পাঞ্চভৌতিক উপাদানে তৈরী এই জড় জগতটাকে যেমন উপেক্ষা করা যায় না, মানুষের মন যা চৈত্তিক ধাতু (Ectoplasmic stuff) দিয়ে তৈরী, তাকেও তেমনি উপেক্ষা করা যায় না৷ ঘর্ষণে প্রতিঘর্ষণে জড়জগৎ থেকেই মনের উদ্ভব হয়৷ আবার ঘর্ষণে প্রতিঘর্ষণে মানসিক অনুশীলনে মন থেকেই আত্মার বিস্তৃতি ঘটে৷ এই কারণে মানসিক অনুশীলনকেও উপেক্ষা করা যায় না৷ আর মানসিক অনুশীলনের পরে যখন মানুষের সত্তা অধিকতর আত্মিক স্তরে উন্নীত হতে থাকে তখন স্বাভাবিক নিয়মেই সে পরমপুরুষের সঙ্গে মিলে যেতে চায়, মিশে যেতে চায়৷ ক্ষুদ্রত্বকে ৰৃহত্ত্বে পর্যবসিত করতে চায়, কারণ বিস্তারিত হওয়া একটা মানবধর্ম–এটা একটা ভাগবৎ ধর্ম৷
বিস্তার, রস, সেবা, তদ্স্থিতি–এই চারটি মুখ্য গুণ নিয়েই মানুষের অস্তিত্ব৷ তাই জীবনে তিনটে দিকেই দেখতে হৰে৷ সর্বক্ষেত্রে মানুষ যখন এগোতে চাইৰে তখন কী হৰে? যেমন থীসিস–এ্যান্টিথীসিস–৷ দ্বিতীয় স্তরে সীন্থীসিসটাই হয়ে যাচ্ছে থীসিস৷ তার পাল্টা আসছে এ্যান্টিথীসিস৷ সংঘর্ষের ফলে আবার সীন্থীসিসের রূপ পরিগ্রহ করছে৷ এই যেমন ভাবলোকের জিনিস আবার ঠিক তেমনি স্থূল জাগতিক জিনিসও৷ স্থূল জগতে এই যে এগিয়ে চলা, এই এগিয়ে চলতে হয় সর্বক্ষেত্রেই ইনারসিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরভাৰে, নির্মমভাবে সংগ্রামের মাধ্যমে৷ এই সহজ সরল তথ্যটা, সত্যটা অনেকে ৰলতে ভয় পায়, অনেকের ৰলতে ভাল লাগে না, কারো কারো আবার নাকি শুনতেও ভাল লাগে না৷ যেমন, মধ্যযুগে নিয়ম ছিল যে সৰাই জমি চাষ করৰে না, চাষ করা নাকি পাপ৷ আমি যখন এই ভাবজড়তাটা ভাঙ্গতে চেষ্টা করেছিলুম নিজে লাঙ্গল টেনে, অনেকেই নিন্দা করেছিল৷ ‘‘না–না–না, লাঙ্গল আপনার ছোঁয়া নিষেধ, তা করৰেন না’’–ৰলল তারা৷ আমিও শুনলুম না, আমি জোর করে করলুম৷ দেখলুম, কোন ক্ষতিই হ’ল না৷ ওরা ৰলল, সর্বনাশ হৰে৷ দেখলুম–কোন ক্ষতিই হ’ল না৷ এটা একটা ৰাজে ভাবজড়তা (Dogma) মাত্র৷ কারণ, যেখানে যুক্তিজালৰর্জিতভাৰে মানুষকে চলতে ৰলা হয় বা চলতে ৰাধ্য করা হয় সেটাই ভাবজড়তা৷ লাঙ্গল ঠেলা নিষেধ কেন? তাতে পাপ হৰে কেন? কিন্তু লাঙ্গল ঠেলে যে ফসল উৎপন্ন হয় সেই ফসলটি খাওয়া তো নিষেধ নয়৷ তার মানে আমি যে ফসলটি খাব তজ্জন্যে লাঙ্গল ঠেলে একজন লোক পাপ–ভাগী হৰে এ কেমন যুক্তি হ’ল? যুক্তি ঠিক হ’ল না৷ তা, বাস্তব জগতে এই যে ইনারসিয়া–এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যেতেই হৰে৷ যা তোমার অস্তিত্বকে বিঘ্ণের দ্বারা প্রতিৰন্ধ করে রেখেছে সেই বিঘ্ণের শৃঙ্খল ভেঙ্গেই না তুমি নোতুনত্বের আলোক দেখতে পাৰে
