অপি চেৎ সুদুরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্৷
সোপি পাপবিনির্মুক্তো মুচ্যতে ভবৰন্ধনাৎ৷৷*
‘দুরাচারী’ তাকেই বলে যার কাজে সমাজ প্রভাবিত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার আচরণ সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক৷ আর যে দুরাচারীকে অন্য দুরাচারীরা তাদের সমাজে ‘দুরাচারী’ বলে থাকে সে হ’ল সুদুরাচারী৷ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, তর্কশাস্ত্রেও বলা হয়েছে, যেমন কর্ম তেমনি প্রতিকর্ম৷ তবে স্থান–কাল–পাত্রের পরিবর্তন ঘটলে প্রতিকর্মেরও কম–বেশী তারতম্য ঘটে থাকে৷
তাহলে কি কোন সুদুরাচারীর ভবিষ্যৎ নেই? –না, তেমনটা হতে পারে না৷ অতি ৰড় পাপীরও একটা ভবিষ্যৎ আছে বৈ কি৷ এখন মানুষ মাত্রেই ভুল করে৷ সেই ভুলটা ৰড় রকমেরও হতে পারে, আবার ছোট রকমেরও হতে পারে৷ যারা ভুল করে তারাও তো আমাদের সমাজভুক্ত মানুষ, তারা যাবে কোথায় তাই কৃষ্ণ বলেছেন–সব ছেড়ে–ছুড়ে কোন সুদুরাচারী যদি আমার আশ্রয় নেয় ও অনন্যভাক্ হয়ে আমার ভজনা করে সেক্ষেত্রে তার যাবতীয় সংস্কার–ৰন্ধন একদিন শেষ হয়ে যাবে, সমস্ত কর্ম–ৰন্ধন থেকে সে মুক্তি পাবে৷ যে অনন্যমনসা হয়ে আমার ভজনা করে, আমার আশ্রয় নেয়, মুক্তি সে পাবেই পাবে৷
মানুষ, মনে রেখো পরমপুরুষ তোমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু৷ কোন অবস্থাতেই তুমি একলা নও৷ পরমপুরুষ কখনও তোমার দুঃখ–বিপদে উদাসীন থাকতে পারেন না, তিনি সব সময় তোমার ব্যথা–বেদনা অনুভব করেন৷ তাঁর নির্দেশমত কাজ করে যাও, আর তাতেই তুমি যাবতীয় কষ্ট–যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পাবে৷ (পটনা, ৯ই অগাষ্ট, ১৯৭৮)
(আনন্দবচনামৃতম প্রথম খণ্ড থেকে সংগৃহীত)