সংবাদ দর্পণ

কৃষ্ণনগরে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাঘবপুর ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত রাঘবপুর গ্রামের বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী তথা নদীয়া আনন্দমার্গ ভুক্তি কমিটির শিক্ষা সচিব শ্রী অনিল চন্দ্র বিশ্বাস ও শ্রীমতী সরস্বতী বিশ্বাস এর নিজ বাসগৃহে ২৩/০২/২০২৫ রবিবার সকাল ৯টা৪০মিঃ থেকে বেলা ১২টা৪০মিঃ পর্যন্ত- কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত শ্রীমতী কাকলী বিশ্বাস, শ্রীমতী তনুকা সরকার, ডাঃবৃন্দাবন বিশ্বাস, শ্রীকৌশিক সরকার ও কৃষ্ণনগর ডিট (এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানামকেবলম অখন্ড কীর্তন হয় মৃদঙ্গ সঙ্গতে ছিলেন - শ্রীবিবেক জ্যোতি সরকার৷

নদীয়া জেলা ও তৎপার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও বহু ভক্তজন সকাল থেকেই কীর্তন অঙ্গনে উপস্থিত হয়ে কীর্তনে অংশ গ্রহন করেন৷ অখন্ড কীর্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপুজার পরে স্বাধ্যায় করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত অনুষ্ঠানে ‘’কীর্তন মহিমা’’-র ওপর আলোকপাত করেনবিশিষ্ঠ তাত্বিক তথা সুবক্তা শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত ও কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যা কীর্তনানুষ্ঠান শেষে তিন শতধিক ভক্তকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়ীত করেন শ্রী অনিলচন্দ্র বিশ্বাস ও শ্রীমতী সরস্বতী বিশ্বাস৷

বেথুয়াডহরী ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত বেথুয়া ডহরী, ক্ষিদিরপুর,পূর্বপাড়া নিবাসী বিশিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রীদীপকবিশ্বাস ও শ্রীমতীসবিতা বিশ্বাস এর বাসগৃহে ২/০৩/২০২৫ রবিবার সকাল ৯টা২০মিঃ থেকে বেলা ১২টা২০মিঃ পর্যন্ত- শ্রীমতীকাকলী বিশ্বাস শ্রীমতীকাজল সরকার, শ্রীকৌশিক সরকার ও কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পরিচালনায় প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশনের পরে মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবানামকেবলম অখন্ড কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়

স্কুলের শিশুদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শ্যামপুর আনন্দমার্গ প্রাইমারি স্কুলের মাতৃস্নেহ শাখায় গভীর শ্রদ্ধা ও উজ্জীবিত আবহে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ বিদ্যালয়ের শিশুরা সৃজনশীল উপস্থাপনা, আবৃত্তি ও প্রসেশনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষার প্রতি তাদের ভালবাসা ও সম্মান ব্যক্ত করে৷ এদিন শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে দিনটিকে সার্থক করে তোলে৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

হাওড়া মৌড়ীগ্রাম নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশ্যামাপদ মণ্ডলের মাতৃ দেবী শেফালিকা মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী,২৫ আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন ও মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷

স্বাধ্যায় করেন সুব্রত সাহা ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য দেবেশানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র বিষয়ে ও শেফালিকা মণ্ডলের স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য রাখেন বকুলচন্দ্র রায় সুশান্ত শীল ও পুত্র শ্যামাপদ মণ্ডল৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বিজলী মণ্ডল৷

কৃষ্ণনগরে আনন্দমার্গীয় পদ্ধতিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গোয়ালা পাড়া ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর গোয়ালা পাড়া নিবাসী প্রবীন আনন্দমার্গী তথা বিশিষ্ঠ- শিক্ষাব্রতী শ্রীবলাই চন্দ্র বিশ্বাস গত ০৮/০২/২৫ রাত ১০টার সময় পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ সংঘ জীবনে তিনি ছিলেন একজন ভালো মনের মানুষ, একজন ভক্ত মানুষ৷ সারা জীবন নানা প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াই করেও কখনো সংঘজীবনের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন নি৷

