সংবাদ দর্পণ

রানাঘাটে ব্লক লেবেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

স্থানীয় আনন্দমার্গীদের অকুন্ঠ সহযোগিতায় ৫০ শোর্ধ আনন্দমার্গীর উপস্থিতিতে গত ২৯শে সেপ্ঢেম্বর ২০২৪ রবিবার নদীয়া জেলার অন্তর্গত রানাঘাট ব্লক ১ এর সেমিনার অনুষ্ঠিত হ’ল নদীয়া জেলার (পানপাড়া, হবিবপুর) দুর্গাপুর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের ‘সাধনা’ বিষয় নিয়ে মুল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন কৃষ্ণনগর ডিটএস ---এল তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ সূকলের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা ও আনন্দমার্গ দর্শনের ‘প্রমা’ বিষয়ে আলোচনা করেন---গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷ সেমিনারটি পরিচালনা করেন নদীয়ার ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷ পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ভুক্তি কমিটির শিক্ষা সচিব শ্রীনিল চন্দ্র বিশ্বাস ও স্থানীয় ইউনিট সেক্রেটারী সুকান্ত বিশ্বাস৷ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানান্দ অবধূত৷ বিশিষ্ট তাত্বিক ও সু-বক্তা শ্রী গোরাচাঁদ দত্ত, বিশিষ্ঠ শিক্ষাব্রতী ও প্রাবন্ধিক শ্রী মনোরঞ্জন বিশ্বাস৷ শ্রী আনন্দ মন্ডল,শ্রীগোবিন্দবিশ্বাস, রাওয়া সচিব শ্রীবিকাশ মন্ডল প্রমূখ

সারাবছর করে আসছেন৷ আনন্দমার্গ গুরুকুল দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯৯০সালের ৭ই সেপ্ঢেম্বর মহান দার্শনিক ও শিক্ষাগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ‘আনন্দমার্গ বোর্ড অব এডুকেশন’কে বৃহৎ রূপরেখা দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন৷ নতুনভাবে ‘আনন্দমার্গ গুরুকুল’ প্রতিষ্ঠা করেন৷ বিশ্বব্যাপী আনন্দমার্গ গুরুকুলের পরিকাঠামোর রূপরেখা, গুরুকুল বিশ্ববিদ্যালয়, পরিচালন পদ্ধতি, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন৷ আনন্দমার্গে এই দিনটিকে গুরুকুল দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে৷ আনন্দনগরে ৭ই সেপ্ঢেম্বর’২৪ আনন্দমার্গ গুরুকুলের পক্ষ থেকে আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ হাইস্কুলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন৷ বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক আচার্য মোহনানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত ও আচার্যা শ্রীমতী প্রভাসুদ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন৷ অঙ্কন, হস্তরেখা ও কৌশিকী নৃত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারিদের পুরষৃকত করা হয়৷ আনন্দমার্গ গার্লস হাইস্কুলেও গুরুকুল দিবস পালিত হয়৷

আমরা বাঙালীর কোচবিহার জেলা সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২২শে সেপ্ঢেম্বর কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চ পান্থ নিবাস হলে ‘আমরা বাঙালী’র কোচবিহার জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, হারাধন ভৌমিক, বরেন্দ্র সাংঘটনিক সচিব দলেন্দ্রনাথ রায়৷ প্রায় শতাধিক কর্মী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন ও পরিশেষে রতন বর্মন মহোদয়কে জেলা সচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়৷

