সহিংস শিক্ষা ব্যবস্থা

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

ছাত্র না ওরা বিদ্বেষ ভরা

   হিংস্র অমানুষের দল,

ক্লাশের বন্ধু পিটিয়ে হত্যা

      শূণ্য মায়ের কোল৷

বন্ধুত্ব মিথ্যা, সাম্প্রদায়িকতা সত্যি

   মানব সমাজে একি বিপত্তি,

পাড়া-প্রতিবেশীর ভিন্ন ধর্মমতে

        উধাও ভ্রাতৃ প্রীতি,

সহিংসতার ইতিহাস বলে,

     ‘‘এটাই সমাজের রীতি’’!

সংবিধানের সমানাধিকার----

কারো নিজ স্বার্থে তার ব্যবহার,

কেউ আপন কর্মে হারায় স্বাধিকার

বিচিত্র দেশ আছে স্বেচ্ছাচার!

বদ্ধ দুয়ার মনের বিকার

        দেখা দিল দূর্নীতি,

সহাবস্থান নয় রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাতে

        বধূর বিবর্ণ সিঁথি!

অভিধানে হারালো দুটি শব্দ

   নাই ‘‘প্রীতি’’ আর ’’নীতি’’৷

বিবেকহীন, বর্বরতার অধীন

 কেমন ছাত্র, এত অর্বাচীন!

বিদ্যা-বুদ্ধির হয়নি মুক্তি

      বোঝেনা কী সমীচিন!

আধুনিক শিক্ষার এইতো প্রগতি,

  স্বজাতি বিদ্বেষ, বর্বর মতি!

দেশবাসীকে কে দেখাবে পথ

 দেশনায়কের হলে ভীমরতি!

বিস্তার নাই, আছে সংকীর্ণতা

মানবিকতা নাই রয়েছে ক্লীবতা,

বাঁশবাগানে শিয়াল  রাজা

    ‘‘হুক্কাহুয়ায়’’ জাগায় প্রজা,

সব শিয়ালের একই ডাক

     ‘‘বিধর্মীরা নিপাত যাক’’!

কুসংস্কার আর গোঁড়ামির দাস---

   নিরস্ত্র কে আঘাত হেনে

     এ’’ কোন বীরত্ব প্রকাশ!

আধুনিক শিক্ষা বিসর্জনে

রক্ষণশীলতা প্রবল মননে,

    বিধর্মী হত্যা, চরম লক্ষ্য

নিঠুর উচ্ছ্বাস নারী নির‌্যাতনে!

‘‘ধর্মনিরপেক্ষতা’’ জাতীয় স্তম্ভ,

    কূপমণ্ডুকের মিথ্যা দম্ভ

          করে তা’’ অস্বীকার,

পাড়া-প্রতিবেশীর প্রতি নাই দায়ভার

   মগজ ধোলাইয়ে মনের বিকার,

      নাই কোনো প্রতিকার৷

  নীতিকথা গুলি লিপিবদ্ধ

     পুস্তকের মান বাড়াতে,

     ভ্রষ্টাচারীর ক্ষমতা নাই

    সমাজের রোগ সারাতে৷