে দুই মহাকাশচারীকে নিরাপদে ফেরানোর চেষ্টা চলছে৷ তবে সময় যত এগোচ্ছে, বাড়ছে আশঙ্কা৷

গত ৫ জুন বোয়িং স্টারলাইনারে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ৷ গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (আইএসএস)৷ সেখানে মাত্র ন’দিন থাকার পরিকল্পনা ছিল সুনীতাদের৷ কিন্তু মহাকাশযানে ত্রুটি ধরা পড়ে ফেরার দিন৷ দাবি, ওই মহাকাশযান থেকে হিলিয়াম গ্যাস লিক হচ্ছে৷ তাই তা পৃথিবীতে ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না৷ ইতিমধ্যে দু’বার সেই চেষ্টা করা হয়েছিল৷ কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে৷ সম্প্রতি মহাকাশযান প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, তারা বোয়িং স্টারলাইনারের পরিচালনা ব্যবস্থার বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেছে৷ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক৷ ফলে ওই মহাকাশযানেই নিরাপদে সুনীতাদের ফেরানো সম্ভব বলে আশাবাদী সংস্থার কর্তারা৷ নাসাও আপাতত ওই সংস্থার উপরেই ভরসা রেখেছে৷ তবে অন্য সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷ এর মাঝে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের সঙ্গে যৌথ ভাবে নতুন একটি মহাকাশযান আইএসএসে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ ‘ক্রিউ-৯’ মিশনে আরও কয়েক জন মহাকাশচারী আইএসএসে যাচ্ছেন৷ আগামী ১৮ অগস্ট ওই মহাকাশযান রওনা দেবে৷ মনে করা হচ্ছে, বোয়িং স্টারলাইনারের ত্রুটি সংশোধিত না হলে ‘ক্রিউ-৯’-এর মহাকাশযানে সুনীতাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে৷ বোয়িং সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এই স্টারলাইনার মহাকাশ যানটি সর্বাধিক ৯০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে৷ তার পর তার ব্যাটারি নিঃশেষিত হতে পারে৷ ফলে সুনীতাদের নিরাপদে ফেরানোর জন্য আর ২৯ দিন হাতে রয়েছে নাসার৷ তার পর বোয়িং স্টারলাইনারের কাজ অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে আশঙ্কা আরও বাড়বে৷ মহাকাশে দীর্ঘ দিন থাকলে মহাকাশচারীরা যে সমস্ত শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হন, ইতিমধ্যে সুনীতা এবং বুচও সেই সমস্যার মুখোমুখি হতে শুরু করেছেন৷ তাঁদের পেশি শিথিল হয়ে এসেছে৷ হাড়ও দুর্বল হচ্ছে ক্রমশ৷ তবে এগুলি মহাকাশচারীদের কাছে স্বাভাবিক এবং চেনা অসুস্থতা৷ নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সুনীতারা ‘হালকা মেজাজে’ রয়েছেন৷ কবে তাঁদের ফেরানো যায়, এখন সেটাই দেখার৷

বনগাঁয় আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ট্যাংরা কলোনিতে গত ২রা অক্টোবর আনন্দমার্গ দর্শন ভিত্তিক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বর্তমানে নৈতিক অধঃপতন, সাংস্কৃতিক অবক্ষয় ও অন্ধবিশ্বাস কুসংস্কারের আবর্জনায় ভরা তথাকথিত ধর্মমত সমাজকে চরম অধঃপতের দিকে ঠেলে দিয়েছে৷ সমাজকে এই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণের সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা দিয়েছে আনন্দমার্গ দর্শন৷ এইদিন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক সামাজিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে আলোচনা করেন৷ তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল সমাজকে এই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গেলে সবার আগে চাই সৎ নীতিবাদী ও আদর্শ মানুষ৷ আনন্দমার্গ হচ্ছে সেই মানুষ গড়ার মিশন৷ মানুষ জন্মালেই মানুষ নয়, মানুষকে মানব ধর্মের সাধনা করেই মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়৷ তবেই একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে৷ আজকের সমাজে সেই মানুষের অভাব৷

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত বলেন মানুষকে আগে আদর্শ মানুষ হবে হিসেবে গড়ে উঠতে হবে তবেই একজন মানুষ আদর্শ মানব সমাজ গড়ার কাজে ব্রতী হতে পারেন৷ বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রা আনন্দমার্গের আদর্শে দীক্ষিত হন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলেন শ্রী অসীম বিশ্বাস৷ এছাড়া ছিলেন কৃষ্ণনগর ডায়াসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধুত, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধুত, আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের নারী কল্যাণ বিভাগের কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব অবধূতিকা আনন্দন্বেষা আচার্যা প্রমুখ৷