প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা রামনগর কেন্দ্রে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রামনগর, ১৫ই সেপ্ঢেম্বর:- আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ- এর সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ রেনেসাঁ আর্টিস্ট এন্ড রাইটার্স এসোসিয়েশন, (রাওয়া) রামনগর শাখা আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীতের ৪২তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অঙ্কন ও নৃত্য প্রতিযোগিতার প্রারম্ভিক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় রামনগর রাও হাই স্কুল প্রাঙ্গণে৷ প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে প্রভাত সঙ্গীতের আকর্ষণে রামনগর, দীঘা, এগরা প্রভৃতি এলাকা থেকে অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে৷ অঙ্কন বিভাগে বিচারক ছিলেন পাঁশকুড়া থেকে বাসুদেব মন্ডল, সঙ্গীত বিভাগে বিচারক ছিলেন হলদিয়া থেকে অলকা বর্মন ও পাঁশকুড়া থেকে অজিত মন্ডল এবং নৃত্য বিভাগে বিচারক ছিলেন প্রহেল কৃষ্টান৷ উদ্বোধন করেন সংস্থার ডিট সম্পাদক আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত৷ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন করনিক সান্তনু কুমার পুষ্টি, প্রাক্তন সেনাকর্মী খোকন থাট, কাঁথি উইনিট সম্পাদক শুভেন্দু ঘোষ,শিক্ষকা সোমা সিনহা, শিক্ষক পূর্ণেন্দু খাঁন্ডা, বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভজহরি বর্মন, দীপ্তেন্দু জানা, লাল্টু বায়, শিক্ষাকর্মী অরবিন্দ সাঁতরা, রাখহরি মাইতি, শ্রীমন্ত পাত্র, প্রাক্তন পার্শ শিক্ষক বিজয়ানন্দ মাইতি,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গীত, নৃত্য ও অঙ্কন শিক্ষকগণ, অভিভাবক- অভিভাবকা ও স্থানীয় এলাকাবাসী৷ প্রভাত সঙ্গীতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে রামনগর কেন্দ্রের সম্পাদক তথা শিক্ষক বিদ্যাসাগর মাহাত বলেন যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা, আধ্যাত্মিক ও সমাজ গুরু শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার ১৯৮২ সালের ১৪ সেপ্ঢেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ২০ শে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৮ বছরের কিছু বেশি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ৫ হাজার ১৮টি সংগীত রচনা করেছেন যা সংস্কৃতিক জগতে এক বিপ্লব৷ বিভিন্ন ভাব ও বিষয়বস্তুর উপর আলোকিত প্রভাত সংগীত এর কয়েকটিকে নির্বাচিত করে প্রতিবছর সারা বিশ্বব্যাপী প্রভাত সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়৷

আনন্দনগর স্কিল ট্রেনিং সেন্টারের স্বীকৃতি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগরের রেক্টর মাস্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত এক বার্র্তয় জানান--- আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ ও ভারত সরকারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইণ্ডিয়ান জুট ইণ্ডাষ্ট্রিজ রিসার্চ এসোসিয়েশন,তারাতলা, কলকাতা প্রধান কার‌্যালয়ের সঙ্গে স্কিল ট্রেনিং প্রোভাইডার হিসেবে মউ স্বাক্ষরিত হয়৷ গত ২৬শে সেপ্ঢেম্বর’২৪ উক্ত মউ স্কিল ইণ্ডিয়া ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অব ইণ্ডিয়া কর্তৃক মান্যতা প্রাপ্ত লাভ করে৷

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ, আনন্দনগর ট্রেনিং পার্টনার হিসেবে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের লেখাপড়ার সাথে সাথে স্বাবলম্বী করে তুলতে বিনামূল্যে বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে চলেছে৷ এখানে ভারত সরকারের ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট এণ্ড এণ্টারপ্রেণারশিপ’ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা-৪.০ ট্রেনিং প্রদান করা হবে৷ ট্রেনিংয়ে কারা অংশগ্রহণ করতে পারবে? ১৫ বছর থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত মহিলা-পুরুষ সকলেই ট্রেনিং করতে পারবে৷

রেজিষ্ট্রেশন করার পদ্ধতি

১) আধার কার্ডের ফটোকপি ও আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে ৭০৭৬৪ ৩২৫৯৬ হোয়াটস্যাপ করলেই হবে৷ ২) নাম নথিভুক্ত করার সময় আধার লিঙ্ক করা মোবাইলে দুবার ওটিপি যাবে ওই ওটিপি নম্বর শেয়ার করতে হবে৷ ৩) যখন ট্রেনিং সেন্টার পোর্টালের সাথে যুক্ত করা তখন একবার ওটিপি যাবে ও সেই ওটিপি নম্বর শেয়ার করতে হবে৷ রেজিষ্ট্রেশন করতে কোন টাকা লাগবে না৷

