আবার সেই এপ্রিল ! চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ!! জালালাবাদের এই যুদ্ধ হয়েছিল ১৮ই এপ্রিল ১৯৩০৷ বছর ঘুরতেই সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের ওপর আবার আঘাত৷ ৭ই এপ্রিল ১৯৩১, মেদিনীপুরের অত্যাচারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেমস্ পেডি নিহত হয়৷ সাম্রাজ্যবাদী শাসকের অত্যাচার যত বাড়ে বাঙলার দামাল ছেলেদের স্বাধীনতার বেদীমূলে জীবন উৎসর্গ করার লাইনটাও তত দীর্ঘ হয়৷ আর এপ্রিল-টাই যেন অকুতোভয় বিপ্লবীদের বড় পছন্দের মাস ! দুষ্টু ছেলেকে শান্ত করতে ব্রিটিশ রমনী গাইতো ঘুমপাড়ানি গান---‘বেবি, স্লিপ অন, অ্যানাদার এপ্রিল ইজ কামিং!’
১৯৩২সালের ৩০শে এপ্রিল, সূর্য তখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে৷ মেদিনীপুর শহরে জেলা-বোর্ডের অফিসে কোন একটা সভা চলছে৷ সভাপতি জেলা-ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ ডগলাস৷ এমন সুযোগ ছাড়তে রাজী নয় পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তির জন্যে পাগল বিপ্লবী তরুণেরা৷ পেডির পর ডগলাস,লক্ষ্য অনেক আগেই স্থির৷ চারিদিকে সশস্ত্র প্রহরীর দল৷ বিশ্বাস নেই ওই ডাকা-বুকো ছেলেগুলোকে৷ হঠাৎ গুলির শব্দ, লুটিয়ে পড়লো সভার সভাপতি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ডগলাস৷ আসামী দুজন, একজন প্রভাংশু পাল৷ সশস্ত্র প্রহরীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে পগার পার৷ অন্যজন হিন্দুস্কুলের মেধাবী ছাত্র প্রদ্যোত ভট্টাচার্য ধরা পড়লেন প্রহরীদের হাতে৷ তারপর বিচারের প্রহসন ও প্রাণদণ্ড৷ ২৫শে জুন ১৯৩২-বাঙলা মায়ের দামাল ছেলে এই বিপ্লবী বীরের ফাঁসি হয়৷
- Log in to post comments