শীতকালে বাড়ীর তৈরী হালকা রান্না খাবার শরীরের পক্ষে ভাল৷ শরীরের জন্যে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা খান৷ অল্প অল্প করে বারে বারে খিদে পেলে খান৷ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান৷ দুপুরের খাবার বিকেলে, বিকেলের খাবার সন্ধ্যায় বা রাতের খাবার অধিক রাতে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেবে৷ শীতে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড তেল মশলা জাতীয় খাবার ও ফ্যাটিফুড জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় বা না খাওয়া যায় ততই ভাল৷ এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷ বিভিন্ন মশলা জাতীয় খাবার রোগব্যাধী সৃষ্টি করে৷ একটা কথা মনে রাখতে হবে পেটের শত্রু হ’ল জিভ৷ মানুষ সাধারণত শরীরের জন্যে ভেবেচিন্তে খাবার খায় না৷ জিভের স্বাদের জন্য খায়৷ ফলে হজমের নানা সমস্যায় ভোগে৷
শীতকালে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, পেটের ব্যথা, বদহজম, অতিসার, হিক্কা, অরুচি, বমি-বমি ভাব, কোষ্টকাঠিন্য, গলা বুক জ্বালা, বুক ধরফর করা, খিটখিটে মেজাজ, পেটে কৃমির উপদ্রব শরীর ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে পড়া বিভিন্ন রকম পেটের অসুখ বিশেষ করে মূত্র রোগ, লিভার সমস্যা ও এ্যালার্জি দেখা দেয়৷
হজম শক্তি বাড়ার জন্যে পেঁপে সিদ্দ খান৷
রান্নায় জোয়ান ব্যবহার করুন ও জোয়ান খান৷
বহুমূত্র রোগের জন্যে কমলানেবু, মৌসুম্বি নেবু, বাতাবি নেবু ও পাতি নেবুর রস খান৷ শীতে আখের রস খেতে পারেন যদি মধুমেহ রোগ না থাকে৷
সর্দি কাশির জন্য বাসক পাতার রস, তুলসী পাতার রস, শিউলি পাতার রস, নিশাদল পাতার রস, আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে গরম করে নিয়ে ভাল করে ছেঁকে ঠাণ্ডা হলে একটু মধু ও কর্পুর দিয়ে সেবন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়৷
হালকা গরম দুধে মধু মিশিয়ে রাতে খান৷ সকালে শরীরের দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাবেন৷ পেট ফাঁপলে চুনের জল সেবন ভাল উপকার হয়৷ ফিটকিরির জল ও জোয়ানের রজল একসঙ্গে মি শিয়ে খেলে বুক জ্বালা, বদহজম, অরুচি ভাব বমিবমি ভাব কমে যাবে৷ এর সঙ্গে একটু পাতিনেবুর রস মিশিয়ে নিলে ভাল ফল পাওয়া যায়৷
কৃমির জন্যে রাতে কালমেঘ পাতা ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খান৷ কৃমি থেকে মুক্তি পাবেন ওপেট পরিস্কার হবে৷ শরীরের ত্বক skin) ভাল রাখতে হলে ভাল সরিষার তেল ও কমলানেবু ও পাতিনেবুর খোসা গরম করে মাখলে ত্বক পরিষ্কার ও ভাল থাকবে৷
- Log in to post comments