শংসাপত্র অর্থাৎ সার্টিফিকেট প্রদান---ট্রেনিং শেষে ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্র্পেরেশন সর্বভারতীয় গ্রহণযোগ্য শংসাপত্র অর্থাৎ সার্টিফিকেট প্রদান করবে৷

কাঁথিতে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে শ্রাদ্ধা অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৬ ই সেপ্ঢেম্বর, কাঁথি:- কাঁথির কুমারপুর এলাকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী রত্নগর্ভা মাতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী প্রয়াত বঙ্কিম বেরা মহাশয়ের সহধর্মিনী শ্রীমতি জ্যোৎস্না বেরা গত ১২ই সেপ্ঢেম্বর সকালে প্রয়াত হন৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর৷ ওই দিন আনন্দমার্গ চর্যাচর্য রীতিমতে তাঁর মরদেহ সৎকার করা হয় খড়্গচণ্ডী মহাশ্মশানে৷

আজ তাঁর নিজ বাসভবনে কাঁথি ইউনিটের সকলমার্গী ভাইবোন ও পরিবারের সদস্য- সদস্যা, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধিমতে শ্রদ্ধানুষ্ঠান ও স্মরণসভা আয়োজন করা হয়৷ প্রথমে প্রভাত সংগীত লভি যদি পুনঃ মানব জনম, করে যাবো আমি তোমারই কাজ ’-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করা হয়৷ তারপর মানব মুক্তির মহামন্ত্র ’বাবা নাম কেবলম’ কীর্তন, সমাজ মন্ত্র, মিলিত সাধনা ,গুরু পূজা,চরম নির্দেশ ,স্বাধ্যায় পাঠ, শ্রাদ্ধ বিষয়ে আধ্যাত্মিক আলোচনা ,শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও স্মরণসভা করা হয়৷ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন কাঁথি ও তমলুক ডিট সম্পাদক আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য এবং মৃতার প্রতি স্মৃতিচারণা করেন উপস্থিত কাঁথি ইউনিট সম্পাদক শুভেন্দু ঘোষ মহাশয়,কার্যকরী সম্পাদক বিদ্যাসাগর মাহাতো, বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভজহরি বর্মন, মৃতার কন্যা তপতী সামন্ত ,জামাতা অজিত সামন্ত ,আত্মীয় দীনেশ প্রধান ও অন্যান্য উপস্থিত প্রতিবেশী ,আত্মীয় -স্বজন ,বন্ধু-বান্ধব৷ প্রত্যেকেই তাঁকে রত্নগর্ভা মাতা হিসেবে উল্লেখ করেন কারণ তিনি তাঁর সুযোগ্য সন্তানকে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সর্বক্ষণের সন্ন্যাসী রূপে উৎসর্গ করেছিলেন৷ তাঁর দ্বিতীয় পুত্র আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আধ্যাত্মিক প্রচার ও সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন৷ উল্লেখ্য তিনি জীবদ্দশাতেই তাঁর তিন পুত্র সন্তানকে হারান৷ বর্তমানে তিনি রেখে গেলেন তার কন্যা,জামাতা,পুত্রবধূ ,নাতি, নাতনিপরিবারের অন্যান্য সহ অসংখ্য প্রিয়জন৷ তাঁর জীবদ্দশাতে বহু সন্ন্যাসী -সন্ন্যাসিনী তাঁর আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন মানুষের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা, তাঁর পরম স্নেহপরায়ণতা এবং কর্তব্য পরায়নতা ও আনন্দমার্গের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও ভক্তি নিয়ে প্রত্যেকেই স্মৃতিচারণা করেন৷ তিনি ছিলেন এক সত্যিকারের মহীয়সী নারী৷ স্মৃতিচারণায় উঠে আসে পরম পুরুষ শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তিজীর সাথে তাঁর সম্মুখ সাক্ষাতের বিভিন্ন কাহিনী যা এক কথায় লোমহর্ষক৷ অনুষ্ঠানের শেষে সকলেই জোৎস্না দেবীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ও মাইক্রোমেটামজল সেবন করেন৷