আমাদের এই স্থূল পাঞ্চভৌতিক জগতে রয়েছে পাঞ্চভৌতিক শরীর৷ সেই পাঞ্চভৌতিক শরীরের জন্যে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির প্রয়োজন রয়েছে৷ আর সেই জন্যে কী করতে হৰে?–না, সংগ্রামের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হতে হৰে৷ আবার এই সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা–মানুষ হ’ল সামাজিক জীব, একক জীব নয়, এই যে সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে হৰে–এটা ব্যষ্টিগত প্রয়াসে ঠিকই কিন্তু এই ব্যষ্টিগত প্রয়াসের পেছনে থাকতে হৰে সামূহিক সমর্থন ও সামূহিক আকুতি, একটা সামূহিক তত্ত্ব৷ এই তত্ত্বটার ভিত্তিতে মানুষ চেষ্টা করে যাৰে, সংগ্রাম করে যাৰে৷ আর তত্ত্বটা যদি নির্ভুল হয় তাহলে মানুষ অল্পায়াসে তার অভীষ্টে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে৷
তাই মানুষের দরকার একটা দৃঢ় সংকল্প ও এই দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে একটা মজৰুৎ দর্শন৷ তাই ভৌতিক ক্ষেত্রে মানুষ ব্যষ্টিগত আর সামূহিক অস্তিত্বকে রক্ষা করবার জন্যে ইনারসিয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাৰে৷ এই যে ইনারসিয়া–যাকে মানসিক জগতে আমি ৰলি ‘ডগমা’–সে তার সর্ব শক্তি দিয়ে তোমার পদবিক্ষেপকে ব্যাহত করতে চেষ্টাশীল হৰে৷ তার পক্ষে এটাই স্বাভাবিক৷ সুতরাং এ দেখে ঘাৰড়ে গেলে চলৰে না, থমকে দাঁড়ালে চলৰে না৷ মনে রাখতে হৰে যে এগিয়ে চলতে গেলে ইনারসিয়ার ৰাধা আসৰেই৷ না আসাটা অস্বাভাবিক৷ না–আসাটার মানে তুমি ৰড় ৰড় কথাই ৰলছ, তুমি চলবার চেষ্টা কর নি৷ অনেকে ৰলে– এই করতে গেলুম, এই ৰাধা এল, অমুক কথা ৰলল ইত্যাদি৷ এইগুলোই স্বাভাবিক৷ কাজ করতে গেলে ইনারসিয়া নানান রূপ, নানান প্রতিরূপ নিয়ে তোমার সামনে এসে দাঁড়াৰে৷ আর সেই ৰাধাকে তুমি সহাস্যে ৰরণ করৰে ও বলৰে–‘‘ৰাধা, তুমি এসেছ, তুমি তোমার কাজ করে যাও৷ আমি আমার কাজ করে যাই৷’’ ‘আনন্দ সূত্রমে’ ৰলা হয়েছে–
‘‘ৰাধা সা যূষমানা শক্তিঃ সেব্যং স্থাপয়তি লক্ষ্যে’’৷
ঠিক তেমনি মানুষের রয়েছে মনোজগৎ যা এক্টোপ্লাজমিক ষ্টাফ দিয়ে তৈরী, যা চিত্তাণু দিয়ে তৈরী, যা চূর্ণীভূত পাঞ্চভৌতিক উপাদান৷ মনে রাখতে হৰে–বিরাট মনের জড়ীভূত রূপ হচ্ছে এই পাঞ্চভৌতিক জগৎ৷ আবার এই পঞ্চভৌতিক জগৎ থেকেই সংঘর্ষ–সমিতির মাধ্যমে তৈরী হচ্ছে চিত্তাণু, মনোজগৎ, এক্টোপ্লাজমিক ওয়ার্লড৷ যদি ভৌতিক ক্ষেত্রে মানুষ সংগ্রামবিমুখ হয়, মানুষ যদি ৰাধাকে এড়িয়ে চলে বাঁচৰার অপপ্রয়াসে রত হয়, সে তা পারৰে না৷ বরং সংগ্রাম না করার ফলে তার চিত্তাণুর সংবৃদ্ধি হৰে না৷ তাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হৰে আর ফলতঃ যখন ৰৃহত্তর অসুবিধা তার সামনে এসে দাঁড়াৰে তখন সে ঠিকভাৰে তার বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করাতে পারবে না৷ তাই ভৌতিক জগতে সংগ্রাম মানুষকে মানসিক জগতে সংগ্রামের প্রস্তুতি যোগায়৷ আৰার ঠিক তেমনি মানসিক জগতের উন্নতির ফলে, মানসিক জগতের বিস্তৃতির ফলে নূতন নূতন তথ্য তার সামনে ফুটে ওঠে যা তাকে ৰস্তুজাগতিক সংগ্রামে রসদ যোগায়৷ আবার এই মানসিক অভিভাবন তথা মানসিক অভিভাবনিক দৃঢ়তা আত্মিক বিস্তৃতি ঘটিয়ে দেয়৷ আত্মিক বিস্তৃতি মানুষের মনকে আরও ৰেশী পরমপুরুষের অভিমুখী করে দেয়৷ তখন তার মন চায় যে পরমপুরুষের এই যে অনন্ত অখণ্ড বিস্তৃতি আমার ক্ষুদ্র বিস্তৃতিটা তাঁতেই মিশিয়ে দিয়ে ৰিরাট হয়ে যাই৷ আর তখন সে তার অভীষ্ট সিদ্ধিতে জনকল্যাণে, মানব কল্যাণে ও ব্যষ্টিগত জীবনে যথার্থ কল্যাণেও আরও ভালভাবে এগিয়ে যেতে পারে৷