গত ১৬/০২/২৫ রবিবার তারিখে কৃষ্ণনগরের অন্তর্গত আনন্দনগর নিবাসী তাঁর একমাত্র কন্যা বিশিষ্ঠ মার্গীবোন শ্রীমতী লক্ষী মন্ডলের বাসগৃহে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে কৃষ্ণনগর ডিট(এল) তথা কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা-অবধূতিকা আনন্দ শিবধ্যানা আচার্যার পৌরহিত্যে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রভাত সঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র কীর্তন মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷ আনন্দমার্গ শ্রাদ্ধনুষ্ঠানের বৈশিষ্ঠ পর্যায়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বিশিষ্ঠ তাত্বিক তথা সুবক্তা শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত৷ স্মৃতিচারণ করেন ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, বিশিষ্ঠ শিক্ষাব্রতী তথা বিশিষ্ঠ প্রাবন্ধিক শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস ও গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷

রাঘবপুর ঃ নদীয়া জেলার অন্তর্গত রাঘবপুরের তরুন মার্গীভাই শ্রী সুকান্ত বিশ্বাসের মাতৃদেবী শ্রমতী শশীরানী বিশ্বাস ১৪/০২/২৫ শুক্রবার বেলা ১১টা ৩০ মিঃ এর সময় পরমপুরুষের স্নেহময় কোলে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তিনি ছিলেন একজন ভালো মনের মানুষ,একজন ভক্ত মানুষ৷ গত ২৩ /০২ /২৫ রবিবার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে নদীয়া জেলার রাঘবপুরে তাঁর বাসগৃহে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার‌্য্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূতের পৌরহিত্যে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র কীর্তন ,মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান,গুরুপুজা, স্বাধ্যায় হয়৷ আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শ্রীগোরাচাঁদ দত্ত৷ ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস,কৃষ্ণনগর ইউনিট সেক্রেটারীশ্রীআনন্দ কুমার মন্ডল,শ্রীমনোতোষ মজুমদার, ভুক্তি কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রীগৌরাঙ্গ মল্লিক প্রমুখ৷

আনন্দনগর ডিট লেভেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, জেল্যাডি গ্রামে একদিবসীয় আনন্দনগর ‘‘এ’’ ডিট লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দনগর ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য প্রজ্ঞানানন্দ অবধূত ও আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত৷ তাঁরা আনন্দমার্গের সমাজ দর্শন ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও প্রাঞ্জল আলোচনা উপস্থাপন করেন৷

দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে দুদিনব্যাপী ‘সাধনা শিবির’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর ডায়োসিসের মার্গীদের ঐকান্তিক আগ্রহে ও শ্রদ্ধেয় আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূতের পরিচালনায় গত ১লা ও ২রা মার্চ দীঘি আনন্দমার্গ আশ্রমে দুদিনব্যাপী ‘সাধনা শিবির’ অনুষ্ঠিত হল৷ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, চবিবশ পরগনা, পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকা থেকে শতাধিক মার্গী এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ সাধনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর ক্লাস নেন শ্রদ্ধেয় আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত এবং আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ সমুদ্রতীরে ভোরবেলায় পাঞ্চজন্য ও নগর কীর্তনের দৃশ্য এবং অনুভূতি সত্যিই মনে রাখার মত৷ এই দুদিনে প্রত্যেক মার্গী তাদের অন্তরের মনিকোঠায় যে অমূল্য ভাবসম্পদ সংগ্রহ করে স্ব স্ব গৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন তা এককথায় অনাস্বাদিতপূর্ব৷

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নাম সংকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৯ই ফেব্রুয়ারী’২৫ চিতমু নিবাসী চক্রধর কালিন্দীর জৈষ্ঠ্যপুত্র লণ্ডন নিবাসী অরবিন্দ কালিন্দী ও তার স্ত্রী সোমা মণ্ডলের একমাত্র পুত্র সন্তান গৌরনিতাইয়ের ১০ম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চিৎমু পৈতৃক নিবাসে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নারায়ণ সেবা ও কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়৷