আন্তঃজেলা টীমে আনন্দমার্গ হাইস্কুলের ছাত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ডিষ্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল স্পোর্টস এণ্ড গেমস পুরুলিয়া আয়োজিত অনূর্ধ-১৪ আন্তঃজেলা বিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় পুরুলিয়া জেলা দলে আনন্দমার্গ হাইস্কুল, আনন্দনগর থেকে লোকেশ দেব (লালসিং টুডু), শোভন দেব (শিব সোয়ানসি), বিমল দেব (বৈদ্যনাথ হেমব্রম)-কে নির্বাচিত করা হয়৷ তিনজন ছাত্রই আনন্দমার্গ শিশুসদনে থাকে ও তাদের পড়াশোনা সহ যাবতীয় খরচ ও দায়িত্ব মিশন বহন করছে৷ বর্তমান আনন্দনগর শিশু সদনে ৩৭জন রয়েছে৷ নির্বাচিত তিনজন প্রত্যেকেই SSAC-আনন্দনগর ফুটবল একাডেমীতে নিয়মিত অনুশীলন করছে৷ উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার আলিপুরদুয়ারে ২৯শে সেপ্ঢেম্বর’২৪ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে৷উমানিবাস গার্লস চিল্ড্রেন্স হোম পরিদর্শনে

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ ১৫ই সেপ্ঢেম্বর’২৪ সেনকো গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ড, কলকাতা প্রধান কার্যালয় থেকে শ্রীশুভময় ভট্টাচার্য AGM Training & CSR Coordination , শ্রীপুরঞ্জিত শীল,CGM- Finance & Accounts ও ফটোগ্রাফার মধুরিমা সিনহা ও শুভাশীষ দাশ আনন্দনগর উমানিবাস গার্ল চিল্ড্রেন্স হোম পরিদর্শন ও ডকুমেন্টেশন করতে আসেন৷ পিসি সেন চ্যারিটেবল ট্রাষ্টের ইউটিউব চ্যানেলের জন্যে ডকুমেন্টেশন করেন ও উক্ত চ্যানেলে আপলোড করা হবে৷ হোমের মেয়েদের সমবেত সঙ্গীত ও নৃত্য, টাইকাণ্ডু ও কম্পিউটার ব্যবহার ইত্যাদি বিভিন্ন পারফর্মেন্স পরিদর্শন ও ভিডিও রেকর্ডিং করেন৷ মধুরিমা সিনহা মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন৷ পুরঞ্জিতবাবু মেয়েদের ল্যাগিন্স ও টপ প্রদান ও সকলের জন্যে প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করেন৷

কাঁথির বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দীপ্তেন্দু জানা’র মাতৃ বিয়োগ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৫ই সেপ্ঢেম্বর, কাঁথি মনোহরচক শান্তিপল্লীবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দীপ্তেন্দু জানা’র মা সম্মানীয়া জ্যোৎস্না জানা গত ৫ই সেপ্ঢেম্বর প্রয়াত হন৷ তিনি কিছু দিন ধরে গয়টায় সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭০ বছর৷ ঐদিন ইউনিট সম্পাদক শুভেন্দু ঘোষ এর পৌরহিত্যে আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধিমতে মৃতদেহ সৎকার করা হয়৷ গত ৮ ই সেপ্ঢেম্বর কাঁথি ইউনিটের সকলমার্গী ভাইবোন ও পরিবারের সদস্য- সদস্যা, ডিট সম্পাদক আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত মহাশয়ের পৌরহিত্যে আনন্দমার্গ চর্যাচর্য বিধিমেনে শ্রাদ্ধানষ্ঠান ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রথমে প্রভাত সংগীত লভি যদি পুনঃ মানব জনম, করে যাবো আমি তোমারই কাজ ’-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করা হয়৷ তারপর মানব মুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম কীর্তন, সমাজ মন্ত্র, মিলিত সাধনা ,গুরু পূজা,চরম নির্দেশ,স্বাধ্যায় পাঠ, শ্রাদ্ধ বিষয়ে আধ্যাত্মিক আলোচনা ,শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও স্মরণসভা করা হয়৷ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য এবং মৃতার প্রতি স্মৃতিচারণা করেন উপস্থিত কাঁথি ইউনিটের কার্যকরী সম্পাদক বিদ্যাসাগর মাহাতো, বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভজহরি বর্মন, দীনেশ প্রধান ও অন্যান্য উপস্থিত প্রতিবেশী ও,আত্মীয় –স্বজন৷