আমাদের এই শ্রাৰণী পূর্ণিমা–অনেকেই জান, এটা জানা জিনিস আমি তখন খুৰই ছোট্ট৷ তখন বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ি৷ একদিন সন্ধ্যায় একটা ঘটনা ঘটল৷ একজন লোক–সে লোকটি দুষ্ট প্রকৃতির ছিল৷ আমরা এই কথাটা ব্যবহার করছি এই জন্যে যে আজ যে মানুষটা দুষ্ট, কাল সে সাধু হতে পারে৷ আজ যে মূঢ় কাল সে জ্ঞানী হতে পারে–এ সৰকিছু আপেক্ষিক জগতের আপেক্ষিকতার দ্বারা অভিষিক্ত৷ তাই এর কোন শাশ্বত রূপ নেই৷ কোন মানুষকে স্থায়ীভাবে দুষ্ট ৰলা চলে না৷ সৰ সময় মনে রাখতে হৰে যে আমি এই দুষ্টের ভেতরে যে ভাল জিনিসগুলো নিহিত রয়েছে সেইগুলোকেই জাগিয়ে দিয়ে, ৰাড়িয়ে দিয়ে একে ভাল করে তুলৰো৷ ভাল মানে কী?–না, সংস্কৃত ‘ভদ্র’ শব্দ থেকে ‘ভাল’ শব্দটা এসেছে৷ সংস্কৃতে ‘ভদ্র’, প্রাকৃতে/পালিতে ‘ভদ্দ’, তাই থেকে অর্ধ প্রাকৃতে ‘ভল্ল’, তাই থেকে প্রাচীন ৰাংলায় ‘ভালা’/‘ভাইলা’, বর্ত্তমান ৰাংলায় ‘ভাল’৷ ফরিদপুর জেলার গ্রামাঞ্চলে একটা ছড়াই ছিল–‘ভালা আইল বুরা গেল’, ‘ভালা’ মানে ‘ভাল’৷ আবার বার শ’ বছরের পুরোনো ৰাংলার ছড়াতেও আছে–
‘‘পার গজর সঙ্গ সোই দুর্জন সঙ্গ অবসর তোই৷
নাদ ন বিন্দু ন রবি ন শশীমণ্ডল৷৷
উজুরে উজু ছাড়ি না লেও রে বাংক৷
নিওড়ি বোহি ন খাওরে লংকা৷৷
হাতে কংকন, না লেও দাপন৷
অপ্পনে অপ্প বুঝত নিয় মন৷৷
পার গজর সোই দুর্জন সঙ্গ অবসর তোয়ি৷
বাম দাহিন যো খলু বিখলা৷৷
সরহভনই বাপ্পা উজু বাট ভৈলা৷’’
‘ভাইলা’ শব্দের নিদর্শন দেখিয়ে দিলুম৷ তা ভাল ৰলতে, সংস্কৃতে ‘ভদ্র’ ৰলতে তাকেই বোঝায় যে সুষ্ঠুভাৰে ত্রিভূতেই–শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিকে এগিয়ে চলে৷ ভাল সে নয় যে ৰসে ৰসে মার খাচ্ছে, অপমান সহ্য করছে, বা শোষণের পর শোষণের পালা চলেছে আর মুখ বুজে সেটাকে বিধিলিপি বলে মেনে নিচ্ছে৷ এ সমস্ত ভাল লোকের লক্ষণ নয়৷ ভাল লোকের লক্ষণ হ’ল যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, ন্যায়কে দৃঢ় হস্তে ধরে রাখে, দুর্বলকে রক্ষা করে, পাপীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, সেই–ই ভাল৷ যারা অত্যন্ত নিরীহ, যারা শান্ত–শিষ্ট (goody goody boys) তারা ভাল নয়৷
তা হয়েছিল কী? –না, একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক আমার কাছে এসেছিল৷ আমি সাধারণ একটি ছোট্ট ছেলে–আমার কাছে আর কী পাৰে? কিন্তু আমার কাছে এসেছিল৷ আমি তাকে মানব মনের যা স্বাভাবিক সাইকোলজি তদনুযায়ী জিজ্ঞাসা করেছিলুম–কী চাও? কেন এ পথে নেমেছ? ইত্যাদি৷ তারপর খানিকক্ষণ আমার সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল৷ সে ৰুঝেছিল–তার কিছু করা উচিত আর পরে সে দীক্ষাও নিয়েছিল৷ সেইটাই প্রথম দীক্ষা৷