২২শে শ্রাবণ কবি প্রণাম---আমরা বাঙালীর

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২২শে শ্রাবণ বিশ্ববরেণ্য কবিগুরু, সত্যদ্রষ্টা ঋষি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস স্মরণে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন রবীন্দ্রনাথের বৈদুষ্যের স্পর্শে ভারতবর্ষ সহ সমগ্র বিশ্বই নন্দনস্পন্দিত হয়েছিল৷ রাজনৈতিক জগতেও রবি ঠাকুরের দৃঢ়, স্পষ্ট অবস্থান ছিল৷ ভারতের রাজনৈতিক জগতে যখন সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে দেশীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একটা ঘৃণ্য চক্রান্ত কষছে , সেই সময় আপোষহীন সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক সুভাষ বসুর পাশে দাঁড়ালেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ তিনি বুঝেছিলেন, ধনতন্ত্রবাদীরা প্রকাশ্য মুক্তিসংগ্রামকে পছন্দ করতেন না৷ দেশীয় পুঁজিপতিদের মনে এই ভয়ের সঞ্চার হয়েছিল যে, মুক্তিসংগ্রামের পথে স্বাধীনতা এলে সেই স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ভারতবর্ষের দরিদ্র জনগণ ধনতন্ত্রকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেবে৷ এই উদ্বেগেই দেশীয় পুঁজিপতিরা সুভাষ বসুর বিরোধিতা ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপথে পরিচালনা করার চেষ্টা করে৷ সেই সংকটময় মূহুর্তে রবি ঠাকুর দৃঢ় ন্ট্রে বললেন ‘যখনই মানুষ বা রাষ্ট্র দুর্গতির ঘূর্ণ্যাবর্তে পড়ে জীবনসংশয়ে এসে পড়ে তখন সেই সামাজিক ও রাষ্ট্রিক মাৎস্যন্যায় থেকে বাঁচবার জন্য কবি-সাহিত্যিককে পথনির্দেশনা দিতে হয়৷ আমাকে লোকে কবি বলে মানে৷ আমিও তাই পথনির্দেশনা দেব৷’ রবীন্দ্রনাথ পর্বত প্রমাণ বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে বললেন ‘আমি কবি৷ দেশের রাষ্ট্রের স্বাচ্ছন্দের কথা আমাকে ভাবতে হবে৷ সুভাষ, আমি তোমাকে নেতৃত্বে বরণ করলাম৷’ ….. রবীন্দ্রনাথের প্রতি মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের শ্রদ্ধাশীল মনোভাবের বক্তব্যই আমার এই চিন্তাধারাকে আরো সুস্পষ্ট ও জোড়ালো করে তুলেছে৷

আজ, ২২শে শ্রাবণ ১৪৩১ (৭ই অগাস্ট ২০২৪ইং) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করি ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠনের পক্ষ থেকে৷ রবীন্দ্রনাথ যে পুঁজিবাদী, ফ্যাসিস্ট শক্তির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন৷ আজও ভারতবর্ষে শাসনতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে সেই দেশীয় পুঁজিপতি ফ্যাসিস্টরা রয়েছে৷তারা চায় দেশের মানুষ রবীন্দ্রনাথকে ভুলে যাক, সুভাষ বসুকে ভুলে যাক৷দেশের মানুষের উচিত, বিশেষত রাজনৈতিক চেতনা সম্পন্ন ও বৈপ্লবিকতার বীজে দীক্ষিত বাঙালী জাতির উচিত রবি ঠাকুরের মানব কল্যাণের স্বপ্ণ সার্থক করতে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া৷ ‘আমরা বাঙালী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই আকাঙ্খিত স্বপ্ণের বাস্তবায়নে সদা জাগ্রত৷

কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে বিদায় হাসিনার ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্য ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ছাত্র আন্দোলনের চাপে পদত্যাগে বাধ্য হলেন হাসিনা৷ তাকে দেশও ছাড়তে হয়েছে৷ তবে অশান্ত বাংলাদেশে মৃত্যুর মিছিল এখনো অব্যাহত৷ আন্দোলন শুরু হয়েছিল কোটার বিরুদ্ধে৷ যা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়৷ কিন্তু দাবী মানার পরও আন্দোলন চলতে থাকে৷ তাতে হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়৷ কিন্তু এখনো বাংলাদেশে ভাঙচুর, লুঠতরাজ সংখ্যা লঘুদের ওপর আক্রমণ বন্ধ হয়নি৷

বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বিরক্ত প্রকাশ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির এক সদস্য৷ তিনি বলেন---এখন চারপাশে যা ঘটছে এটা ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্য নয়, আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ধর্ম নিরপেক্ষ নূতন বাংলাদেশ ঘটন৷ আশা করছি অন্তবর্ত্তীকালীন সরকার ঘটনের পর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ নূতন সরকার খুন জখম অত্যাচার রুখতে ব্যবস্থা নেবে৷ ওই ছাত্র নেতা বলেন---স্বাধীনতা অর্জন করা কঠিন, আরও কঠিন স্বাধীনতা রক্ষা করা৷ আমরা ছাত্ররা সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু হিসেবে কোন ভাগাভাগির পক্ষে নয়৷ আমরা সবাই বাংলাদেশী৷ যদি নতুন সরকারও একই রকম ভূমিকা নেয় ফের আন্দোলনে যাবে ছাত্রজনতা৷