আনন্দনগর শিশুসদনের জন্য কম্পিউটার প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বর্তমান যুগের শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে৷ যেমন প্রাচীন শিক্ষায় অক্ষর জ্ঞান না থাকলে কাউকে নিরক্ষর বলা হত, তেমনই আজকের দিনে কম্পিউটার শিক্ষা না জানলে পিছিয়ে পড়তে হয়৷ এই পরিস্থিতি থেকে আনন্দমার্গ শিশুসদনের ছাত্র-ছাত্রাদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছে ‘সেনকো গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ড’৷ তারা আনন্দনগর ছেলেদের শিশুসদনের জন্য তিনটি আর মেয়েদের শিশুসদনের জন্য দুটি, মোট পাঁচটি কম্পিউটার দান করেছেন৷ ১২ই সেপ্ঢেম্বর ২০২৪ তারিখে সেনকো গোল্ড এণ্ড ডায়মণ্ডের প্রতিনিধিরা এসে কম্পিউটারগুলি স্থাপন করেছেন৷ আনন্দমার্গ শিশুসদন ও আনন্দনগরের পক্ষ থেকে আমরা তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই৷

আর্থিক বিকাশে জি.ডি.পি অবাস্তব অবৈজ্ঞানিক স্থানীয় মানুষের হাতে আর্থিক ক্ষমতা চাই

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- গত ১৫ মাসে জিডিপির আর্থিক বৃদ্ধি সর্বনিম্ন৷ এর অন্যতম কারণ মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা নেই৷ তাছাড়া বছরে দু-কোটি চাকরীর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ সরকার৷ দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি খুবই হতাশজনক৷ সরকার চিৎকার করছে ভারত অর্থনীতিতে এগিয়ে চলেছে৷ কিন্তু কখনই জনসংখ্যার নিরিখে কোন আর্থিক প্রতিবেদন সরকার প্রকাশ করেনি৷

শ্রীখাঁ বলেন--- ১৪০ কোটি মানুষের দেশের আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সার্বিক মূল্যায়ন করাই হয় না৷ তাই অভ্যন্তরীন উৎপাদনের যে গড় হিসাব ধরা হয় তা দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র হয়৷ সাধারণ মানুষের ব্যায়ের হিসাব এখানে থাকে না৷ শ্রীখাঁ বলেন--- দেশের প্রকৃত আর্থিক বিকাশ তখনই সম্ভব যখন প্রতিটি মানুষের হাতে জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্ত্তির ক্রয় ক্ষমতা থাকবে৷ যা বর্তমান ধনতান্ত্রিক আর্থিক কাঠাময় কখনই সম্ভব নয়৷ এর জন্যে আর্থিক নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে৷ কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলিই চলে পুঁজিপতিদের অর্থে৷ তাই আর্থিক কাঠাময় পরিবর্তন আনতে হলে রাজনৈতিক চিন্তাধারাতেও মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে৷ গড়ে তুলতে হবে সমাজ আন্দোলন৷ যার মাধ্যমে প্রাউটের আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে৷ প্রাউটের দৃষ্টিতে অর্থনীতি হবে---বাস্তবমুখী, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগ ভৌমিক বিজ্ঞান৷ বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষের সর্বজীবের, সর্বস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷ তাই প্রাউটিষ্ট সমাজ সংঘটনগুলির উচিত অবিলম্বে প্রাউটের বাস্তবায়নের জন্য সমাজ আন্দোলন শুরু করা৷ ধনতান্ত্রিক আর্থিক কাঠামোয় কখনোই স্থানীয় মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়৷