আজ আবার সেই দিনই ঘুরে ফিরে এসেছে–
অনেক দিন হ’ল৷ তখন সেটা ছিল সম্ভবত ১৯৩৯ সাল.....৷ একচল্লিশ বৎসর আগেকার ঘটনা৷
তা মানব মনীষার কোরকে যে শুভভাব নিহিত রয়েছে তাকে জাগিয়ে তোল৷ তাকে জাগাতে গেলে কী করতে হয়? বকা–ঝকা, তিরস্কার–শাসন, শক্তি প্রয়োগ সৰ কিছুই করতে হয়৷ আবার সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টাও চালাতে হয় যাতে সেই প্রষুপ্ত কোরক বিকশিত হয়৷ তার রূপে–রসে–গন্ধে সমগ্র সমাজ উপকৃত হয়৷ আজকে সেই মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে, দরকার মত শাসন করতে হয়৷
শাসন বর্জনীয় নয়৷ শাস্ত্রে বলা হয়েছে–‘হিতার্থে শাসনম্ ইত্যর্থে অনুশাসনম্’. ভালর জন্যে যে শাসন তাকেই বলা হয় অনুশাসন৷ সমাজে শাসনের প্রয়োজন রয়েছে৷ শাস্ত্রে বলা হয়েছে–
‘নিগ্রহানুগ্রহে শক্তো গুরুরিত্যভিধীয়তে’৷
যিনি কড়া শাসন করতে পারেন আর কড়া ভালও ৰাসতে পারেন অর্থাৎ খুৰ ৰেশী ভালও ৰাসেন, আবার খুৰ ৰেশী শাসনও করেন তিনিই গুরু৷ যিনি কেবল শাসন করেন তিনি গুরু নন–তিনি শত্রু৷ যিনি কেবল ভালৰাসেন, আদর করেন তিনিও গুরু নন–তিনিও শত্রু৷ কারণ মাত্রাধিক্য ভালৰাসায় মানুষ খারাপ হয়ে যায়৷ যিনি দু’টোই করতে জানেন তিনিই গুরু৷
তাই তোমরা মানুষকে আদরে–শাসনে তৈরী করবে৷ যেখানে আদরে কাজ হ’ল না সেখানে শাসনের প্রয়োজন আছে৷ ওষুধ মাত্র–ই যে মিষ্টি হৰে এমন কোন কথা নেই৷ তেঁতো ওষুধেরও প্রয়োজন আছে৷ রোগী অনেক সময় তেঁতো ওষুধ খেতে চাইবে না–কাঁদৰে৷ কিন্তু ভাল চিকিৎসক তাকে জোর করে চেপে ধরে ওষুধ খাইয়ে দেৰে৷ এই হচ্ছে বিধি৷
তোমাদের আমি ৰলৰ–গোটা মানবসমাজ আজ ক্ষত–বিক্ষত৷ নানান ব্যাধিতে, নানান ভাবজড়তায় তার সর্বাঙ্গ আজ পুঁতিগন্ধময়৷ সর্বাঙ্গ কুষ্ঠব্যাধিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে৷ এ অবস্থায় ভেবে চিন্তে যখন যেমনটি চিকিৎসার দরকার তখন তেমনটি চিকিৎসার ব্যবস্থাই করে মানুষ জাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হৰে৷ আর একবার বলছি, কোন মানুষকে প্রথমেই দুষ্ট বা খারাপ বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছুৰে না৷ তার ভেতরের ভাল জিনিসগুলো খুঁজে বের করবার চেষ্টা করৰে৷ আর ভালো জিনিসের মাত্রা বেড়ে গেলে সমাজ তাকে শ্রদ্ধা করৰে৷ প্রত্যেক মানুষকে শ্রদ্ধার আসনে বসাবার চেষ্টা করৰে৷ কিন্তু শ্রদ্ধার আসনে বসাবার তুমি যে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছো তা যে সমর্থন করৰে না, যে মানব সমাজের অবারিতভাৰে ক্ষতি করে যেতেই থাকৰে তার বিরুদ্ধে অত্যন্ত দৃঢ়তাপূর্বক ব্যবহার তোমাদের করতে হৰে ৰৃহত্তর মানব জাতির স্বার্থে, ভূ–লুন্ঠিত মানবতার স্বার্থে, পরমপুরুষের তৃপ্ত্যর্থে, প্রীত্যর্থে৷
(কলিকাতা, ২৫শে আগষ্ট, শ্রাবণীপূর্ণিমা, ১৯৮০)