শ্যামপুর গ্রামে বার্ষিকী নাম-সংকীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৬শে ফেব্রুয়ারী’২৫ শ্যামপুর নিবাসী অবনী মাহাতোর বাসভবনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪থ বার্ষিকী অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম’ নাম-সংকীর্তন, মিলিত ঈশ্বর-প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায়, তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷

হাওড়ায় নীলকন্ঠ দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১২ই ফেব্রুয়ারি আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিশ্বের সমস্ত ইয়ূনিটের সঙ্গে হাওড়া জেলার বিভিন্ন ইয়ূনিটে নীলকন্ঠ দিবস পালিত হয়৷ ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী, আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিষ খাইয়ে হত্যা করার চক্রান্ত করেছিল তৎকালীন সিবিআই৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় ১৯৭১সালের ডিসেম্বর মাসে মিথ্যে অভিযোগে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীকে গ্রেপ্তার করে বিহার বাঁকীপুর জেলে বন্দী রাখে৷ কিন্তু আনন্দমূর্ত্তিজীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করা সম্ভব নয় বুঝে সিবিআই আনন্দমূর্ত্তিজীকে হত্যার পরিকল্পনা করে৷ কিন্তু সিবিআই চক্রান্ত ব্যর্থ করে সেই তীব্র বিষ আনন্দমূর্ত্তিজী হজম করে নেন৷ তারপর থেকে সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা ১২ই ফেব্রুয়ারী নীলকন্ঠ দিবস পালন করে৷

এই দিন হাওড়ার রামরাজাতলা, মৌড়ী খটির বাজার, চ্যাটার্জী হার্ট, আমতা, চালিধাউরিয়া, শ্যামপুর,দক্ষিণ চাঁদ চক, প্রভৃতি প্রতিটি ইয়ূনিটের মার্গীরা মর্যাদা সহকারে নীলকন্ঠ দিবস পালন করে৷

উমা ব্রহ্মচারিণীর আত্মবলিদান দিবস উদযাপন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গকে পৃথিবী থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ণ করার চক্রান্তের পরিকল্পনা স্বরূপ তৎকালীন কমিউনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের প্ররোচনায় ও সেই সময়কার ভারত সরকার আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মিথ্যা মামলায় পটনা বাঁকিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকে রাখে ও প্রাণে মারার জন্যে জেলের মধ্যে বিষপ্রয়োগ ও ক্রমাগত শারীরিক নির্যাতন করার প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ১৯৭৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জার্মানির বার্লিন শহরে ব্রহ্মচারিণী উমা আচার্যা’ ও আচার্য লোকেশ ব্রহ্মচারী আত্মাহুতি করেন৷ প্রসঙ্গত উল্লেখনীয় যে ধর্মগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর মুক্তির জন্যে ভারত ও বহির্ভারতে মোট আটজন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী এভাবে গুরুর মুক্তির দাবীতে আত্মোৎসর্গ করেন৷ অবশেষে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর পটনা উচ্চতর আদালতের রায়ে আনন্দমূর্ত্তিজী ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সহ আরও চারজন শিষ্য বেকসুর খালাস পেয়ে জেল থেকে ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট মুক্তি লাভ করেন৷

গুরুদেব ১৯৭৮সালে উমা ব্রহ্মচারিণীর স্মরণে আনন্দনগরে মহিলা বিভাগের বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কাজ-কর্ম পরিচালনা করার জন্যে একটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত করে ‘‘উমা নিবাস’’ নামকরণ করেন৷

উমা ব্রহ্মচারিণীর গুরুর প্রতি ঐকান্তিক ভক্তি ও আত্মোৎসর্গ দিনটি অর্থাৎ ৮ই ফেব্রুয়ারি প্রতি বৎসর ‘‘আত্মোৎসর্গ দিবস’’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে৷ এই উপলক্ষ্যে ৮ই ফেব্রুয়ারী’২৫ ‘‘উমা নিবাস মহিলা শিশুসদনে’ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম নাম সংকীর্তন, বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ ও নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন জায়গায় থেকে আনন্দমমার্গীগণ অংশগ্রহণ করেন৷